আওয়ামী লীগ : গাজীপুর, টঙ্গী-দুই সর্বনাশ : টঙ্গীতে মতি, গাছায় মহি
নেতা-কর্মীরাই গিলে খাচ্ছে আওয়ামী লীগকে' বেশ কিছুদিন ধরে লোকমুখে এমন কথা শোনা যাচ্ছে গাজীপুর-২ সংসদীয় এলাকায়। সরকারি অফিসের টেন্ডারবাজি, ঝুট ও মাদক ব্যবস্যা এবং জমি দখল_এ চার কাজের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে দলটি। নেতা-কর্মীরা সবাই ব্যস্ত আখের গোছাতে। এসবে ব্যস্ত থাকায় ঝিমিয়ে পড়েছে দলীয় সাংগঠনিক কার্যক্রম। নেতাদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে ত্যাগী ও তৃণমূল নেতা-কর্মীদের।
নব্য নেতা-কর্মীদের দাপটে কোণঠাসা ত্যাগী নেতারা। যারা দুর্নীতি করছে, তারা সবাই এমপি জাহিদ আহসান রাসেলের ঘনিষ্ঠ।
গাজীপুর ও টঙ্গী পৌরসভা এবং গাছা ইউনিয়ন নিয়ে গাজীপুর-২ নির্বাচনী এলাকা। অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এ এলাকায় রয়েছে কয়েক হাজার কলকারখানা। টঙ্গী ও গাছায় শিল্পকারখানা বেশি। এসব কারখানার কোটি কোটি টাকার ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়েই চলে এলাকার রাজনীতি। ঝুটের সঙ্গে আছে রমরমা মাদক ব্যবসা, জমি কেনা-বেচা ও দখলবাণিজ্য। টঙ্গীর এসবের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ এমপি রাসেলের চাচা মতিউর রহমান মতির হাতে। ঝুট, মাদক, সন্ত্রাসী নিয়ন্ত্রণ ও জমির ব্যবসার জন্য তাঁর রয়েছে বিশেষ বাহিনী। ওই বাহিনীর সদস্যরা এতটাই বেপরোয়া যে, মাদক উদ্ধারে গেলে কয়েক মাস আগে র্যাবের সদস্যদের ওপরও হামলা করে তারা। হামলার নেতৃত্বে থাকা যুবলীগ নেতা জামাল কয়েক মাস ধরেই নিখোঁজ। আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যাকাণ্ড মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ছিলেন জামাল। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আর গাছা ইউনিয়নের সবকিছু একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি। শুধু নামে মহি নয়, কাজেও তিনি মহীরুহ। তাঁর অমতে এলাকার পিঁপড়ারও নড়ার জো নেই_এমন অভিযোগ খোদ দলের নেতা-কর্মীদেরই। টিআর, কাবিটার, অতি দরিদ্রদের ৪০ দিনের কর্মসূচির টাকা থেকেও তিনি ভাগ বসিয়েছেন বলে জানালেন নেতারা। মহির হয়ে সবকিছু তত্ত্বাবধান করেন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মশি। দল ক্ষমতায় আসার আগে দুজনই হেঁটে ও লোকাল বাসে চলাচল করলেও এখন দুজনেই দামি গাড়িতে চলাচল করেন। মহি গাছা ছেড়ে বাস করছেন উত্তরার আধুনিক ফ্ল্যাটে। আর মশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আলিশান বাড়ি তৈরি করছেন। তাঁদের অবমূল্যায়নের কারণে গত সপ্তাহে গাছা ইউনিয়নের খাইলকুর এলাকার দেড় শতাধিক নেতা-কর্মী বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। এ দুই নেতার কাছেই দলের চেয়ে ব্যক্তিস্বার্থ বড়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নেতা বলেন, ছোট-বড় সব নেতা-কর্মী মিলেমিশে ব্যবসা-বাণিজ্য ভোগ করেন বলে দলে কোনো ক্ষোভও নেই। নেই অপকর্ম তুলে ধরার লোকও। তারপরও মাঝেমধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কোন্দল প্রায়ই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। কোন্দলের জেরে গত বছর গাছায় প্রতিপক্ষের হাতে প্রকাশ্যে খুন হন ছাত্রলীগ নেতা রানা। শহরের সরকারি দপ্তরের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করেন পৌর আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কয়েক নেতা। তাঁদের দাপটে দলীয় অন্য ঠিকাদাররা অসহায়। গত আগস্ট মাসে গাজীপুর পৌরসভার ১৮ কোটি টাকার কাজ ওই সিন্ডিকেট ভাগ-বাটোয়ারা করে নেয়। একই দলের অন্য ঠিকদারদের শিডিউল তারা বাঙ্ েফেলতেই দেয়নি। 'টঙ্গীতে মতি, গাছায় মহি_এ দুইয়ে ধংস করছে এলাকার রাজনীতি'।
