জন্মদিন-মাটির মানুষের সাংবাদিক by এবিএম মূসা
আমার দাদা ছিলেন চাষা। নিজে চাষ করতেন না, তাই চাষা বলতে গৃহস্থ বা গেরস্ত চাষি বলাই ভালো। বাবা ছিলেন ব্রিটিশ আমলে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি দাদার মতোই চাষবাসে আগ্রহী ছিলেন। আব্বা যখন মফস্বল শহরগুলোতে থাকতেন, সরকারি বাসভবনের খালি জায়গায় ‘চাষ’ করতেন। নিজের হাতে কোদাল চালাতেন।
শাকসবজির খেত; ভদ্র ভাষায়, বাগান করতেন। আশপাশের সরকারি কর্মকর্তারা এ নিয়ে বাবাকে সামনে বা আড়ালে ‘গিরস্থিয়া ডিপটি’ বলে ঠাট্টা করতেন।
নিজের সামান্য বংশপরিচয় বর্ণনার উদ্দেশ্য, আজকে একজন ‘গিরস্তিয়া সাংবাদিক’ সম্পর্কে লিখছি। নাম তাঁর শাইখ সিরাজ, আগামীকাল তাঁর ৫৭তম জন্মদিন। টেলিভিশনে কৃষি, চাষবাস, শস্য গবেষণা, আধুনিক প্রযুক্তির কৃষিকর্মের সম্প্রসারণ নিয়ে তাঁর অনুষ্ঠান ‘হূদয়ে মাটি ও মানুষ’ যেমন গ্রামের চাষাভুষাকে, তেমন শহরবাসীকেও আমাদের কৃষি সম্পর্কে আগ্রহী করেছে। দূর-দূরান্তের গাঁয়ের চাষিরা তাঁর মধ্যে পেয়েছেন একজন শহরের মানুষ, ভিন্ন পরিচয়ের সাংবাদিক, যিনি তাঁদের জীবনধারণ, সুখ-দুঃখ, আশা-নিরাশার খুঁটিনাটি বিবরণকে সাংবাদিকতার বিষয়বস্তু করে তুলেছেন।
তার পরও শাইখ সিরাজ ও তাঁর কর্মবিবরণী নিয়ে ছোট প্রতিবেদন পেশ করার আগে এই বিশেষ সাংবাদিকতার সূচনা ও পটভূমি বর্ণনা করছি। আমি যখন পঞ্চাশের দশকে সংবাদপত্রের জগতে প্রবেশ করি, তখন সাংবাদিকতা মানে ছিল নিছক সংবাদ পরিবেশন। এই ধারা বা ধারণার পরিবর্তন ঘটে আশির দশকের শুরুতে। ইউনেস্কো তথা জাতিসংঘ শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংস্থার প্রধান হয়েছিলেন একজন আফ্রিকানবাসী এখ’বোবো। তিনি জিকির তোলেন, পশ্চিমা সংবাদপত্রে অনুন্নত দেশগুলোর শুধু ‘ডেথ অ্যান্ড ডিজাস্টার’—মৃত্যু আর দুর্যোগের খবর পরিবেশন করে। একটি বিপরীত ধারার সাংবাদিকতার প্রচলন করতে হবে। নাম দিলেন ডেভেলপমেন্ট জার্নালিজম। উন্নয়নমুখী করতে বা অর্থনৈতিক উন্নয়নে উৎ সাহ দান করতে দরিদ্র দেশের জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তাঁরা চাইতেন, এশিয়া-আফ্রিকার দেশের দরিদ্র জনগণ আমেরিকার গম সাহায্য পি-এল-৪৮০, বিশ্বব্যাংকের ভিক্ষার ওপর চিরনির্ভরশীলতা থেকে মুক্তি পাবে। তাঁর প্রেরণায় আজকের ডেভেলপমেন্ট জার্নালিজম, উন্নয়নকামী সাংবাদিকতার সূচনা হলো।
কালক্রমে তাঁর প্রেরণাদায়ী উন্নয়ন সাংবাদিকতার বিস্তারের কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সর্বক্ষেত্রে বিস্তার লাভ করেছে। আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার, অধিক ফলনের জন্য সার প্রয়োগ আর উন্নত জাতের বীজ উৎ পাদনের ধারণা উন্নয়নশীল দেশের কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। বেশ কিছু দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলো। পশ্চিমা দেশের গম-চাল-অর্থের ওপর নির্ভরতার অবসান হলো। সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্র সম্পর্কে বিভিন্ন দেশের জনগণ, সরকার ও গণমাধ্যমের ধারণার পরিবর্তন হলো। যেসব দেশ শিল্প বিস্তার অথবা ছোটখাটো শিল্প-বিপ্লবের সম্ভাবনার কথা ভাবছিল, তারা ‘কৃষি-বিপ্লবের’ বাস্তবতাকে প্রাধান্য দিল।
