বিএনপি : আখাউড়া, কসবা-টার্গেট এক নেতা অনেক
আওয়ামী লীগের ঠিক উল্টো চিত্র বিএনপিতে। আখাউড়া ও কসবার মেয়র পদ দুটি বাগিয়ে নেওয়ার পর আত্মবিশ্বাসে বগবগ করছেন দলের তৃণমূল থেকে শুরু করে শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। সাধারণ মানুষ পরপর দুইবার কাউকে ক্ষমতায় থাকতে দিচ্ছেন না এমন দৃশ্যপটেও উজ্জীবিত তাঁরা। যে কারণে আগামী সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে তাঁদের স্বপ্ন অনেক।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে আরো কিছু ভিন্নতা আছে বিএনপিতে।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে আরো কিছু ভিন্নতা আছে বিএনপিতে।
সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে কসবা-আখাউড়া আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শাহ আলম আওয়ামী লীগের সবেধন নীলমণি। জাতীয় পার্টির সঙ্গে ঐক্যের প্রশ্ন বাদে এ আসনে গত তিনটি নির্বাচনেই তাঁর তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। কিন্তু বিএনপিতে এখনই অন্তত চারজনের নাম শোনা যাচ্ছে, যাঁরা সংসদ সদস্য নির্বাচনে মনোনয়ন চাইবেন।
এদিকে আওয়ামী লীগে যেখানে একজন পয়সাওয়ালা অর্থাৎ ধনাঢ্য ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া দায়, সেখানে বিএনপিতে অন্তত অর্ধডজন আছেন, যাঁরা শিল্পপতি হিসেবেই পরিচিত, বিশেষ করে আখাউড়া উপজেলা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি পদে আছেন ধনাঢ্যরা।
অবশ্য ধনাঢ্য রাজনীতিবিদ আর এমপি প্রার্থীর লম্বা তালিকা খুব একটা সুফল বয়ে আনছে না দলটিতে। সংসদ সদস্য হিসেবে একাধিক প্রার্থী থাকায় দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে আছে বিভক্তি, বিশেষ করে সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুশফিকুর রহমান এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শাকিল ওয়াহেদকে ঘিরে কসবা বিএনপিতে বিরোধ এখনো তুঙ্গে।
এদিকে সাবেক সংসদ সদস্য মিয়া আবদুল্লাহ ওয়াজেদের সমর্থনকারী একজন সিনিয়র নেতাসহ অনেকে আগেই দল থেকে দূরে সরে আছেন। আবদুল্লাহ ওয়াজেদ এবারও মনোনয়ন চাইতে পারেন। সংসদ সদস্য পদে এখন আবার নতুন করে নাম শোনা যাচ্ছে আখাউড়া উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি বিল্লাল খন্দকারের। সপ্তাহ দুই আগে আখাউড়ায় এসে তিনি মনোনয়ন চাওয়ার বিষয়ে নিজের ইচ্ছার কথা দলের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে জানিয়ে যান।
আখাউড়া উপজেলা বিএনপিতে খন্দকার বিল্লাল হোসেনের পাশাপাশি আরো চারজন ধনাঢ্য রাজনীতিবিদ আছেন। তাঁরা হলেন_উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. মুসলিম উদ্দিন, সহসভাপতি নাছির উদ্দিন হাজারী, মো. মারুফ হোসাইন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রুহুল আমিন খাদেম।
তবে এত ধনাঢ্যের ভিড়েও বেশ কয়েক মাস ধরে আখাউড়া উপজেলা বিএনপির কার্যালয় নেই। বর্তমানে যুবদল নেতা শেখ আমজাদ হোসেন বাবুর সড়ক বাজারের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেই চলে দলে নেতা-কর্মীদের আড্ডা। এ ছাড়া দলের অনেক নেতা-কর্মীকে রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় থাকা ভ্যানগাড়ির ওপর আড্ডায় বসতে দেখা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিএনপি নেতা বলেন, গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ধনাঢ্য রাজনীতিবিদরা তাঁদের ব্যবসায়িক কাজে বেশির ভাগ সময় ঢাকা-চট্টগ্রামে থাকেন। যে কারণে তাঁরা দলের জন্য সময় দিতে পারেন না। সদ্য প্রয়াত দলের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র এন এম হাসান খানই ছিলেন দলের অন্যতম চালিকাশক্তি। তাঁর মৃত্যু দলকে অনেকটা পিছিয়ে দিচ্ছে।
ওই নেতারা বলেন, 'সামনের পথ পাড়ি দিতে হলে আমাদের আরো ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বিগত পৌর নির্বাচনে দলের প্রার্থী জয়ী হলেও বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল।'
এ ব্যাপারে আখাউড়া পৌর বিএনপির সভাপতি হাসিব হুমায়ুন বলেন, 'দলের ভেতরে-বাইরে অনেকেই নানা কথা বলা দলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।' এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা চেষ্টা করছি, যত দ্রুত সম্ভব একটি অফিস নেওয়ার।'
উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল জলিল বলেন, 'আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। আমরা ঐক্যবদ্ধ। এর ফলস্বরূপ আখাউড়ার মেয়র পদে আমাদের প্রার্থী জয়ী হতে পেরেছিল। তবে মেয়র ও দলের সাধারণ সম্পাদক হাসান খানের মৃত্যুতে বিএনপিতে শূন্যতা দেখা দেবে।'
কসবা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. ছানাউল্লাহ বলেন. 'দুজন সংসদ সদস্য প্রার্থী নিয়ে আমাদের মধ্যে বিভক্তি আছে। আমরা আশাবাদী, আগামী নির্বাচনে কেন্দ্র থেকে যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে।'
