বিপাশার ভ্রমি বিস্ময়ে by কামরুজ্জামান মিলু
প্রদর্শনীর কাজগুলো দেখে সত্যিই আমি আনন্দিত। তার চিত্রকর্মগুলো দেখে তাকে একজন পূর্ণাঙ্গ শিল্পী মনে হয়েছে। সে আমার চারুকলার প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল। ছাত্রী হিসেবে নয়, শিল্পী হিসেবে সে খুব দক্ষতার সঙ্গে দুই মিডিয়ায়ই সমান তালে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সে অনেক পরিশ্রমী এবং গুণী শিল্পী। আমি আশা করব, বিপাশা নিয়মিত প্রদর্শনী করবে'_অভিনেত্রী বিপাশা হায়াতের একক চিত্রকর্ম প্রদর্শনী সম্পর্কে এভাবেই বললেন শিল্পী শিশির ভট্টাচার্য।
বেঙ্গল গ্যালারি অব ফাইন আর্টস শিল্পী বিপাশা হায়াতের চিত্রকর্ম নিয়ে আয়োজন করেছে 'ভ্রমি বিস্ময়ে' শীর্ষক ১০ দিনব্যাপী একক চিত্রকলা প্রদর্শনী। ২৫ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় ধানমণ্ডির বেঙ্গল শিল্পালয়ে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শিল্পীর বাবা নাট্যব্যক্তিত্ব আবুল হায়াত। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেণ্য শিল্পী রফিকুন নবী এবং শিল্পী-সমালোচক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। প্রদর্শনীতে মোট চিত্রকর্মের সংখ্যা ৬৮টি।
বিপাশা হায়াত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে ১৯৯৮ সালে এমএফএ ডিগ্রি লাভ করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত প্রদর্শনীসহ বহু দলবদ্ধ প্রদর্শনীতে তিনি অংশ নিয়েছেন। বিপাশা বলেন, 'আমার বাবা প্রথম আমার হাতে রং-তুলি তুলে দিয়েছিলেন। এ জন্য আমি বাবা এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞ। এরপর চারুকলার প্রথম ও শেষ বর্ষ_দুই জায়গায়ই শিশির স্যারকে পেয়েছিলাম। আমার শেখার শুরু এবং শেষটা ছিলেন তিনি। আমি যতটুকু শিখেছি, সেটুকু থেকে আমার চেষ্টা ও সততা দিয়ে এই একক প্রদর্শনীটি সফলভাবে করার চেষ্টা করেছি। চারুকলা থেকে পাস করার পর আমি অনেক দলবদ্ধ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করি। তারপর সুবীরদা এবং আবুল খায়েরের অনুপ্রেরণায় এবারকার আমার এই একক চিত্রকলা প্রদর্শনী। একটা সময় আমি ফিগার (মানুষ) বিষয়ক চিত্রপ্রদর্শনীর কাজ করেছি। মানুষের জীবন অনেক বিচিত্র ও রহস্যময়। ছবি আঁকতে এসে মনে হলো, মানুষের মনের সৌন্দর্যগুলোকে ছবির মাধ্যমে প্রদর্শন করা সম্ভব। আর সেখানে শুধু রং-তুলি দ্বারা বিজয়ের আনন্দের ছবি নয়, যুদ্ধ-বিষাদসহ বিভিন্ন ধরনের চিত্র আঁকা সম্ভব। আমি আমার চিত্রকর্মে তা-ই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমার জন্ম ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমার মনোজগতে অত্যন্ত শক্তিশালীভাবে উপস্থিত। আমার শিল্পকর্মের মাধ্যমে আমি অরূপ বা অদৃশ্য রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। অনেক শিল্পকর্মে লাল রং ব্যবহার করেছি। লাল রংটা আমি শক্তি হিসেবে দেখিয়েছি। রঙের ব্যবহারের ক্ষেত্রে কত কম রঙের ভেতর একটি সুন্দর চিত্র আঁকতে পারি, সেই চেষ্টা করেছি। আমার বড় শিক্ষক প্রকৃতি। প্রকৃতিকে অনুসরণ করেছি, প্রকৃতির মধ্যেই বিভিন্ন ধরনের ফ্রেম লুক্কায়িত। আমাদের মনে অনেক দাগ রয়েছে, যা আমরা লালন করি বা পুষে রাখি। সেগুলোকে আমি আমার রং-তুলির মাধ্যমে (ভার্টিকাল ফর্মে) এঁকেছি।'
