অভিনব দৃষ্টান্ত by ভবতোষ রায়
তালাকপ্রাপ্ত, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্ত\ ও অসহায় নারীদের স্বাবলম্বী ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করতে 'মুষ্টির চালে নারী উন্নয়ন সমিতি'র তলে একতাবদ্ধ করে দিনবদলের সংগ্রাম করে যাচ্ছেন গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বাউসী গ্রামের রাশেদা বেগম। ওই সমিতিতে প্রতিদিন এক মুঠ করে চাল কলসিতে রেখে দিয়ে সংসারের অভাব কিছুটা হলেও দূর করতে পেরেছেন এলাকার নারীরা । তাদের দেখাদেখি পাশের এলাকার আরও অসহায় নারী আলোর মুখ দেখছেন এবং ধীরে ধীরে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন।
ফুলছড়ি উপজেলার বাউসী গ্রামের লাইজু বেগম, আঞ্জু, সাজেদা, মর্জিনা, ফুলমতি, সায়দা, শেফালী, নুরজাহান, সাহানা, সাহিনুর, আনিছা, নাজিমা, মরিয়ম, মজিদা, রাহিদা, হোসনে আরা, সেলিনা, ববি ও রাহেলা বেগম পড়ালেখা জানেন না। তারা শুধু দিতে জানেন টিপসই। এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না নারীনেত্রী রাশেদা বেগম। ছোটবেলা থেকে রাশেদার বই পড়ার খুব আগ্রহ ছিল। নারীর উন্নয়নে কী করা যায়_ এ নিয়ে ভাবতে থাকেন তিনি। নারীদের আলোয় নিয়ে আসতে হলে প্রথমে তাদের শিক্ষিত করা উচিত_ এ চিন্তা থেকে রাশেদা তার স্বামী শাহ আলম সুরুজের সহযোগিতায় বাড়ির আঙ্গিনায় এলাকার অক্ষর-জ্ঞানহীনদের নিয়ে ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি বয়স্ক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেন। শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পড়ানো হয়। গজারিয়া ইউনিয়নের নামাপাড়া গ্রামের নাজিমা বেগম বলেন, রাশেদা আপা আমাদের বোঝাতেন পুরুষ ও নারীর অধিকার সমান। নারীদেরও এগিয়ে আসতে হবে। কাজ করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। আপার কথায় ও সহযোগিতায় আমি প্রথমে বয়স্ক শিক্ষা নিই। পরে কুটির শিল্পের কাজ শিখে স্বাবলম্বী হই।
অক্ষরজ্ঞান দান এবং হাতে-কলমে কিছু কাজ শেখানোর কিছু দিন পর ওই অসহায় নারীদের নিয়ে 'মুষ্টির চালে নারী উন্নয়ন সমিতি' চালু করেন রাশেদা বেগম। নিজেদের টাকায় ছোট তহবিল গঠন করেন এবং ওই নারীদের বুঝিয়ে সমিতির সদস্য করতে থাকেন। একে একে ৯০ জন নারী সদস্য তিনটি গ্রুপে ৩০ জন করে প্রতিদিন এক মুট করে চাল মাটির কলসিতে জমা করতে থাকেন। এর আগে ফুলছড়ি হাট থেকে ৯০ নারী সদসের জন্য ৯০টি মাটির কলসি ১ হাজার ৩শ' টাকায় কিনে আনা হয়। চাল জমা রাখার জন্য আবার রয়েছে তাদের রেজিস্টার খাতা। বাউসী গ্রামের মজিদা, হোসনে আরা স্বামী হারানোর পর সমিতির সদস্য হয়ে ঋণ নিয়ে নকশি কাঁথা তৈরি করে আয়ের উৎস বের করেছেন। মুষ্টির চালে নারী উন্নয়ন সমিতির সদস্যরা ঋণ নিয়ে হাঁস-মুরগি পালন, কুটির শিল্প ও সেলাইয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে বাড়িতেই বিভিন্ন প্রকারের কাজ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তারা এখন নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছেন।
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের বাউসী গ্রামের নারীনেত্রী রাশেদা বেগমের এ উদ্যোগে এখন পর্যন্ত প্রায় ৯০ জন নারী নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছেন। তালাকপ্রাপ্ত, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা ও অসহায় নারীদের মুখে হাসি ফোটানোর এ প্রচেষ্টা কেবল নিজের এলাকায় সীমাবদ্ধ রাখেননি, পেঁৗছে দিয়েছেন পাশ্ববর্তী ২নং রেললাইনের বাউসী গ্রামেও। ওই সমিতির নারীনেত্রী ছালমা বেগম। সমিতির নাম 'যমুনা'। আরেকটি সমিতি 'ব্রহ্মপুত্র' নামে বাউসী মাঝিপাড়া গ্রামে খোলা হয়েছে। এই তিন সমিতির সদস্যরা উপজেলার বাল্যবিবাহ বন্ধে গণসচেতনতা বাড়াতে জোরালো ভূমিকা রেখে চলেছেন। নারীদের শিক্ষার বিষয়েও সচেতন করে তুলছেন এলাকাবাসীকে। প্রতিদিন এক মুঠ করে চাল রেখে 'মুঠির চালে নারী উন্নয়ন সমিতি'র ৯০টি মাটির কলসিতে গত দুই বছরে জমানো চাল বিক্রি করে পাওয়া গেছে প্রায় ৩৯ হাজার টাকা। হাঁস-মুরগি পালন, হস্তশিল্পের মতো উন্নয়নমুখী কাজে স্বল্প সুদে সমিতির সদস্যাদের এ টাকা ঋণ দেওয়া হয়। অসহায় ও দুস্থ নারীদের নানামুখী কল্যাণেও এ টাকা ব্যয় করা হয়।
