ছুটির দিনেও কর অফিস মুখরিত-আজ রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে
গতকাল শনিবার ছুটির দিনেও কর অফিস খোলা ছিল। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে করদাতারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ছুটির দিনে আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছেন। উপচে পড়া ভিড় না থাকলেও সারাদিন মুখরিত ছিল কর অফিস। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরামহীনভাবে রিটার্ন জমা নিয়েছেন কর্মকর্তরা। নির্ধারিত সময়ানুয়ায়ী আজ রিটার্ন জমা নেওয়ার শেষ দিন। এনবিআর বলেছে, করদাতাদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে আজ রাত ৮টা পর্যন্ত রিটার্ন জমা
নেওয়া হবে।আয়কর আইনে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ব্যক্তিশ্রেণী করদাতাদের রিটার্ন জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে সরকার ইচ্ছা করলে সময় বাড়াতে পারে। ৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ছুটি থাকায় ওই দিন সব কর বিভাগ বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে শনি ও রোববার বিশেষ ব্যবস্থায় রিটার্ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে এনবিআর। করদাতারা যাতে তাদের প্রদেয় কর পরিশোধ করতে পারেন সে জন্য ব্যাংকের নির্ধারতি শাখা খোলা রাখা হয়েছে।
মোহাম্মদ ইউনুছ একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। সময়মতো এ বছরে রিটার্ন জমা দেওয়া হয়নি তার। তাই শেষ মুহূর্তে গতকাল দুপুরে ছুটে এসেছেন কর অফিসে। ইউনুছ সমকালকে জানান, নিজের তাগিদে কর দিচ্ছি। সামর্থ্যবান সবার কর দেওয়া উচিত। তার মতে, আগের চেয়ে কর অফিসের পরিবেশ উন্নীত হয়েছে। এখন ঘুষের জন্য পীড়াপীড়ি নেই, খুশি মনে কিছু দিলেই হয়। কর্মকর্তাদের মনোভাবেরও পরিবর্তন হয়েছে। সহযোগিতা চাইলে পাওয়া যায়। ইউনুছ গত ৪ বছর ধরে আয়কর দেন। তিনি ঢাকার কর অঞ্চল ৬-এর সার্কেল-৪১ এর একজন সম্মানিত করদাতা। পুরান ঢাকায় তার বেকারির ব্যবসা আছে। গতকাল বিকেল পর্যন্ত ৪১ সার্কেল অফিসে ১০০ রিটার্ন জমা পড়েছে। গতকাল পর্যন্ত সারাদেশে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার রিটার্ন জমা পড়েছে। গতবার জমা পড়েছিল ৭ লাখের কাছাকাছি।
সময় বাড়তে পারে : এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, রিটার্ন জমার সময় আরও দুই সপ্তাহ বাড়তে পারে। আজ রাতে এ বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হবে। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইসহ বিভিন্ন মহল থেকে ইতিমধ্যে রিটার্ন জমার সময় কমপক্ষে এক মাস বাড়ানোর দাবি উঠেছে।
নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পরও রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে। তবে সময় পার হলে জরিমানা দিতে হয়। জরিমানার পরিমাণ এককালীন ১ হাজার টাকা। একই সঙ্গে পরবর্তী প্রতিদিনের জন্য বাড়তি ৫০ টাকা।
এ ছাড়া টাইম পিটিশন বা সময় প্রার্থনা করে সারা বছরই রিটার্ন জমা দেওয়ার বিধান আছে।
ব্যক্তিশ্রেণী করদাতারা যে পরিমাণ আয়কর দেন তা মোট আদায়ের ৭ থেকে ৮ শতাংশ। আয়কর খাতে বেশিরভাগ আদায় হয়ে থাকে উৎসে কর থেকে। এখান থেকে মোট আয়করের ৭০ শতাংশই আদায় হয়।
গত অর্থবছরে আয়কর খাতে আদায় হয়েছে ২২ হাজার কোটি টাকার বেশি। মোট রাজস্ব আদায়ে আয়কর বা প্রত্যক্ষ করের অবদান ২৭ শতাংশ। দেশে বর্তমানে ট্যাক্স আইডেনটিফিকেশন নম্বর বা করের আওতায় ৩২ লাখ লোক। এর মধ্যে নিয়মিত রিটার্ন দাখিল করেন ১০ লাখ।
