কালের পুরাণ-দুর্লভ’ ভিসা ও টিভি চ্যানেলে নিষেধাজ্ঞা by সোহরাব হাসান

পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত চলচ্চিত্রনির্মাতা গৌতম ঘোষ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ভিসাব্যবস্থা তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা ও মনমোহন সিংকে বাংলাদেশ ও ভারতকে ভিসামুক্ত অঞ্চল ঘোষণা করতে হবে (বিডিনিউজ২৪.কম)।


গৌতম ঘোষ ওই সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য, বাংলাদেশি পণ্যের জন্য ভারতের নেতিবাচক তালিকা প্রত্যাহার, উত্তর-পূর্ব ভারতের শহরগুলোর সঙ্গে ঢাকার বিমান যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা, ভারতীয় বাজারে তৈরি পোশাকসহ বাংলাদেশি পণ্যের অবাধ প্রবেশাধিকারসহ নানা বিষয়ে খোলামেলা বক্তব্য রেখেছেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেছেন, তাঁর তৈরি ছবি বাংলাদেশ ও ভারতে জাতীয় পুরস্কার পেলেও অভিনেতা-অভিনেত্রীরা নিজ নিজ দেশের বাইরে পুরস্কৃত হতে পারেননি। তিনি বাংলাদেশে নির্মিত ছবি পশ্চিমবঙ্গে এবং পশ্চিমবঙ্গে নির্মিত ছবি ঢাকায় বাণিজ্যিকভাবে দেখানোর দাবি জানিয়ে বলেছেন, তাতে বাংলা ছবির বাজার বিস্তৃত হবে। গৌতম ঘোষ বর্তমানে কলকাতার বাসিন্দা হলেও তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল বাংলাদেশের ফরিদপুরে। দুই দেশের প্রতি রয়েছে তাঁর সমান ভালোবাসা। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ছবি পদ্মা নদীর মাঝি ও মনের মানুষ-এর পরিচালকও তিনি।
গৌতম ঘোষ বাংলাদেশ ও ভারতের নাগরিকদের জন্য ভিসাব্যবস্থা তুলে দেওয়ার যে দাবি জানিয়েছেন, তা এই মুহূর্তে রাষ্ট্রের কর্ণধারেরা মেনে নেবেন, এমনটি আশা করি না। সাধারণ মানুষের একান্ত চাওয়ার বিষয় হলো, ভিসাব্যবস্থা সহজতর করা। নেপালসহ অনেক দেশেই অন অ্যারাইভাল ভিসার ব্যবস্থা আছে যেকোনো দেশের যেকোনো নাগরিকের জন্য। রাষ্ট্রের নিরাপত্তার দোহাই দিয়েই বিভিন্ন দেশে ভিসা প্রদানে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। কিন্তু সন্ত্রাসী হামলা বন্ধ করা যায়নি। আর সাধারণ মানুষ কখনোই কোনো রাষ্ট্রের জন্য হুমকি নয়। যদিও তাদের সব ঝক্কিঝামেলা পোহাতে হয়।
গৌতম ঘোষ চলচ্চিত্রের কাজে মাঝেমধ্যেই বাংলাদেশে আসেন। তিনি যদি কোনো কর্মদিবসে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে যান, দেখতে পাবেন শত শত মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভিসার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছে।
ভারতীয় হাইকমিশন বেশ কিছুদিন ধরে অনলাইনে ভিসার আবেদন করার ব্যবস্থা চালু করেছে। তাদের বিবেচনায় এটি সুবিধাজনক ও ঝামেলামুক্তও। কিন্তু গ্রামের সাধারণ দরিদ্র ও নিরক্ষর মানুষ, যাঁরা আত্মীয়স্বজনকে দেখতে বা চিকিৎসার জন্য ভারতে যান, তাঁরা তো অনলাইন চেনেন না। ফলে আবেদনপত্র তৈরি করতে তাঁদের দালালদের সহায়তা নিতে হয়। এই অনলাইন এবং ভিসা ফরম পূরণ করা নিয়ে একটি দালাল চক্র তৈরি হয়েছে।