সমিতির সভানেত্রী রাশেদা বেগম বলেন, স্বামীর সহযোগিতায় আজ এত দূর আসতে পেরেছি। প্রথমে নারীদের সমিতির সদস্য করতে নানামুখী বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবে এখন আমাদের কাজ দেখে কেউ আর মন্দ বলে না। রাশেদা বলেন, মুষ্টির চালে নারী উন্নয়ন সমিতির সদস্যরা মিলে এলাকায় একটি বিধবা আশ্রম ও দুস্থ-অসহায় নারীদের কর্মসংস্থানের জন্য একটি গার্মেন্ট করার পরিকল্পনা আছে।
অক্ষরজ্ঞান দান এবং হাতে-কলমে কিছু কাজ শেখানোর কিছু দিন পর ওই অসহায় নারীদের নিয়ে 'মুষ্টির চালে নারী উন্নয়ন সমিতি' চালু করেন রাশেদা বেগম। নিজেদের টাকায় ছোট তহবিল গঠন করেন এবং ওই নারীদের বুঝিয়ে সমিতির সদস্য করতে থাকেন। একে একে ৯০ জন নারী সদস্য তিনটি গ্রুপে ৩০ জন করে প্রতিদিন এক মুট করে চাল মাটির কলসিতে জমা করতে থাকেন। এর আগে ফুলছড়ি হাট থেকে ৯০ নারী সদসের জন্য ৯০টি মাটির কলসি ১ হাজার ৩শ' টাকায় কিনে আনা হয়। চাল জমা রাখার জন্য আবার রয়েছে তাদের রেজিস্টার খাতা। বাউসী গ্রামের মজিদা, হোসনে আরা স্বামী হারানোর পর সমিতির সদস্য হয়ে ঋণ নিয়ে নকশি কাঁথা তৈরি করে আয়ের উৎস বের করেছেন। মুষ্টির চালে নারী উন্নয়ন সমিতির সদস্যরা ঋণ নিয়ে হাঁস-মুরগি পালন, কুটির শিল্প ও সেলাইয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে বাড়িতেই বিভিন্ন প্রকারের কাজ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তারা এখন নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছেন।
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের বাউসী গ্রামের নারীনেত্রী রাশেদা বেগমের এ উদ্যোগে এখন পর্যন্ত প্রায় ৯০ জন নারী নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছেন। তালাকপ্রাপ্ত, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা ও অসহায় নারীদের মুখে হাসি ফোটানোর এ প্রচেষ্টা কেবল নিজের এলাকায় সীমাবদ্ধ রাখেননি, পেঁৗছে দিয়েছেন পাশ্ববর্তী ২নং রেললাইনের বাউসী গ্রামেও। ওই সমিতির নারীনেত্রী ছালমা বেগম। সমিতির নাম 'যমুনা'। আরেকটি সমিতি 'ব্রহ্মপুত্র' নামে বাউসী মাঝিপাড়া গ্রামে খোলা হয়েছে। এই তিন সমিতির সদস্যরা উপজেলার বাল্যবিবাহ বন্ধে গণসচেতনতা বাড়াতে জোরালো ভূমিকা রেখে চলেছেন। নারীদের শিক্ষার বিষয়েও সচেতন করে তুলছেন এলাকাবাসীকে। প্রতিদিন এক মুঠ করে চাল রেখে 'মুঠির চালে নারী উন্নয়ন সমিতি'র ৯০টি মাটির কলসিতে গত দুই বছরে জমানো চাল বিক্রি করে পাওয়া গেছে প্রায় ৩৯ হাজার টাকা। হাঁস-মুরগি পালন, হস্তশিল্পের মতো উন্নয়নমুখী কাজে স্বল্প সুদে সমিতির সদস্যাদের এ টাকা ঋণ দেওয়া হয়। অসহায় ও দুস্থ নারীদের নানামুখী কল্যাণেও এ টাকা ব্যয় করা হয়।
সমিতির সভানেত্রী রাশেদা বেগম বলেন, স্বামীর সহযোগিতায় আজ এত দূর আসতে পেরেছি। প্রথমে নারীদের সমিতির সদস্য করতে নানামুখী বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবে এখন আমাদের কাজ দেখে কেউ আর মন্দ বলে না। রাশেদা বলেন, মুষ্টির চালে নারী উন্নয়ন সমিতির সদস্যরা মিলে এলাকায় একটি বিধবা আশ্রম ও দুস্থ-অসহায় নারীদের কর্মসংস্থানের জন্য একটি গার্মেন্ট করার পরিকল্পনা আছে।
No comments