টিআইএন থাকলেই আয়কর দিতে হবে না। যাদের করযোগ্য আয় আছে কেবল তারাই কর দেবেন। বর্তমান আইনে বাড়ি ভাড়া, যাতায়াত ভাতা ও চিকিৎসা ভাতা বাদ দিয়ে বছরে আয় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত। এক লাখ ৮০ হাজার টাকার বেশি আয় হলে প্রযোজ্য হারে কর দিতে হয়। তবে নূ্যনতম করের পরিমাণ বছরে ২ হাজার টাকা। বয়স্ক, প্রতিবন্ধীদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা যথাক্রমে ২ লাখ ও ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর বেশি আয় হলে তাদেরও কর দিতে হবে।
মোহাম্মদ ইউনুছ একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। সময়মতো এ বছরে রিটার্ন জমা দেওয়া হয়নি তার। তাই শেষ মুহূর্তে গতকাল দুপুরে ছুটে এসেছেন কর অফিসে। ইউনুছ সমকালকে জানান, নিজের তাগিদে কর দিচ্ছি। সামর্থ্যবান সবার কর দেওয়া উচিত। তার মতে, আগের চেয়ে কর অফিসের পরিবেশ উন্নীত হয়েছে। এখন ঘুষের জন্য পীড়াপীড়ি নেই, খুশি মনে কিছু দিলেই হয়। কর্মকর্তাদের মনোভাবেরও পরিবর্তন হয়েছে। সহযোগিতা চাইলে পাওয়া যায়। ইউনুছ গত ৪ বছর ধরে আয়কর দেন। তিনি ঢাকার কর অঞ্চল ৬-এর সার্কেল-৪১ এর একজন সম্মানিত করদাতা। পুরান ঢাকায় তার বেকারির ব্যবসা আছে। গতকাল বিকেল পর্যন্ত ৪১ সার্কেল অফিসে ১০০ রিটার্ন জমা পড়েছে। গতকাল পর্যন্ত সারাদেশে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার রিটার্ন জমা পড়েছে। গতবার জমা পড়েছিল ৭ লাখের কাছাকাছি।
সময় বাড়তে পারে : এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, রিটার্ন জমার সময় আরও দুই সপ্তাহ বাড়তে পারে। আজ রাতে এ বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হবে। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইসহ বিভিন্ন মহল থেকে ইতিমধ্যে রিটার্ন জমার সময় কমপক্ষে এক মাস বাড়ানোর দাবি উঠেছে।
নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পরও রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে। তবে সময় পার হলে জরিমানা দিতে হয়। জরিমানার পরিমাণ এককালীন ১ হাজার টাকা। একই সঙ্গে পরবর্তী প্রতিদিনের জন্য বাড়তি ৫০ টাকা।
এ ছাড়া টাইম পিটিশন বা সময় প্রার্থনা করে সারা বছরই রিটার্ন জমা দেওয়ার বিধান আছে।
ব্যক্তিশ্রেণী করদাতারা যে পরিমাণ আয়কর দেন তা মোট আদায়ের ৭ থেকে ৮ শতাংশ। আয়কর খাতে বেশিরভাগ আদায় হয়ে থাকে উৎসে কর থেকে। এখান থেকে মোট আয়করের ৭০ শতাংশই আদায় হয়।
গত অর্থবছরে আয়কর খাতে আদায় হয়েছে ২২ হাজার কোটি টাকার বেশি। মোট রাজস্ব আদায়ে আয়কর বা প্রত্যক্ষ করের অবদান ২৭ শতাংশ। দেশে বর্তমানে ট্যাক্স আইডেনটিফিকেশন নম্বর বা করের আওতায় ৩২ লাখ লোক। এর মধ্যে নিয়মিত রিটার্ন দাখিল করেন ১০ লাখ।
টিআইএন থাকলেই আয়কর দিতে হবে না। যাদের করযোগ্য আয় আছে কেবল তারাই কর দেবেন। বর্তমান আইনে বাড়ি ভাড়া, যাতায়াত ভাতা ও চিকিৎসা ভাতা বাদ দিয়ে বছরে আয় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত। এক লাখ ৮০ হাজার টাকার বেশি আয় হলে প্রযোজ্য হারে কর দিতে হয়। তবে নূ্যনতম করের পরিমাণ বছরে ২ হাজার টাকা। বয়স্ক, প্রতিবন্ধীদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা যথাক্রমে ২ লাখ ও ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর বেশি আয় হলে তাদেরও কর দিতে হবে।
No comments