প্রতিটি বিভাগে অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের প্রস্তাব
দেশের প্রতিটি বিভাগে অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হবে। তবে যেখানে শিল্পায়নের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা আছে, সেখানে হবে একাধিক অঞ্চল। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এক বছরের মধ্যে দুই-তিনটির অবকাঠামো নির্মাণ শুরু হবে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক জোন কর্তৃপক্ষ (বেজা) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল মঙ্গলবার এসব কথা জানানো হয়।
রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, সদস্য কাজী আক্তার উদ্দিন আহমেদ, ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) কর্মসূচির পরিচালক মার্টিন নরম্যান, বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি জি এম খোরশেদ প্রমুখ।
এর আগে অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিধিমালা খসড়া চূড়ান্ত করতে একটি আন্তমন্ত্রণালয় পরামর্শক সভা অনুষ্ঠিত হয়। যৌথভাবে সভাটির আয়োজন করে বেজা ও আইএফসি। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. ওয়াহিদ-উজ-জামান। এতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বেসরকারি খাত ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, খসড়া বিধিমালায় বেসরকারি খাতে অর্থনৈতিক অঞ্চলের মালিকানা প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার সুযোগ দেওয়া হবে। একই সঙ্গে এ অঞ্চলের অবকাঠামো নির্মাণ ও যাবতীয় সেবা দেওয়ার বিষয়গুলো পৃথক ব্যবসা হিসেবে প্রতিষ্ঠার সুযোগ দেওয়া হবে।
অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সুবিধার জন্য ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ বিভাগ থাকবে। এখান থেকেই ব্যবসায়ীরা পরিবেশ ছাড়পত্র, কাস্টমসের ছাড়পত্র নেওয়াসহ অন্যান্য সেবা নিতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে বিভিন্ন জেলায় জরিপ হয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলার ২০টি জায়গার তালিকা করা হয়েছে। ছয় মাসের মধ্যে দুই-তিনটি অঞ্চলের জায়গা নির্ধারণ করা হবে। আগামী এক বছরের মধ্যে অবকাঠামো নির্মাণে ডেভেলপার নিয়োগ করা হবে।
চট্টগ্রামের মিরসরাই, যমুনা সেতুর অপর পারে সিরাজগঞ্জ এবং পদ্মার দক্ষিণ-পশ্চিম পারে জাজিরা এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তিনটি অর্থনৈতিক অঞ্চল হতে পারে বলেও এতে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হলে প্রায় ১৫ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে। তখন দেশে প্রতিবছর ২৫০ কোটি ডলার নতুন বিনিয়োগের সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, সরকার অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। তাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিধিমালা চূড়ান্ত হওয়ার আগেই কাজ শুরু হয়ে গেছে। এক মাসের মধ্যে বিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত করে অনুমোদনের জন্য পরিচালনা পর্ষদে উপস্থাপন করা হবে।
মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে কৃষিজমি নেওয়া হবে না। সরকারের খাসজমি নির্বাচন করে আমরা এগিয়ে যাব। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হতে পারে।’
আইএফসির মার্টিন নরম্যান বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলে শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে কঠোর বিধিমালা করা হয়েছে। তবে এসব অঞ্চলে যেখানে-সেখানে ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ রাখা হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিশ্বব্যাংক অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য বেসরকারি খাত উন্নয়ন ও সমর্থন কর্মসূচির (পিএসডিএসপি) অধীনে ১২ কোটি ডলারের একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। ইউকে এইড এ তহবিলের অংশীদার। এ ছাড়া অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় বেজা ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে বিআইসিএফ কাজ করছে। অবকাঠামো উন্নয়নে আরও কাজ করবে আইএফসি।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের আগস্টে সরকার অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন পাস করে। পরে নভেম্বরে নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং পরিচালনা ও তদারকি করতে বেজা প্রতিষ্ঠা করা হয়।
এর আগে অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিধিমালা খসড়া চূড়ান্ত করতে একটি আন্তমন্ত্রণালয় পরামর্শক সভা অনুষ্ঠিত হয়। যৌথভাবে সভাটির আয়োজন করে বেজা ও আইএফসি। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. ওয়াহিদ-উজ-জামান। এতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বেসরকারি খাত ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, খসড়া বিধিমালায় বেসরকারি খাতে অর্থনৈতিক অঞ্চলের মালিকানা প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার সুযোগ দেওয়া হবে। একই সঙ্গে এ অঞ্চলের অবকাঠামো নির্মাণ ও যাবতীয় সেবা দেওয়ার বিষয়গুলো পৃথক ব্যবসা হিসেবে প্রতিষ্ঠার সুযোগ দেওয়া হবে।
অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সুবিধার জন্য ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ বিভাগ থাকবে। এখান থেকেই ব্যবসায়ীরা পরিবেশ ছাড়পত্র, কাস্টমসের ছাড়পত্র নেওয়াসহ অন্যান্য সেবা নিতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে বিভিন্ন জেলায় জরিপ হয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলার ২০টি জায়গার তালিকা করা হয়েছে। ছয় মাসের মধ্যে দুই-তিনটি অঞ্চলের জায়গা নির্ধারণ করা হবে। আগামী এক বছরের মধ্যে অবকাঠামো নির্মাণে ডেভেলপার নিয়োগ করা হবে।
চট্টগ্রামের মিরসরাই, যমুনা সেতুর অপর পারে সিরাজগঞ্জ এবং পদ্মার দক্ষিণ-পশ্চিম পারে জাজিরা এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তিনটি অর্থনৈতিক অঞ্চল হতে পারে বলেও এতে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হলে প্রায় ১৫ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে। তখন দেশে প্রতিবছর ২৫০ কোটি ডলার নতুন বিনিয়োগের সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, সরকার অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। তাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিধিমালা চূড়ান্ত হওয়ার আগেই কাজ শুরু হয়ে গেছে। এক মাসের মধ্যে বিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত করে অনুমোদনের জন্য পরিচালনা পর্ষদে উপস্থাপন করা হবে।
মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে কৃষিজমি নেওয়া হবে না। সরকারের খাসজমি নির্বাচন করে আমরা এগিয়ে যাব। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হতে পারে।’
আইএফসির মার্টিন নরম্যান বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলে শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে কঠোর বিধিমালা করা হয়েছে। তবে এসব অঞ্চলে যেখানে-সেখানে ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ রাখা হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিশ্বব্যাংক অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য বেসরকারি খাত উন্নয়ন ও সমর্থন কর্মসূচির (পিএসডিএসপি) অধীনে ১২ কোটি ডলারের একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। ইউকে এইড এ তহবিলের অংশীদার। এ ছাড়া অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় বেজা ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে বিআইসিএফ কাজ করছে। অবকাঠামো উন্নয়নে আরও কাজ করবে আইএফসি।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের আগস্টে সরকার অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন পাস করে। পরে নভেম্বরে নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং পরিচালনা ও তদারকি করতে বেজা প্রতিষ্ঠা করা হয়।
No comments