ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা কাম্য নয়
নির্বাচন কমিশন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ব্যবহার করতে চায়। রাজনৈতিক দল, গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক, গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংগঠনসহ অনেকের সঙ্গে মতবিনিময় করছে। অনেকেই ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে মত দিয়েছেন, আবার কেউ কেউ বিপক্ষেও বলেছেন।
কেউ কেউ বলেছেন, প্রধান বিরোধী দল ও তাদের সমমনা দলগুলো নতুন ব্যবস্থা মেনে না নিলে এটি বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে। নির্বাচন কমিশন অবশ্য বলেছে, তারা শেষ পর্যন্ত ইভিএমের সপক্ষে মতামত আদায়ের চেষ্টা করে যাবে।
আধুনিক বিশ্বে প্রযুক্তিতে উন্নত প্রায় প্রতিটি দেশেই নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম ইভিএম ব্যবহার হয় ১৯৬৪ সালে। সে বছর সাতটি অঙ্গরাজ্যে এই পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হয়েছিল। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও ২০০৪ সাল থেকে ইভিএমের সাহায্যে ভোট গ্রহণ করা হয়। এমনকি আমাদের দেশেও বিভিন্ন সংগঠন এখন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করছে। ইভিএমের সবচেয়ে বড় সাফল্য প্রমাণিত হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিগত নির্বাচনে। সেই নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে এবং অত্যন্ত সুচারুরূপে ভোটগ্রহণ ও ভোট গণনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মজার কথা, সেই নির্বাচনে বিরোধী দল সমর্থিত প্রার্থী জয়লাভ করেছিল। প্রথমে তারা নির্বাচনের ফলাফল মানবে না বলে ঘোষণা দিলেও পরে নির্বাচনের ফলাফলকে মেনে নিয়ে ব্যাপক উল্লাসও করেছে। কিন্তু ব্যালট পেপারে ভোট হলে সেখানকার ফলাফল কী হতো, তা এখন বলা মুশকিল। তার পরও বিরোধী দল কেন আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করছে, তা আমাদের বোধগম্য নয়। উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, 'কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেম আমরা মানি না।' স্বাভাবিকভাবেই বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর পক্ষ থেকে একই কথা বলা হচ্ছে।
ব্যালট পেপারে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ব্যালট পেপার ছাপা, ব্যালট বাঙ্ তৈরি, সিল, কালিসহ বিভিন্ন উপকরণের পেছনে বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হয়। আবার ব্যালট গণনাও অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ব্যাপার। গণনাকারীদের দলীয় আনুগত্য প্রদর্শনের সুযোগ থাকে। অনেক সময় নির্বাচনের পর ধানক্ষেত, পাটক্ষেত, নালা-নর্দমা থেকে বস্তাভর্তি সিল দেওয়া ব্যালট পেপার উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। এসব কারণে অনেক দেশই ব্যালট পেপার বর্জন করে ইভিএম ব্যবহার শুরু করেছে। তাহলে আমাদের দেশে ইভিএম ব্যবহারে আপত্তি উঠবে কেন?
