প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি-যেই লাউ সেই কদু
২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট প্রার্থী সাংবাদিক মুহাম্মদ সফিকুর রহমান নির্বাচনী বিভিন্ন জনসভায় রাস্তাঘাট, নতুন নতুন ব্রিজ ও এলাকায় গ্যাস সংযোগ এনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও ওই নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হননি। অন্যদিকে বিএনপি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লায়ন মো. হারুনুর রশিদ তাঁর প্রচরণামূলক সমাবেশে বলেছিলেন, তাঁর দল ক্ষমতায় গেলে ফরিদগঞ্জের উন্নয়নে যেসব কাজ বাকি
আছে, সেসব কাজে তিনি হাত দেবেন। তবে প্রতিশ্রুতি দিলেও এ যাত্রায় তিনি রক্ষা পান। কারণ ওই নির্বাচনে তাঁর দল ক্ষমতায় যেতে পারেনি।
গত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ফরিদগঞ্জে উন্নয়নমূলক কিছু কাজ হলেও বর্তমান মহাজোট সরকারের আমলে এসে সেই গতি থমকে গেছে। এ সরকারের মেয়াদ তিন বছর হতে চললেও বড় ধরনের কোনো কাজ সাধারণের চোখে পড়ছে না। এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মজিবুর রহমান মজু বলেন, 'আমাদের দল তো ক্ষমতায় আসেনি। তা ছাড়া সংসদ সদস্য বড় ধরনের কোনো প্রতিশ্রুতিও দেননি। তাই আমরা এ যাত্রায় রক্ষা পেয়েছি।' অন্যদিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বলেন, সংসদ সদস্য এলাকার উন্নয়নে কোনো ভূমিকা রাখছেন না।
উপজেলা সদরের সঙ্গে প্রত্যন্ত জনপদে যাতায়াতের জন্য অসংখ্য পাকা সড়ক রয়েছে। বন্যামুক্ত বেড়িবাঁধের ওপর রয়েছে ইচুলিঘাট-রামগঞ্জ পাকা সড়ক। তবে এসব সংস্কার না করায় তা যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কুমিল্লা-চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর-বেগমগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের ফরিদগঞ্জ ডাকাতিয়া নদীর ওপর স্থাপিত বেইলি সেতু অতি পুরনো, সরু এবং এক লেনবিশিষ্ট হওয়ায় তা এখন যান চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ।
এ বিষয়ে বিএনপি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য লায়ন মো. হারুনুর রশিদকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'আমি বিরোধী দলের প্রতিনিধি। চাইলেই সরকারি বরাদ্দ এনে এলাকার উন্নয়ন করতে পারি না।' তিনি বলেন, 'সব সংসদ সদস্যকে এলাকাভিত্তিক উন্নয়নের জন্য ১৫ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গত দুই বছরের মধ্যে আমি ওই টাকার ২৫ শতাংশ অর্থাৎ তিন কোটি ৮০ লাখ টাকা পেয়েছি। আর এ টাকা এক বছর আগে পেয়েছিলাম। তারপর থেকে আর কোনো বরাদ্দ পাইনি। ফলে ফরিদগঞ্জের সার্বিক উন্নয়নে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।'
এদিকে এখনও আগের মতোই ঝুঁকিপূর্ণ রয়ে গেছে এখানকার অসংখ্য রাস্তাঘাট ও ব্রিজ। সংস্কার না করায় যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে অনেক সড়ক। এদের মধ্যে একটি ফরিদগঞ্জের বেইলি ব্রিজ। যা কুমিল্লা-চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর ও বেগমগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ডাকাতিয়া নদীর ওপর দুই দশক আগে স্থাপিত হয় এই বেইলি ব্রিজটি। গত সংসদ নির্বাচনের আগে এটি সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধান দুই দলের এমপি প্রার্থীরা। কিন্তু এখনো এটি আগের মতোই রয়ে গেছে।
