পূর্বাচল প্রকল্পে জালিয়াতি-ভাঙতে হবে অশুভ চক্রের উৎস
বাংলাদেশে জমি নিয়ে যে জালিয়াতি হয়, তার উদাহরণ অন্য কোথাও বোধ হয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। একই জমি নানাজনের কাছে বিক্রির উদাহরণ আছে এখানে। তেমনি অন্যের জমি জাল দলিল করে হাতিয়ে নেওয়ার উদাহরণও কম নেই। এর সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে পূর্বাচল প্রকল্পের জালিয়াতচক্রের কারসাজি। জমির মালিক সেজে এই চক্র হাতিয়ে নিয়েছে অধিগ্রহণ করা জমির প্রকৃত মালিকদের টাকা। অনেকেই এখন সেই টাকায় গাড়ি-বাড়ির মালিক।
অন্যদিকে হাহাকার করে ফিরতে হচ্ছে জমির প্রকৃত মালিকদের। ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি তাঁরা। নতুন প্রকল্পে হারিয়েছেন জমি। স্থানীয় ভূমি অফিসের যোগসাজশেই যে জালিয়াতচক্রটি এভাবে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে পেরেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ভূমি নিয়ে বাংলাদেশে জালিয়াতচক্রের কাজের সঙ্গে ভূমি অফিসের যোগাযোগ সব সময় ঘনিষ্ঠ। ভূমি অফিসের সহযোগিতা ছাড়া ভূমিসংক্রান্ত কোনো জালিয়াতিই সম্ভব নয়। গত মঙ্গলবার কালের কণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদে পূর্বাচল প্রকল্পে ভূমি জালিয়াতির এক চাঞ্চল্যকর খবর বেরিয়ে এসেছে।
কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, পূর্বাচল প্রকল্প ঘিরে গড়ে ওঠা জালিয়াতচক্রটি এরই মধ্যে জমি দানকারীদের অন্তত ১০০ কোটি টাকা এবং তাঁদের প্রাপ্য ৮০০টি প্লট অ্যাওয়ার্ড হাতিয়ে নিয়েছে। চক্রের সদস্য, একসময়ের দিনমজুর, এখন গাড়ি-বাড়ি, ফ্ল্যাট ও কোটি কোটি টাকার মালিক। এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, পাড়াবর্থা গ্রামের শাহাজউদ্দিনের নামে অনেক জমি ছিল। ওই জমির জাল দলিল বানিয়ে একটি সংগঠিত চক্র ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে নিয়েছে। শাহাজউদ্দিন অনেক দিন ধরে নিখোঁজ। অনেকের ধারণা, ওই চক্রই শাহাজউদ্দিনকে গায়েব করেছে। শাহাজউদ্দিনের স্ত্রী নাজমা বেগম নিখেঁাঁজ স্বামীর সন্ধান পেতে স্থানীয় প্রভাবশালীদের দ্বারস্থ হলে তাঁকে গালাগাল ও হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়। এর কয়েক দিনের মধ্যেই কে বা কারা নাজমা বেগমকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়। এরপর থেকে নাজমা বেগমেরও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। এলাকাবাসীর ধারণা, তিনি এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। প্রকাশিত খবরে আরো বলা হয়েছে, গাজীপুরে পাঁচ হাজার টাকা হলেই যেকোনো জমির ভুয়া দলিল, মালিকানার কাগজপত্র, খাজনা-খারিজ, ভুয়া আইডি কার্ডসহ সব কিছু পাওয়া যায়। এগুলো দিয়েই ক্ষতিপূরণের টাকা ও প্লটের অ্যাওয়ার্ড কপি তুলে নেয় চিহ্নিত জালিয়াতচক্র। সম্প্রতি চক্রটি গাজীপুর বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক ও কাপাসিয়ায় গ্যাসফিল্ডের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির ক্ষতিপূরণের চার কোটি টাকাও হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই সব জমির প্রকৃত মালিকদের হাতে পেঁৗছেনি ক্ষতিপূরণের টাকা। এখন তারা মাথা কুটে মরছেন।
স্থানীয় ভূমি অফিসের সহযোগিতা ছাড়া জালিয়াতচক্র এভাবে জমির প্রকৃত মালিকদের টাকা তুলে নিতে পারে না। শর্ষের মধ্যে ভূতের মতো ভূমি অফিসেই রয়েছে জালিয়াতচক্রের একটি অংশ। এই চক্রটিও চিহ্নিত। চিহ্নিত এই চক্রসহ পুরো জালিয়াতচক্রটিকে আইনের আওতায় এনে প্রকৃত ভূমি মালিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ভেঙে দিতে হবে জালিয়াতচক্রের উৎস। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কি প্রকৃত ভূমি মালিকদের আহাজারির প্রতি সংবেদনশীল?
কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, পূর্বাচল প্রকল্প ঘিরে গড়ে ওঠা জালিয়াতচক্রটি এরই মধ্যে জমি দানকারীদের অন্তত ১০০ কোটি টাকা এবং তাঁদের প্রাপ্য ৮০০টি প্লট অ্যাওয়ার্ড হাতিয়ে নিয়েছে। চক্রের সদস্য, একসময়ের দিনমজুর, এখন গাড়ি-বাড়ি, ফ্ল্যাট ও কোটি কোটি টাকার মালিক। এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, পাড়াবর্থা গ্রামের শাহাজউদ্দিনের নামে অনেক জমি ছিল। ওই জমির জাল দলিল বানিয়ে একটি সংগঠিত চক্র ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে নিয়েছে। শাহাজউদ্দিন অনেক দিন ধরে নিখোঁজ। অনেকের ধারণা, ওই চক্রই শাহাজউদ্দিনকে গায়েব করেছে। শাহাজউদ্দিনের স্ত্রী নাজমা বেগম নিখেঁাঁজ স্বামীর সন্ধান পেতে স্থানীয় প্রভাবশালীদের দ্বারস্থ হলে তাঁকে গালাগাল ও হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়। এর কয়েক দিনের মধ্যেই কে বা কারা নাজমা বেগমকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়। এরপর থেকে নাজমা বেগমেরও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। এলাকাবাসীর ধারণা, তিনি এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। প্রকাশিত খবরে আরো বলা হয়েছে, গাজীপুরে পাঁচ হাজার টাকা হলেই যেকোনো জমির ভুয়া দলিল, মালিকানার কাগজপত্র, খাজনা-খারিজ, ভুয়া আইডি কার্ডসহ সব কিছু পাওয়া যায়। এগুলো দিয়েই ক্ষতিপূরণের টাকা ও প্লটের অ্যাওয়ার্ড কপি তুলে নেয় চিহ্নিত জালিয়াতচক্র। সম্প্রতি চক্রটি গাজীপুর বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক ও কাপাসিয়ায় গ্যাসফিল্ডের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির ক্ষতিপূরণের চার কোটি টাকাও হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই সব জমির প্রকৃত মালিকদের হাতে পেঁৗছেনি ক্ষতিপূরণের টাকা। এখন তারা মাথা কুটে মরছেন।
স্থানীয় ভূমি অফিসের সহযোগিতা ছাড়া জালিয়াতচক্র এভাবে জমির প্রকৃত মালিকদের টাকা তুলে নিতে পারে না। শর্ষের মধ্যে ভূতের মতো ভূমি অফিসেই রয়েছে জালিয়াতচক্রের একটি অংশ। এই চক্রটিও চিহ্নিত। চিহ্নিত এই চক্রসহ পুরো জালিয়াতচক্রটিকে আইনের আওতায় এনে প্রকৃত ভূমি মালিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ভেঙে দিতে হবে জালিয়াতচক্রের উৎস। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কি প্রকৃত ভূমি মালিকদের আহাজারির প্রতি সংবেদনশীল?
No comments