পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও অর্থনীতি-সদিচ্ছার অভাবে কাঙ্ক্ষিত ফল নেই
পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অবহেলা ও সদিচ্ছার অভাব দেশকে পিছিয়ে দিচ্ছে। পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে, চালাচালি হচ্ছে একাধিক চিঠি, কিন্তু শেষ সময়ে গিয়ে তা আলোর মুখ দেখছে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এসব পরিকল্পনা থেকে যাচ্ছে ফাইলবন্দি। এতে ব্যাহত হচ্ছে দেশের উন্নয়ন। জননিরাপত্তার বিষয়টিও থেকে যায় প্রশ্নবিদ্ধ। অন্যদিকে অর্থনীতিতে বাড়ছে ঝুঁকি।
বিশ্ব অর্থনীতির প্রভাব মোকাবিলার কোনো নীতি ও কৌশল নির্ধারণ করতে না পারার কারণে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জন নিয়েও আশঙ্কা থেকে যায়। এসবের পাশাপাশি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অদূরদর্শিতা ও কালক্ষেপণের কারণেও অনেক সময় গচ্চা দিতে হচ্ছে সরকারকে। সব মিলিয়ে অবস্থাটা দেশের জন্য সুখকর নয়।
কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে দেখা যাচ্ছে, জনস্বার্থে অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে বিভিন্ন মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। এসব পরিকল্পনা আলোর মুখ দেখেনি বলেই দেশের বিভিন্ন এলাকার জলাবদ্ধতা দূর করা যাচ্ছে না, মানুষের দুর্গতি কমছে না, দেশের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা যাচ্ছে না। রোধ করা যাচ্ছে না নৌ-দুর্ঘটনা। জঙ্গিবাদ নির্মূলে আশাব্যঞ্জক কোনো অর্জন নেই, গঠন করা হয়নি কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, প্রণীত হয়নি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও এনজিও আইন। ঢাকার পূর্বাঞ্চলের বাঁধ এখনো স্বপ্ন।
ঢাকার জলাবদ্ধতা দূর করতে যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, তা এখন কারো কল্পনায় আছে কি না তা জানতে হলে বোধ হয় গবেষণা করতে হবে। ভূমিকম্প ও ভবনধসসহ পাহাড়ধসের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় দেশের সামর্থ্য বাড়াতে অনেক সুপারিশ করা হয়েছিল। কোনো সুপারিশই আলোর মুখ দেখেনি। আলোর মুখ না দেখার মূল কারণ যে সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাব, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এমনিতেই আমাদের দেশের আর্থিক দৈন্যের বিষয়টি সবারই জানা। যেকোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তাকিয়ে থাকতে হয় বিদেশি অর্থায়নের দিকে। অন্যদিকে রয়েছে নানা অনিয়ম ও জটিলতা। আবার বিদেশি অর্থ ছাড়ে দীর্ঘসূত্রতার কারণেও অনেক সময় অনেক পরিকল্পনা আলোর মুখ দেখে না। এর পাশাপাশি রাজনৈতিক ঈর্ষার ব্যাপারটি তো আছেই।
এক সরকারের গ্রহণ করা পরিকল্পনা আরেক সরকারের আমলে বাস্তবায়িত না হওয়ার উদাহরণও কম নেই। এসব কারণেই জঙ্গিবাদ নির্মূলে নেওয়া প্যাকেজের অধিকাংশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের অপেক্ষায়। যেমন অপেক্ষায় আছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন। ঢাকার পূর্বাঞ্চলে একটি বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও বাইপাস করার কথা থাকলেও সেটা হয়নি। দূর করা যায়নি রাজধানী ঢাকার জলাবদ্ধতা। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিবছর দেশের পাঁচ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হলেও গত ১৫ বছরে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা পরিষদ ২০টি বৈঠক করে ২৩টি সিদ্ধান্ত নিলেও ২০টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়নি। পাহাড়ধস বা ভূমিকম্প ও ভবনধস রোধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা কতটুকু, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না।
এসবের পাশাপাশি দেশের জন্য আশঙ্কার কারণ হচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি। একটি মন্দা কাটিয়ে আসা বিশ্ব অর্থনীতিতে আরেকটি মন্দা দেখা দিলে বাংলাদেশ কি তা সামাল দিতে পারবে? বাংলাদেশের প্রস্তুতি কতটুকু, এসব প্রশ্নের উত্তর নেই। কোনোভাবেই রোধ করা যাচ্ছে না মূল্যস্ফীতি। সেপ্টেম্বর মাসেই মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ শতাংশ, যা গত এক যুগের সর্বোচ্চ। বেড়ে গেছে ভর্তুকি ঋণ। একদিকে আর্থিক খাতের দুর্বলতা, অন্যদিকে বৈদেশিক রেমিট্যান্সের প্রবাহ নিম্নমুখী। সব মিলিয়ে বেড়েছে অনিশ্চয়তা। এ বাস্তবতায় বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছর কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনে ব্যর্থ হবে বাংলাদেশ।
