চট্টগ্রামে স্বাধীনতার ৪০ বছর উদ্যাপন by শিউলি শবনম,
বর্ণাঢ্য আয়োজনে স্বাধীনতার ৪০ বছর উদ্যাপন করছে চট্টগ্রামের একটি নাট্যদল। বাংলাদেশের প্রায় সমান বয়স এ নাট্যদলের। স্বাধীনতা-উত্তর দেশে ঢাকার বাইরে যে গ্রুপ থিয়েটার চর্চা শুরু হয়েছে, এর মধ্যে অগ্রগামী নাট্যদলটি হলো চট্টগ্রামের অরিন্দম নাট্য সম্প্রদায়। গত ২ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমীর মুক্তমঞ্চে অরিন্দম আয়োজিত আট দিনব্যাপী স্বাধীনতার ৪০ বছর পূর্তি উৎসবের উদ্বোধন করেন কবি আসাদ চৌধুরী।
আগামীকাল উৎসবের শেষ দিন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাট্যজন ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল ঝুনা চৌধুরী ও বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ক্রীড়া সংগঠক আ জ ম নাছির উদ্দীন।
'স্বাধীনতার ৪০ বছর : অরিন্দম উৎসব'-এর আহ্বায়ক এবং দলটির সিনিয়র সদস্য চিত্রশিল্পী আহমেদ নেওয়াজ বলেন, 'চট্টগ্রামে তো বটেই, দেশেও প্রথম কোনো নাট্যদল স্বাধীনতার ৪০ বছর উদ্যাপন করছে।'
অরিন্দম নাট্যদলের যাত্রা শুরু ১৯৭৪ সালে। এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কাজ করেছে। এসব কাজের তালিকায় আছে স্বাধীনতাযুদ্ধের ওপর ভিত্তি করে চারটি নাটক প্রযোজনা। এগুলো হলো, 'ফলাফল নিম্নচাপ', 'রাইফেল', 'তোরা সব জয়ধ্বনি কর' ও 'সাজন মেঘ'। দলটির মোট প্রযোজনা ২৮টি। ঢাকা, সিলেট, কলকাতাসহ দেশ এবং দেশের বাইরে এসব নাটক প্রদর্শিত হয়েছে ৯ শতাধিক বার। অরিন্দমের বিশেষ প্রযোজনাগুলোর মধ্যে রয়েছে 'লালসালু', 'পাপপুণ্য', 'আতর আলীদের নীলাভ পাট', 'ভবঘুরে', 'জলকন্যা', 'বাসন' প্রভৃতি। প্রযোজনার পাশাপাশি অরিন্দম বিভিন্ন সময় আয়োজন করেছে নাট্য উৎসব, সেমিনার এবং নাটকবিষয়ক পত্রিকা প্রকাশনা।
শহুরে মধ্যবিত্তদের বাইরে মঞ্চনাটককে গ্রামীণ জনপদে পেঁৗছে দিতে নাটক নিয়ে প্রায়ই গ্রামে কিংবা প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছুটে যায় অরিন্দম। সেলিম আল দীন রচিত এবং শিশির দত্ত ও মুনীর হেলাল নির্দেশিত তেমনি একটি নাটক বাসন সম্পর্কে স্মৃতিচারণা করলেন আহমেদ নেওয়াজ_'একজন ধান্দাবাজ, অসৎ চেয়ারম্যানকে কিভাবে জনগণ পরাস্ত করে, সেটাই তুলে ধরা হয় এ নাটকে। ফটিকছড়ি উপজেলায় অরিন্দমের বাসন নাটক মঞ্চায়নের পর সেখানকার চেয়ারম্যানের সত্যিই ভরাডুবি হয়। পরবর্তীকালে তিনি আর নির্বাচনে জিততে পারেননি।'
