'টেলিভিশনে মুখ দেখানোর জন্য সংগীত নয়'
সম্প্রতি ঢাকা ঘুরে গেলেন কলকাতার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী রাঘব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন মিলু
এবার ঢাকায় এসেছেন কী কাজে?\উত্তরা ক্লাব, অফিসার্স ক্লাব এবং অল কমিউনিটি ক্লাবে শো ছাড়াও মাছরাঙা টেলিভিশনে দুটি প্রোগ্রামে গান করতে এবার তৃতীয় বারের মতো ঢাকায় আসা। পাঁচ-ছয় বছর আগে এক আত্মীয়ের সঙ্গে প্রথম এসেছিলাম। তখন আলাউদ্দিন আলীর সুরে গান গেয়েছিলাম।
এবার ঢাকায় এসেছেন কী কাজে?\উত্তরা ক্লাব, অফিসার্স ক্লাব এবং অল কমিউনিটি ক্লাবে শো ছাড়াও মাছরাঙা টেলিভিশনে দুটি প্রোগ্রামে গান করতে এবার তৃতীয় বারের মতো ঢাকায় আসা। পাঁচ-ছয় বছর আগে এক আত্মীয়ের সঙ্গে প্রথম এসেছিলাম। তখন আলাউদ্দিন আলীর সুরে গান গেয়েছিলাম।
আপনার গানের শুরু কিভাবে?\ ১০ বছর বয়সে গিটার বাজানোর মাধ্যমে সংগীতের শুরু। অনেক বিখ্যাত লোকের সঙ্গে গিটার বাজানোর সুযোগ হয়েছে আমার। আমার মায়ের (শিলা চ্যাটার্জি) কাছে গান শেখা শুরু।
মা ক্লাসিক গানের শিল্পী। মায়ের পর ড. অমিয় রঞ্জন ব্যানার্জির কাছে শিখি। এরপর ছয় বছর তালিম নিয়েছি আইটিসি থেকে। তিন বছর যাবৎ শিখছি ওস্তাদ রশীদ খানের কাছে।
আপনার প্রথম একক অ্যালবাম তো বেরিয়েছিল ১৯৯৮ সালে।
হ্যাঁ। সেই অ্যালবামটির নাম 'ভোরের আলো'। এরপর আমার যে একক অ্যালবামগুলো বেরিয়েছে সেগুলো হলো 'তুমি নেই বলে', 'শারদিয়া', 'আমার আকাশ', 'আট রেঞ্জ', 'ভুবনমোহিনী', 'শামিয়ানা', 'নেমপ্লেট' ইত্যাদি।
আপনি তো হিন্দি চলচ্চিত্রেও গান করেছেন।
সর্বপ্রথম গান করি জনপ্রিয় চলচ্চিত্র 'দেবদাস'-এ। এর পরই মূলত বলিউডের লোকজন আমাকে চিনতে পারে। পরবর্তীকালে 'তেরে নাম', 'রেইনকোট', পরিণীতা' এবং সর্বশেষ 'ওয়েল ডান আব্বা' চলচ্চিত্রে আমি প্লেব্যাক করি।
বাংলাদেশের গান শোনেন?
অবশ্যই শুনি। এখানে অনেক প্রতিভাবান শিল্পী আছে। বাপ্পা মজুমদার, সামিনা চৌধুরী, লিলি ইসলাম এবং রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা প্রমুখের গান আমার বেশ পছন্দ।
আপনার জীবনসঙ্গী অনিতার সঙ্গে সাক্ষাৎ কিভাবে? তাঁর গান সম্পর্কে জানতে চাই।
একদিন কলা মন্দিরের একটি কনসার্টে আমার সঙ্গে অনিতার পরিচয়। আমি গিয়েছিলাম গাইতে, সে এসেছিল শুনতে। সেদিনের পরিচয়টাই একদিন বিয়েতে গিয়ে গড়ায়। অনিতা ভালো ক্লাসিক্যাল গায়।
সংগীতশিল্পী হিসেবে নিজেকে কতটা সফল মনে করেন?
