আশুরার অনুষ্ঠানে আত্মঘাতী বোমা
আফগানিস্তানে গত ২৪ ঘণ্টায় বোমা বিস্ফোরণে ৭৮ জন নিহত হয়েছে। বুধবার হেলমান্দ প্রদেশের রাস্তার পাশে পুঁতে রাখা বোমায় ১৯ জন এবং মঙ্গলবার পবিত্র মহররমের দিনে জোড়া বিস্ফোরণে ৫৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। প্রথমে কাবুলের শিয়া মসজিদ এবং খানিক পরেই মাজার-ই-শরিফে বোমা হামলায় নিহত হয় ৫৯ জন। আহত ১৬৪। এ জোড়া হামলার অভিযোগের তীর পাকিস্তানের দিকেই। আফগান কর্মকর্তাদের দাবি, হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে
পাকিস্তান থেকে। হামলার পর আফগানিস্তানে শিয়া-সুনি্ন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ব্রিটেন সফর বাতিল করে দেশে ফিরে আসেন। তিনি এ হামলার জন্য পাকিস্তানি জঙ্গিদের দোষারোপ করে ইসলামাবাদের কাছে তাদের বিচার দাবি করেন। খবর বিবিসি ও এএফপির।
পাকিস্তানের লস্কর-ই-জাংভি এ হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাকিস্তানের এক কর্মকর্তা জানান, লস্কর-ই-জাংভি যেমন শিয়াদের হত্যা করছে, একই উদ্দেশ্যে তারা কাবুলে হামলা চালিয়েছে। এ বোমা হামলার ঘটনার পর ইংল্যান্ড সফর বাদ দিয়ে দেশে ফিরেছেন আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জার্মানির বন শহরে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদানের পর কারজাইয়ের ইংল্যান্ড সফরে যাওয়ার কথা ছিল। হামলার পর তিনি বলেন, আফগানিস্তানের ইতিহাসে এটাই প্রথম একটি গুরুত্বপূর্ণ পবিত্র ধর্মীয় দিনে সন্ত্রাসীরা এ ধরনের হামলা করল।
কাবুলের মুরাদখানি এলাকায় একটি শিয়া মসজিদের পাশে আবুল ফজল আব্বাস বেদি। সকালে এর সামনে জমায়েত হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। ভিড়ের মধ্যেই আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিহত হয় ৫৫ জন। এদের মধ্যে ১২ শিশু এবং নারীও রয়েছে। মাজার-ই-শরিফে আরেকটি বিস্ফোরণে নিহত হয়েছে ৬ জন। কান্দাহার শহরেও একটি হামলার চেষ্টা হয়। পুলিশের তৎপরতায় তা ব্যর্থ হয়েছে।
আফগানিস্তানে সংখ্যালঘু শিয়া সম্প্রদায়ের পবিত্র আশুরা পালনকালে হামলাটি চালানো হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শেখ কারগর নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৯ এবং আহতের সংখ্যা ১৬০ জনের কথা জানান। নিহতদের বেশির ভাগই মহিলা ও শিশু। রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে শিয়া মুসলমানদের একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৫৪ জন নিহত ও ৬৭ জন আহত হয়। মসজিদটিতে পবিত্র আশুরা উদযাপন উপলক্ষে কয়েকশ' শিয়া মুসলমান জড়ো হয়েছিলেন। আফগানিস্তানে সংখ্যালঘু শিয়া ও সুনি্নদের মধ্যে কিছু বৈরিতা থাকলেও তা পাকিস্তান কিংবা ইরাকের মতো অতটা প্রবল নয়।
শয়া-সুনি্নদের মধ্যকার বিরোধ উসকে দিয়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্যই এ হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের লস্কর-ই-জাংভি এ হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাকিস্তানের এক কর্মকর্তা জানান, লস্কর-ই-জাংভি যেমন শিয়াদের হত্যা করছে, একই উদ্দেশ্যে তারা কাবুলে হামলা চালিয়েছে। এ বোমা হামলার ঘটনার পর ইংল্যান্ড সফর বাদ দিয়ে দেশে ফিরেছেন আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জার্মানির বন শহরে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদানের পর কারজাইয়ের ইংল্যান্ড সফরে যাওয়ার কথা ছিল। হামলার পর তিনি বলেন, আফগানিস্তানের ইতিহাসে এটাই প্রথম একটি গুরুত্বপূর্ণ পবিত্র ধর্মীয় দিনে সন্ত্রাসীরা এ ধরনের হামলা করল।
কাবুলের মুরাদখানি এলাকায় একটি শিয়া মসজিদের পাশে আবুল ফজল আব্বাস বেদি। সকালে এর সামনে জমায়েত হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। ভিড়ের মধ্যেই আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিহত হয় ৫৫ জন। এদের মধ্যে ১২ শিশু এবং নারীও রয়েছে। মাজার-ই-শরিফে আরেকটি বিস্ফোরণে নিহত হয়েছে ৬ জন। কান্দাহার শহরেও একটি হামলার চেষ্টা হয়। পুলিশের তৎপরতায় তা ব্যর্থ হয়েছে।
আফগানিস্তানে সংখ্যালঘু শিয়া সম্প্রদায়ের পবিত্র আশুরা পালনকালে হামলাটি চালানো হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শেখ কারগর নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৯ এবং আহতের সংখ্যা ১৬০ জনের কথা জানান। নিহতদের বেশির ভাগই মহিলা ও শিশু। রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে শিয়া মুসলমানদের একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৫৪ জন নিহত ও ৬৭ জন আহত হয়। মসজিদটিতে পবিত্র আশুরা উদযাপন উপলক্ষে কয়েকশ' শিয়া মুসলমান জড়ো হয়েছিলেন। আফগানিস্তানে সংখ্যালঘু শিয়া ও সুনি্নদের মধ্যে কিছু বৈরিতা থাকলেও তা পাকিস্তান কিংবা ইরাকের মতো অতটা প্রবল নয়।
শয়া-সুনি্নদের মধ্যকার বিরোধ উসকে দিয়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্যই এ হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
No comments