নেতা-কর্মীরা জানান, ২০০৫ সালে জনপ্রিয় নেতা সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টার সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হলে উপনির্বাচনে জয়ী হন তাঁর ছেলে জাহিদ আহসান রাসেল। গত সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে আবারও জয়ী হন তিনি। দল সরকার গঠন করলে তাঁকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরেন সুবিধাভোগীরা। এলাকার উন্নয়ন, জোট আমলে প্রশাসনে শুরু হওয়া লাগামহীন দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদকের ছড়াছড়ি বন্ধের পরিবর্তে নেতারা ব্যস্ত হয়ে পড়েন নিজেদের ব্যবসা ও কর্তৃত্ব বজায়ে। নেতাদের কমিশন দিয়ে জেলার ভূমি, শিক্ষা, বন বিভাগে চলছে কোটি টাকার ঘুষবাণিজ্য। তা ছাড়া গত উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে আওয়ামী লীগ। তৃণমূলের ভোটে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আলিমুদ্দিন বুদ্দিন প্রার্থী হয়ে মাঠে নামেন। আর বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে মাঠে নামেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মণ্ডল। নির্বাচনের আগে এলাকায় প্রচার হয়, আতাউল্লাহ মণ্ডল এমপি জাহিদ আহসান রাসেলের প্রার্থী। কিন্তু এমপি রাসেলকে কখনো প্রকাশ্যে আতাউল্লাহ মণ্ডলের পক্ষে কোনো ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি। তবু মণ্ডল নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর চেয়ে বেশি ভোট পান। আর আস্তে আস্তে প্রকাশ পেতে থাকে আলাদা গ্রুপিং। তবে নেতারা মুখে গ্রুপিংয়ের কথা স্বীকার না করলেও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আ ক ম মোজ্জাম্মেল হক, সাধারণ সম্পাদক আজমত উল্লাহ খান, জেলা নেতা কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিনকে ঘিরে একটি পক্ষ এবং অন্যদিকে জাহিদ আহসান রাসেল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মণ্ডল, গাজীপুর পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট ওয়াজউদ্দিনকে ঘিরে রয়েছে আরেকটি পক্ষ। এসব কারণে গাজীপুর আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা এখন ভাটির দিকে।
গাজীপুর ও টঙ্গী পৌরসভা এবং গাছা ইউনিয়ন নিয়ে গাজীপুর-২ নির্বাচনী এলাকা। অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এ এলাকায় রয়েছে কয়েক হাজার কলকারখানা। টঙ্গী ও গাছায় শিল্পকারখানা বেশি। এসব কারখানার কোটি কোটি টাকার ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়েই চলে এলাকার রাজনীতি। ঝুটের সঙ্গে আছে রমরমা মাদক ব্যবসা, জমি কেনা-বেচা ও দখলবাণিজ্য। টঙ্গীর এসবের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ এমপি রাসেলের চাচা মতিউর রহমান মতির হাতে। ঝুট, মাদক, সন্ত্রাসী নিয়ন্ত্রণ ও জমির ব্যবসার জন্য তাঁর রয়েছে বিশেষ বাহিনী। ওই বাহিনীর সদস্যরা এতটাই বেপরোয়া যে, মাদক উদ্ধারে গেলে কয়েক মাস আগে র্যাবের সদস্যদের ওপরও হামলা করে তারা। হামলার নেতৃত্বে থাকা যুবলীগ নেতা জামাল কয়েক মাস ধরেই নিখোঁজ। আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যাকাণ্ড মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ছিলেন জামাল। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আর গাছা ইউনিয়নের সবকিছু একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি। শুধু নামে মহি নয়, কাজেও তিনি মহীরুহ। তাঁর অমতে এলাকার পিঁপড়ারও নড়ার জো নেই_এমন অভিযোগ খোদ দলের নেতা-কর্মীদেরই। টিআর, কাবিটার, অতি দরিদ্রদের ৪০ দিনের কর্মসূচির টাকা থেকেও তিনি ভাগ বসিয়েছেন বলে জানালেন নেতারা। মহির হয়ে সবকিছু তত্ত্বাবধান করেন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মশি। দল ক্ষমতায় আসার আগে দুজনই হেঁটে ও লোকাল বাসে চলাচল করলেও এখন দুজনেই দামি গাড়িতে চলাচল করেন। মহি গাছা ছেড়ে বাস করছেন উত্তরার আধুনিক ফ্ল্যাটে। আর মশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আলিশান বাড়ি তৈরি করছেন। তাঁদের অবমূল্যায়নের কারণে গত সপ্তাহে গাছা ইউনিয়নের খাইলকুর এলাকার দেড় শতাধিক নেতা-কর্মী বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। এ দুই নেতার কাছেই দলের চেয়ে ব্যক্তিস্বার্থ বড়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নেতা বলেন, ছোট-বড় সব নেতা-কর্মী মিলেমিশে ব্যবসা-বাণিজ্য ভোগ করেন বলে দলে কোনো ক্ষোভও নেই। নেই অপকর্ম তুলে ধরার লোকও। তারপরও মাঝেমধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কোন্দল প্রায়ই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। কোন্দলের জেরে গত বছর গাছায় প্রতিপক্ষের হাতে প্রকাশ্যে খুন হন ছাত্রলীগ নেতা রানা। শহরের সরকারি দপ্তরের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করেন পৌর আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কয়েক নেতা। তাঁদের দাপটে দলীয় অন্য ঠিকাদাররা অসহায়। গত আগস্ট মাসে গাজীপুর পৌরসভার ১৮ কোটি টাকার কাজ ওই সিন্ডিকেট ভাগ-বাটোয়ারা করে নেয়। একই দলের অন্য ঠিকদারদের শিডিউল তারা বাঙ্ েফেলতেই দেয়নি। 'টঙ্গীতে মতি, গাছায় মহি_এ দুইয়ে ধংস করছে এলাকার রাজনীতি'।
নেতা-কর্মীরা জানান, ২০০৫ সালে জনপ্রিয় নেতা সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টার সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হলে উপনির্বাচনে জয়ী হন তাঁর ছেলে জাহিদ আহসান রাসেল। গত সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে আবারও জয়ী হন তিনি। দল সরকার গঠন করলে তাঁকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরেন সুবিধাভোগীরা। এলাকার উন্নয়ন, জোট আমলে প্রশাসনে শুরু হওয়া লাগামহীন দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদকের ছড়াছড়ি বন্ধের পরিবর্তে নেতারা ব্যস্ত হয়ে পড়েন নিজেদের ব্যবসা ও কর্তৃত্ব বজায়ে। নেতাদের কমিশন দিয়ে জেলার ভূমি, শিক্ষা, বন বিভাগে চলছে কোটি টাকার ঘুষবাণিজ্য। তা ছাড়া গত উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে আওয়ামী লীগ। তৃণমূলের ভোটে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আলিমুদ্দিন বুদ্দিন প্রার্থী হয়ে মাঠে নামেন। আর বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে মাঠে নামেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মণ্ডল। নির্বাচনের আগে এলাকায় প্রচার হয়, আতাউল্লাহ মণ্ডল এমপি জাহিদ আহসান রাসেলের প্রার্থী। কিন্তু এমপি রাসেলকে কখনো প্রকাশ্যে আতাউল্লাহ মণ্ডলের পক্ষে কোনো ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি। তবু মণ্ডল নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর চেয়ে বেশি ভোট পান। আর আস্তে আস্তে প্রকাশ পেতে থাকে আলাদা গ্রুপিং। তবে নেতারা মুখে গ্রুপিংয়ের কথা স্বীকার না করলেও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আ ক ম মোজ্জাম্মেল হক, সাধারণ সম্পাদক আজমত উল্লাহ খান, জেলা নেতা কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিনকে ঘিরে একটি পক্ষ এবং অন্যদিকে জাহিদ আহসান রাসেল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মণ্ডল, গাজীপুর পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট ওয়াজউদ্দিনকে ঘিরে রয়েছে আরেকটি পক্ষ। এসব কারণে গাজীপুর আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা এখন ভাটির দিকে।
No comments