অস্থিরতায় লেনদেন বন্ধ
শেয়ারবাজারের অস্থিরতায় আবার বন্ধ হলো লেনদেন। গতকাল মঙ্গলবার দুই স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদ লেনদেন বন্ধ করে দেয়। লেনদেন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে পরে বিষয়টি বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (এসইসি) অবহিত করা হয়।
কালোটাকা বিনিয়োগ নিয়ে কয়েক দিন ধরে বাজারে দরপতন চলছিল। আর গত সোমবার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শেয়ারে বিনিয়োগ নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আতঙ্ক ছড়ালে গতকাল লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এর আগে গত বছরের জানুয়ারি মাসে দরপতন ঠেকাতে কয়েক দফায় লেনদেন বন্ধ রাখা হয়েছিল। সে সময় এসইসির নির্দেশে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ লেনদেন বন্ধ রাখে। আর এবার প্রাথমিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে নিজেদের ক্ষমতাবলে লেনদেন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় দুই স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। ১৯৯৬ সালে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির ঘটনায় একবার ডিএসই কর্তৃপক্ষ নিজেদের উদ্যোগে লেনদেন বন্ধ করেছিল। এরপর লেনদেন বন্ধ করা হলো গতকাল।
অবশ্য গতকাল চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রায় দুই মিনিট লেনদেন হয়েছে। পরে সিএসই কর্তৃপক্ষ লেনদেন বন্ধের ঘোষণা দেয়।
বাজারে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি এবং সরকারের নেওয়া নানা সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক বিক্ষোভ করেছেন। বেলা ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলে। বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ চলাকালে মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে রামকৃষ্ণ মিশন রোড পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। তাতে আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় সকাল থেকেই অতিরিক্ত পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিলেন।
ব্যাপক দরপতনের আশঙ্কায় ডিএসই ও সিএসইতে গতকাল লেনদেন বন্ধ রাখা হলেও আজ বুধবার আবার স্বাভাবিক লেনদেন চালু করা হবে বলে সংস্থা দুটি জানিয়েছে।
এদিকে, লেনদেন বন্ধের আগে গতকাল সকাল ১০টায় শেয়ারবাজারের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে এক জরুরি বৈঠকে বসে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ। ওই বৈঠকে সর্বসম্মতিতে লেনদেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বেলা ১০টা ৫৬ মিনিটে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ লেনদেন বন্ধের ঘোষণা দেয়। পাশাপাশি সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি ও সিএসইকে জানানো হয়।
বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএসইর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের (সামরিক-বেসামরিক) পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে অস্পষ্টতা প্রতীয়মান হয়েছে। ডিএসই কর্তৃপক্ষ মনে করে, এর ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে এবং পুঁজিবাজারে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। সে কারণে পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে আজ (গতকাল) লেনদেন বন্ধ রাখা হয়েছে।’
মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, ডিএসই মনে করে, দেশের অর্থনীতি তথা পুঁজিবাজারের স্বার্থে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের (সামরিক ও বেসামরিক) পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ থাকা উচিত।
চট্টগ্রামের বাজারে নিয়ম অনুযায়ী গতকাল বেলা ১১টায় লেনদেন শুরু হয়েছিল। এক মিনিট ৫৭ সেকেন্ড লেনদেন হওয়ার পর সিএসই কর্তৃপক্ষ লেনদেন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। ততক্ষণে সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ৫৫ পয়েন্ট কমে যায়। এ সময়ে সিএসইতে ৯৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়। তবে দিনশেষে সিএসইর এই লেনদেন বাতিল করা হয়।
এদিকে, লেনদেন বন্ধের ঘোষণার পর ডিএসই ও সিএসইর পরিচালনা পর্ষদের প্রতিনিধিদল আলাদাভাবে এসইসির সঙ্গে বৈঠকে বসে। বৈঠকে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিনিধিরা সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন। এ সময় তাঁরা তাঁদের উদ্বেগের কথাও এসইসিকে জানান। সেই সঙ্গে অস্থিরতা দূর করতে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানান।
