বিএনপি : চাঁদপুর-৪, ফরিদগঞ্জ-নেতৃত্বের আনাড়িপনায় দুর্গের ভবিষ্যৎ নড়বড়ে
একসময় বিএনপির ভোট-ব্যাংক বলে খ্যাত ছিল ফরিদগঞ্জ। '৯১ সালের পর থেকে পরপর চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন আলমগীর হায়দার খান। রাস্তাঘাট আর নানা অবকাঠামো উন্নয়নে তাঁর ভূমিকা এ অঞ্চলের মানুষ আজও স্মরণ করে। তিনিই একমাত্র নেতা ছিলেন, যিনি বিএনপিকে একক নেতৃত্বে সংগঠিত করেন। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে ২০০৮ সালে তার মনোনয়ন অনিশ্চিত হলে এ পদে নতুন করে যুক্ত হন ব্যাংকার, ঠিকাদার ও
ব্যবসায়ী লায়ন মো. হারুনুর রশিদ। তিনি মহাজোট প্রার্থী সাংবাদিক মুহাম্মদ সফিকুর রহমানকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তিনি একক নেতৃত্ব ধরে রাখতে পারছেন না স্থানীয় বিএনপিতে। ফলে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব আর সংঘাতের পথে হাঁটতে শুরু করেছে দলের নেতা-কর্মীরা।
গত পৌরসভা নির্বাচনের পর থেকে উপজেলা কমিটির সভাপতি পদে থাকা সংসদ সদস্যের সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয় একই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের। এখন তাঁরা একে অপরের বিপরীতে অবস্থান করছেন। ফরিদগঞ্জে বিএনপির কমিটি নিয়ে এমন দ্বন্দ্ব অতীতের ইতিহাস হলেও এ যেন পুরনো ঘিয়ে নতুন করে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ছাত্র ও যুবদলের কমিটির মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে অনেক আগেই।
১৯৯১ সালের নির্বাচন শুরুর আগে ফরিদগঞ্জে বিএনপিকে বিশেষ সহায়তা করেন শিল্পপতি নুরুল ইসলাম পাটোয়ারী ও তাঁর পরিবার। রাজনীতিতে তিনি সরাসরি জড়িত না থাকলেও অর্থ আর জনবল দিয়ে তিনি ছিলেন বিএনপির নেপথ্য শক্তি। পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ ২০০৫ সালে তাঁর ছোট ভাই আরেক শিল্পপতি মোতাহার হোসেন পাটোয়ারী বিএনপির রাজনীতিতে সরাসরি জড়িয়ে পড়েন।
২০০৮ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলের মনোনয়ন প্রাপ্তিতে এগিয়ে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি মনোনয়ন না পেলেও লায়ন মো. হারুনুর রশিদের মনোনয়ন লাভের পর মোতাহার হোসেন পাটোয়ারী একসঙ্গে কাজ করেন।
২০০৯ সালের ২৬ নভেম্বর ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ৭১ সদস্যের কমিটিকে অনুমোদন দেয় জেলা কমিটি। এতে সভাপতি হন সংসদ সদস্য লায়ন মো. হারুনুর রশিদ এবং সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন পাটোয়ারী। এক বছরের বেশি সময় ধরে এ কমিটির নেতৃত্বে ঐক্য বিরাজমান থাকলেও চলতি বছর ফরিদগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে সমর্থন দেওয়াকে কেন্দ্র করে এতে চিড় ধরে। সংসদ সদস্য ও সাধারণ সম্পাদক পৃথকভাবে দুইজনকে সমর্থন দেন। তাঁদের মধ্যে সংসদ সদস্য লায়ন মো. হারুনুর রশিদ সাবেক বিএনপি নেতা সফিকুল ইসলাম পাটোয়ারীকে এবং সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন পাটোয়ারী সাবেক ছাত্রদল নেতা মঞ্জিল হোসেনকে সমর্থন দেন। মেয়র পদে জয় লাভ করেন মঞ্জিল হোসেন। এর পর থেকে দুইজনের মধ্যে শুরু হয় প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব। যার জের ধরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও তাঁরা পৃথকভাবে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সমর্থন দেন। তাঁদের সমর্থিত ১২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচিত হন। সংসদ সদস্যের প্রতিপক্ষের অভিযোগ, দলের ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে তিনি এমন কিছু লোক নিয়ে চলেন, যাঁদের মধ্যে কেউ কেউ বিএনপির আদর্শ লালন করেন না।
এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য লায়ন মো. হারুনুর রশিদ বলেন, দলের জন্য যাঁরা কাজ করতে চান, তাঁরা দায়িত্বশীল পদে নেই ঠিক; কিন্তু বিএনপির রাজনীতিকে ভালোবেসে তাঁর সঙ্গে থাকেন। তিনি বলেন, দলের প্রতি টান থাকলে পদ বড় কথা নয়, নিজ থেকেই জনগণের প্রতি দরদ নিয়ে কাজ করা যায়। সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ আছে বলে দাবি করেন তিনি।
অন্যদিকে উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য মোতাহার হোসেন বলেন, সভাপতি নিজের মতো করে দল চালাচ্ছেন। দলের ত্যাগী ও মেধাবী নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে নিজস্ব বাহিনী তৈরি করে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সাংগঠনিক কোনো পরামর্শ নিতেও যোগাযোগ করেন না। এতে দিন দিন নেতা-কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। এ ছাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হচ্ছেন হাজী মোজাম্মেল। তিনি বিএনপির সমর্থন নিয়ে এ পদে নির্বাচিত হন। তাঁর সঙ্গে সংসদ সদস্যের বেশ দূরত্ব রয়েছে। হাজী মোজাম্মেল জানান, সংসদ সদস্য তাঁর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করলে ভালো হতো।
