তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি না হওয়া দুর্ভাগ্যজনক-মনমোহনের ঢাকা সফর
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফর দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলেই প্রত্যাশিত। তাঁর এই সফরকে আমরা স্বাগত জানাই। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের মধ্যে বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আগমন এই সফরের গুরুত্ব অনেকাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে।
কিন্তু এটি আরও তাৎ পর্যমণ্ডিত হতো, যদি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁদের সঙ্গে আসতেন, যেমনটি আগে কথা ছিল। এই সফরে দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘদিনের ঝুলে থাকা অনেক সমস্যার সমাধান হবে—আশা করা অযৌক্তিক নয়। তবে শেষ মুহূর্তে এই সফরের সময় তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি না করার ভারতীয় সিদ্ধান্ত দুর্ভাগ্যজনক।
বহুদিনের সন্দেহ ও অবিশ্বাস পেছনে ফেলে বাংলাদেশ এরই মধ্যে ভারতের নিরাপত্তা-উদ্বেগ প্রশমিত করেছে। উপরন্তু ট্রানজিট, চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের মতো ভারতীয় অগ্রাধিকারের প্রতিও বাংলাদেশ ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। এখন প্রতিদানের দায় ভারতেরই।
গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের আগে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার কৃষ্ণান শ্রীনিবাসন লিখেছিলেন, ‘প্রায় ৪০ বছর পর বল এখন দিল্লির কোর্টে।’ সেই বলটি এখন তারা কীভাবে খেলে, তার ওপরই দুই দেশের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে শেখ হাসিনা-মনমোহন যৌথ ইশতেহার স্বাক্ষরের ২০ মাস পর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর এই সফর বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, সীমান্ত বিরোধ ও ছিটমহল এবং বাণিজ্য ঘাটতি ও পণ্য রপ্তানিতে শুল্ক-অশুল্ক বাধার মতো সমস্যাগুলো দূর হোক—সেটাই বাংলাদেশের চাওয়া। মনমোহনের সফরের সময়ে এসব সমস্যার সমাধান হবে—এই নিশ্চয়তা দেওয়ার পরও দিল্লির পক্ষ থেকে শেষ যে বার্তাটি পাওয়া গেল, তা সুখকর নয়। গতকাল ভারতের পররাষ্ট্রসচিব রঞ্জন মাথাই দিল্লিতে জানিয়েছেন, মনমোহনের সফরের সময় তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি হচ্ছে না।
শেষ মুহূর্তে ভারতের এই সিদ্ধান্ত নিশ্চিতভাবে আমাদের হতাশ করেছে। আমরা ভারতের নীতিনির্ধারকদের কাছে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভ্যন্তরীণ রাজনীতির নানামুখী বিরোধিতা সত্ত্বেও ট্রানজিটের সুযোগ দেওয়ার মতো সাহসী পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করেননি। ভারতের নেতৃত্বের নিশ্চয়ই জানা আছে, বাংলাদেশ নিরাপত্তা ঝুঁকিসহ তাদের সব উদ্বেগ-উৎ কণ্ঠা নিরসনে সম্ভাব্য সবকিছুই করেছে। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দিল্লির সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের যে প্রয়াস নেওয়া হয়েছিল, বর্তমানে তা আরও গতিসঞ্চার করেছে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতৃত্বও মনমোহনের সফরকে স্বাগত জানিয়ে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান চেয়েছে।
আমরা আশা করব, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফর একটি যৌথ ইশতেহার ঘোষণা বা কয়েকটি রুটিন চুক্তি ও প্রটোকল সইয়ের মধ্যে সীমিত থাকবে না। বাংলাদেশের জনগণের ন্যায়সংগত দাবিদাওয়া পূরণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। দুই দেশের জনগণের শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জনে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারিত করবে। কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়ে উভয়ই লাভবান হওয়ার চেষ্টাই অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা আশা করব, তিস্তাসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানি ভাগাভাগির ব্যাপারে ভারত দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবে।
বহুদিনের সন্দেহ ও অবিশ্বাস পেছনে ফেলে বাংলাদেশ এরই মধ্যে ভারতের নিরাপত্তা-উদ্বেগ প্রশমিত করেছে। উপরন্তু ট্রানজিট, চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের মতো ভারতীয় অগ্রাধিকারের প্রতিও বাংলাদেশ ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। এখন প্রতিদানের দায় ভারতেরই।
গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের আগে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার কৃষ্ণান শ্রীনিবাসন লিখেছিলেন, ‘প্রায় ৪০ বছর পর বল এখন দিল্লির কোর্টে।’ সেই বলটি এখন তারা কীভাবে খেলে, তার ওপরই দুই দেশের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে শেখ হাসিনা-মনমোহন যৌথ ইশতেহার স্বাক্ষরের ২০ মাস পর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর এই সফর বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, সীমান্ত বিরোধ ও ছিটমহল এবং বাণিজ্য ঘাটতি ও পণ্য রপ্তানিতে শুল্ক-অশুল্ক বাধার মতো সমস্যাগুলো দূর হোক—সেটাই বাংলাদেশের চাওয়া। মনমোহনের সফরের সময়ে এসব সমস্যার সমাধান হবে—এই নিশ্চয়তা দেওয়ার পরও দিল্লির পক্ষ থেকে শেষ যে বার্তাটি পাওয়া গেল, তা সুখকর নয়। গতকাল ভারতের পররাষ্ট্রসচিব রঞ্জন মাথাই দিল্লিতে জানিয়েছেন, মনমোহনের সফরের সময় তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি হচ্ছে না।
শেষ মুহূর্তে ভারতের এই সিদ্ধান্ত নিশ্চিতভাবে আমাদের হতাশ করেছে। আমরা ভারতের নীতিনির্ধারকদের কাছে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভ্যন্তরীণ রাজনীতির নানামুখী বিরোধিতা সত্ত্বেও ট্রানজিটের সুযোগ দেওয়ার মতো সাহসী পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করেননি। ভারতের নেতৃত্বের নিশ্চয়ই জানা আছে, বাংলাদেশ নিরাপত্তা ঝুঁকিসহ তাদের সব উদ্বেগ-উৎ কণ্ঠা নিরসনে সম্ভাব্য সবকিছুই করেছে। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দিল্লির সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের যে প্রয়াস নেওয়া হয়েছিল, বর্তমানে তা আরও গতিসঞ্চার করেছে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতৃত্বও মনমোহনের সফরকে স্বাগত জানিয়ে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান চেয়েছে।
আমরা আশা করব, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফর একটি যৌথ ইশতেহার ঘোষণা বা কয়েকটি রুটিন চুক্তি ও প্রটোকল সইয়ের মধ্যে সীমিত থাকবে না। বাংলাদেশের জনগণের ন্যায়সংগত দাবিদাওয়া পূরণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। দুই দেশের জনগণের শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জনে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারিত করবে। কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়ে উভয়ই লাভবান হওয়ার চেষ্টাই অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা আশা করব, তিস্তাসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানি ভাগাভাগির ব্যাপারে ভারত দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবে।
No comments