শেষ হলো আনন্দযাত্রা by শ্রাবণ সরকার
১৯৪৬ সালে যে সিনেমার মাধ্যমে একাকী এক তরুণ রুপালি জগতে পা রাখেন, সেই সিনেমার নাম ছিল 'হাম এক হ্যায়'। অথচ এরপর সেই একা তরুণ কিন্তু আর কোনোভাবেই একা ছিলেন না। বনে যান মানুষের বাস্তব জীবনের রোমান্টিকতার 'গাইড'! তাই তো দেব আনন্দ চলে যাওয়ার সময় নিলেন কোটি ভক্তের ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা। দেব আনন্দের ৮৮ বছরের বর্ণাঢ্য জীবনের সমাপ্তি ঘটল গত শনিবার, লন্ডনে।
মা-বাবার চার সন্তানের দ্বিতীয় দেব আনন্দ কর্মক্ষেত্রে কিন্তু বরাবরই ছিলেন প্রথম। অবলিউডি তথা উপমহাদেশের সাদা-কালো সিনেমার জগতের তিনিই ছিলেন প্রথম 'রঙ্গিন' নায়ক, ফ্যাশান আইকন। ১৯৪৭ সালে মুক্তি পায় তাঁর 'জিদ্দি'। এই সিনেমার ব্যাপক জনপ্রিয়তাই তাঁকে এনে দেয় মহাতারকার যশ, মান, খ্যাতি। এরপর কেবল এগিয়ে চলা। 'কালাপানি', 'গাইড', 'হাম দোনো', 'তেরে ঘর কে সামনে', 'গ্যাম্বলার', 'পেয়িং গেস্ট', 'বাজি', 'জুয়েল থিফ', 'সিআইডি', 'জনি মেরা নাম', 'আমির গরিব', 'ওয়ারেন্ট', 'হরে রামা হরে কৃষ্ণা', 'দেশ পরদেশ'... ৬৫ বছরের ক্যারিয়ারে এমন কত সিনেমা যে উপহার দিয়েছেন!
চিরযুবা দেব আনন্দ গত সেপ্টেম্বরে তাঁর ৮৮তম জন্মদিনে বলেছিলেন, 'জীবন আমার আগের মতোই, এই আটাশিতেও আমি সমান সুন্দর। ২০ বছরের উদ্দামতা এখনো আমাতে ভর করে আছে।' জানিয়েছিলেন ব্যক্তিগত স্বপ্নের বৃত্তান্তও, "অনেক কাজ করতে হবে আমায়। 'চার্জশিট' মুক্তির অপেক্ষায় আছি। দর্শকদের চাহিদার কথা ভেবে সম্পূর্ণ নতুন একটি পাণ্ডুলিপির ওপর কাজ করছি। সিনেমার নাম হবে 'হরে রামা হরে কৃষ্ণ আজ'।" সেপ্টেম্বরেই মুক্তি পায় তাঁর পরিচালিত, প্রযোজিত ও অভিনীত 'চার্জশিট'; রুপালি পর্দায় দেব আনন্দের শেষ রুপালি উপস্থিতি।
অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনা-প্রযোজনাও করেছেন দাপটের সঙ্গে। তৈরি করেছেন বহু জনপ্রিয় ছবি। ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠা করেন নিজের প্রযোজনা সংস্থা 'নবকেতন ইন্টারন্যাশনাল ফিল্মস'। ৩৫টির বেশি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন। স্বীকৃতিস্বরূপ পান অসংখ্য পুরস্কার। ভারত সরকার এ কিংবদন্তিকে পদ্মভূষণ দিয়ে সম্মানিত করেছে। পেয়েছেন 'দাদা সাহেব ফালকে'ও। এ ছাড়া ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড, আইফাসহ বহু সম্মাননা। বিদেশি চলচ্চিত্র শাখায় অস্কার মনোনয়ন পেয়েছিল তাঁর অভিনীত 'গাইড'।
'রঙ্গিন' অভিনেতা দেব আনন্দের শেষতক একটি 'রঙ্গিন খোয়াইশ' অপূর্ণই রয়ে গেল! ১৯৬১ সালে তাঁর অভিনীত সাদা-কালো 'হাম দোনো'কে বছরখানেক আগে 'রঙিন' করা হয়। সিনেমাটির রঙিন সংস্করণ দেখে অভিভূত দেব আনন্দ বলেছিলেন, দর্শকরা গ্রহণ করলে তাঁর সব সিনেমাকেই তিনি রঙিন করবেন। সেই সময়টুকু তিনি পেলেন না।
চিরযুবা দেব আনন্দ গত সেপ্টেম্বরে তাঁর ৮৮তম জন্মদিনে বলেছিলেন, 'জীবন আমার আগের মতোই, এই আটাশিতেও আমি সমান সুন্দর। ২০ বছরের উদ্দামতা এখনো আমাতে ভর করে আছে।' জানিয়েছিলেন ব্যক্তিগত স্বপ্নের বৃত্তান্তও, "অনেক কাজ করতে হবে আমায়। 'চার্জশিট' মুক্তির অপেক্ষায় আছি। দর্শকদের চাহিদার কথা ভেবে সম্পূর্ণ নতুন একটি পাণ্ডুলিপির ওপর কাজ করছি। সিনেমার নাম হবে 'হরে রামা হরে কৃষ্ণ আজ'।" সেপ্টেম্বরেই মুক্তি পায় তাঁর পরিচালিত, প্রযোজিত ও অভিনীত 'চার্জশিট'; রুপালি পর্দায় দেব আনন্দের শেষ রুপালি উপস্থিতি।
অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনা-প্রযোজনাও করেছেন দাপটের সঙ্গে। তৈরি করেছেন বহু জনপ্রিয় ছবি। ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠা করেন নিজের প্রযোজনা সংস্থা 'নবকেতন ইন্টারন্যাশনাল ফিল্মস'। ৩৫টির বেশি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন। স্বীকৃতিস্বরূপ পান অসংখ্য পুরস্কার। ভারত সরকার এ কিংবদন্তিকে পদ্মভূষণ দিয়ে সম্মানিত করেছে। পেয়েছেন 'দাদা সাহেব ফালকে'ও। এ ছাড়া ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড, আইফাসহ বহু সম্মাননা। বিদেশি চলচ্চিত্র শাখায় অস্কার মনোনয়ন পেয়েছিল তাঁর অভিনীত 'গাইড'।
'রঙ্গিন' অভিনেতা দেব আনন্দের শেষতক একটি 'রঙ্গিন খোয়াইশ' অপূর্ণই রয়ে গেল! ১৯৬১ সালে তাঁর অভিনীত সাদা-কালো 'হাম দোনো'কে বছরখানেক আগে 'রঙিন' করা হয়। সিনেমাটির রঙিন সংস্করণ দেখে অভিভূত দেব আনন্দ বলেছিলেন, দর্শকরা গ্রহণ করলে তাঁর সব সিনেমাকেই তিনি রঙিন করবেন। সেই সময়টুকু তিনি পেলেন না।
No comments