উন্নয়নকামী উল্লিখিত দেশসমূহে কৃষি-বিপ্লব শুরু হয়ে গেল ‘নিত্যব্যবহার্য দ্রব্যের, স্টেপল ফুডের তথা মূল খাদ্যের উৎ পাদন বৃদ্ধির আধুনিক পদ্ধতি গ্রহণ ও প্রয়োগের মাধ্যমে। ফিলিপাইনে স্থাপিত ইন্টারন্যাশনাল রাইস ইনস্টিটিউট (ইরি) বহু ফলনশীল সব মৌসুমে চাষোপযোগী ধান আবিষ্কার করল। এ পদ্ধতি বিস্তার লাভ করল কৃষিপ্রধান দেশগুলোতে। গম উৎ পাদনকারী ভারত, পাকিস্তানে এল মেক্সিকো হুইট, নতুন প্রজন্মের গম।
ষাটের দশকের কৃষি-বিপ্লবের সূচনাকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিল গণমাধ্যম। কৃষি মানেই যে শুধু চাল-গম-ভুট্টার অধিকতর ফলন নয়, এ ধারণাটি বিস্তৃততর করলেন একজন বাংলাদেশি সাংবাদিক। চাষাভুষা আর ভদ্রলোক, সবাই যে খাদ্য উৎ পাদন করতে পারে, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন কতখানি বিচিত্র হতে পারে তা বাংলার মানুষকে জানিয়েছেন সাংবাদিক শাইখ সিরাজ। প্রথমে শুরু করেছিলেন টেলিভিশনে তাত্ত্বিক বক্তব্য দিয়ে, মধ্যবিত্তের ছাদে কাঁচা মরিচ, বেগুন আর ফল চাষের মহড়া দেখিয়ে।
এই দেখানো নিয়ে আমার নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলছি। গত শতাব্দীর ১৯৭৮ সালে আমি জাতিসংঘের তথ্য বিভাগে যোগদান করি। কর্মস্থল ছিল ব্যাংকক। সেখানে থাকাকালে থাইদের বিচিত্র খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে পরিচিত হই। থাইরা কাঁকড়া-বিছে-সাপ-ব্যাঙ যত না খায়, দেখলাম তার চেয়ে কাঁচা শাকসবজি আর ফল খায় অনেক বেশি। রাস্তার প্রতিটি মোড়ে-ফুটপাতে কুল, আমড়া আর লিচুজাতীয় রামবুতান বিক্রি হয়। আমাকে আকৃষ্ট করল বৃহদাকারের, প্রায় এক কেজি ওজনের পেয়ারা। বছর দুয়েক পরে দেশে ফেরার সময় এলে আর কিছুর জন্য নয়, বৃহদাকারের পেয়ারা খেতে পারব না বলে মন খারাপ হয়ে গেল।
অবাক হয়ে একদিন পর্দায় দেখলাম, আমার ব্যাংককে ফেলে আসা বিরাটাকারের পেয়ারার ফলন হচ্ছে শহরের বাড়ির ছাদে। শাইখ অথবা অন্য কেউ নাম দিয়েছেন কাজি পেয়ারা। সে-ই শুরু, তারপর আরেক শাইখকে দেখলাম চ্যানেল আইয়ের ‘হূদয়ে মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠানে। প্রথমে শহরের বাড়ির ছাদ, পরবর্তী সময়ে দেখছি গাঁয়ের কর্দমাক্ত মাঠে হাঁটুর ওপর ভাঁজ করা প্যান্ট পরে চাষিদের মধ্যে মিশে গেছেন। কৃষিপণ্য উৎ পাদনে বৈচিত্র্যের স্বাদ দিচ্ছেন সুদূর হাওর এলাকার কৃষকদের। শেখাচ্ছেন মাছের চাষ, মৌসুমি ফল উৎ পাদন, অনুর্বর ভূমিতে ফসল ফলানোর পদ্ধতি। চাষবাসে বৈচিত্র্য আনয়নে কৃষকদের পাশে মাঠে চাষাবাদে যুক্ত হয়েছেন। তাঁদের অবসরে বিচিত্র ধরনের বিনোদনে গাঁয়ের বিলুপ্ত খেলাধুলার পুনর্জাগরণ ঘটিয়েছেন। এভাবে কৃষিকাজ ও বিনোদনের সমন্বয় করে শাইখ সিরাজ আমাদের গণমাধ্যমে নতুন ধারার সাংবাদিকতার উন্মেষ ঘটালেন। তাঁকে জন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা।