বৈঠক থেকে বেরিয়ে নিজের কক্ষে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসইসির চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন বলেন, ‘দুই স্টক এক্সচেঞ্জ তাদের উদ্বেগের বিষয়টি আমাদের জানিয়েছে। আমরা তাদের কথা শুনেছি। এ ব্যাপারে পরে কোনো অগ্রগতি থাকলে তা সবাইকে জানানো হবে।’
এ ছাড়া ডিএসই ও সিএসইর পক্ষ থেকে গতকাল বাজারে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে সাক্ষাতের আবেদন জানানো হয়। কিন্তু অর্থমন্ত্রী সাক্ষাৎ দেননি। অনানুষ্ঠানিকভাবে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী এসইসির সঙ্গে কথা বলবেন। এসইসির সূত্র জানিয়েছে, বাজার-পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে সংস্থাটির পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
গতকাল লেনদেন বন্ধের ঘোষণার পরপরই একদল বিনিয়োগকারী মতিঝিলের ডিএসই ভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশ ব্যাংকসংলগ্ন শাপলা চত্বর এলাকায় অবস্থান নেন। বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত তাঁরা সেখানেই অবস্থান করেন। তাঁরা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের (সামরিক-বেসামরিক) শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বন্ধে সরকারি সিদ্ধান্ত ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কালোটাকা বিনিয়োগ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানান। এ ছাড়া ফেডারেশন অব বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টরস ফোরামের ব্যানারে একদল বিনিয়োগকারী রাজধানীর দিলকুশায় এসইসি কার্যালয়ের সামনে আলাদা বিক্ষোভ করেছেন। ফোরামের পক্ষ থেকে এসইসির চেয়ারম্যানের কাছে ২০ দফা দাবিসংবলিত স্মারকলিপিও দেওয়া হয়।
ডিএসই ও সিএসইর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ বুধবার বাজারে স্বাভাবিক লেনদেন চালু থাকবে, যদিও লেনদেন চালুর আগে দুই সংস্থা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিনিয়োগের বিষয়ে সরকারের কাছ থেকে স্পষ্টীকরণ ব্যাখ্যা চেয়েছেন।
ডিএসইর সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, ‘গতকাল এক দিনের জন্যই লেনদেন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে হিসেবে বুধবার থেকে লেনদেন চলবে।’ যোগাযোগ করা হলে সিএসইর সভাপতি আল মারুফ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বুধবার থেকে স্বাভাবিক লেনদেন চলবে।’
বাজার-পরিস্থিতি নিয়ে আজ বুধবার দুপুর ১২টায় সিএসই জরুরি বৈঠক করবে বলেও আল মারুফ খান জানান।
এর আগে গত বছরের জানুয়ারি মাসে দরপতন ঠেকাতে কয়েক দফায় লেনদেন বন্ধ রাখা হয়েছিল। সে সময় এসইসির নির্দেশে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ লেনদেন বন্ধ রাখে। আর এবার প্রাথমিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে নিজেদের ক্ষমতাবলে লেনদেন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় দুই স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। ১৯৯৬ সালে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির ঘটনায় একবার ডিএসই কর্তৃপক্ষ নিজেদের উদ্যোগে লেনদেন বন্ধ করেছিল। এরপর লেনদেন বন্ধ করা হলো গতকাল।
অবশ্য গতকাল চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রায় দুই মিনিট লেনদেন হয়েছে। পরে সিএসই কর্তৃপক্ষ লেনদেন বন্ধের ঘোষণা দেয়।
বাজারে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি এবং সরকারের নেওয়া নানা সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক বিক্ষোভ করেছেন। বেলা ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলে। বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ চলাকালে মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে রামকৃষ্ণ মিশন রোড পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। তাতে আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় সকাল থেকেই অতিরিক্ত পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিলেন।
ব্যাপক দরপতনের আশঙ্কায় ডিএসই ও সিএসইতে গতকাল লেনদেন বন্ধ রাখা হলেও আজ বুধবার আবার স্বাভাবিক লেনদেন চালু করা হবে বলে সংস্থা দুটি জানিয়েছে।
এদিকে, লেনদেন বন্ধের আগে গতকাল সকাল ১০টায় শেয়ারবাজারের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে এক জরুরি বৈঠকে বসে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ। ওই বৈঠকে সর্বসম্মতিতে লেনদেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বেলা ১০টা ৫৬ মিনিটে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ লেনদেন বন্ধের ঘোষণা দেয়। পাশাপাশি সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি ও সিএসইকে জানানো হয়।
বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএসইর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের (সামরিক-বেসামরিক) পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে অস্পষ্টতা প্রতীয়মান হয়েছে। ডিএসই কর্তৃপক্ষ মনে করে, এর ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে এবং পুঁজিবাজারে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। সে কারণে পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে আজ (গতকাল) লেনদেন বন্ধ রাখা হয়েছে।’
মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, ডিএসই মনে করে, দেশের অর্থনীতি তথা পুঁজিবাজারের স্বার্থে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের (সামরিক ও বেসামরিক) পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ থাকা উচিত।
চট্টগ্রামের বাজারে নিয়ম অনুযায়ী গতকাল বেলা ১১টায় লেনদেন শুরু হয়েছিল। এক মিনিট ৫৭ সেকেন্ড লেনদেন হওয়ার পর সিএসই কর্তৃপক্ষ লেনদেন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। ততক্ষণে সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ৫৫ পয়েন্ট কমে যায়। এ সময়ে সিএসইতে ৯৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়। তবে দিনশেষে সিএসইর এই লেনদেন বাতিল করা হয়।
এদিকে, লেনদেন বন্ধের ঘোষণার পর ডিএসই ও সিএসইর পরিচালনা পর্ষদের প্রতিনিধিদল আলাদাভাবে এসইসির সঙ্গে বৈঠকে বসে। বৈঠকে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিনিধিরা সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন। এ সময় তাঁরা তাঁদের উদ্বেগের কথাও এসইসিকে জানান। সেই সঙ্গে অস্থিরতা দূর করতে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানান।
বৈঠক থেকে বেরিয়ে নিজের কক্ষে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসইসির চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন বলেন, ‘দুই স্টক এক্সচেঞ্জ তাদের উদ্বেগের বিষয়টি আমাদের জানিয়েছে। আমরা তাদের কথা শুনেছি। এ ব্যাপারে পরে কোনো অগ্রগতি থাকলে তা সবাইকে জানানো হবে।’
এ ছাড়া ডিএসই ও সিএসইর পক্ষ থেকে গতকাল বাজারে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে সাক্ষাতের আবেদন জানানো হয়। কিন্তু অর্থমন্ত্রী সাক্ষাৎ দেননি। অনানুষ্ঠানিকভাবে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী এসইসির সঙ্গে কথা বলবেন। এসইসির সূত্র জানিয়েছে, বাজার-পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে সংস্থাটির পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
গতকাল লেনদেন বন্ধের ঘোষণার পরপরই একদল বিনিয়োগকারী মতিঝিলের ডিএসই ভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশ ব্যাংকসংলগ্ন শাপলা চত্বর এলাকায় অবস্থান নেন। বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত তাঁরা সেখানেই অবস্থান করেন। তাঁরা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের (সামরিক-বেসামরিক) শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বন্ধে সরকারি সিদ্ধান্ত ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কালোটাকা বিনিয়োগ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানান। এ ছাড়া ফেডারেশন অব বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টরস ফোরামের ব্যানারে একদল বিনিয়োগকারী রাজধানীর দিলকুশায় এসইসি কার্যালয়ের সামনে আলাদা বিক্ষোভ করেছেন। ফোরামের পক্ষ থেকে এসইসির চেয়ারম্যানের কাছে ২০ দফা দাবিসংবলিত স্মারকলিপিও দেওয়া হয়।
ডিএসই ও সিএসইর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ বুধবার বাজারে স্বাভাবিক লেনদেন চালু থাকবে, যদিও লেনদেন চালুর আগে দুই সংস্থা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিনিয়োগের বিষয়ে সরকারের কাছ থেকে স্পষ্টীকরণ ব্যাখ্যা চেয়েছেন।
ডিএসইর সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, ‘গতকাল এক দিনের জন্যই লেনদেন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে হিসেবে বুধবার থেকে লেনদেন চলবে।’ যোগাযোগ করা হলে সিএসইর সভাপতি আল মারুফ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বুধবার থেকে স্বাভাবিক লেনদেন চলবে।’
বাজার-পরিস্থিতি নিয়ে আজ বুধবার দুপুর ১২টায় সিএসই জরুরি বৈঠক করবে বলেও আল মারুফ খান জানান।
No comments