আপিল বিভাগের রায়-ঢাবি 'গ' ইউনিটে ২০ ডিসেম্বর ফের ভর্তি পরীক্ষা
আগামী ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'গ' ইউনিটে নতুন করে ভর্তি পরীক্ষা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। নতুন করে ভর্তি পরীক্ষা না নেওয়া এবং আগের পরীক্ষার ভিত্তিতে ফল পুনর্মূল্যায়ন করতে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করে আপিল বিভাগ এ নির্দেশ দেন। আপিল বিভাগের আদেশের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগামী ২০ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আবেদনের ওপর শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন। গত ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষায় যারা অংশ নিয়েছিল শুধু তারাই এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে বলে আপিল বিভাগের আদেশে বলা হয়েছে। এ পরীক্ষার কার্যক্রমে বাণিজ্য অনুষদের ডিনকে সম্পৃক্ত না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদেশের পর রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এ আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন (রিভিউ) করা হবে কি না, ছাত্রদের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, ফলাফল প্রকাশের পর প্রশ্নপত্রে ভুল ধরা পড়ে। ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের পরও প্রশ্নপত্রে আরো ভুল ধরা পড়ে। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তিনি বলেন, 'আমি ব্যক্তিগতভাবে ভুলের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করব।'
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের 'গ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২৮ অক্টোবর। ৩১ অক্টোবর এ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। এরপর প্রশ্নেপত্রে ভুলের অভিযোগ ওঠায় ফলাফল পুনর্মূল্যায়ন করা হয়। এতে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা আরো কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তার পরও অনেক শিক্ষার্থী এ পুনর্মূল্যায়িত ফলাফলের বিপক্ষে আপত্তি করে। এ আপত্তির কারণে আগামী ৯ ডিসেম্বর নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার তারিখও ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে গত ২২ নভেম্বর প্রথম ফলাফলে উত্তীর্ণ ১২ শিক্ষার্থী হাইকোর্টে রিট আবেদন করে।
হাইকোর্ট পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালসহ তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের নির্দেশ দেন।
আপিল বিভাগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং রিট আবেদনকারীদের পক্ষে মনজিল মোরসেদ শুনানি করেন।
এদিকে আপিল বিভাগের রায়ের পর গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভা হয়। সভা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক কালের কণ্ঠকে জানান, ২০ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সিটপ্ল্যান পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। ২৮ অক্টোবর যারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে কেবল তারাই আবার পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। নতুন করে কেউ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। আগের প্রবেশপত্র দিয়েই পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যাবে। আর কারো প্রবেশপত্র হারিয়ে গেলে কিংবা নষ্ট হয়ে গেলে আবার সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে তা ডাউনলোড করে নিতে পারবে।
উপাচার্য জানান, আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী বাণিজ্য অনুষদের ডিন ড. জামালউদ্দিন আহমেদকে এই ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রমের বাইরে রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে আগের ভর্তি পরীক্ষায় ভুল-ভ্রান্তি বিষয়ে জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
দোষী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, 'এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' কবে নাগাদ তদন্ত শেষ হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'কোষাধ্যক্ষকে প্রধান করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করছি খুব শিগগির তদন্ত কাজ শেষ হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
সাইফুরস নামের একটি কোচিং সেন্টারের লেকচারশিট ও সাজেশান থেকে প্রায় ৮৬টি প্রশ্ন কমন পড়ার বিষয়ে উপাচার্য বিস্ময় প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, 'একটি কোচিং সেন্টারের সাজেশন থেকে অনেক প্রশ্ন কমন পড়েছে। এ প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সঠিক মূল্যায়ন সম্ভব নয়।'
আদেশের পর রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এ আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন (রিভিউ) করা হবে কি না, ছাত্রদের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, ফলাফল প্রকাশের পর প্রশ্নপত্রে ভুল ধরা পড়ে। ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের পরও প্রশ্নপত্রে আরো ভুল ধরা পড়ে। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তিনি বলেন, 'আমি ব্যক্তিগতভাবে ভুলের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করব।'
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের 'গ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২৮ অক্টোবর। ৩১ অক্টোবর এ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। এরপর প্রশ্নেপত্রে ভুলের অভিযোগ ওঠায় ফলাফল পুনর্মূল্যায়ন করা হয়। এতে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা আরো কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তার পরও অনেক শিক্ষার্থী এ পুনর্মূল্যায়িত ফলাফলের বিপক্ষে আপত্তি করে। এ আপত্তির কারণে আগামী ৯ ডিসেম্বর নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার তারিখও ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে গত ২২ নভেম্বর প্রথম ফলাফলে উত্তীর্ণ ১২ শিক্ষার্থী হাইকোর্টে রিট আবেদন করে।
হাইকোর্ট পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালসহ তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের নির্দেশ দেন।
আপিল বিভাগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং রিট আবেদনকারীদের পক্ষে মনজিল মোরসেদ শুনানি করেন।
এদিকে আপিল বিভাগের রায়ের পর গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভা হয়। সভা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক কালের কণ্ঠকে জানান, ২০ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সিটপ্ল্যান পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। ২৮ অক্টোবর যারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে কেবল তারাই আবার পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। নতুন করে কেউ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। আগের প্রবেশপত্র দিয়েই পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যাবে। আর কারো প্রবেশপত্র হারিয়ে গেলে কিংবা নষ্ট হয়ে গেলে আবার সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে তা ডাউনলোড করে নিতে পারবে।
উপাচার্য জানান, আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী বাণিজ্য অনুষদের ডিন ড. জামালউদ্দিন আহমেদকে এই ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রমের বাইরে রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে আগের ভর্তি পরীক্ষায় ভুল-ভ্রান্তি বিষয়ে জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
দোষী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, 'এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' কবে নাগাদ তদন্ত শেষ হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'কোষাধ্যক্ষকে প্রধান করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করছি খুব শিগগির তদন্ত কাজ শেষ হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
সাইফুরস নামের একটি কোচিং সেন্টারের লেকচারশিট ও সাজেশান থেকে প্রায় ৮৬টি প্রশ্ন কমন পড়ার বিষয়ে উপাচার্য বিস্ময় প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, 'একটি কোচিং সেন্টারের সাজেশন থেকে অনেক প্রশ্ন কমন পড়েছে। এ প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সঠিক মূল্যায়ন সম্ভব নয়।'
No comments