সড়ক ও জনপথ চাঁদপুর বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শাহারুল আমিন জানান, দেশের ১৩৬টি সেতু জাইকার অর্থায়নে নির্মিত হবে। এর মধ্যে এই বেইলি ব্রিজটিসহ চাঁদপুরের চারটি সেতু রয়েছে। এ ব্যাপারে ইস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট নামে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, জাইকার অর্থায়নে ১০২ মিটার দীর্ঘ এই ব্রিজটির কাজও সম্পন্ন হবে। এর টেন্ডারপত্র মূল্যায়নের জন্য জাইকার কাছে পাঠানো বর্তমান বেইলি ব্রিজ একই স্থানে থাকলেও সংযোগ সড়কসহ পাশে নতুন সেতুটি নির্মাণ করা হবে।
গত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ফরিদগঞ্জে উন্নয়নমূলক কিছু কাজ হলেও বর্তমান মহাজোট সরকারের আমলে এসে সেই গতি থমকে গেছে। এ সরকারের মেয়াদ তিন বছর হতে চললেও বড় ধরনের কোনো কাজ সাধারণের চোখে পড়ছে না। এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মজিবুর রহমান মজু বলেন, 'আমাদের দল তো ক্ষমতায় আসেনি। তা ছাড়া সংসদ সদস্য বড় ধরনের কোনো প্রতিশ্রুতিও দেননি। তাই আমরা এ যাত্রায় রক্ষা পেয়েছি।' অন্যদিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বলেন, সংসদ সদস্য এলাকার উন্নয়নে কোনো ভূমিকা রাখছেন না।
উপজেলা সদরের সঙ্গে প্রত্যন্ত জনপদে যাতায়াতের জন্য অসংখ্য পাকা সড়ক রয়েছে। বন্যামুক্ত বেড়িবাঁধের ওপর রয়েছে ইচুলিঘাট-রামগঞ্জ পাকা সড়ক। তবে এসব সংস্কার না করায় তা যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কুমিল্লা-চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর-বেগমগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের ফরিদগঞ্জ ডাকাতিয়া নদীর ওপর স্থাপিত বেইলি সেতু অতি পুরনো, সরু এবং এক লেনবিশিষ্ট হওয়ায় তা এখন যান চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ।
এ বিষয়ে বিএনপি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য লায়ন মো. হারুনুর রশিদকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'আমি বিরোধী দলের প্রতিনিধি। চাইলেই সরকারি বরাদ্দ এনে এলাকার উন্নয়ন করতে পারি না।' তিনি বলেন, 'সব সংসদ সদস্যকে এলাকাভিত্তিক উন্নয়নের জন্য ১৫ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গত দুই বছরের মধ্যে আমি ওই টাকার ২৫ শতাংশ অর্থাৎ তিন কোটি ৮০ লাখ টাকা পেয়েছি। আর এ টাকা এক বছর আগে পেয়েছিলাম। তারপর থেকে আর কোনো বরাদ্দ পাইনি। ফলে ফরিদগঞ্জের সার্বিক উন্নয়নে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।'
এদিকে এখনও আগের মতোই ঝুঁকিপূর্ণ রয়ে গেছে এখানকার অসংখ্য রাস্তাঘাট ও ব্রিজ। সংস্কার না করায় যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে অনেক সড়ক। এদের মধ্যে একটি ফরিদগঞ্জের বেইলি ব্রিজ। যা কুমিল্লা-চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর ও বেগমগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ডাকাতিয়া নদীর ওপর দুই দশক আগে স্থাপিত হয় এই বেইলি ব্রিজটি। গত সংসদ নির্বাচনের আগে এটি সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধান দুই দলের এমপি প্রার্থীরা। কিন্তু এখনো এটি আগের মতোই রয়ে গেছে।
সড়ক ও জনপথ চাঁদপুর বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শাহারুল আমিন জানান, দেশের ১৩৬টি সেতু জাইকার অর্থায়নে নির্মিত হবে। এর মধ্যে এই বেইলি ব্রিজটিসহ চাঁদপুরের চারটি সেতু রয়েছে। এ ব্যাপারে ইস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট নামে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, জাইকার অর্থায়নে ১০২ মিটার দীর্ঘ এই ব্রিজটির কাজও সম্পন্ন হবে। এর টেন্ডারপত্র মূল্যায়নের জন্য জাইকার কাছে পাঠানো বর্তমান বেইলি ব্রিজ একই স্থানে থাকলেও সংযোগ সড়কসহ পাশে নতুন সেতুটি নির্মাণ করা হবে।
No comments