আজ আবার এল ক্লাসিকো
গত দুই ম্যাচে যেন ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। রিয়াল বেটিসের বিপক্ষে জোড়া গোল আছে। তার পরও এই দুই ম্যাচে তিনি যেন ‘ক্ষণিক আলোকে, আঁখির পলকে’ নিজের কিছু ঝলক দেখিয়েই সন্তুষ্ট ছিলেন। তবে কি লিওনেল মেসি তূণের সব তির জমিয়ে রাখছেন আজকের জন্য!
সাম্প্রতিক ‘এল ক্লাসিকো’গুলো বলছে, রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হলেই মেসি যেন অন্য এক ধ্রুপদ সুর তোলেন। এর আগে হোসে মরিনহোর দলগুলোর বিপক্ষে তাঁর গোলের রেকর্ড ছিল না। মরিনহো রিয়ালে আসার পর প্রথম এল ক্লাসিকোর আগে এ নিয়ে বিস্তর লেখালেখি হয়েছে স্প্যানিশ মিডিয়ায়, আরও স্পষ্ট করে বললে এল পাইস, মার্কা, এএস-এর মতো মাদ্রিদিস্তা পত্রিকাগুলোতে।
সেটাই হয়তো তাতিয়ে তুলেছিল মেসিকে। এর পর থেকে প্রতিটি এল ক্লাসিকোতেই দুর্দান্তভাবে জ্বলে উঠেছেন! গতবার চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে তাঁর দুটি দুর্দান্ত গোল এখনো অনেকের চোখে ভাসে। মৌসুম উদ্বোধক স্প্যানিশ সুপার কাপেও ছিল জোড়া গোল। লিগে সর্বশেষ ১০ ডিসেম্বরের ম্যাচটিতে ২৩ সেকেন্ডে গোল খেয়ে শুরু করা বার্সা যে শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলে জিতল, তাতে গোল না পেলেও মেসিই ছিলেন অর্কেস্ট্রার কন্ডাক্টর।
আজ যেমন কোপা ডেল রের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগের আগে জাভি বলছেন, ‘লিও আবারও পার্থক্য গড়ে দেবে। সে এমন জাতের খেলোয়াড়, যারা দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয়। আর এ ধরনের ম্যাচ খেলে খেলেই ও বেড়ে উঠেছে। ও এ ধরনের বড় ম্যাচ খেলতে ভালোও বাসে।’ তা যে তিনি ভালোবাসেন, সেটা এল ক্লাসিকোর সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকার দিকে তাকালেও বোঝা যাবে। ১৩ গোল নিয়ে চারে আছেন মেসি, সবার ওপরে থাকা আরেক আর্জেন্টাইন আলফ্রেডো ডি স্টেফানোও খুব বেশি দূরত্বে নেই (১৮ গোল)।
তবে এই ম্যাচটা শুধু মেসির নয়, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোরও। যাঁর একমাত্র গোলে গতবার কোপা ডেল রের ফাইনালে বার্সাকে হারিয়েছে রিয়াল। গত তিন মৌসুমে যেটি রিয়ালের একমাত্র শিরোপা। যদিও এল ক্লাসিকো এলে রোনালদো যেন ম্রিয়মাণ হয়ে যান! ১১ ম্যাচে মাত্র ৩ গোল সে কথাই বলছে। শুধু রোনালদো নয়, মরিনহোর জাদুও যেন আর কাজ করে না। আটটি এল ক্লাসিকোর মাত্র একটি জেতাতে পেরেছেন রিয়াল কোচ। মরিনহো-রোনালদোর জন্য আজ সেই সমালোচনার জবাব দেওয়ার ম্যাচ। আবার শুধু রোনালদো-মেসিরও নয়; ম্যাচটি আসলে দুই দলের প্রতিশোধেরও।
রিয়ালের জন্য প্রতিশোধের কারণটা তো স্পষ্ট—সর্বশেষ লিগ ম্যাচেও তারা হেরেছে। আর বার্সা প্রতিশোধ নিতে চাইবে টুর্নামেন্টটির গত ফাইনালে হেরে যাওয়ার। কে ফেবারিট, বলা মুশকিল। নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে দুই দলই স্নায়ুর ধকল সামলে জিতেছে। রিয়াল ভাবতে চাইবে, নিজেদের মাঠে খেলা বলে মানসিক সুবিধা থাকবে তাদের দিকেই। তবে বার্সাও এটা ভেবে সাহস পাবে, এই কদিন আগেই না রিয়ালের মাঠে রিয়ালকে হারিয়ে এসেছি আমরা।