আমাদের দেশে একটি রেওয়াজ আছে, সরকার যা করবে, বিরোধী দল অবশ্যই তার বিরোধিতা করবে। দুঃখজনক হলেও সত্য, নির্বাচন কমিশনকেও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের অংশ হিসেবেই দেখতে অভ্যস্ত। আবার সরকারি দলও নির্বাচন কমিশন কী করবে, সে ব্যাপারে আগাম 'ডিকটেশন' দেওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে পারেনি। আমরা আশা করি, সরকারি দল ও বিরোধী দল তথা উভয় পক্ষই ডিকটেশন কিংবা অন্ধ বিরোধিতার ঐতিহ্য থেকে বেরিয়ে আসবে। দুনিয়াব্যাপী পরীক্ষিত ও স্বচ্ছ একটি প্রক্রিয়াকে তারা স্বেচ্ছায় গ্রহণ করবে। আর নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ, ভোটার পরিচয়পত্রকে যেন পাঞ্চ কার্ডের আদলে রূপান্তরিত করা হয়। তাহলে একজনের ভোট আরেকজনের দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। আমাদের প্রত্যাশা, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করে আমরা গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে সভ্যতার একটি নতুন যুগে প্রবেশ করব।
আধুনিক বিশ্বে প্রযুক্তিতে উন্নত প্রায় প্রতিটি দেশেই নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম ইভিএম ব্যবহার হয় ১৯৬৪ সালে। সে বছর সাতটি অঙ্গরাজ্যে এই পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হয়েছিল। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও ২০০৪ সাল থেকে ইভিএমের সাহায্যে ভোট গ্রহণ করা হয়। এমনকি আমাদের দেশেও বিভিন্ন সংগঠন এখন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করছে। ইভিএমের সবচেয়ে বড় সাফল্য প্রমাণিত হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিগত নির্বাচনে। সেই নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে এবং অত্যন্ত সুচারুরূপে ভোটগ্রহণ ও ভোট গণনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মজার কথা, সেই নির্বাচনে বিরোধী দল সমর্থিত প্রার্থী জয়লাভ করেছিল। প্রথমে তারা নির্বাচনের ফলাফল মানবে না বলে ঘোষণা দিলেও পরে নির্বাচনের ফলাফলকে মেনে নিয়ে ব্যাপক উল্লাসও করেছে। কিন্তু ব্যালট পেপারে ভোট হলে সেখানকার ফলাফল কী হতো, তা এখন বলা মুশকিল। তার পরও বিরোধী দল কেন আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করছে, তা আমাদের বোধগম্য নয়। উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, 'কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেম আমরা মানি না।' স্বাভাবিকভাবেই বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর পক্ষ থেকে একই কথা বলা হচ্ছে।
ব্যালট পেপারে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ব্যালট পেপার ছাপা, ব্যালট বাঙ্ তৈরি, সিল, কালিসহ বিভিন্ন উপকরণের পেছনে বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হয়। আবার ব্যালট গণনাও অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ব্যাপার। গণনাকারীদের দলীয় আনুগত্য প্রদর্শনের সুযোগ থাকে। অনেক সময় নির্বাচনের পর ধানক্ষেত, পাটক্ষেত, নালা-নর্দমা থেকে বস্তাভর্তি সিল দেওয়া ব্যালট পেপার উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। এসব কারণে অনেক দেশই ব্যালট পেপার বর্জন করে ইভিএম ব্যবহার শুরু করেছে। তাহলে আমাদের দেশে ইভিএম ব্যবহারে আপত্তি উঠবে কেন?
আমাদের দেশে একটি রেওয়াজ আছে, সরকার যা করবে, বিরোধী দল অবশ্যই তার বিরোধিতা করবে। দুঃখজনক হলেও সত্য, নির্বাচন কমিশনকেও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের অংশ হিসেবেই দেখতে অভ্যস্ত। আবার সরকারি দলও নির্বাচন কমিশন কী করবে, সে ব্যাপারে আগাম 'ডিকটেশন' দেওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে পারেনি। আমরা আশা করি, সরকারি দল ও বিরোধী দল তথা উভয় পক্ষই ডিকটেশন কিংবা অন্ধ বিরোধিতার ঐতিহ্য থেকে বেরিয়ে আসবে। দুনিয়াব্যাপী পরীক্ষিত ও স্বচ্ছ একটি প্রক্রিয়াকে তারা স্বেচ্ছায় গ্রহণ করবে। আর নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ, ভোটার পরিচয়পত্রকে যেন পাঞ্চ কার্ডের আদলে রূপান্তরিত করা হয়। তাহলে একজনের ভোট আরেকজনের দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। আমাদের প্রত্যাশা, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করে আমরা গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে সভ্যতার একটি নতুন যুগে প্রবেশ করব।
No comments