৪৫০ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি
২০১৫ সালের মধ্যে ৪৫০ কোটি ডলার বা ৩৪ হাজার কোটি টাকা দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এর মধ্যে সহজ শর্তে ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে ২৪০ কোটি আর কঠিন শর্তে মিলবে ২১০ কোটি ডলার। এ অর্থ মূলত জ্বালানি, পরিবহন, নগরায়ন, শিক্ষা, কৃষি, প্রাকৃতিক সম্পদসহ দারিদ্র্য বিমোচন খাতে খরচ হবে। এসব খাতের বিনিয়োগের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বকে (পিপিপি) উৎসাহিত করা হবে।
এতে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের পাশাপাশি বাড়বে কর্মসংস্থান, ত্বরান্বিত হবে জাতীয় প্রবৃদ্ধি।গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের জন্য এডিবির বাংলাদেশ কান্ট্রি পার্টনারশিপ (সিপিএস) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন ঢাকার এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর থেবাকুমার কান্দিয়াহ। সিপিএসে ২০১১-১৫ সাল নাগাদ এডিবি বাংলাদেশ সহায়তা কৌশল হিসেবে কী পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে তার বিবরণ উল্লেখ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত স্থানীয় এক হোটেলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সচিব ইকবাল মাহমুদ প্রমুখ। সিপিএস সম্পর্কে মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন এডিবির সিনিয়র কান্ট্রি স্পেশালিস্ট জাহিদ হোসেন। এডিবির সিপিএসে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির সূচক ভালো। দারিদ্র্য বিমোচনে অগ্রগতি হয়েছে। তবে বাংলাদেশের সামনে চারটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলো হলো_ দুর্বল অবকাঠামো, অদক্ষ জনশক্তি, দ্রুত নগরায়ন বৃদ্ধি ও জলবায়ুর বিরূপ পরিবর্তন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, দাতাদের সম্পর্ক অবশ্যই অর্থবহ ও ফলপ্রসূ হওয়া উচিত। এডিবিসহ দাতাদের সঙ্গে দেশের নীতিনির্ধারকদের ভিশনে মিল রয়েছে। এ জন্য তাদের সহায়তা কৌশল কার্যকর হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ৪০ বছর আগে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৯ শতাংশ আসত বিদেশি সহায়তা হিসেবে। বর্তমানে তা দুই শতাংশে নেমে এসেছে। যদিও আমরা এখনও বিদেশি সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।
ইতিবাচক দিক হচ্ছে, নির্ভরশীলতা ক্রমশ কমে আসছে। তার মতে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে ৫০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে অবশ্যই কাজের মধ্যে থাকতে হবে। এ জন্য কর্মসংস্থান দরকার প্রচুর। অবকাঠামো ও শিল্প খাতে বিনিয়োগ প্রয়োজন।
ইআরডি সচিব ইকবাল মাহমুদ জানান, সিপিএস শুধু এডিবির দলিল নয়, এটি বাংলাদেশের উন্নয়নের দলিল। টেকসই উন্নয়নে দাতাদের প্রতিশ্রুত অর্থ ছাড়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর থেবাকুমার কান্দিয়াহ বলেন, বাংলাদেশে আর্থ-সামাজিক অবস্থার উলেল্গখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। এসব অগ্রগতি সত্ত্বেও এ মুহূর্তে খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি, জ্বালানি মূল্যের অস্থিরতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো নতুন চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সরকারকে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।
তিনি বলেন, সিপিএসের দলিলে সব কর্মসূচিতে বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধি, অবকাঠামো উন্নয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এডিবি মনে করে, বাংলাদেশের উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনও দারিদ্র্য বিমোচনে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা খুবই জরুরি।
তিনি বলেন, ৪০ বছর আগে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৯ শতাংশ আসত বিদেশি সহায়তা হিসেবে। বর্তমানে তা দুই শতাংশে নেমে এসেছে। যদিও আমরা এখনও বিদেশি সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।
ইতিবাচক দিক হচ্ছে, নির্ভরশীলতা ক্রমশ কমে আসছে। তার মতে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে ৫০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে অবশ্যই কাজের মধ্যে থাকতে হবে। এ জন্য কর্মসংস্থান দরকার প্রচুর। অবকাঠামো ও শিল্প খাতে বিনিয়োগ প্রয়োজন।
ইআরডি সচিব ইকবাল মাহমুদ জানান, সিপিএস শুধু এডিবির দলিল নয়, এটি বাংলাদেশের উন্নয়নের দলিল। টেকসই উন্নয়নে দাতাদের প্রতিশ্রুত অর্থ ছাড়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর থেবাকুমার কান্দিয়াহ বলেন, বাংলাদেশে আর্থ-সামাজিক অবস্থার উলেল্গখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। এসব অগ্রগতি সত্ত্বেও এ মুহূর্তে খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি, জ্বালানি মূল্যের অস্থিরতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো নতুন চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সরকারকে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।
তিনি বলেন, সিপিএসের দলিলে সব কর্মসূচিতে বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধি, অবকাঠামো উন্নয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এডিবি মনে করে, বাংলাদেশের উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনও দারিদ্র্য বিমোচনে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা খুবই জরুরি।
No comments