তবে রিয়াল আরেকটা ক্ষেত্র থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারে। সর্বশেষ কাপে দুই লেগের ম্যাচে দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে। ৪-৩ গোল গড়ে সেবার জিতে যাওয়া বার্সার সহকারী কোচ কিন্তু ছিলেন মরিনহোই! ওয়েবসাইট।
সেটাই হয়তো তাতিয়ে তুলেছিল মেসিকে। এর পর থেকে প্রতিটি এল ক্লাসিকোতেই দুর্দান্তভাবে জ্বলে উঠেছেন! গতবার চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে তাঁর দুটি দুর্দান্ত গোল এখনো অনেকের চোখে ভাসে। মৌসুম উদ্বোধক স্প্যানিশ সুপার কাপেও ছিল জোড়া গোল। লিগে সর্বশেষ ১০ ডিসেম্বরের ম্যাচটিতে ২৩ সেকেন্ডে গোল খেয়ে শুরু করা বার্সা যে শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলে জিতল, তাতে গোল না পেলেও মেসিই ছিলেন অর্কেস্ট্রার কন্ডাক্টর।
আজ যেমন কোপা ডেল রের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগের আগে জাভি বলছেন, ‘লিও আবারও পার্থক্য গড়ে দেবে। সে এমন জাতের খেলোয়াড়, যারা দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয়। আর এ ধরনের ম্যাচ খেলে খেলেই ও বেড়ে উঠেছে। ও এ ধরনের বড় ম্যাচ খেলতে ভালোও বাসে।’ তা যে তিনি ভালোবাসেন, সেটা এল ক্লাসিকোর সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকার দিকে তাকালেও বোঝা যাবে। ১৩ গোল নিয়ে চারে আছেন মেসি, সবার ওপরে থাকা আরেক আর্জেন্টাইন আলফ্রেডো ডি স্টেফানোও খুব বেশি দূরত্বে নেই (১৮ গোল)।
তবে এই ম্যাচটা শুধু মেসির নয়, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোরও। যাঁর একমাত্র গোলে গতবার কোপা ডেল রের ফাইনালে বার্সাকে হারিয়েছে রিয়াল। গত তিন মৌসুমে যেটি রিয়ালের একমাত্র শিরোপা। যদিও এল ক্লাসিকো এলে রোনালদো যেন ম্রিয়মাণ হয়ে যান! ১১ ম্যাচে মাত্র ৩ গোল সে কথাই বলছে। শুধু রোনালদো নয়, মরিনহোর জাদুও যেন আর কাজ করে না। আটটি এল ক্লাসিকোর মাত্র একটি জেতাতে পেরেছেন রিয়াল কোচ। মরিনহো-রোনালদোর জন্য আজ সেই সমালোচনার জবাব দেওয়ার ম্যাচ। আবার শুধু রোনালদো-মেসিরও নয়; ম্যাচটি আসলে দুই দলের প্রতিশোধেরও।
রিয়ালের জন্য প্রতিশোধের কারণটা তো স্পষ্ট—সর্বশেষ লিগ ম্যাচেও তারা হেরেছে। আর বার্সা প্রতিশোধ নিতে চাইবে টুর্নামেন্টটির গত ফাইনালে হেরে যাওয়ার। কে ফেবারিট, বলা মুশকিল। নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে দুই দলই স্নায়ুর ধকল সামলে জিতেছে। রিয়াল ভাবতে চাইবে, নিজেদের মাঠে খেলা বলে মানসিক সুবিধা থাকবে তাদের দিকেই। তবে বার্সাও এটা ভেবে সাহস পাবে, এই কদিন আগেই না রিয়ালের মাঠে রিয়ালকে হারিয়ে এসেছি আমরা।
তবে রিয়াল আরেকটা ক্ষেত্র থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারে। সর্বশেষ কাপে দুই লেগের ম্যাচে দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে। ৪-৩ গোল গড়ে সেবার জিতে যাওয়া বার্সার সহকারী কোচ কিন্তু ছিলেন মরিনহোই! ওয়েবসাইট।
No comments