এ ছাড়া ভিসা প্রক্রিয়াকরণের জন্য জনপ্রতি ২০০ টাকা নেওয়া হয়। অথচ স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছিলেন, ভিসা ফি না নিতে। তাঁর যুক্তি ছিল, এপার ও ওপারের বাঙালিরা রাষ্ট্রীয় সীমানায় বিভক্ত হলেও মনের দিক থেকে বিভক্ত হয়নি। এপারের বাঙালিদের ওপারে আত্মীয়স্বজন আছে, ওপারের বাঙালিদেরও এপারে আত্মীয়স্বজন আছে। তারা যাতে সহজে আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে পারে, সে জন্য ভিসা ফি তুলে দেওয়া প্রয়োজন। ভারত সরকার তাঁর এই দাবি মেনে নেয়। যে কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের ভিসাপ্রার্থীদের কোনো ফি দিতে হয় না। কিন্তু ভিসা পেতে সাধারণ মানুষকে নানা হয়রানির শিকার হতে হয়। আমাদের এক বন্ধু-প্রকাশক তাঁর সাড়ে চার বছরের কন্যার ভিসার জন্য ভারতীয় হাইকমিশনে পাসপোর্ট জমা দিয়েছিলেন গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে। তিনি এখনো পর্যন্ত সেই পাসপোর্ট ফেরত পাননি। পরে তিনি নতুন পাসপোর্ট করতে বাধ্য হয়েছেন।
দ্বিতীয় সমস্যাটি হলো, ভিসার আবেদনপত্রও দীর্ঘ। আগে আরও দীর্ঘ ছিল। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে এত বড় আবেদনপত্র থাকার প্রয়োজন আছে কি না, সেটিও ভেবে দেখার বিষয়।
এ কথা ঠিক, পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে উভয় দেশের মধ্যে সন্দেহ ও অবিশ্বাস দেখা দেয়। যে কারণে ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রেও নানা ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। কিন্তু এখন ভারতীয় নেতৃত্ব ও গণমাধ্যমের দাবি, দুই দেশের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। ভারতের নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ আর হুমকি নয়।
এসবের পরও ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ এবং দীর্ঘসূত্রতার বিষয়টি মেনে নেওয়া যায় না। একসময় বাংলাদেশে যেমন সাংবাদিক নির্মল সেন, লেখক আহমদ ছফা প্রমুখ ভারতের ভিসা চেয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন, তেমনি বাংলাদেশ সরকারও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, মানস ঘোষ প্রমুখের ভিসা আবেদন একাধিকবার নাকচ করে দিয়েছে। এটি কেবল দুঃখজনক নয়, নিন্দনীয়ও। সেই সন্দেহের পরিবেশ থেকে আমরা পুরোপুরি মুক্ত হতে পেরেছি বলা যাবে কি? না হলে দুই দেশের সাংবাদিকদের ভিসা পেতে তথ্য বিভাগের ছাড়পত্রের প্রয়োজন হবে কেন? কেন ভিসায় লিখে দেওয়া হবে পেশাগত কাজ করা যাবে না। সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে যোগ দিতেও অনেক সময় প্রতিনিধিদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র লাগে।
