উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার কেনার আইন শিথিল
কম্পানির হিসাব বছর শেষ হওয়ার দুই মাস আগ থেকে নিরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করে জারি করা ১৯৯৫ সালের আইন শিথিল করেছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশের কম শেয়ার ধারণকারী কম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে ধারাটি শিথিল করা হয়েছে। ফলে ৩০ শতাংশের কম শেয়ার ধারণকারী উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার কেনায়
আর কোনো বাধা থাকছে না। একই সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে ২ শতাংশের কম শেয়ার ধারণকারীদের শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে আইনি বাধাও শিথিল করা হয়েছে। গতকাল বুধবার এসইসির নিয়মিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে এসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সাইফুর রহমান জানান, ৩০ শতাংশের কম শেয়ার ধারণকারী কম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের ধারণকৃত শেয়ারের নির্ধারিত সীমা পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ১৯৯৫ সালের সুবিধাভোগী ব্যবসা নিষিদ্ধকরণ বিধিমালার বিধি ৪-এর উপবিধি ২-এর কার্যকরিতা স্থগিত করা হয়েছে। এই ধারায় কম্পানির হিসাব বছর শেষ হওয়ার দুই মাস আগ থেকে নিরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়। ধারাটি শিথিলের ফলে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার কেনায় আর কোনো বাধা থাকছে না বলে তিনি জানান।
এর আগে গত ২২ নভেম্বর এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে এসইসি। তবে বিষয়টি আগের ওই আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষর্িক হওয়ায় এসইসি গতকাল আরেকটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিষয়টি স্পষ্ট করে।
গত ২২ নভেম্বরের ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, 'তালিকাভুক্ত সব কম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে নিজ নিজ কম্পানির কমপক্ষে ৩০ শতাংশ শেয়ার সংরক্ষণ করতে হবে। যে কম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ারের পরিমাণ বর্তমানে ৩০ শতাংশের নিচে রয়েছে, তাঁদের আগামী ছয় মাসের মধ্যে মোট শেয়ারের পরিমাণ কমপক্ষে ৩০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। এ ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেক পরিচালককে কম্পানির মোট পরিশোধিত মূলধনের কমপক্ষে দুই শতাংশ শেয়ার সংরক্ষণ করতে হবে।'
কোনো কম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নূ্যনতম শেয়ার ধারণের শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে ওই কম্পানিকে রাইট অফার বা পুনরায় গণপ্রস্তাবের (আরপিও) মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের অনুমোদন দেওয়া হবে না।
এ ছাড়া এসইসির ওই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, কোনো কম্পানিতে একজন সাধারণ শেয়ারহোল্ডারের কাছে ৫ শতাংশের বেশি শেয়ার থাকলে তিনি কম্পানির পরিচালক হওয়ার যোগ্য হবেন। এ ক্ষেত্রে ২ শতাংশের কম শেয়ার থাকার কারণে কোনো পরিচালক পদ শূণ্য হলে কম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) ৫ শতাংশের বেশি শেয়ারধারী ওই শেয়ারহোল্ডার পরিচালক হিসেবে গণ্য হবেন।
No comments