৩৮ বছরে অরিন্দমের পথচলায় সংকট-সমস্যাও কম ছিল না। দলটি এখন নতুন প্রযোজনায় হাত দিলেও বিগত চার-পাঁচ বছরে তাদের প্রযোজনার খাতায় ছিল খরা মৌসুম। তাই উল্লেখযোগ্য কোনো নতুন প্রযোজনা ছিল না। এ অবস্থার জন্য আকাশ সংস্কৃতিকে দায়ী করলেন আহমেদ নেওয়াজ_'দর্শকদের জন্যই তো নাটক। বছর পাঁচেক তো মঞ্চনাটকে কোনো দর্শকই পাইনি আমরা। তবে এখন ভালো নাটক হচ্ছে। দর্শকদেরও ভালো সাড়া মিলছে।' আট দিনব্যাপী এ উৎসবে অংশগ্রহণ করে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন নাট্য সংগঠন। প্রতিদিন মুক্তমঞ্চে আলোচনা, মুক্ত নাটক এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি আট দিনে মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয়েছে আটটি উল্লেখযোগ্য নাটক। প্রথম দিন সিলেটের মণিপুর থিয়েটার মঞ্চায়ন করে 'কহে বীরাঙ্গনা', দ্বিতীয় দিন ঢাকা থিয়েটারের পরিবেশনায় ছিল 'নষ্ট নীড়'। অন্য নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে অরিন্দম নাট্য সম্প্রদায়ের 'জলকন্যা', নান্দিকারের 'কোর্ট মার্শাল', তির্যক নাট্যগোষ্ঠীর 'নন্দনপুরের মেলায় একজন কমলা সুন্দরী ও একটি বাঘ আসে', উত্তরাধিকারের 'মৃত্যুপাখি', গণায়ন নাট্য সম্প্রদায়ের 'মুক্তধারা' এবং আগামীকাল প্রদর্শিত হবে ঢাকার পালাকারের পরিবেশনায় 'বাংলার মাটি বাংলার জল'।
এ ছাড়া উৎসবের দ্বিতীয় দিন মুক্তমঞ্চে নরওয়ে থেকে আগত শিল্পী এল জোন্স ও জোয়ান্সেনের দল 'ফিডল অ্যান্ড ড্যান্স' পরিবেশিত নৃত্য ও বাদ্যযন্ত্র পরিবেশনা বেশ দর্শকনন্দিত হয়েছে। দলটির সঙ্গে নৃত্যে ছিল ওড়িশি নৃত্যশিল্পী প্রমা অবন্তী ও ভরতনাট্যম নৃত্যশিল্পী শুভ্রা সেনগুপ্তের নাচের দল।
'স্বাধীনতার ৪০ বছর : অরিন্দম উৎসব'-এর আহ্বায়ক এবং দলটির সিনিয়র সদস্য চিত্রশিল্পী আহমেদ নেওয়াজ বলেন, 'চট্টগ্রামে তো বটেই, দেশেও প্রথম কোনো নাট্যদল স্বাধীনতার ৪০ বছর উদ্যাপন করছে।'
অরিন্দম নাট্যদলের যাত্রা শুরু ১৯৭৪ সালে। এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কাজ করেছে। এসব কাজের তালিকায় আছে স্বাধীনতাযুদ্ধের ওপর ভিত্তি করে চারটি নাটক প্রযোজনা। এগুলো হলো, 'ফলাফল নিম্নচাপ', 'রাইফেল', 'তোরা সব জয়ধ্বনি কর' ও 'সাজন মেঘ'। দলটির মোট প্রযোজনা ২৮টি। ঢাকা, সিলেট, কলকাতাসহ দেশ এবং দেশের বাইরে এসব নাটক প্রদর্শিত হয়েছে ৯ শতাধিক বার। অরিন্দমের বিশেষ প্রযোজনাগুলোর মধ্যে রয়েছে 'লালসালু', 'পাপপুণ্য', 'আতর আলীদের নীলাভ পাট', 'ভবঘুরে', 'জলকন্যা', 'বাসন' প্রভৃতি। প্রযোজনার পাশাপাশি অরিন্দম বিভিন্ন সময় আয়োজন করেছে নাট্য উৎসব, সেমিনার এবং নাটকবিষয়ক পত্রিকা প্রকাশনা।
