এসএমই প্রকল্পে অর্থায়ন নিশ্চিত করতে জাইকার সঙ্গে বৈঠক করবেন গভর্নর
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় চুক্তিবহির্ভূত শর্তারোপ করায় দাতা সংস্থা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) ৪১৫ কোটি টাকা অর্থায়ন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। শর্ত প্রত্যাহার না করলে প্রকল্পের টাকা ছাড় করবে না বলে সরকারকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে সংস্থাটি। এমতাবস্থায় প্রকল্পের অর্থ যেন ফেরত বা প্রত্যাহার না করা হয় তা নিশ্চিত করতে জাইকা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জরুরি
বৈঠক করতে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। আগামী রবিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক কার্যালয়ে জাইকার আবাসিক প্রতিনিধি ড. তাকাও টুডার সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর 'চুক্তিবহির্ভূত শর্তে বেঁকে বেসেছে জাইকা; এসএমই প্রকল্পে ৪১৫ কোটি টাকার জোগান অনিশ্চিত' শিরোনামে কালের কণ্ঠে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন ছাপা হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, জাইকার ঋণ পেতে ইতিমধ্যে জাইকার সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তবে জাইকার পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, চুক্তির বাইরে নতুন কোনো শর্ত থাকলে কোনো অবস্থায় এ ঋণ দেবে না তারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে শর্ত প্রত্যাহারে ইআরডির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। সমস্যার দ্রুত সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে ইআরডি সচিবের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, 'প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষেত্রে শর্ত আরোপের ফলে প্রকল্পকাজে বিলম্বের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে সুরাহার জন্য অনুরোধ করা হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে। 'ফিন্যান্সিয়াল সেক্টর প্রজেক্ট ফর দ্য ডেভেলপমেন্ট অব এসএমই' শীর্ষক প্রকল্পটির প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংক।
গত ১৮ মে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশে পাঁচ বছর মেয়াদি 'ফিন্যান্সিয়াল সেক্টর প্রজেক্ট ফর দ্য ডেভেলপমেন্ট অব এসএমই' শীর্ষক প্রকল্পে পাঁচ হাজার মিলিয়ন ইয়েন (প্রায় ৪১৫ কোটি টাকা) অর্থায়নে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় দাতা সংস্থা জাইকা। দুই ধাপে এই পাঁচ হাজার মিলিয়ন ইয়েন অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসট্যান্স (ওডিএ) ঋণের বার্ষিক সুদের হার মাত্র দশমিক ০১ শতাংশ। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী প্রকল্পটি ২০১১ সালের জুন থেকে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হওয়ার কথা। প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকার অর্থায়ন করবে আট কোটি ৮৩ লাখ টাকা। জাইকার অর্থায়নের ১২ কোটি টাকা ব্যয় হবে কনসালট্যান্সি বাবদ। বাকি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে পুনঃ অর্থায়ন করবে এসএমই খাতে। কিন্তু পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় চার মাস পর নতুন শর্ত জুড়ে দিয়ে প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় গত ৩১ অক্টোবর। শর্তটি হলো, এ প্রকল্পে ব্যাংক ঋণের সুদের হার কোনোভাবেই ১৩ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। আর বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি নিশ্চিত করবে। ইআরডি সচিবের সভাপতিত্বে গত ২৩ নভেম্বর জাইকার প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক হয়। বৈঠকে জাইকার পক্ষে জানানো হয়, এমন শর্তারোপের ফলে প্রকল্পে স্বচ্ছতা থাকবে না। তাদের আশঙ্কা, ব্যাংক ঋণের বাজার সুদের হার এর চেয়ে কম হলে প্রকল্পের অর্থ ব্যয় হবে না। আর বাজার সুদের হার এর চেয়ে বেশি হলে ঋণ পেতে স্বজনপ্রীতি ও রাজনৈতিক প্রভাব কাজ করবে। তা ছাড়া চুক্তি স্বাক্ষরকালে এ ধরনের শর্ত ছিল না। তাই এমন শর্ত সাপেক্ষে তারা কোনো প্রকল্পে অর্থায়ন করবে না।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর 'চুক্তিবহির্ভূত শর্তে বেঁকে বেসেছে জাইকা; এসএমই প্রকল্পে ৪১৫ কোটি টাকার জোগান অনিশ্চিত' শিরোনামে কালের কণ্ঠে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন ছাপা হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, জাইকার ঋণ পেতে ইতিমধ্যে জাইকার সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তবে জাইকার পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, চুক্তির বাইরে নতুন কোনো শর্ত থাকলে কোনো অবস্থায় এ ঋণ দেবে না তারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে শর্ত প্রত্যাহারে ইআরডির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। সমস্যার দ্রুত সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে ইআরডি সচিবের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, 'প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষেত্রে শর্ত আরোপের ফলে প্রকল্পকাজে বিলম্বের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে সুরাহার জন্য অনুরোধ করা হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে। 'ফিন্যান্সিয়াল সেক্টর প্রজেক্ট ফর দ্য ডেভেলপমেন্ট অব এসএমই' শীর্ষক প্রকল্পটির প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংক।
গত ১৮ মে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশে পাঁচ বছর মেয়াদি 'ফিন্যান্সিয়াল সেক্টর প্রজেক্ট ফর দ্য ডেভেলপমেন্ট অব এসএমই' শীর্ষক প্রকল্পে পাঁচ হাজার মিলিয়ন ইয়েন (প্রায় ৪১৫ কোটি টাকা) অর্থায়নে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় দাতা সংস্থা জাইকা। দুই ধাপে এই পাঁচ হাজার মিলিয়ন ইয়েন অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসট্যান্স (ওডিএ) ঋণের বার্ষিক সুদের হার মাত্র দশমিক ০১ শতাংশ। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী প্রকল্পটি ২০১১ সালের জুন থেকে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হওয়ার কথা। প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকার অর্থায়ন করবে আট কোটি ৮৩ লাখ টাকা। জাইকার অর্থায়নের ১২ কোটি টাকা ব্যয় হবে কনসালট্যান্সি বাবদ। বাকি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে পুনঃ অর্থায়ন করবে এসএমই খাতে। কিন্তু পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় চার মাস পর নতুন শর্ত জুড়ে দিয়ে প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় গত ৩১ অক্টোবর। শর্তটি হলো, এ প্রকল্পে ব্যাংক ঋণের সুদের হার কোনোভাবেই ১৩ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। আর বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি নিশ্চিত করবে। ইআরডি সচিবের সভাপতিত্বে গত ২৩ নভেম্বর জাইকার প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক হয়। বৈঠকে জাইকার পক্ষে জানানো হয়, এমন শর্তারোপের ফলে প্রকল্পে স্বচ্ছতা থাকবে না। তাদের আশঙ্কা, ব্যাংক ঋণের বাজার সুদের হার এর চেয়ে কম হলে প্রকল্পের অর্থ ব্যয় হবে না। আর বাজার সুদের হার এর চেয়ে বেশি হলে ঋণ পেতে স্বজনপ্রীতি ও রাজনৈতিক প্রভাব কাজ করবে। তা ছাড়া চুক্তি স্বাক্ষরকালে এ ধরনের শর্ত ছিল না। তাই এমন শর্ত সাপেক্ষে তারা কোনো প্রকল্পে অর্থায়ন করবে না।
No comments