আরো যাঁরা ছবি আঁকেন by পৃথ্বী সাহা বাপ্পা
নাট্যজগতের অনেকেই চিত্রশিল্পী হবার বাসনা নিয়ে চারুকলায় পড়াশোনা করেছেন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন অভিনেতা ও নির্মাতা আফজাল হোসেন, কেরামত মওলা, অনিমেষ আইচ, শাহ্নেওয়াজ কাকলী, মেজবাউর রহমান সুমন, মাসুদ হাসান উজ্জ্বল, অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, প্রাণ রায়, সাজু খাদেম, রাহুল আনন্দ প্রমুখ। কিন্তু চারুকলায় পড়াশোনা শেষ করে অভিনয় অথবা অন্য কোনো মাধ্যমকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার কারণে আঁকাআঁকির সময়টা ঠিক হয়ে ওঠে না।
নিজের বর্তমান অবস্থা নিয়ে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, 'চারুকলায় পড়াশোনার উদ্দেশ্যই হচ্ছে চিত্রশিল্পী হব। কিন্তু আমাদের দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে চিত্রশিল্পী হওয়া যে কত কষ্টের সেটা বলে বোঝানো যাবে না। মাস্টার্স শেষ করার পরই আমাকে রোজগারের জন্য অভিনয়কে পেশা হিসেবে বেছে নিতে হয়েছে। তাই ছবি আঁকার সময় হয়নি। তবে অভিনয় নিজেই একটা স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং শক্তিশালী মাধ্যম হওয়ায় এটা নিয়েও আমি খুশি। কেননা ছোটবেলা থেকে গান, অভিনয় এবং ছবি আঁকা_এ তিনটি বিষয়ে ভীষণ আগ্রহী ছিলাম। তবে সামনের বছর থেকে মাসের প্রতিটি দিন অভিনয় না করে নিজের জন্য সময় বের করার ইচ্ছা আছে। তখন আবার ছবি আঁকা শুরু করব। ছাত্রজীবনের বেশ কিছু শিল্পকর্মও জমে আছে। নতুন এবং পুরনোগুলো মিলিয়ে একটি প্রদর্শনীরও ইচ্ছা আছে।'
আগামী বছর প্রদর্শনীর পরিকল্পনা জানালেন প্রাণ রায়ও। অবশ্য এ পর্যন্ত ১০টির বেশি যৌথ প্রদর্শনীতে তাঁর অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। প্রাণের স্ত্রী নির্মাতা শাহ্নেওয়াজ কাকলীও চিত্রশিল্পী। তাঁর চিত্রকর্ম নিয়েও বেশ কিছু প্রদর্শনী হয়েছে। প্রাণ রায় জানালেন, 'ব্যস্ততার কারণে অনেক দিন ধরেই ছবি আঁকা হচ্ছে না। কয়েক মাস আগেও ছবি আঁকার উদ্দেশ্যে রং-তুলি কিনেছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর সময় করে উঠতে পারলাম না। তবে শিগগিরই আঁকতে বসব। সামনের বছর আমার আর কাকলীর চিত্রকর্ম নিয়ে একটা দ্বৈত প্রদর্শনীর ইচ্ছা আছে।' কিছুদিন হলো বিয়ে করেছেন নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। ছবি আঁকা থেকে তিনি একরকম দূরেই ছিলেন। কিন্তু স্ত্রী অপি করিমের দৃঢ়তায় নতুন করে ছবি আঁকায় মনযোগ দিয়েছেন তিনি। অভিনেতা সাজু খাদেম এখনো সময় পেলে ছবি আঁকেন। তবে সময়ের স্বল্পতার কারণে ছবির সংখ্যাও তাঁর স্বল্পই রয়ে গেছে।
No comments