ইতিউতি-সোজা পথে চলে না কেউ by আতাউস সামাদ

যেকোনো দায়িত্ব পালন করতে হলে সেই কাজের জন্য যেসব নিয়মনীতি ঠিক করা থাকলে তা মানতে হয় আর সঙ্গে কিছু বুদ্ধি-বিবেচনা ব্যবহার করতে হয়। যার যার কর্মক্ষেত্রে এই রীতি অনুসারে চললে সাধারণভাবে আমাদের হাতে যে কাজগুলো আসে, তার প্রায় ৯০ শতাংশই সফলভাবে করা যায় বলে আমার বিশ্বাস।


বাংলাদেশে যে বেশির ভাগ কাজই ঠিকমতো হয় না বা অনেক ক্ষেত্রে সেরকম করাই হয় না, তার বড় কারণ হলো আমরা সোজা পথে চলি না ও নিয়মনীতি মানি না। আমাদের সমাজে যাঁরা সরলরেখা ধরে চলেন এবং সোজা কাজটি সহজভাবেই করতে চান, তাঁরা সাধারণত সন্দেহভাজন ব্যক্তিতে পরিণত হন। আমাদের মন্ত্রী-উপদেষ্টাকুল কোনোভাবেই সন্দেহভাজন ব্যক্তিতে পরিণত হতে চান না, তাই তাঁরা সরলরেখা পরিহার করেন, সহজ পথে চলেন না এবং সোজা কথা বলেন না। এ ধরনের অস্বাভাবিক ও উদ্ভট আচরণ করে তাঁরা কী যেন আনন্দ পান। তবে তাঁদের ফুর্তি অন্যদের জন্য উদ্বেগ, ভোগান্তি ও যন্ত্রণা সৃষ্টি করে। অবশ্য এমন হতে পারে যে অন্যকে কষ্ট দিয়েই তাঁরা আনন্দ পান। অন্যের আর্তনাদ মানেই তাঁদের সাফল্য। তাঁদের সফলতার মাপকাঠি আমাদের থেকে আলাদা। আর আমাদের বিপদ সেখানেই।
ঝালকাঠির কিশোর লিমন হোসেন গত ২৩ মার্চ র‌্যাবের গুলিতে আহত হওয়ার পর থেকেই সে সত্যাসত্য, ন্যায়-অন্যায়, কর্তব্য পালন ও কর্তব্যবিমুখতার দ্বন্দ্বের প্রতীকে পরিণত হয়। সেদিন র‌্যাবের একটি দল লিমনদের গ্রামে গিয়েছিল এক সন্ত্রাসীকে ধরতে, কিন্তু তারা তাকে পায়নি। কিন্তু তাদের অভিযানের একপর্যায়ে তারা লিমন হোসেনের পায়ে গুলি করে এবং কালবিলম্ব না করে র‌্যাব দলটির এক সদস্য থানায় দুটি মামলা করেন। দুটি মামলায়ই লিমন হোসেন অভিযুক্ত। মামলাটির একটিতে অবৈধভাবে অস্ত্র রাখার অভিযোগ করা হয়েছে, আর অন্যটিতে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ অস্ত্র মামলায় দারুণ ক্ষিপ্রতার সঙ্গে তদন্ত করে লিমন ও অন্য সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে। লিমন ছাড়া অন্য সাতজনই পলাতক রয়েছে। জানা গেছে, দুর্জন বা দুর্বৃত্ত বলে তাদের পরিচিতি আছে। তবে পুলিশ পারলেও সাধারণ মানুষ লিমনকে এদের সহযোগী বা এদের কাতারের কেউ বলে মেনে নিতে পারছে না। তাঁদের চোখে লিমনকে সন্ত্রাসী প্রমাণ করার জন্যই তাকে অন্যদের সঙ্গে জড়ানো হয়।
লিমন জাতীয়ভাবে পরিচিত হয়ে যায় বলতে গেলে র‌্যাব ও পুলিশের কল্যাণে। র‌্যাব তার পায়ের রক্তক্ষরণ বন্ধ করার জন্য তাকে উপজেলা হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে লিমনের অবস্থার অবনতি হওয়ার ফলে পুলিশ তাকে বরিশালে শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেও তার অবস্থার অবনতি হতে থাকলে পুলিশ তাকে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসকরা গুলিতে গুঁড়িয়ে যাওয়া তার পা-টি হাঁটু থেকে কেটে ফেলেন। আপাতত লিমনের প্রাণ রক্ষা হয়েছে; কিন্তু সে এখনো অসুস্থ এবং সারা জীবনের মতো পঙ্গু হয়ে গেছে।