এবিএম মূসা
নিজের সামান্য বংশপরিচয় বর্ণনার উদ্দেশ্য, আজকে একজন ‘গিরস্তিয়া সাংবাদিক’ সম্পর্কে লিখছি। নাম তাঁর শাইখ সিরাজ, আগামীকাল তাঁর ৫৭তম জন্মদিন। টেলিভিশনে কৃষি, চাষবাস, শস্য গবেষণা, আধুনিক প্রযুক্তির কৃষিকর্মের সম্প্রসারণ নিয়ে তাঁর অনুষ্ঠান ‘হূদয়ে মাটি ও মানুষ’ যেমন গ্রামের চাষাভুষাকে, তেমন শহরবাসীকেও আমাদের কৃষি সম্পর্কে আগ্রহী করেছে। দূর-দূরান্তের গাঁয়ের চাষিরা তাঁর মধ্যে পেয়েছেন একজন শহরের মানুষ, ভিন্ন পরিচয়ের সাংবাদিক, যিনি তাঁদের জীবনধারণ, সুখ-দুঃখ, আশা-নিরাশার খুঁটিনাটি বিবরণকে সাংবাদিকতার বিষয়বস্তু করে তুলেছেন।
তার পরও শাইখ সিরাজ ও তাঁর কর্মবিবরণী নিয়ে ছোট প্রতিবেদন পেশ করার আগে এই বিশেষ সাংবাদিকতার সূচনা ও পটভূমি বর্ণনা করছি। আমি যখন পঞ্চাশের দশকে সংবাদপত্রের জগতে প্রবেশ করি, তখন সাংবাদিকতা মানে ছিল নিছক সংবাদ পরিবেশন। এই ধারা বা ধারণার পরিবর্তন ঘটে আশির দশকের শুরুতে। ইউনেস্কো তথা জাতিসংঘ শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংস্থার প্রধান হয়েছিলেন একজন আফ্রিকানবাসী এখ’বোবো। তিনি জিকির তোলেন, পশ্চিমা সংবাদপত্রে অনুন্নত দেশগুলোর শুধু ‘ডেথ অ্যান্ড ডিজাস্টার’—মৃত্যু আর দুর্যোগের খবর পরিবেশন করে। একটি বিপরীত ধারার সাংবাদিকতার প্রচলন করতে হবে। নাম দিলেন ডেভেলপমেন্ট জার্নালিজম। উন্নয়নমুখী করতে বা অর্থনৈতিক উন্নয়নে উৎ সাহ দান করতে দরিদ্র দেশের জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তাঁরা চাইতেন, এশিয়া-আফ্রিকার দেশের দরিদ্র জনগণ আমেরিকার গম সাহায্য পি-এল-৪৮০, বিশ্বব্যাংকের ভিক্ষার ওপর চিরনির্ভরশীলতা থেকে মুক্তি পাবে। তাঁর প্রেরণায় আজকের ডেভেলপমেন্ট জার্নালিজম, উন্নয়নকামী সাংবাদিকতার সূচনা হলো।
কালক্রমে তাঁর প্রেরণাদায়ী উন্নয়ন সাংবাদিকতার বিস্তারের কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সর্বক্ষেত্রে বিস্তার লাভ করেছে। আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার, অধিক ফলনের জন্য সার প্রয়োগ আর উন্নত জাতের বীজ উৎ পাদনের ধারণা উন্নয়নশীল দেশের কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। বেশ কিছু দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলো। পশ্চিমা দেশের গম-চাল-অর্থের ওপর নির্ভরতার অবসান হলো। সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্র সম্পর্কে বিভিন্ন দেশের জনগণ, সরকার ও গণমাধ্যমের ধারণার পরিবর্তন হলো। যেসব দেশ শিল্প বিস্তার অথবা ছোটখাটো শিল্প-বিপ্লবের সম্ভাবনার কথা ভাবছিল, তারা ‘কৃষি-বিপ্লবের’ বাস্তবতাকে প্রাধান্য দিল।
