প্রতিনিধি যাবেন আদালতে-গিলানির আদালত অবমাননার রুলের বিরুদ্ধে আবেদন
পাকিস্তানে আদালত অবমাননার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিকে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেছেন এক আইনজীবী। সুপ্রিম কোর্টের লাহোর রেজিস্ট্রিতে গতকাল এ আবেদন করা হয়।
আদালতের নির্দেশমতো প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা পুনরায় চালু করতে ব্যবস্থা না নেওয়ায় গত সোমবার গিলানিকে নোটিশ দেন সুপ্রিম কোর্ট।
আদালতের নির্দেশমতো প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা পুনরায় চালু করতে ব্যবস্থা না নেওয়ায় গত সোমবার গিলানিকে নোটিশ দেন সুপ্রিম কোর্ট।
তাঁকে কাল বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের ওই নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা আবেদনে আইনজীবী জাফরউল্লাহ দাবি করেন, সংবিধানের ২৪৮-১ ধারা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীও প্রেসিডেন্টের মতো দায়মুক্তি ভোগ করেন।
জাফরউল্লাহ বলেন, জারদারির বিরুদ্ধে মামলা পুনরায় চালু করতে সুইজারল্যান্ড কর্তৃপক্ষকে চিঠি লেখা প্রধানমন্ত্রীর কাজ নয়। কাজেই প্রধানমন্ত্রীকে তলব করার আগে আদালতের উচিত, আইনমন্ত্রী ও আইনসচিবকে তলব করা।
প্রধানমন্ত্রী গিলানি সোমবার পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে উতরে যাওয়ার পর বলেছিলেন, তিনি আদালতকে সম্মান করেন এবং নির্ধারিত দিনে আদালতে হাজির হবেন। তবে গতকাল জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে বৃহস্পতিবার আদালতে যাবেন তাঁর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা আইতজাজ এহসান। গতকাল তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি চূড়ান্ত করেছেন। যদিও আদালত প্রধানমন্ত্রী গিলানিকে সশরীরে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ গতকাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই আদালতে হাজির হওয়া এবং আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়ন করা উচিত। তিনি আরও বলেন, বিদেশে সম্পদের বিষয়টি প্রেসিডেন্ট জারদারিকে গ্রহণযোগ্যভাবে ব্যাখা করা উচিত। আর তা না পারলে তাঁর উচিত, বিদেশ থেকে অর্থ দেশে ফেরত আনা।
এদিকে, পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক গতকাল বলেছেন, তিনি আশাবাদী সরকার তার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবে। এনডিটিভিকে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের কোনো প্রশ্ন নেই।’
সামরিক অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে রেহমান মালিক বলেন, ‘পাকিস্তানে সেনাবাহিনী ও বেসামরিক সরকারের মধ্যকার দ্বন্দ্ব দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ পর্বের অংশ ছিল।’ এএফপি, দ্য ডন, এনডিটিভি।
জাফরউল্লাহ বলেন, জারদারির বিরুদ্ধে মামলা পুনরায় চালু করতে সুইজারল্যান্ড কর্তৃপক্ষকে চিঠি লেখা প্রধানমন্ত্রীর কাজ নয়। কাজেই প্রধানমন্ত্রীকে তলব করার আগে আদালতের উচিত, আইনমন্ত্রী ও আইনসচিবকে তলব করা।
প্রধানমন্ত্রী গিলানি সোমবার পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে উতরে যাওয়ার পর বলেছিলেন, তিনি আদালতকে সম্মান করেন এবং নির্ধারিত দিনে আদালতে হাজির হবেন। তবে গতকাল জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে বৃহস্পতিবার আদালতে যাবেন তাঁর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা আইতজাজ এহসান। গতকাল তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি চূড়ান্ত করেছেন। যদিও আদালত প্রধানমন্ত্রী গিলানিকে সশরীরে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ গতকাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই আদালতে হাজির হওয়া এবং আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়ন করা উচিত। তিনি আরও বলেন, বিদেশে সম্পদের বিষয়টি প্রেসিডেন্ট জারদারিকে গ্রহণযোগ্যভাবে ব্যাখা করা উচিত। আর তা না পারলে তাঁর উচিত, বিদেশ থেকে অর্থ দেশে ফেরত আনা।
এদিকে, পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক গতকাল বলেছেন, তিনি আশাবাদী সরকার তার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবে। এনডিটিভিকে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের কোনো প্রশ্ন নেই।’
সামরিক অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে রেহমান মালিক বলেন, ‘পাকিস্তানে সেনাবাহিনী ও বেসামরিক সরকারের মধ্যকার দ্বন্দ্ব দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ পর্বের অংশ ছিল।’ এএফপি, দ্য ডন, এনডিটিভি।
No comments