এদিকে র‌্যাব তাকে সন্ত্রাসীর সহযোগী হিসেবে মামলা দিলেও সাংবাদিকরা আবিষ্কার করেছেন সে কলেজে পড়ত এবং যে কলেজে সে পড়ত, সেখানে হাজিরা খাতায় দেখা যাচ্ছে সে নিয়মিত ক্লাস করত। অর্থাৎ সে তার পড়াশোনা গুরুত্বের সঙ্গে নিত। দ্বিতীয়ত, লিমন হোসেন দরিদ্র মা-বাবার সন্তান, সে জন্য সে একটা ইটখোলায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করে তার পড়ালেখার প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করত। তৃতীয়ত, কোনো থানায় তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে কোনো মামলা নেই। এ অবস্থায় ঢাকায় র‌্যাবের একজন মুখপাত্র মন্তব্য করেন, লিমন চিহ্নিত সন্ত্রাসী নয়। তবে সে একটি অঘটনের শিকার হয়ে র‌্যাবের গুলিতে আহত হয়েছে। ঝালকাঠিতে ক্ষমতাসীন দলের নেতারাও সাংবাদিকদের একই রকম কথা বলেন। ঢাকায় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান লিমনকে দেখতে যান এবং তার অবস্থা দেখে কেঁদে ফেলেন। তিনি তার বিষয়টি সরকারের কাছে উত্থাপনের কথাও বলেন। কিন্তু এতদসত্বেও লিমনের দুর্ভাগ্যের কোনো হেরফের হলো না। সে হাসপাতালে পুলিশের কাছে আটক থাকল আর অস্ত্র মামলায় তার বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়ায় ঝালকাঠির আদালতে তার ডাক পড়ল এবং পুলিশ তাকে স্ট্রেচারে চাপিয়ে একটা মাইক্রোবাসে করে সেখানে নিয়ে গেল। অধ্যাপক মিজানুর রহমান পঙ্গু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছিলেন তার ছাড়পত্র না দিতে, কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। ঝালকাঠিতে সিনিয়র বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট লিমনকে অস্ত্র মামলায় জেলে পাঠিয়ে দিলেন, তবে তার সুচিকিৎসার নির্দেশ দিলেন। এ মামলায় তার জামিনের আবেদন শুনানির তারিখ তিনি ধার্য করলেন ৯ মে। ইতিমধ্যে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার মামলায় তিনি তার জামিন মঞ্জুর করেন। তবে লিমনের চিকিৎসার জন্য তিনি কড়া নির্দেশ দেওয়ায় পুলিশ তাকে বরিশালে শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
এর মধ্যে পুলিশ আরেকটি নিন্দনীয় ঘটনা ঘটিয়েছে। লিমনের মা লিমনকে ইচ্ছাকৃতভাবে গুলি করার অভিযোগ এনে থানায় মামলা দেওয়ার জন্য দরখাস্ত করেন, কিন্তু থানা সে মামলা নিতে অস্বীকার করে। এরপর লিমনের মা ঝালকাঠিতে আদালতে আরজি করলে আদালত পুলিশকে মামলা নিতে বলেন। তার পরও পুলিশ টালবাহানা করতে থাকায় আদালত আবার থানাকে মামলা নিতে নির্দেশ দেন। থানা এবার মামলা নিলেও যাকে তদন্তকারী অফিসার নিয়োগ দেন, তিনি ছিলেন র‌্যাবের মামলায় লিমনের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদানকারী অফিসার।
একদিকে লিমনের পক্ষে তার গ্রাম ও তার কলেজ থেকে বক্তব্য আসা এবং র‌্যাব মুখপাত্র তাকে ঘটনার শিকার বলার পরও পুলিশ তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবে নানা প্রশ্নের উদ্ভব হয় এবং তাই সংবাদিকরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে তাঁর মত জানতে চান। সাহারা খাতুন সব প্রশ্ন, সব সন্দেহ, সব সমালোচনা ঝেড়ে ফেলে সাফ জবাব দেন, 'পুলিশ তদন্ত করেই চার্জশিটে লিমনের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে। বিষয়টি আদালত বিচার করবেন। লিমনের বিষয়ে সরকারের কিছু করার নেই।' নাছোড়বান্দা সাংবাদিকরা তার পরও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, 'লিমন কি সন্ত্রাসী?' পাথরের মতো অটল থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন উত্তর দেন, 'এ বিষয়ে আদালতই বলবেন।' এককথার মানুষ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, একবার যা বলে ফেলেছেন তা-ই ঠিক। 