তাঁর চিত্রকর্মে রঙের ব্যবহার ঘটে স্তরে স্তরে, যা শেষ পর্যন্ত রঙের টেঙ্চার হিসেবে আবির্ভূত হয়। তবে তাঁর প্রতিটি কাজই একেকটি ভিন্ন ভাবকে কেন্দ্র করে আবর্তিত ভিন্ন ভিন্ন বোধকে প্রতিফলিত করে। সেদিক থেকে তাঁর প্রদর্শনীর নামকরণ 'ভ্রমি বিস্ময়ে'। দর্শকরা প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই প্রদর্শনী উপভোগ করতে পারবেন ৩ নভেম্বর পর্যন্ত।
বিপাশা হায়াত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে ১৯৯৮ সালে এমএফএ ডিগ্রি লাভ করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত প্রদর্শনীসহ বহু দলবদ্ধ প্রদর্শনীতে তিনি অংশ নিয়েছেন। বিপাশা বলেন, 'আমার বাবা প্রথম আমার হাতে রং-তুলি তুলে দিয়েছিলেন। এ জন্য আমি বাবা এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞ। এরপর চারুকলার প্রথম ও শেষ বর্ষ_দুই জায়গায়ই শিশির স্যারকে পেয়েছিলাম। আমার শেখার শুরু এবং শেষটা ছিলেন তিনি। আমি যতটুকু শিখেছি, সেটুকু থেকে আমার চেষ্টা ও সততা দিয়ে এই একক প্রদর্শনীটি সফলভাবে করার চেষ্টা করেছি। চারুকলা থেকে পাস করার পর আমি অনেক দলবদ্ধ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করি। তারপর সুবীরদা এবং আবুল খায়েরের অনুপ্রেরণায় এবারকার আমার এই একক চিত্রকলা প্রদর্শনী। একটা সময় আমি ফিগার (মানুষ) বিষয়ক চিত্রপ্রদর্শনীর কাজ করেছি। মানুষের জীবন অনেক বিচিত্র ও রহস্যময়। ছবি আঁকতে এসে মনে হলো, মানুষের মনের সৌন্দর্যগুলোকে ছবির মাধ্যমে প্রদর্শন করা সম্ভব। আর সেখানে শুধু রং-তুলি দ্বারা বিজয়ের আনন্দের ছবি নয়, যুদ্ধ-বিষাদসহ বিভিন্ন ধরনের চিত্র আঁকা সম্ভব। আমি আমার চিত্রকর্মে তা-ই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমার জন্ম ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমার মনোজগতে অত্যন্ত শক্তিশালীভাবে উপস্থিত। আমার শিল্পকর্মের মাধ্যমে আমি অরূপ বা অদৃশ্য রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। অনেক শিল্পকর্মে লাল রং ব্যবহার করেছি। লাল রংটা আমি শক্তি হিসেবে দেখিয়েছি। রঙের ব্যবহারের ক্ষেত্রে কত কম রঙের ভেতর একটি সুন্দর চিত্র আঁকতে পারি, সেই চেষ্টা করেছি। আমার বড় শিক্ষক প্রকৃতি। প্রকৃতিকে অনুসরণ করেছি, প্রকৃতির মধ্যেই বিভিন্ন ধরনের ফ্রেম লুক্কায়িত। আমাদের মনে অনেক দাগ রয়েছে, যা আমরা লালন করি বা পুষে রাখি। সেগুলোকে আমি আমার রং-তুলির মাধ্যমে (ভার্টিকাল ফর্মে) এঁকেছি।'
তাঁর চিত্রকর্মে রঙের ব্যবহার ঘটে স্তরে স্তরে, যা শেষ পর্যন্ত রঙের টেঙ্চার হিসেবে আবির্ভূত হয়। তবে তাঁর প্রতিটি কাজই একেকটি ভিন্ন ভাবকে কেন্দ্র করে আবর্তিত ভিন্ন ভিন্ন বোধকে প্রতিফলিত করে। সেদিক থেকে তাঁর প্রদর্শনীর নামকরণ 'ভ্রমি বিস্ময়ে'। দর্শকরা প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই প্রদর্শনী উপভোগ করতে পারবেন ৩ নভেম্বর পর্যন্ত।
No comments