তেমনটি হলে আমাদের প্রস্তুতির দিকটি ভেবে দেখতে হবে। সবকিছু পরিকল্পনার মধ্যে থেকে গেলে সে পরিকল্পনা আমাদের কোনো কাজে আসবে না। দুর্বল লোকবলও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অন্তরায়। বাস্তবে আমাদের প্রয়োজন পরিকল্পনার বাস্তবায়ন। সেটা করতে হলে দূর করতে হবে সব বাধা।
কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে দেখা যাচ্ছে, জনস্বার্থে অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে বিভিন্ন মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। এসব পরিকল্পনা আলোর মুখ দেখেনি বলেই দেশের বিভিন্ন এলাকার জলাবদ্ধতা দূর করা যাচ্ছে না, মানুষের দুর্গতি কমছে না, দেশের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা যাচ্ছে না। রোধ করা যাচ্ছে না নৌ-দুর্ঘটনা। জঙ্গিবাদ নির্মূলে আশাব্যঞ্জক কোনো অর্জন নেই, গঠন করা হয়নি কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, প্রণীত হয়নি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও এনজিও আইন। ঢাকার পূর্বাঞ্চলের বাঁধ এখনো স্বপ্ন।
ঢাকার জলাবদ্ধতা দূর করতে যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, তা এখন কারো কল্পনায় আছে কি না তা জানতে হলে বোধ হয় গবেষণা করতে হবে। ভূমিকম্প ও ভবনধসসহ পাহাড়ধসের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় দেশের সামর্থ্য বাড়াতে অনেক সুপারিশ করা হয়েছিল। কোনো সুপারিশই আলোর মুখ দেখেনি। আলোর মুখ না দেখার মূল কারণ যে সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাব, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এমনিতেই আমাদের দেশের আর্থিক দৈন্যের বিষয়টি সবারই জানা। যেকোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তাকিয়ে থাকতে হয় বিদেশি অর্থায়নের দিকে। অন্যদিকে রয়েছে নানা অনিয়ম ও জটিলতা। আবার বিদেশি অর্থ ছাড়ে দীর্ঘসূত্রতার কারণেও অনেক সময় অনেক পরিকল্পনা আলোর মুখ দেখে না। এর পাশাপাশি রাজনৈতিক ঈর্ষার ব্যাপারটি তো আছেই।
এক সরকারের গ্রহণ করা পরিকল্পনা আরেক সরকারের আমলে বাস্তবায়িত না হওয়ার উদাহরণও কম নেই। এসব কারণেই জঙ্গিবাদ নির্মূলে নেওয়া প্যাকেজের অধিকাংশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের অপেক্ষায়। যেমন অপেক্ষায় আছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন। ঢাকার পূর্বাঞ্চলে একটি বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও বাইপাস করার কথা থাকলেও সেটা হয়নি। দূর করা যায়নি রাজধানী ঢাকার জলাবদ্ধতা। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিবছর দেশের পাঁচ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হলেও গত ১৫ বছরে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা পরিষদ ২০টি বৈঠক করে ২৩টি সিদ্ধান্ত নিলেও ২০টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়নি। পাহাড়ধস বা ভূমিকম্প ও ভবনধস রোধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা কতটুকু, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না।
এসবের পাশাপাশি দেশের জন্য আশঙ্কার কারণ হচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি। একটি মন্দা কাটিয়ে আসা বিশ্ব অর্থনীতিতে আরেকটি মন্দা দেখা দিলে বাংলাদেশ কি তা সামাল দিতে পারবে? বাংলাদেশের প্রস্তুতি কতটুকু, এসব প্রশ্নের উত্তর নেই। কোনোভাবেই রোধ করা যাচ্ছে না মূল্যস্ফীতি। সেপ্টেম্বর মাসেই মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ শতাংশ, যা গত এক যুগের সর্বোচ্চ। বেড়ে গেছে ভর্তুকি ঋণ। একদিকে আর্থিক খাতের দুর্বলতা, অন্যদিকে বৈদেশিক রেমিট্যান্সের প্রবাহ নিম্নমুখী। সব মিলিয়ে বেড়েছে অনিশ্চয়তা। এ বাস্তবতায় বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছর কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনে ব্যর্থ হবে বাংলাদেশ।
তেমনটি হলে আমাদের প্রস্তুতির দিকটি ভেবে দেখতে হবে। সবকিছু পরিকল্পনার মধ্যে থেকে গেলে সে পরিকল্পনা আমাদের কোনো কাজে আসবে না। দুর্বল লোকবলও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অন্তরায়। বাস্তবে আমাদের প্রয়োজন পরিকল্পনার বাস্তবায়ন। সেটা করতে হলে দূর করতে হবে সব বাধা।
No comments