'যাহাই রচিবে তুমি তাহাই জানিবে সত্য' বলে একটা কথা আছে না! কিন্তু মন্ত্রী সাহারা খাতুন, তাঁর মন্ত্রণালয়, তাঁর সরকার, তাঁর পুলিশ, র‌্যাব_এ সব কিছুর বাইরেও কিছু প্রতিষ্ঠান আছে, যাঁদের সুনির্দিষ্ট কর্তব্য আছে এবং এগুলোতে কিছু মানুষ আছেন যাঁরা নিজ দায়িত্ব পালন করেন। এ রকম প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আছে সুপ্রিম কোর্ট ও মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র।
এই সংগঠনের নির্বাহী প্রধান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে বিচারপতি নজরুল ইসলাম ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ লিমন হোসেনকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছেন। তাঁরা সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন, লিমন দেশের যে হাসপাতালে চাইবে, সেখানেই সরকারি খরচে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। তদুপরি তারা সরকারের ওপর রুল জারি করেছেন জানাতে যে, কেন লিমনকে স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না এবং লিমনের ওপর নির্যাতনের তদন্ত করার জন্য কেন কমিশন গঠন করা হবে না? সরকারের পক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও এক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল রিট আবেদনের বিরোধিতা করেছিলেন। হাইকোর্ট বেঞ্চ তাঁদের যুক্তি গ্রহণ করেননি। শুনানির সময় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৮ এপ্রিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছিলেন, লিমন হোসেনের ব্যাপারে সরকারের কিছু করার নেই। গত ৫ মে (বৃহস্পতিবার) হাইকোর্ট বিভাগ জানিয়ে দিলেন যে না, সরকারের কিছু করার আছে। সরকারকেই লিমনের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে, যদিও তার কাটা পা সে আর ফেরত পাবে না এবং কৃত্রিম পা ব্যবহার করে তাকে চলাফেরা করতে হবে। আর লিমনের ওপর নির্যাতনের তদন্ত করতে হবে। আদালতের নির্দেশ থেকে বোঝা যায়, লিমনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় হস্তক্ষেপ না করেও তার ব্যাপারে যথেষ্ট করণীয় আছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইন মন্ত্রণালয় ও অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর এই সহজ কথাটুকু বুঝতে পারলেন না কেন, তা আমাদের পক্ষে বোঝা দায়। কারণ যৎসামান্য বিবেচনা করলেই সরকার উপলব্ধি করতে পারত যে লিমনের চিকিৎসার ব্যবস্থা তাকেই করতে হবে। কারণ সে একটি সরকারি বাহিনীর গুলিতে আহত হয়েছে এবং সেই অবস্থায়ই সে পুলিশের হাতে আটক আছে (অর্থাৎ সে সরকারি মেহমান)। দ্বিতীয়ত, তার ক্ষত শুকানোর আগে তাকে টানাহেঁচড়া করা অনুচিত। কিন্তু সরকার সেই নির্দয় কাজটিও করল। তৃতীয়ত, ঘটনার বিবরণ এসেছে আলাদাভাবে কয়েকটি এবং লিমন সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য এসেছিল, যাতে স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল যে তার পরিবার ও সহপাঠীদের দাবি সে ভালো ছেলে, তা সঠিক হতে পারে। এর ওপর র‌্যাবের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে ইতিমধ্যে বলেছেন যে লিমন ঘটনার শিকার। এ অবস্থায় লিমনের বিরুদ্ধে