উন্নয়নকামী উল্লিখিত দেশসমূহে কৃষি-বিপ্লব শুরু হয়ে গেল ‘নিত্যব্যবহার্য দ্রব্যের, স্টেপল ফুডের তথা মূল খাদ্যের উৎ পাদন বৃদ্ধির আধুনিক পদ্ধতি গ্রহণ ও প্রয়োগের মাধ্যমে। ফিলিপাইনে স্থাপিত ইন্টারন্যাশনাল রাইস ইনস্টিটিউট (ইরি) বহু ফলনশীল সব মৌসুমে চাষোপযোগী ধান আবিষ্কার করল। এ পদ্ধতি বিস্তার লাভ করল কৃষিপ্রধান দেশগুলোতে। গম উৎ পাদনকারী ভারত, পাকিস্তানে এল মেক্সিকো হুইট, নতুন প্রজন্মের গম।
ষাটের দশকের কৃষি-বিপ্লবের সূচনাকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিল গণমাধ্যম। কৃষি মানেই যে শুধু চাল-গম-ভুট্টার অধিকতর ফলন নয়, এ ধারণাটি বিস্তৃততর করলেন একজন বাংলাদেশি সাংবাদিক। চাষাভুষা আর ভদ্রলোক, সবাই যে খাদ্য উৎ পাদন করতে পারে, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন কতখানি বিচিত্র হতে পারে তা বাংলার মানুষকে জানিয়েছেন সাংবাদিক শাইখ সিরাজ। প্রথমে শুরু করেছিলেন টেলিভিশনে তাত্ত্বিক বক্তব্য দিয়ে, মধ্যবিত্তের ছাদে কাঁচা মরিচ, বেগুন আর ফল চাষের মহড়া দেখিয়ে।
এই দেখানো নিয়ে আমার নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলছি। গত শতাব্দীর ১৯৭৮ সালে আমি জাতিসংঘের তথ্য বিভাগে যোগদান করি। কর্মস্থল ছিল ব্যাংকক। সেখানে থাকাকালে থাইদের বিচিত্র খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে পরিচিত হই। থাইরা কাঁকড়া-বিছে-সাপ-ব্যাঙ যত না খায়, দেখলাম তার চেয়ে কাঁচা শাকসবজি আর ফল খায় অনেক বেশি। রাস্তার প্রতিটি মোড়ে-ফুটপাতে কুল, আমড়া আর লিচুজাতীয় রামবুতান বিক্রি হয়। আমাকে আকৃষ্ট করল বৃহদাকারের, প্রায় এক কেজি ওজনের পেয়ারা। বছর দুয়েক পরে দেশে ফেরার সময় এলে আর কিছুর জন্য নয়, বৃহদাকারের পেয়ারা খেতে পারব না বলে মন খারাপ হয়ে গেল।
অবাক হয়ে একদিন পর্দায় দেখলাম, আমার ব্যাংককে ফেলে আসা বিরাটাকারের পেয়ারার ফলন হচ্ছে শহরের বাড়ির ছাদে। শাইখ অথবা অন্য কেউ নাম দিয়েছেন কাজি পেয়ারা। সে-ই শুরু, তারপর আরেক শাইখকে দেখলাম চ্যানেল আইয়ের ‘হূদয়ে মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠানে। প্রথমে শহরের বাড়ির ছাদ, পরবর্তী সময়ে দেখছি গাঁয়ের কর্দমাক্ত মাঠে হাঁটুর ওপর ভাঁজ করা প্যান্ট পরে চাষিদের মধ্যে মিশে গেছেন। কৃষিপণ্য উৎ পাদনে বৈচিত্র্যের স্বাদ দিচ্ছেন সুদূর হাওর এলাকার কৃষকদের। শেখাচ্ছেন মাছের চাষ, মৌসুমি ফল উৎ পাদন, অনুর্বর ভূমিতে ফসল ফলানোর পদ্ধতি। চাষবাসে বৈচিত্র্য আনয়নে কৃষকদের পাশে মাঠে চাষাবাদে যুক্ত হয়েছেন। তাঁদের অবসরে বিচিত্র ধরনের বিনোদনে গাঁয়ের বিলুপ্ত খেলাধুলার পুনর্জাগরণ ঘটিয়েছেন। এভাবে কৃষিকাজ ও বিনোদনের সমন্বয় করে শাইখ সিরাজ আমাদের গণমাধ্যমে নতুন ধারার সাংবাদিকতার উন্মেষ ঘটালেন। তাঁকে জন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা।
এবিএম মূসা
No comments