নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করুন-মন্ত্রীদের সম্পদের হিসাব
ভারতে মন্ত্রীদের সম্পদের হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে, যা এখন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার অনলাইনের বরাতে রোববার প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবরটি বাংলাদেশে ক্ষমতাসীনদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির কথা আরেকবার মনে করিয়ে দিল।
২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ তাদের ‘দিনবদলের সনদে’ বলেছিল, ‘প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য এবং সংসদ সদস্য ও তাদের পরিবারের সম্পদের হিসাব ও আয়ের উৎস প্রতিবছর জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে।’ সরকারের মেয়াদ ইতিমধ্যে দুই বছর আট মাস পার হয়ে গেছে। কিন্তু অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ছাড়া কেউ সম্পদের হিসাব জনসমক্ষে প্রকাশ করেননি।
মন্ত্রী ও সাংসদদের সম্পদের হিসাব নিয়ে কথাবার্তা কম হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে নানা রকম কথা বলা হয়েছে। কেউ বলেছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে তাঁরা প্রতিবছর আয়-ব্যয়ের যে হিসাব দেন সেটিই সম্পদের হিসাব; কেউ বলেছেন, নির্বাচনের আগেই মন্ত্রী-সাংসদেরা নির্বাচন কমিশনে তাঁদের সমুদয় সম্পদের হিসাব দাখিল করেছেন। অতএব নতুন করে হিসাব দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এসব অজুহাত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি থেকে স্পষ্ট সরে যাওয়া এবং জনগণের চোখে ধুলো দেওয়া ছাড়া কিছু নয়।
অনেক আলোচনা ও সমালোচনার পর মাস কয়েক আগে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও সাংসদদের সম্পদের হিসাব মন্ত্রিপরিষদের সচিবের দপ্তরে রক্ষিত থাকবে, যে কেউ নির্দিষ্ট ফরমে দরখাস্ত করে তা দেখতে পাবেন। একেই বলে জবাবদিহির বাংলাদেশি স্টাইল। মন্ত্রী-সাংসদেরা কি মন্ত্রিপরিষদের সচিবের কাছে দায়বদ্ধ, নাকি জনগণের কাছে? তাঁরা যদি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকেন তাহলে সম্পত্তির হিসাব জনসমক্ষেই প্রকাশ করতে হবে। আর তার উপযুক্ত মাধ্যম হলো সরকারি ওয়েবসাইট বা গণমাধ্যম।
প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই বলে থাকেন, জনগণের কাছে দেওয়া সব প্রতিশ্রুতি সরকার একে একে পূরণ করবে। সেটি মুখে বললেই হবে না, কাজেও প্রমাণ করে দেখাতে হবে। অনেক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন সময় ও ব্যয়সাপেক্ষ হলেও মন্ত্রী-সাংসদদের সম্পদের হিসাব প্রকাশে সরকারের সদিচ্ছাই যথেষ্ট। ক্ষমতার শীর্ষপদ থেকে এত দিন মন্ত্রিসভার সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নেই বলে দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু এখন উইকিলিকসের মাধ্যমে বিদেশি কূটনীতিকদের যে ভাষ্য বেরিয়ে আসছে, তা সেই দাবিকে সমর্থন করে না। একাধিক মন্ত্রীর সততা ও কাজের স্বচ্ছতা প্রশ্নবিদ্ধ। এ অবস্থায় মন্ত্রী-সাংসদদের সম্পদের হিসাব প্রকাশ নিয়ে গড়িমসি বা টালবাহানা জনগণ সন্দেহের চোখে দেখবে বৈকি।
ভারতে যখন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তখন মনমোহন সিংয়ের সরকার অভিযুক্ত মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে লোকপাল বিল পাস করেছে। পাশাপাশি মন্ত্রীদের সম্পদের হিসাব প্রকাশ করে সরকারের কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রমাণে সচেষ্ট রয়েছে। আমরা আশা করব, বাংলাদেশেও শেখ হাসিনার সরকার মন্ত্রী ও সাংসদদের সম্পদের হিসাব জনসমক্ষে প্রকাশ করে সেই চ্যালেঞ্জটি গ্রহণ করতে দ্বিধা করবে না। এটি জনগণের কাছে দেওয়া তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও বটে।
মন্ত্রী ও সাংসদদের সম্পদের হিসাব নিয়ে কথাবার্তা কম হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে নানা রকম কথা বলা হয়েছে। কেউ বলেছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে তাঁরা প্রতিবছর আয়-ব্যয়ের যে হিসাব দেন সেটিই সম্পদের হিসাব; কেউ বলেছেন, নির্বাচনের আগেই মন্ত্রী-সাংসদেরা নির্বাচন কমিশনে তাঁদের সমুদয় সম্পদের হিসাব দাখিল করেছেন। অতএব নতুন করে হিসাব দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এসব অজুহাত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি থেকে স্পষ্ট সরে যাওয়া এবং জনগণের চোখে ধুলো দেওয়া ছাড়া কিছু নয়।
অনেক আলোচনা ও সমালোচনার পর মাস কয়েক আগে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও সাংসদদের সম্পদের হিসাব মন্ত্রিপরিষদের সচিবের দপ্তরে রক্ষিত থাকবে, যে কেউ নির্দিষ্ট ফরমে দরখাস্ত করে তা দেখতে পাবেন। একেই বলে জবাবদিহির বাংলাদেশি স্টাইল। মন্ত্রী-সাংসদেরা কি মন্ত্রিপরিষদের সচিবের কাছে দায়বদ্ধ, নাকি জনগণের কাছে? তাঁরা যদি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকেন তাহলে সম্পত্তির হিসাব জনসমক্ষেই প্রকাশ করতে হবে। আর তার উপযুক্ত মাধ্যম হলো সরকারি ওয়েবসাইট বা গণমাধ্যম।
প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই বলে থাকেন, জনগণের কাছে দেওয়া সব প্রতিশ্রুতি সরকার একে একে পূরণ করবে। সেটি মুখে বললেই হবে না, কাজেও প্রমাণ করে দেখাতে হবে। অনেক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন সময় ও ব্যয়সাপেক্ষ হলেও মন্ত্রী-সাংসদদের সম্পদের হিসাব প্রকাশে সরকারের সদিচ্ছাই যথেষ্ট। ক্ষমতার শীর্ষপদ থেকে এত দিন মন্ত্রিসভার সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নেই বলে দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু এখন উইকিলিকসের মাধ্যমে বিদেশি কূটনীতিকদের যে ভাষ্য বেরিয়ে আসছে, তা সেই দাবিকে সমর্থন করে না। একাধিক মন্ত্রীর সততা ও কাজের স্বচ্ছতা প্রশ্নবিদ্ধ। এ অবস্থায় মন্ত্রী-সাংসদদের সম্পদের হিসাব প্রকাশ নিয়ে গড়িমসি বা টালবাহানা জনগণ সন্দেহের চোখে দেখবে বৈকি।
ভারতে যখন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তখন মনমোহন সিংয়ের সরকার অভিযুক্ত মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে লোকপাল বিল পাস করেছে। পাশাপাশি মন্ত্রীদের সম্পদের হিসাব প্রকাশ করে সরকারের কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রমাণে সচেষ্ট রয়েছে। আমরা আশা করব, বাংলাদেশেও শেখ হাসিনার সরকার মন্ত্রী ও সাংসদদের সম্পদের হিসাব জনসমক্ষে প্রকাশ করে সেই চ্যালেঞ্জটি গ্রহণ করতে দ্বিধা করবে না। এটি জনগণের কাছে দেওয়া তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও বটে।
No comments