২১ জানুয়ারি উদ্বোধন করবেন মুহিত ও প্রণব-সীমান্ত অতিক্রমের ‘কার পাস’ পাবে দুই দেশের পণ্যবাহী ট্রাক by জাহাঙ্গীর শাহ
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সহজ করতে পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে সীমান্ত অতিক্রম করতে ‘কার পাস’ দেওয়া হবে। এই পাস ব্যবহার করে উভয় দেশের সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে ২০০ মিটার পর্যন্ত ভেতরে প্রবেশ করে পণ্য ওঠানো-নামানো যাবে। তবে সীমান্ত অতিক্রম করার দিনই পণ্যবাহী ট্রাককে ফেরত যেতে হবে।
২১ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) কার্যক্রম শুরু হবে। বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি যৌথভাবে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। ইতিমধ্যে দুই দেশের কাস্টম কর্তৃপক্ষ এসওপি চূড়ান্ত করেছে।
প্রাথমিকভাবে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোলে এই সুবিধা চালু হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সবগুলো স্থলবন্দরে এই সুবিধা চালু করা হবে।
বাংলাদেশ ও ভারতের কাস্টম কর্তৃপক্ষ নিজ নিজ দেশের পণ্যবাহী ট্রাকের জন্য কার পাস দেবে। এই কার পাস দেওয়ার সময় ১৬ ধরনের তথ্য দিতে হবে। আর তথ্যগুলো কার পাসে সন্নিবেশিত থাকবে। এগুলো হলো: ট্রাকের নিবন্ধন নম্বর, নিবন্ধন সনদ, মালিকের নাম ও ঠিকানা, চালকের নাম ও ঠিকানা, চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও মেয়াদ, সহকারী থাকলে তার নাম, চালক ও সহকারীর ছবি, ট্রাকের নিবন্ধন সনদের নম্বর, ইঞ্জিন নম্বর/চেসিস নম্বর, পণ্যের বিবরণ, আমদানিকারকের নাম ও ঠিকানা, রপ্তানিকারকের নাম ও ঠিকানা, বহির্গমন ও পুনঃ আগমন সম্পর্কে দুই দেশের কাস্টম বিভাগের অনুমোদন ইত্যাদি।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টম বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করার জন্য ভারতীয় কাস্টম বিভাগই প্রথমে কার পাস দেবে। তবে ভারতীয় কাস্টম বিভাগ মূল কার পাসটি রেখে দেবে। আর একটি অনুলিপি ভারতীয় কাস্টম কর্তৃপক্ষ জমা রেখে দুটি অনুলিপি ট্রাকের চালকের কাছে দেবে। সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে পণ্যবাহী ট্রাকটি সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশ কাস্টম বিভাগের কাছে আরেকটি অনুলিপি জমা দেবে।
এরপর পণ্যবাহী ট্রাকটি চলে আসবে কাস্টম ইয়ার্ডে। বাংলাদেশের কাস্টমস কর্মকর্তারা কার পাসে দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে পণ্য নামানোর অনুমতি দেবেন এবং পুনরায় ট্রাকটি ভারতে ফেরত যেতে পারবে বলে অনুমোদন দেবেন।
তবে শর্ত দেওয়া আছে, কার পাস নিয়ে আসা ট্রাকটি পণ্য নামিয়ে একই দিনে ভারতে ফেরত যেতে হবে। তবে দুই পক্ষের অনুমতি নিয়ে ট্রাকের অবস্থান বাড়ানো যাবে।
পণ্য নামিয়ে একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সীমান্ত অতিক্রম করে ফের ভারতে প্রবেশ করবে ট্রাকটি। আর হাতে থাকা কার পাসের সর্বশেষ অনুলিপি জমা দিয়ে মূল কার পাসটি ফেরত নেবে চালক। এভাবে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
একইভাবে বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাকের কার পাস দেবে এ দেশের কাস্টম বিভাগ। বাংলাদেশি ট্রাকচালককেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।
কাস্টম বিভাগের কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে জানান, এত দিন ভারতীয় ট্রাক সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করত। কিন্তু এই ধরনের প্রক্রিয়ায় কোনো আন্তর্জাতিক আইনকানুনের চর্চা করা হতো না। শুধু দুই পক্ষের অনুমতি নিতে হতো। এর ফলে বহু আমদানিকারক মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পণ্য আনতেন।
