র ঙ বে র ঙ-জলের সৌন্দর্য

বাইরের আবরণটি বেশ শক্ত আর শৈল্পিক। কিন্তু ভেতরের অংশটা বেশ নরম এবং তুলতুলে। শত্রুর আঘাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যই মূলত এ ব্যবস্থা। আর এই শক্ত খোলসের ভেতরেই স্থায়ীভাবে আটকানো থাকে প্রাণীটির শরীর। বিস্ময়কর এ প্রাণীর নাম শামুক। পৃথিবীর সব দেশের নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর, ডোবা, বিশেষ করে সমুদ্র উপকূলে নানা আকৃতির শামুক দেখা যায়। চেহারা আর মেজাজ-মর্জিতে প্রাণীটি একেক সময় একেক রূপ ধারণ করতে পারদর্শী।


এটি সাধারণ কোনো প্রাণী নয়। অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত শামুকের ব্যবহারিক গুরুত্ব একবিন্দুও কমেনি।প্রাচীনকালে নারীদের অলঙ্কারে এটির যেমন ব্যবহার ছিল, তেমনি মুদ্রা হিসেবেও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শামুক ব্যবহৃত হতো। প্রাচীন ভারতে শামুকের মুদ্রাকে বলা হতো কড়ি। আপাতদৃষ্টিতে শামুক কোনো লাভজনক ব্যবসার পণ্য নয়। তবু বিশ্বজুুড়ে চলছে এর রমরমা ব্যবসা। এর প্রধান কারণ, শামুক দিয়ে তৈরি হয় আকর্ষণীয় শোপিস, নারীদের গহনা আর হয় ঘর সাজানোর কাজ। তাছাড়া এমন কিছু দুর্লভ প্রজাতির শামুক পাওয়া যায়, যেগুলো প্রকৃতিগতভাবেই এক একটি চমৎকার শোপিস।পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি শামুক পাওয়া যায় ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জে। এখানে এ পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার প্রজাতির শামুক পাওয়া গেছে। সহজলভ্যতার কারণে এখানকার সেবু শহরে গড়ে উঠেছে শামুক বিকিকিনির এক বিশাল বাজার। এখানে শামুক শেল কেনা, বিশাল বড় গরুহাটে গরু কেনার চেয়েও বেশি কিছু। সাধারণ মানের শেলের দাম ১০০-১৫০ মার্কিন ডলার। তবে দুর্লভ প্রজাতির শামুকের দাম ১ হাজার ডলারেরও ওপরে। একবার সিপরেয়া লিউকোডোন নামে দুর্লভ প্রজাতির একটি শামুক নাকি বিক্রি হয়েছিল ৬ হাজার ডলারে! ফিলিপাইনের সেবু শহর থেকে শামুকগুলো যখন ইউরোপ-আমেরিকার বাজারে যায়, তখন একেকটি শেলের দাম হয় আকাশছোঁয়া। কখনও কখনও এসব শেল নিলামেও তোলা হয়। সাধারণত শৌখিন ক্রেতারাই এ শামুকগুলো কিনে থাকেন।যারা শামুক সংগ্রহ বা ব্যবসা করেন, তাদের কাছে কড়ি শেল বেশ জনপ্রিয়। এছাড়া রয়েছে কোন শেল, রক শেল, ভল্যুট শেল ইত্যাদি। তবে শামুকের যে প্রজাতিটি দুর্লভ, সেটি হচ্ছে কোনাস গ্গ্নোরিয়ামারিস। প্রদীপ সাহা

No comments

Powered by Blogger.