রাজধানীতে পাঁচজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজনসহ পাঁচজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন নাসিমা আক্তার (৪৫) ও হামিদুল ইসলাম (২০)। পঞ্চম তলা থেকে পড়ে হাবিবুর রহমান (৪৫) নামের এক সাব-কন্ট্রাক্টরের মৃত্যু হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের কাটা লাশ বিমানবন্দর এলাকার রেললাইন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে কাফরুল এলাকায় আত্মহত্যা করেছেন জাহানারা বেগম (৩০) নামের এক গৃহবধূ।


সূত্র জানায়, নাসিমা আক্তার ও তাঁর স্বামী আনোয়ার হোসেন গত শনিবার তাঁদের দ্বিতীয় মেয়ে মনোয়ারা আক্তার ইমাকে চিকিৎসা করাতে এবং মতিঝিলের একটি স্কুলে ভর্তি করাতে শরীয়তপুরের নড়িয়ার কাঞ্চনপাড়া গ্রাম থেকে ঢাকার এজিবি কলোনিতে নিয়ে আসেন। সেখানে তাঁদের বড় মেয়ে থাকেন। মঙ্গলবার সকালে ধানমণ্ডিতে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান তাঁরা। পপুলারের সামনে একটি অ্যাম্বুলেন্স পেছন দিকে যাওয়ার সময় নাসিমা আক্তারকে ধাক্কা দেয়। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। সকাল পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে হামিদুল ইসলাম নামের এক যুবক গ্রামীণ নামের একটি বাস থেকে পল্লবী পোস্ট অফিসের সামনে নামার পর পেছন থেকে একই নামের আরেকটি বাস তাঁকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। হামিদুলের বাবার নাম মো. নুর ইসলাম। তিনি মিরপুরের আদর্শনগরের একটি বাড়িতে থাকতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনির দক্ষিণ রমজানপুরে।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাধীন স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্রে পাশে স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্রে নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনের সাব-কন্ট্রাক্টরের কাজ করছিলেন হাবিবুর রহমান। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পঞ্চম তলায় ওঠার পর তিনি অসাবধানতাবশত নিচে পড়ে যান। সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় তিনি মারা যান। তাঁর বাবা মৃত আলী হোসেন ওরফে কফিল উদ্দিন। বাড়ি যশোর শহরে। পারিবারিক কলহের জের ধরে মঙ্গলবার সকালে উত্তর ইব্রাহিমপুরের ৪৯১ নম্বর বাড়িতে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন জাহানারা বেগম নামের এক গৃহবধূ। তাঁর বাড়ি পাবনার সুজানগরের সাগরকান্দি গ্রামে। মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে রেলওয়ে পুলিশ বিমানবন্দর থানাধীন বনরূপা এলাকায় রেললাইনের ওপর থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের কাটা লাশ উদ্ধার করে।

No comments

Powered by Blogger.