পরিবারের আর্থিক সামর্থ্য বাড়ানো জরুরি-বিড়ি বানাতে স্কুল ত্যাগ
মানসম্মত শিক্ষা ও শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত করা যখন দেশের প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য, তখন রংপুরের হারাগাছ পৌর এলাকার একটি খবর আমাদের জন্য দুঃসংবাদ হিসেবেই মানতে হচ্ছে। সেখানকার স্কুলগুলোর ৪০ ভাগ শিশুই দুপুরের পর স্কুল থেকে চলে যায়; কারণ বিড়ি বানাতে সময় দেওয়া। আর সেখানকার অনেক শিশু স্কুলেই যায় না। তার পেছনের কারণও বিড়ি বানানো।
হারাগাছ পৌরসভায় স্কুল রয়েছে ১৭টি, শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে আট হাজার। অথচ পৌরসভায় মোট শিশুর সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার। সহজ হিসাবটি হচ্ছে, প্রায় অর্ধেক শিশু স্কুলে যায় না। অন্যদিকে এখানে বিড়ির কারখানা রয়েছে সব মিলিয়ে ২০টি। এসব কারখানায় যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা সন্তানদেরও এ কাজে লাগান নিয়মিত। এই সমস্যার মূল কারণ অর্থনৈতিক। যে পরিবার বিড়ি তৈরির সঙ্গে জড়িত, তাদের কাজে শিশুটি সাহায্য করলে কিছু বাড়তি আয় সম্ভব হয়। তবে এ ক্ষেত্রে সামাজিক সচেতনতার অভাবের বিষয়টিও উপেক্ষা করার সুযোগ নেই।
অর্থনৈতিক দিকটি বিবেচনায় নিলে বলতে হয়, বিড়িশ্রমিকদের মজুরি এমন হওয়া উচিত, যাতে শুধু স্বামী-স্ত্রী এই পেশায় যুক্ত থেকে পরিবারের খরচ চালাতে সক্ষম হয়। দেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে শ্রমের মজুরি নির্ধারণের বিষয়টি সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে। সেখানকার কারখানাগুলোতে শিশুরা কাজ না করলেও যেসব অভিভাবক বাসায় বসে বিড়ি বানানোর কাজ করেন, তাঁরাই নিজের শিশুদের কাজে লাগান। ফলে শুধু আইন দিয়ে যে বিষয়টি ঠেকানো যাবে এমন নয়। অভিভাবক ও মা-বাবাকে এ ব্যাপারে সচেতন করা জরুরি।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি তেমনই একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় থেকে। শিশুদের স্কুলে পাঠানো এবং তাদের ধরে রাখতে আয়োজন করা হয়েছিল অভিভাবক ও শিক্ষার্থী সমাবেশ। কষ্ট হলেও প্রত্যেক সন্তান যাতে পড়াশোনা করতে যায়, সে ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন অভিভাবকেরা। বিড়ি কারখানার মালিকেরাও বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা আশা করব, এই সচেতনতা কার্যক্রমের পর সেখানে দুপুরের পর স্কুল ছেড়ে যাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমবে। এর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলোর আর্থিক সামর্থ্য বাড়ানোর বিকল্প নেই।
অর্থনৈতিক দিকটি বিবেচনায় নিলে বলতে হয়, বিড়িশ্রমিকদের মজুরি এমন হওয়া উচিত, যাতে শুধু স্বামী-স্ত্রী এই পেশায় যুক্ত থেকে পরিবারের খরচ চালাতে সক্ষম হয়। দেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে শ্রমের মজুরি নির্ধারণের বিষয়টি সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে। সেখানকার কারখানাগুলোতে শিশুরা কাজ না করলেও যেসব অভিভাবক বাসায় বসে বিড়ি বানানোর কাজ করেন, তাঁরাই নিজের শিশুদের কাজে লাগান। ফলে শুধু আইন দিয়ে যে বিষয়টি ঠেকানো যাবে এমন নয়। অভিভাবক ও মা-বাবাকে এ ব্যাপারে সচেতন করা জরুরি।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি তেমনই একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় থেকে। শিশুদের স্কুলে পাঠানো এবং তাদের ধরে রাখতে আয়োজন করা হয়েছিল অভিভাবক ও শিক্ষার্থী সমাবেশ। কষ্ট হলেও প্রত্যেক সন্তান যাতে পড়াশোনা করতে যায়, সে ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন অভিভাবকেরা। বিড়ি কারখানার মালিকেরাও বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা আশা করব, এই সচেতনতা কার্যক্রমের পর সেখানে দুপুরের পর স্কুল ছেড়ে যাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমবে। এর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলোর আর্থিক সামর্থ্য বাড়ানোর বিকল্প নেই।
No comments