শহুরে মধ্যবিত্তদের বাইরে মঞ্চনাটককে গ্রামীণ জনপদে পেঁৗছে দিতে নাটক নিয়ে প্রায়ই গ্রামে কিংবা প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছুটে যায় অরিন্দম। সেলিম আল দীন রচিত এবং শিশির দত্ত ও মুনীর হেলাল নির্দেশিত তেমনি একটি নাটক বাসন সম্পর্কে স্মৃতিচারণা করলেন আহমেদ নেওয়াজ_'একজন ধান্দাবাজ, অসৎ চেয়ারম্যানকে কিভাবে জনগণ পরাস্ত করে, সেটাই তুলে ধরা হয় এ নাটকে। ফটিকছড়ি উপজেলায় অরিন্দমের বাসন নাটক মঞ্চায়নের পর সেখানকার চেয়ারম্যানের সত্যিই ভরাডুবি হয়। পরবর্তীকালে তিনি আর নির্বাচনে জিততে পারেননি।'
৩৮ বছরে অরিন্দমের পথচলায় সংকট-সমস্যাও কম ছিল না। দলটি এখন নতুন প্রযোজনায় হাত দিলেও বিগত চার-পাঁচ বছরে তাদের প্রযোজনার খাতায় ছিল খরা মৌসুম। তাই উল্লেখযোগ্য কোনো নতুন প্রযোজনা ছিল না। এ অবস্থার জন্য আকাশ সংস্কৃতিকে দায়ী করলেন আহমেদ নেওয়াজ_'দর্শকদের জন্যই তো নাটক। বছর পাঁচেক তো মঞ্চনাটকে কোনো দর্শকই পাইনি আমরা। তবে এখন ভালো নাটক হচ্ছে। দর্শকদেরও ভালো সাড়া মিলছে।' আট দিনব্যাপী এ উৎসবে অংশগ্রহণ করে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন নাট্য সংগঠন। প্রতিদিন মুক্তমঞ্চে আলোচনা, মুক্ত নাটক এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি আট দিনে মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয়েছে আটটি উল্লেখযোগ্য নাটক। প্রথম দিন সিলেটের মণিপুর থিয়েটার মঞ্চায়ন করে 'কহে বীরাঙ্গনা', দ্বিতীয় দিন ঢাকা থিয়েটারের পরিবেশনায় ছিল 'নষ্ট নীড়'। অন্য নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে অরিন্দম নাট্য সম্প্রদায়ের 'জলকন্যা', নান্দিকারের 'কোর্ট মার্শাল', তির্যক নাট্যগোষ্ঠীর 'নন্দনপুরের মেলায় একজন কমলা সুন্দরী ও একটি বাঘ আসে', উত্তরাধিকারের 'মৃত্যুপাখি', গণায়ন নাট্য সম্প্রদায়ের 'মুক্তধারা' এবং আগামীকাল প্রদর্শিত হবে ঢাকার পালাকারের পরিবেশনায় 'বাংলার মাটি বাংলার জল'।
এ ছাড়া উৎসবের দ্বিতীয় দিন মুক্তমঞ্চে নরওয়ে থেকে আগত শিল্পী এল জোন্স ও জোয়ান্সেনের দল 'ফিডল অ্যান্ড ড্যান্স' পরিবেশিত নৃত্য ও বাদ্যযন্ত্র পরিবেশনা বেশ দর্শকনন্দিত হয়েছে। দলটির সঙ্গে নৃত্যে ছিল ওড়িশি নৃত্যশিল্পী প্রমা অবন্তী ও ভরতনাট্যম নৃত্যশিল্পী শুভ্রা সেনগুপ্তের নাচের দল।
No comments