অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি এটা পাঠকসংখ্যা!-একটা মাস যেতে না যেতেই আবার পাঠকসংখ্যা!!

এই সংখ্যার বিষয়ে নাকি আবার ভুল আছে! ভুল থাকতেই পারে, মানুষ মাত্রই যেখানে ভুল, সেখানে এই সংখ্যাটাই আবার ভুল নিয়ে। মানুষ মাত্রই যে ভুল, সেটা এই সংখ্যার অসংখ্য লেখার মাধ্যমে আবার চূড়ান্তভাবে প্রমাণিত হলো। ভিন্ন বিষয়ে কথা বলার আগে কিছু গৎবাঁধা বিষয়ে কথা বলব। ভুল সংখ্যার লেখা বাছাই করতে গিয়ে বেরিয়ে এল আসল ভুল।


বলতে পারেন কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসার মতো লেখা পড়তে গিয়ে ভুল বেরিয়ে এল। অনেক ভালো লেখা ছাপানো যায়নি শুধু লেখাগুলোর স্বাস্থ্য অতিরিক্ত বড় হওয়ার কারণে। কিছু লেখা পড়াই যায়নি, কারণ বাজে কলমের কালি এক মাসের মধ্যেই কাগজের সঙ্গে লেপ্টে গিয়ে পড়ার অযোগ্য হয়ে গিয়েছিল। আমি নিশ্চিত, যে লেখাগুলো পড়া যায়নি, ওইগুলোই ছিল সেরা লেখা। কারণ, বড়শিতে নাকি যে মাছটা ছুটে যায়, ওটাই হয় সবচেয়ে বড় মাছ! পাঠকসংখ্যায় লেখা বাছাইয়ের সময়ে আমাদের মাথায় থাকে সর্বোচ্চসংখ্যক ভালো লেখা ছাপানো। সে ক্ষেত্রে মোটা স্বাস্থ্যের লেখাগুলো দেখলে আমরাও একটু ভড়কে যাই। আর তাই আপনাদের জন্য পাঠকসংখ্যায় লেখা ছাপানোর কিছু কালজয়ী টিপস দেব, একদম বিনা মূল্যে। প্রথমত, লেখার স্বাস্থ্যটা আধুনিক মডেলদের মতো স্লিম রাখার চেষ্টা করবেন। মনে রাখবেন, লেখা যত ছোট হবে, ছাপা হওয়ার সম্ভাবনা ততই বেড়ে যাবে। পৃথিবীর সবকিছু যখন ছোট হয়ে আসছে, সেখানে কেন আপনাদের লেখাগুলো অহেতুক টেনে টেনে লম্বা করবেন? এরপর আসব সাজগোজ বিষয়ে। ছেঁড়া-ফাটা-টুকরো কাগজে লেখাগুলো দেখলে আমাদের আর পড়তে ইচ্ছে করে না। কারণ, এত লেখা আসে যে কিছু লেখা না পড়লেও ক্ষতি নেই, একটা মনোভাব তৈরি হয়ে যায়। তাই পরিচ্ছন্নভাবে লেখা পাঠানো খুবই জরুরি। আর কখনোই একই কাগজের দুই পৃষ্ঠায় লিখবেন না। এতে কালি লেপ্টে গিয়ে কোনো পৃষ্ঠার লেখাই আর পড়া যায় না। একই কারণে রুলকরা কাগজ বাদ দিয়ে সাদা কাগজে লিখবেন। হাতের লেখা পরিষ্কার হওয়া আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অপরিষ্কার হাতের লেখা যাঁদের, তাঁরা সুন্দর হাতের লেখার কোর্স করে নিতে পারেন কিংবা হাত ধুয়েও লিখতে বসতে পারেন। অনেকেই কম্পোজ করে লেখা পাঠান, দেখতে ভালোই লাগে। কম্পোজ করতেই হবে, এমন কোনো কথা নেই। সবশেষে হলো লেখার বিষয়বস্তু। গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার চেয়ে যেমন কোথায় ব্রেক করতে হবে সেটা জরুরি, তেমনি লেখা শুরু করার চেয়ে কোথায় থামতে হবে, সেটাও জরুরি। অনেকেই চমৎকার একটা জায়গায় থামার পরও কলম চালিয়ে যান। পরিমিতিবোধ সবচেয়ে বেশি জরুরি লেখার ক্ষেত্রে। আশা করি, পরবর্তী পাঠকসংখ্যায় আপনাদের মাথায় এই বিষয়গুলো থাকবে এবং অসাধারণ কিছু স্লিম, সুন্দর পরিচ্ছন্ন এবং চমৎকারভাবে শেষ হওয়া কিছু লেখা পাব আমরা। আর পরবর্তী পাঠকসংখ্যার বিষয় হচ্ছে—তেল। তেল বিষয়ে লেখা পাঠাতে হবে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১১-এর মধ্যেই। তো, আর নাকে তেল দিয়ে না ঘুমিয়ে গায়ে তেল মেখে নেমে পড়ুন।

No comments

Powered by Blogger.