ইতিমধ্যে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের এসওপি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কয়েক মাস আগে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে নেপালি ট্রাক বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করার অনুমিত দেওয়া হয়। আর বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভুটান এই সুবিধা পাচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোলে এই সুবিধা চালু হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সবগুলো স্থলবন্দরে এই সুবিধা চালু করা হবে।
বাংলাদেশ ও ভারতের কাস্টম কর্তৃপক্ষ নিজ নিজ দেশের পণ্যবাহী ট্রাকের জন্য কার পাস দেবে। এই কার পাস দেওয়ার সময় ১৬ ধরনের তথ্য দিতে হবে। আর তথ্যগুলো কার পাসে সন্নিবেশিত থাকবে। এগুলো হলো: ট্রাকের নিবন্ধন নম্বর, নিবন্ধন সনদ, মালিকের নাম ও ঠিকানা, চালকের নাম ও ঠিকানা, চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও মেয়াদ, সহকারী থাকলে তার নাম, চালক ও সহকারীর ছবি, ট্রাকের নিবন্ধন সনদের নম্বর, ইঞ্জিন নম্বর/চেসিস নম্বর, পণ্যের বিবরণ, আমদানিকারকের নাম ও ঠিকানা, রপ্তানিকারকের নাম ও ঠিকানা, বহির্গমন ও পুনঃ আগমন সম্পর্কে দুই দেশের কাস্টম বিভাগের অনুমোদন ইত্যাদি।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টম বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করার জন্য ভারতীয় কাস্টম বিভাগই প্রথমে কার পাস দেবে। তবে ভারতীয় কাস্টম বিভাগ মূল কার পাসটি রেখে দেবে। আর একটি অনুলিপি ভারতীয় কাস্টম কর্তৃপক্ষ জমা রেখে দুটি অনুলিপি ট্রাকের চালকের কাছে দেবে। সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে পণ্যবাহী ট্রাকটি সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশ কাস্টম বিভাগের কাছে আরেকটি অনুলিপি জমা দেবে।
এরপর পণ্যবাহী ট্রাকটি চলে আসবে কাস্টম ইয়ার্ডে। বাংলাদেশের কাস্টমস কর্মকর্তারা কার পাসে দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে পণ্য নামানোর অনুমতি দেবেন এবং পুনরায় ট্রাকটি ভারতে ফেরত যেতে পারবে বলে অনুমোদন দেবেন।
তবে শর্ত দেওয়া আছে, কার পাস নিয়ে আসা ট্রাকটি পণ্য নামিয়ে একই দিনে ভারতে ফেরত যেতে হবে। তবে দুই পক্ষের অনুমতি নিয়ে ট্রাকের অবস্থান বাড়ানো যাবে।
পণ্য নামিয়ে একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সীমান্ত অতিক্রম করে ফের ভারতে প্রবেশ করবে ট্রাকটি। আর হাতে থাকা কার পাসের সর্বশেষ অনুলিপি জমা দিয়ে মূল কার পাসটি ফেরত নেবে চালক। এভাবে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
একইভাবে বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাকের কার পাস দেবে এ দেশের কাস্টম বিভাগ। বাংলাদেশি ট্রাকচালককেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।
কাস্টম বিভাগের কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে জানান, এত দিন ভারতীয় ট্রাক সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করত। কিন্তু এই ধরনের প্রক্রিয়ায় কোনো আন্তর্জাতিক আইনকানুনের চর্চা করা হতো না। শুধু দুই পক্ষের অনুমতি নিতে হতো। এর ফলে বহু আমদানিকারক মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পণ্য আনতেন।
ইতিমধ্যে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের এসওপি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কয়েক মাস আগে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে নেপালি ট্রাক বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করার অনুমিত দেওয়া হয়। আর বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভুটান এই সুবিধা পাচ্ছে।
No comments