ভিসা প্রদানে এই কড়াকড়ির জন্য কেবল বাংলাদেশের মানুষই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না, ভারতের পর্যটকসংখ্যাও কমে যাচ্ছে। গত বছর ঈদের ছুটিতে নেপালে গিয়েছিলাম। বিমানে যাঁদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে, তাঁদের অনেকেই অভিযোগের সুরে বললেন, ভারতেই ছুটি কাটানোর ইচ্ছে ছিল। কিন্তু ভিসার জটিলতার কারণে তাঁরা সেই ঝুঁকি নেননি। কেউ কেউ ব্যাংকক চলে গেছেন। ভারত বিশাল ও বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশ। সেখানে রয়েছে অসংখ্য পর্যটনকেন্দ্র ও দর্শনীয় স্থান। ঈদসহ যেকোনো পর্ব বা উৎসবে বাংলাদেশের মানুষ সেসব স্থানে বেড়াতে যেতে চায়। অবশ্য ভারতের নীতিনির্ধারকেরা বলতে পারেন, ছোট্ট ও দরিদ্র বাংলাদেশের পর্যটক তাদের দরকার নেই।
আবার ভারতে চিকিৎসার জন্য যাঁরা যান, তাঁদের জন্য আরও বিপদ। তাঁদের কাছের পুলিশ স্টেশনে অবস্থানের কথা জানাতে হয়। ভিসার মেয়াদ শেষ হলে কী রকম ভোগান্তির শিকার হতে হয় এক্সপ্রেস ইন্ডিয়ায় অনলাইনে প্রকাশিত খবরটি তার একটি উদাহরণ মাত্র।
চট্টগ্রামের চরণচন্দ্র পাল (বিপদমুক্ত থাকার কারণে পত্রিকায় ছদ্মনাম ব্যবহার করা হয়েছে)। ২০০৮ সালের ১৮ অক্টোবর ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে বারবার তাঁকে কলকাতায় সংশ্লিষ্ট অফিসে ধরনা দিতে হয়েছে। আরএন টেগর ইন্টারন্যাশনাল কার্ডিয়াক ইনস্টিটিউটে বাবাকে নিয়ে এসেছিলেন চিকিৎসার জন্য। চিকিৎসক তাঁকে আরও এক মাস বেশি থাকতে বলেন।
এরপর তাঁর ভাষ্য ছিল এ রকম: ‘আমি তাদের চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রসহ আমার কাগজপত্র দিলাম। তারা কাগজপত্র নিয়ে আমাকে অফিস থেকে বের করে দেয়। কিন্তু কখন ভিসার মেয়াদ বাড়াবে, তা জানাতেও তারা অস্বীকৃতি জানায়।’ এরপর তাঁর আকুতি ছিল, ‘আমার বাবার অবস্থা সংকটজনক। তাঁকে এ অবস্থায় রেখে আমি যেতে পারি না।’
সম্প্রতি আমাদের এক সহকর্মী তাঁর আত্মীয়কে নিয়ে ভারতে গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য। ফেরার পথে সেই আত্মীয়কে বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয় এফআরআরআই-এর ছাড়পত্র না আনায়। তিনি জানান, থানায় জানানো হয়েছে এবং থানা থেকে সিলও মেরে দিয়েছে। কিন্তু বহির্গমন কর্মকর্তার কাছে তা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি। এ রকম অবিশ্বাসের ঘটনা পদে পদেই ঘটছে। আমরা শুনছি, ভারতীয় ও বাংলাদেশি নাগরিকেরা পাকিস্তানে গেলে তাদের পার্শ্ববর্তী থানায় অবহিত করতে হয়। বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্যও ভারত যদি অনুরূপ ব্যবস্থা করে, তাহলে পাকিস্তানের সঙ্গে পার্থক্য থাকল কী?
ভারতীয় হাইকমিশনের হিসাব অনুযায়ী, দিনে আড়াই হাজার ভিসা ইস্যু করলেও বছরে ভারতযাত্রীর সংখ্যা ছয়-সাত লাখ হবে। এর মধ্যে একটি বড় অংশ শিক্ষার্থী ও রোগী। একজন ভিসাপ্রার্থী এখান থেকে শুধু ভারতীয় হাইকমিশনের সিলমোহর নিয়ে যায় না, সেই সঙ্গে ডলারও নিয়ে যায়। সেই ডলার সেখানে ভাঙানো হয়, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা হয়। সেটি কি ভারতের ব্যবসার প্রসার ঘটায় না?

২.
