স্লুইসগেট বিধ্বস্ত-১২০০ একরে বোরো আবাদ নিয়ে অনিশ্চয়তা
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার চেল্লাখালী নদীর স্লুইসগেট পানির তোড়ে ভেসে গেছে। গত রোববার দুপুরে উজানের পানির প্রবল চাপে বিকট শব্দে গেটটি ভেঙে যায়। এতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে প্রায় এক হাজার ২০০ একর জমির বোরো আবাদ। গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, স্লুইসগেটের প্রায় ২০০ ফুট জায়গা বিধ্বস্ত হয়ে নদীতে মিশে গেছে। নদী উজানে পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে ৪০টির মতো সেচযন্ত্র। পানিশূন্য হয়ে পড়েছে নালাগুলো।
সেচকাজে ব্যবহারের জন্য আশির দশকে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) চেল্লাখালী নদীর সন্ন্যাসীভিটা গ্রামে নির্মাণ করে এই স্লুইস গেট। প্রতিবছর এটি সংস্কারের কথা থাকলেও বিগত তিন বছর সংস্কার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় লোকজন। ফলে গত বর্ষা মৌসুমে বন্যায় বিভিন্ন স্থানে সুড়ঙ্গের সৃষ্টি হয়। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে স্লুইসগেট কমিটির পক্ষ থেকে প্রায় ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে গেটটিতে বাঁধ দিয়ে উজানে পানি মজুদ করা হয়। কিন্তু সুড়ঙ্গ দিয়ে প্রবহমান পানির তোড়ে গত কয়েক দিনে মূল কাঠামোর নিচের মাটি সরে যায়। ফলে আকস্মিকভাবে রোববার বেলা দেড়টার দিকে গেটের প্রায় ২০০ ফুট জায়গা বিধ্বস্ত হয়ে নদীতে মিশে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্লুইসগেটের পানির ওপর নির্ভরশীল রাজনগর, নন্নী ও বাঘবেড় ইউনিয়নের আট শতাধিক কৃষক পুরোদমে বোরো আবাদে মাঠে নেমেছেন। স্লুইসগেটটি বিধ্বস্ত হওয়ায় অনিশ্চয়তায় পড়েছে তাঁদের এক হাজার ২০০ একর জমি। স্থানীয় কৃষক মো. আমান উল্লাহ বলেন, গত তিন বছরে স্লুইসগেট সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
স্লুইসগেট পরিচালনা কমিটির সভাপতি আহাজ উদ্দিন বলেন, গেটে বাঁধ দেওয়ার জন্য মোটা কাঠের স্লাব ছিল। এগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার পরও পাউবো আর দেয়নি। তাঁরা সবাই মিলে প্রায় ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে কয়েক দিন আগে বাঁশ, খড়কুটা আর মাটি দিয়ে গেটটিতে বাঁধ দেন। হঠাৎ পানির চাপে গেটটি ভেঙে যায়।
নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ প্রথম আলোকে বলেন, দ্রুত সেচের ব্যবস্থা করতে না পারলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এখানকার কৃষক। একটু উজানে নদীর সরু অংশে দ্রুত মাটির বাঁধ দিতে পারলে কিছু জমি সেচের আওতায় আনা সম্ভব। শেরপুর-জামালপুর অঞ্চলের পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী নিজামুল হক ভুঁইয়া বলেন, সেচকাজের জন্য বিকল্প কী করা যায়, সে ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্লুইসগেটের পানির ওপর নির্ভরশীল রাজনগর, নন্নী ও বাঘবেড় ইউনিয়নের আট শতাধিক কৃষক পুরোদমে বোরো আবাদে মাঠে নেমেছেন। স্লুইসগেটটি বিধ্বস্ত হওয়ায় অনিশ্চয়তায় পড়েছে তাঁদের এক হাজার ২০০ একর জমি। স্থানীয় কৃষক মো. আমান উল্লাহ বলেন, গত তিন বছরে স্লুইসগেট সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
স্লুইসগেট পরিচালনা কমিটির সভাপতি আহাজ উদ্দিন বলেন, গেটে বাঁধ দেওয়ার জন্য মোটা কাঠের স্লাব ছিল। এগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার পরও পাউবো আর দেয়নি। তাঁরা সবাই মিলে প্রায় ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে কয়েক দিন আগে বাঁশ, খড়কুটা আর মাটি দিয়ে গেটটিতে বাঁধ দেন। হঠাৎ পানির চাপে গেটটি ভেঙে যায়।
নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ প্রথম আলোকে বলেন, দ্রুত সেচের ব্যবস্থা করতে না পারলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এখানকার কৃষক। একটু উজানে নদীর সরু অংশে দ্রুত মাটির বাঁধ দিতে পারলে কিছু জমি সেচের আওতায় আনা সম্ভব। শেরপুর-জামালপুর অঞ্চলের পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী নিজামুল হক ভুঁইয়া বলেন, সেচকাজের জন্য বিকল্প কী করা যায়, সে ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
No comments