কসবা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ইকলিল আজম বলেন, 'আমাদের তৃণমূল পর্যায় থেকে উপজেলা পর্যন্ত দলের সবাই ঐক্যবদ্ধ আছে। আমাদের চেইন অব কমান্ডও খুব শক্ত। বিগত পৌর নির্বাচনে দলের মনোনীত প্রার্থীর বাইরে নির্বাচন করায় ছাত্রদল নেতা জিয়াউল হুদা শিপনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আশা করি আগামী সংসদ নির্বাচনে আমাদের প্রার্থী অনায়াসেই বিজয়ী হতে পারবেন।'
এদিকে আওয়ামী লীগে যেখানে একজন পয়সাওয়ালা অর্থাৎ ধনাঢ্য ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া দায়, সেখানে বিএনপিতে অন্তত অর্ধডজন আছেন, যাঁরা শিল্পপতি হিসেবেই পরিচিত, বিশেষ করে আখাউড়া উপজেলা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি পদে আছেন ধনাঢ্যরা।
অবশ্য ধনাঢ্য রাজনীতিবিদ আর এমপি প্রার্থীর লম্বা তালিকা খুব একটা সুফল বয়ে আনছে না দলটিতে। সংসদ সদস্য হিসেবে একাধিক প্রার্থী থাকায় দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে আছে বিভক্তি, বিশেষ করে সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুশফিকুর রহমান এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শাকিল ওয়াহেদকে ঘিরে কসবা বিএনপিতে বিরোধ এখনো তুঙ্গে।
এদিকে সাবেক সংসদ সদস্য মিয়া আবদুল্লাহ ওয়াজেদের সমর্থনকারী একজন সিনিয়র নেতাসহ অনেকে আগেই দল থেকে দূরে সরে আছেন। আবদুল্লাহ ওয়াজেদ এবারও মনোনয়ন চাইতে পারেন। সংসদ সদস্য পদে এখন আবার নতুন করে নাম শোনা যাচ্ছে আখাউড়া উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি বিল্লাল খন্দকারের। সপ্তাহ দুই আগে আখাউড়ায় এসে তিনি মনোনয়ন চাওয়ার বিষয়ে নিজের ইচ্ছার কথা দলের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে জানিয়ে যান।
আখাউড়া উপজেলা বিএনপিতে খন্দকার বিল্লাল হোসেনের পাশাপাশি আরো চারজন ধনাঢ্য রাজনীতিবিদ আছেন। তাঁরা হলেন_উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. মুসলিম উদ্দিন, সহসভাপতি নাছির উদ্দিন হাজারী, মো. মারুফ হোসাইন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রুহুল আমিন খাদেম।
তবে এত ধনাঢ্যের ভিড়েও বেশ কয়েক মাস ধরে আখাউড়া উপজেলা বিএনপির কার্যালয় নেই। বর্তমানে যুবদল নেতা শেখ আমজাদ হোসেন বাবুর সড়ক বাজারের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেই চলে দলে নেতা-কর্মীদের আড্ডা। এ ছাড়া দলের অনেক নেতা-কর্মীকে রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় থাকা ভ্যানগাড়ির ওপর আড্ডায় বসতে দেখা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিএনপি নেতা বলেন, গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ধনাঢ্য রাজনীতিবিদরা তাঁদের ব্যবসায়িক কাজে বেশির ভাগ সময় ঢাকা-চট্টগ্রামে থাকেন। যে কারণে তাঁরা দলের জন্য সময় দিতে পারেন না। সদ্য প্রয়াত দলের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র এন এম হাসান খানই ছিলেন দলের অন্যতম চালিকাশক্তি। তাঁর মৃত্যু দলকে অনেকটা পিছিয়ে দিচ্ছে।
ওই নেতারা বলেন, 'সামনের পথ পাড়ি দিতে হলে আমাদের আরো ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বিগত পৌর নির্বাচনে দলের প্রার্থী জয়ী হলেও বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল।'
এ ব্যাপারে আখাউড়া পৌর বিএনপির সভাপতি হাসিব হুমায়ুন বলেন, 'দলের ভেতরে-বাইরে অনেকেই নানা কথা বলা দলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।' এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা চেষ্টা করছি, যত দ্রুত সম্ভব একটি অফিস নেওয়ার।'
উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল জলিল বলেন, 'আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। আমরা ঐক্যবদ্ধ। এর ফলস্বরূপ আখাউড়ার মেয়র পদে আমাদের প্রার্থী জয়ী হতে পেরেছিল। তবে মেয়র ও দলের সাধারণ সম্পাদক হাসান খানের মৃত্যুতে বিএনপিতে শূন্যতা দেখা দেবে।'
কসবা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. ছানাউল্লাহ বলেন. 'দুজন সংসদ সদস্য প্রার্থী নিয়ে আমাদের মধ্যে বিভক্তি আছে। আমরা আশাবাদী, আগামী নির্বাচনে কেন্দ্র থেকে যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে।'
কসবা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ইকলিল আজম বলেন, 'আমাদের তৃণমূল পর্যায় থেকে উপজেলা পর্যন্ত দলের সবাই ঐক্যবদ্ধ আছে। আমাদের চেইন অব কমান্ডও খুব শক্ত। বিগত পৌর নির্বাচনে দলের মনোনীত প্রার্থীর বাইরে নির্বাচন করায় ছাত্রদল নেতা জিয়াউল হুদা শিপনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আশা করি আগামী সংসদ নির্বাচনে আমাদের প্রার্থী অনায়াসেই বিজয়ী হতে পারবেন।'
No comments