জারদারির পদত্যাগের গুজব
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অসুস্থতাজনিত কারণ এবং কিছু গোপন নথি প্রকাশ কেলেঙ্কারির ঘটনায় তিনি পদত্যাগ করতে পারেন বলে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত 'ফরেন পলিসি' ম্যাগাজিন খবর প্রকাশ করেছে। তবে তার ক্ষমতা ছাড়ার বিষয়টি গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের মানবাধিকারবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী মুস্তাফা খোকার।
তিনি গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, গণমাধ্যমে খবর প্রচার হলেও প্রেসিডেন্ট জারদারির পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না। খোকার জানান, মঙ্গলবার হালকা হার্ট অ্যাটাকের পর প্রেসিডেন্ট জারদারি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য দুবাই যান। সেখানে তার এনজিওপ্লাস্টি হয়েছে। তিনি এখন সুস্থ আছেন এবং বৃহস্পতিবারই ইসলামাবাদ ফিরবেন। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, নিয়মিত চেক-আপের জন্য জারদারি মঙ্গলবার দুবাই গেছেন। সঙ্গে তার চিকিৎসক ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা রয়েছেন। খবর এএফপি, বিবিসি, ডন, টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বিভিন্ন সংকটের সম্মুখীন হলেও জারদারি এখন পর্যন্ত পদত্যাগের দাবি থেকে রেহাই পেয়ে আসছেন। তবে সম্প্রতি পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ক্ষমতা কমিয়ে আনার ব্যাপারে সহযোগিতা চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পাঠানো একটি গোপন নথি ফাঁস হওয়ার পর তীব্র চাপের মধ্যে পড়েন জারদারি। নথিটি লিখেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হুসেইন হাক্কানি। এই 'মেমোগেট' কেলেঙ্কারিকে কেন্দ্র করেই পদত্যাগ করতে বাধ্য হন হাক্কানি। তারপরও চাপমুক্ত হননি জারদারি।
গত রোববার তিনি ঘোষণা দেন, শিগগিরই ওই বিষয়ে পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশনে ব্যাখ্যা দেবেন।
চিকিৎসার জন্য দুবাই যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের 'ফরেন পলিসি' সাময়িকীর ওয়েবসাইটে জারদারির পদত্যাগের ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, অসুস্থতাজনিত কারণে তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যখন জারদারির সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করছিলেন তখন তার কথাবার্তা অসংলগ্ন ছিল এবং জড়িয়ে যাচ্ছিল। গত ২৬ নভেম্বর ন্যাটোর বিমান ও হেলিকপ্টার হামলায় পাকিস্তানের ২৪ সেনা নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দুঃখ প্রকাশ করে জারদারিকে ফোন করেন ওবামা। ওই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি হয়। বর্তমানে উভয় দেশই পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বিভিন্ন সংকটের সম্মুখীন হলেও জারদারি এখন পর্যন্ত পদত্যাগের দাবি থেকে রেহাই পেয়ে আসছেন। তবে সম্প্রতি পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ক্ষমতা কমিয়ে আনার ব্যাপারে সহযোগিতা চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পাঠানো একটি গোপন নথি ফাঁস হওয়ার পর তীব্র চাপের মধ্যে পড়েন জারদারি। নথিটি লিখেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হুসেইন হাক্কানি। এই 'মেমোগেট' কেলেঙ্কারিকে কেন্দ্র করেই পদত্যাগ করতে বাধ্য হন হাক্কানি। তারপরও চাপমুক্ত হননি জারদারি।
গত রোববার তিনি ঘোষণা দেন, শিগগিরই ওই বিষয়ে পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশনে ব্যাখ্যা দেবেন।
চিকিৎসার জন্য দুবাই যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের 'ফরেন পলিসি' সাময়িকীর ওয়েবসাইটে জারদারির পদত্যাগের ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, অসুস্থতাজনিত কারণে তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যখন জারদারির সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করছিলেন তখন তার কথাবার্তা অসংলগ্ন ছিল এবং জড়িয়ে যাচ্ছিল। গত ২৬ নভেম্বর ন্যাটোর বিমান ও হেলিকপ্টার হামলায় পাকিস্তানের ২৪ সেনা নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দুঃখ প্রকাশ করে জারদারিকে ফোন করেন ওবামা। ওই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি হয়। বর্তমানে উভয় দেশই পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
No comments