এখন যে বিষয়টি সম্পর্কে ভারতীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করব তার সঙ্গে ১৬ কোটি মানুষের আবেগ, ক্ষোভ ও বেদনা জড়িত। বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্তের মানুষ চাইলে কেব্ল অপারেটরদের সহায়তায় ভারতের যেকোনো চ্যানেল দেখতে পারে। কিন্তু ভারতের নাগরিকেরা বাংলাদেশের চ্যানেল দেখতে পারে না। অবাধ তথ্যপ্রবাহের যুগে এ রকম দরজা বন্ধ করে রাখার কারণ কী? ভারত সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তি দেখানো হয়, বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলের ওপর তাদের কোনো বিধিনিষেধ নেই। কেব্ল অপারেটররা চাইলেই তা দেখাতে পারেন। তাঁরা কেন দেখাচ্ছেন না? বাংলাদেশি চ্যানেলের নাকি দর্শক নেই। অন্যান্য রাজ্যের কথা জানি না, তবে বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী বাংলা ভাষাভাষী মানুষের জন্য সত্য নয়। পশ্চিমবঙ্গ কিংবা ত্রিপুরার যাদের সঙ্গেই কথা হয়, তারা প্রথমেই বাংলাদেশের টিভি চ্যানেল সম্পর্কে জানতে চান। ভারতে নেপালি টিভি বা পিটিভির চেয়ে বাংলাদেশি চ্যানেলের দর্শক কোনো অংশে কম নয়। কয়েক বছর আগেও এটিএন বাংলা দুই দেশেই প্রদর্শিত হতো। আজ হচ্ছে না কেন?
কেব্ল অপারেটররা দেশি-বিদেশি সব চ্যানেল-মালিকের কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে টিভি চ্যানেল প্রদর্শন করেন। যাকে পে চ্যানেল বলা হয়। আবার এর বাইরে নন-পে চ্যানেলও আছে। বাংলাদেশে ভারতের যেসব চ্যানেল দেখানো হয়, তার সব কটি পে চ্যানেল নয়। অনেকগুলো চ্যানেল বিনা পয়সায় দেখানো হয়। বাংলাদেশের চ্যানেল-মালিকেরা সেই সুযোগটি ভারতের কাছে চাইছেন। ভারতীয় কেব্ল অপারেটররা তাতে রাজি না হলে ফি যৌক্তিক হতে হবে। নিশ্চয়ই কেব্ল অপারেটররা তাঁদের আয়ের একটি অংশ ভারত সরকারকে রাজস্ব হিসেবে দেন। ভারত সরকার তাঁদের রাজস্ব ছাড় দিলে কেব্ল অপারেটররা বাংলাদেশি চ্যানেল-মালিকদের কাছে তাঁদের দাবিও কমাতে পারেন। অতএব এ ব্যাপারে সরকারের কিছুই করার নেই, সে কথা ঠিক নয়। একটি দেশের টিভি চ্যানেল প্রদর্শন মানে শুধু টিভির অনুষ্ঠান নয়, সেই সঙ্গে সে দেশের সংস্কৃতি, পোশাকাদি এবং পণ্যের বিজ্ঞাপনও প্রদর্শিত হয়। ভারত যে বাংলাদেশে বিশাল বাজার গড়ে তুলেছে, তাতে টিভি চ্যানেলগুলোর অবদান একেবারে কম নয়।
এখন বাংলাদেশের সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয় যে ভারতীয় কোনো চ্যানেল দেখানো হবে না, যতক্ষণ না পর্যন্ত ভারতে বাংলাদেশি চ্যানেল না দেখানো হয়। এ ধরনের সিদ্ধান্তকে আমরা যৌক্তিক মনে করি না। যেমন করি না ভারতে বাংলাদেশি চ্যানেল না দেখানোর একগুঁয়েমি সিদ্ধান্তকে। দুই দেশের সরকার অভিন্ন বিদ্যুৎ গ্রিড, অভিন্ন পানি ব্যবস্থাপনা, আন্তসংযোগের মতো বৃহৎ ও অতিকায় বড় বড় প্রকল্প নিয়ে কথা বলছে, কিন্তু যে ছোট্ট বিষয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের আবেগ জড়িত, সেটি উপেক্ষা করা হচ্ছে।
এবারের মনমোহনের সফরে সরকারি পর্যায়ে বিটিভি ও দূরদর্শনের অনুষ্ঠান বিনিময়ের কথা রয়েছে। এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েও বলছি, সংস্কৃতি সরকারি ঘেরাটোপে বন্দী থাকতে পারে না। সব মাধ্যমই উন্মুক্ত করতে হবে। একই কথা বই ও পত্রপত্রিকার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আমরা চাই, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সংস্কৃতির বাজারের সব দরজা-জানালা ভারত খুলে দেবে। বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা একতরফা হয় না।
সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।
sohrab03@dhaka.net

No comments

Powered by Blogger.