আমি এখনো তেমনি কিছু করিনি। তবে কাজের স্বীকৃতি পেয়েছি। যতই শিখছি মনে হচ্ছে, কিছুই হচ্ছে না। আরো অনেক পথ বাকি। গানের জন্যই ন্যাশনাল স্কলারশিপ, সংগীত রিসার্চ একাডেমী স্কলারশিপ, আর ডি বর্মণ অ্যাওয়ার্ড, উত্তম কুমার অ্যাওয়ার্ডসহ অনেক স্বীকৃতি পেয়েছি।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
বাংলা ও হিন্দি চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালক হতে চাই।
যারা গান করতে চায় তাঁদের জন্য পরামর্শ কী?
ঠিক করে গান-বাজনা শিখে যেন গান করতে আসে। সারা পৃথিবীর সব ধরনের গান শোনার অভ্যাস থাকা উচিত। টেলিভিশনে মুখ দেখানোর জন্য সংগীত নয়।
মা ক্লাসিক গানের শিল্পী। মায়ের পর ড. অমিয় রঞ্জন ব্যানার্জির কাছে শিখি। এরপর ছয় বছর তালিম নিয়েছি আইটিসি থেকে। তিন বছর যাবৎ শিখছি ওস্তাদ রশীদ খানের কাছে।
আপনার প্রথম একক অ্যালবাম তো বেরিয়েছিল ১৯৯৮ সালে।
হ্যাঁ। সেই অ্যালবামটির নাম 'ভোরের আলো'। এরপর আমার যে একক অ্যালবামগুলো বেরিয়েছে সেগুলো হলো 'তুমি নেই বলে', 'শারদিয়া', 'আমার আকাশ', 'আট রেঞ্জ', 'ভুবনমোহিনী', 'শামিয়ানা', 'নেমপ্লেট' ইত্যাদি।
আপনি তো হিন্দি চলচ্চিত্রেও গান করেছেন।
সর্বপ্রথম গান করি জনপ্রিয় চলচ্চিত্র 'দেবদাস'-এ। এর পরই মূলত বলিউডের লোকজন আমাকে চিনতে পারে। পরবর্তীকালে 'তেরে নাম', 'রেইনকোট', পরিণীতা' এবং সর্বশেষ 'ওয়েল ডান আব্বা' চলচ্চিত্রে আমি প্লেব্যাক করি।
বাংলাদেশের গান শোনেন?
অবশ্যই শুনি। এখানে অনেক প্রতিভাবান শিল্পী আছে। বাপ্পা মজুমদার, সামিনা চৌধুরী, লিলি ইসলাম এবং রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা প্রমুখের গান আমার বেশ পছন্দ।
আপনার জীবনসঙ্গী অনিতার সঙ্গে সাক্ষাৎ কিভাবে? তাঁর গান সম্পর্কে জানতে চাই।
একদিন কলা মন্দিরের একটি কনসার্টে আমার সঙ্গে অনিতার পরিচয়। আমি গিয়েছিলাম গাইতে, সে এসেছিল শুনতে। সেদিনের পরিচয়টাই একদিন বিয়েতে গিয়ে গড়ায়। অনিতা ভালো ক্লাসিক্যাল গায়।
সংগীতশিল্পী হিসেবে নিজেকে কতটা সফল মনে করেন?
আমি এখনো তেমনি কিছু করিনি। তবে কাজের স্বীকৃতি পেয়েছি। যতই শিখছি মনে হচ্ছে, কিছুই হচ্ছে না। আরো অনেক পথ বাকি। গানের জন্যই ন্যাশনাল স্কলারশিপ, সংগীত রিসার্চ একাডেমী স্কলারশিপ, আর ডি বর্মণ অ্যাওয়ার্ড, উত্তম কুমার অ্যাওয়ার্ডসহ অনেক স্বীকৃতি পেয়েছি।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
বাংলা ও হিন্দি চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালক হতে চাই।
যারা গান করতে চায় তাঁদের জন্য পরামর্শ কী?
ঠিক করে গান-বাজনা শিখে যেন গান করতে আসে। সারা পৃথিবীর সব ধরনের গান শোনার অভ্যাস থাকা উচিত। টেলিভিশনে মুখ দেখানোর জন্য সংগীত নয়।
No comments