আনা অস্ত্র মামলার চার্জশিট পুলিশ তড়িঘড়ি করে দিল কেন? তার ওপর পুলিশ যেখানে র‌্যাব সদস্যদের বিরুদ্ধে লিমনের মায়ের আবেদন গ্রহণ করছিল না, তখন তো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ন্যায়বিচারের স্বার্থে হস্তক্ষেপ করে সংশ্লিষ্ট থানাকে মামলাটি গ্রহণ করতে বলতে পারত। চতুর্থত, মামলা হলেই সরকারের কিছু করার থাকে না, এ কথা যে একেবারেই অসত্য_তার প্রমাণ বর্তমান সরকার গত প্রায় আড়াই বছরে কয়েক হাজার ক্ষমতাসীন দলীয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে রুজু করা ফৌজদারি মামলা এই অজুহাতে প্রত্যাহার করে যে সেগুলো রাজনৈতিক বিবেচনায় করা হয়েছিল। কী কারণে মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হলো, এখানে আমাদের কাছে সেটা প্রশ্ন নয়। আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো যে আমরা দেখছি ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার করার ক্ষমতা সরকারের আছে। আসলেই বাংলাদেশের ফৌজদারি আইনে সরকারকে মামলা প্রত্যাহার করার ক্ষমতা দেওয়া আছে। লিমনের ক্ষেত্রে সরকার এ বিষয়ে চোখ বুজে থাকতে চেয়েছে। পঞ্চমত, লিমনকে নিয়ে ধারাবাহিকভাবে যত রকম ঘটনা ঘটছিল, তাতে সুশাসনের প্রয়োজনে সরকারের উচিত ছিল বেশ উচ্চপর্যায়ের তদন্ত করা।
এখানে আরেকটা কথা যোগ করি, শুনেছি সেই ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসন আমল থেকেই নাকি একটা বিধি আছে যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন তাদের আগ্নেয়াস্ত্র থেকে একটা গুলি ছুড়লেও হিসাব দিতে হয় যে কোথায়, কখন এবং কেন সেই গুলিটা ছোড়া হলো। এখন কী সেই বিধি উঠে গেছে অথবা সরকার কি সেই নিয়ম তুলে দিতে চাইছে? এ প্রশ্নের সোজাসুজি উত্তর হয়তো বাংলাদেশের কোনো সরকারই দিতে চাইত না, এ সরকারও চাইবে না। ওই যে শুরুতেই বলেছি বাংলাদেশে সহজ পথে চলা এবং সোজা কথা বলা উঠে গেছে। আরো যে বলেছি সরকারি ক্ষমতা যাঁদের হাতে আছে, তাঁরা অস্বাভাবিক ও উদ্ভট আচরণ করে আনন্দ পান। অন্যকে কষ্টে ফেলতে পারলে তাঁরা সুখী হন।
হাইকোর্টের আদেশে লিমন ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্ভাগ্যের পালা শেষ হয়েছে_এখনই এমন আশা করা ভুল হবে। তবে সাময়িকভাবে তারা কিঞ্চিৎ স্বস্তিতে থাকবেন। সুলতানা কামাল তো বলেছেন, 'ব্যাপারটা একটা জায়গায় এসে দাঁড়াল, এখন দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কী হয়।' সুলতানা কামাল লড়াকু মানুষ, তাই তাঁকে অবশ্যই আশাবাদী হতে হবে। তবে আমি হতাশাগ্রস্ত। আমি এতটা আশা করতে পারছি না যে সরকার, বিশেষ করে বর্তমান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় ও অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস এমন কিছু করবে, যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আইন মেনে চলতে বাধ্য হন। তবে 'পাবলিক' বলে যে একটা কথা আছে, সেটা যদি এখনো টিকে থেকে থাকে, তাহলে সংসদ নির্বাচনের ভোটের সময় কাছিয়ে এলে হয়তোবা তাদের চিন্তায় কিছু পরিবর্তন হলেও হতে পারে। কারণ জনগণের চোখে পুলিশ-র‌্যাবসহ তাবৎ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেহারাটা খারাপই হচ্ছে।
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট

No comments

Powered by Blogger.