এ দুই নেতার মধ্যে দূরত্বের কারণে মূল দল, যুবদল আর ছাত্রদলও দ্বিধাবিভক্ত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির রাজনীতি পছন্দ করেন এমন কয়েকজন বলেছেন, ফরিদগঞ্জে জাতীয়তাবাদী ধারার রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে হলে এখন থেকেই মেধাসম্পন্ন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তা না হলে বর্তমানের আনাড়িপনা নেতৃত্বের জেদের কারণে বিএনপির রাজনীতির অপমৃত্যু ঘটবে।
গত পৌরসভা নির্বাচনের পর থেকে উপজেলা কমিটির সভাপতি পদে থাকা সংসদ সদস্যের সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয় একই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের। এখন তাঁরা একে অপরের বিপরীতে অবস্থান করছেন। ফরিদগঞ্জে বিএনপির কমিটি নিয়ে এমন দ্বন্দ্ব অতীতের ইতিহাস হলেও এ যেন পুরনো ঘিয়ে নতুন করে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ছাত্র ও যুবদলের কমিটির মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে অনেক আগেই।
১৯৯১ সালের নির্বাচন শুরুর আগে ফরিদগঞ্জে বিএনপিকে বিশেষ সহায়তা করেন শিল্পপতি নুরুল ইসলাম পাটোয়ারী ও তাঁর পরিবার। রাজনীতিতে তিনি সরাসরি জড়িত না থাকলেও অর্থ আর জনবল দিয়ে তিনি ছিলেন বিএনপির নেপথ্য শক্তি। পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ ২০০৫ সালে তাঁর ছোট ভাই আরেক শিল্পপতি মোতাহার হোসেন পাটোয়ারী বিএনপির রাজনীতিতে সরাসরি জড়িয়ে পড়েন।
২০০৮ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলের মনোনয়ন প্রাপ্তিতে এগিয়ে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি মনোনয়ন না পেলেও লায়ন মো. হারুনুর রশিদের মনোনয়ন লাভের পর মোতাহার হোসেন পাটোয়ারী একসঙ্গে কাজ করেন।
২০০৯ সালের ২৬ নভেম্বর ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ৭১ সদস্যের কমিটিকে অনুমোদন দেয় জেলা কমিটি। এতে সভাপতি হন সংসদ সদস্য লায়ন মো. হারুনুর রশিদ এবং সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন পাটোয়ারী। এক বছরের বেশি সময় ধরে এ কমিটির নেতৃত্বে ঐক্য বিরাজমান থাকলেও চলতি বছর ফরিদগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে সমর্থন দেওয়াকে কেন্দ্র করে এতে চিড় ধরে। সংসদ সদস্য ও সাধারণ সম্পাদক পৃথকভাবে দুইজনকে সমর্থন দেন। তাঁদের মধ্যে সংসদ সদস্য লায়ন মো. হারুনুর রশিদ সাবেক বিএনপি নেতা সফিকুল ইসলাম পাটোয়ারীকে এবং সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন পাটোয়ারী সাবেক ছাত্রদল নেতা মঞ্জিল হোসেনকে সমর্থন দেন। মেয়র পদে জয় লাভ করেন মঞ্জিল হোসেন। এর পর থেকে দুইজনের মধ্যে শুরু হয় প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব। যার জের ধরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও তাঁরা পৃথকভাবে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সমর্থন দেন। তাঁদের সমর্থিত ১২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচিত হন। সংসদ সদস্যের প্রতিপক্ষের অভিযোগ, দলের ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে তিনি এমন কিছু লোক নিয়ে চলেন, যাঁদের মধ্যে কেউ কেউ বিএনপির আদর্শ লালন করেন না।
এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য লায়ন মো. হারুনুর রশিদ বলেন, দলের জন্য যাঁরা কাজ করতে চান, তাঁরা দায়িত্বশীল পদে নেই ঠিক; কিন্তু বিএনপির রাজনীতিকে ভালোবেসে তাঁর সঙ্গে থাকেন। তিনি বলেন, দলের প্রতি টান থাকলে পদ বড় কথা নয়, নিজ থেকেই জনগণের প্রতি দরদ নিয়ে কাজ করা যায়। সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ আছে বলে দাবি করেন তিনি।
অন্যদিকে উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য মোতাহার হোসেন বলেন, সভাপতি নিজের মতো করে দল চালাচ্ছেন। দলের ত্যাগী ও মেধাবী নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে নিজস্ব বাহিনী তৈরি করে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সাংগঠনিক কোনো পরামর্শ নিতেও যোগাযোগ করেন না। এতে দিন দিন নেতা-কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। এ ছাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হচ্ছেন হাজী মোজাম্মেল। তিনি বিএনপির সমর্থন নিয়ে এ পদে নির্বাচিত হন। তাঁর সঙ্গে সংসদ সদস্যের বেশ দূরত্ব রয়েছে। হাজী মোজাম্মেল জানান, সংসদ সদস্য তাঁর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করলে ভালো হতো।
এ দুই নেতার মধ্যে দূরত্বের কারণে মূল দল, যুবদল আর ছাত্রদলও দ্বিধাবিভক্ত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির রাজনীতি পছন্দ করেন এমন কয়েকজন বলেছেন, ফরিদগঞ্জে জাতীয়তাবাদী ধারার রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে হলে এখন থেকেই মেধাসম্পন্ন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তা না হলে বর্তমানের আনাড়িপনা নেতৃত্বের জেদের কারণে বিএনপির রাজনীতির অপমৃত্যু ঘটবে।
No comments