মেয়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে লাশ হলেন মা

রাজধানীর ধানমণ্ডির একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ছোট মেয়ের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য যান নাসিমা বেগম ইয়াসমিন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সেখান থেকে বেরিয়ে আসছিলেন তিনি। হঠাৎ করে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের একটি অ্যাম্বুলেন্স ধাক্কা দেয় তাকে। এতে চিকিৎসার জন্য নেওয়া মেয়েটি বেঁচে গেলেও মারা যান তার মা নাসিমা। গত মঙ্গলবার সকালে ধানমণ্ডির পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে।


এ ছাড়া রাজধানীর কাফরুল, পল্লবী, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ও মগবাজারে গত দু'দিনে গৃহবধূসহ আরও পাঁচজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহতের স্বামী আনোয়ার হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকাল ৮টায় মেয়ের চিকিৎসা করাতে স্ত্রীসহ তিনি পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান। ফেরার পথে পপুলারের সামনেই ওই ডায়গনস্টিকের একটি অ্যাম্বুলেন্স স্ত্রীকে ধাক্কা দেয়। অল্পের জন্য তিনি ও মেয়ে রক্ষা পান। পরে স্ত্রীকে উদ্ধার করে প্রথমে পপুলার হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সকাল ১০টায় চিকিৎসক তার স্ত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তিনি থানায় মামলা করেছেন।
ধানমণ্ডি থানার উপ-পরিদর্শক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, অ্যাম্বুলেন্সটি অজ্ঞাত ছিল। তাই সেটি শনাক্ত করা যায়নি। তিনি বলেন, নিহত নাসিমার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কাঞ্চনপাড়া গ্রামে। তারা সেখান থেকেই চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন।
এদিকে কাফরুল থানার এসআই আবদুর রাজ্জাক খান জানান, মঙ্গলবার দুপুরে উত্তর ইব্রাহীমপুরের ৪৯১ নম্বর বাসা থেকে গৃহবধূ মনোয়ারার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার স্বামীর নাম রেজাউল করিম। তাকে হত্যার পর স্বামী আড়ার সঙ্গে লাশ ঝুলিয়ে রাখে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।
পল্লবী থানার পুলিশ জানায়, গতকাল সকালে পল্লবীর বেড়িবাঁধ থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ৩৫ বছর বয়সী ওই যুবকের গলায় গামছা পেঁচানো ছিল। তার পরনে লাল ফুলহাতা গেঞ্জি ও কালো ফুল প্যান্ট ছিল। পুলিশ ধারণা করছে, ওই যুবককে হত্যার পর লাশ গুম করার জন্য বেড়িবাঁধে ফেলে রাখা হতে পারে। একই থানার পুলিশ মঙ্গলবার রাতে পল্লবী ১ নম্বর রোড থেকে যুবক হামিদুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে। ২০ বছর বয়সী ওই যুবক গাড়ির ধাক্কায় নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ ধারণা করছে।

No comments

Powered by Blogger.