ব্যাটিংয়ে সেরা নাসির by রুবেল খান
শ্রীলংকাকে নাস্তানাবুদ করে বাংলাদেশ সফরে এসেছে পাকিস্তান দল। সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে তারা সাফল্যের জাদুমন্ত্রও। সে জাদুমন্ত্রের বেড়াজালে টাইগারদের আবদ্ধ করে টি২০-র পর মিসবাহরা জিতে নিলেন ওয়ানডে সিরিজও। এ জাদুমন্ত্রটা আর কিছুই নয়, দলীয় পারফরম্যান্স। তুখোড় ফর্মে রয়েছেন আফ্রিদি-মিসবাহরা। ব্যাটিং কিংবা বোলিং সর্বক্ষেত্রেই যথাসময়ে জ্বলে উঠে জিতে নিচ্ছেন তারা একের পর এক ম্যাচ।
তারায় তারায় খচিত পাকিস্তানের এ দলটি এখন বিশ্বের যে কোনো দলকে হারানোর ক্ষমতা রাখে। বাংলাদেশকে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার মধ্য দিয়ে নিজেদের শক্তিমত্তার আরেকবার প্রমাণ দিল মিসবাহ বাহিনী। পুরো সিরিজেই পারফরম্যান্সে সমুজ্জ্বল ছিলেন দলের ম্যাচ উইনাররা। বল হাতে ছয় উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা হয়েছেন মোহাম্মদ হাফিস। সিরিজের সেরা পাঁচ বোলারের তালিকায় বাংলাদেশের কেউ স্থান পাননি। যদিও ব্যাটিংয়ে ১২৪ রান করে সেরা পাঁচের শীর্ষস্থানটি দখল করে নিয়েছেন বাংলাদেশ দলের নতুন তারকা নাসির হোসেন। তার চেয়ে মাত্র এক রান কম করে সেরা পাঁচের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন পাকিস্তান দলের তারকা ব্যাটসম্যান ওমর আকমল। তবে ব্যাট হাতে ধারাবাহিক পারফর্ম করে ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছেন তিনিই। সিরিজসেরা না হতে পারলেও নাসির বাংলাদেশ দলের মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার হয়েছেন। পুরস্কার হিসেবে জিতে নিয়েছেন একটি মোটরসাইকেল। ওয়ানডে সিরিজে শুধু অতটুকুই প্রাপ্তি নয় নাসির হোসেনের। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে দলের চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে হাল ধরে দলকে একটা সম্মানজনক স্থানে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরিও করেন তিনি। কাঁটায় কাঁটায় ১০০ রান করেই উমর গুলের বলে ইমরান ফাহাদের ক্যাচ হয়ে ফেরেন। ১৩৪ বলে ১১টি চার ও একটি ছক্কায় সাজান তার প্রথম সেঞ্চুরির ইনিংসটি। এ সেঞ্চুরির সুবাদে দল হারলেও ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন নাসির হোসেন। ওই ম্যাচে ৫৯ রান করে দলের জয়ে অবদান রাখলেও ম্যাচসেরা হতে পারেননি ওমর আকমল। তবে সিরিজের শেষ ম্যাচে চট্টগ্রামে ৫৭ রানের ইনিংস খেলে দলের জয়ে নতুন করে অবদান রাখার পাশাপাশি ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে নেন ওমর, যেটি তাকে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার পেতেও সহায়তা করে। ওয়ানডে সিরিজে ব্যাট হাতে সেরা পাঁচে থাকা বাকি তিন ব্যাটসম্যানই পাকিস্তানি। তিন ম্যাচে ১০০ রান করে পাকিস্তান দলপতি সেরা পাঁচের তৃতীয়, ৭৫ রান করে আফ্রিদি চতুর্থ এবং ৬৫ রান করে ইউনিস খান পঞ্চম হন। সিরিজের সেরা পাঁচে ব্যাট হাতে নাসির জায়গা পেলেও বল হাতে সেরা পাঁচে বাংলাদেশের কেউ জায়গা করে নিতে পারেননি। অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ ছয় উইকেট নিয়ে সেরা পাঁচের শীর্ষে রয়েছেন। পাঁচ উইকেট করে নিয়ে সেরা পাঁচের দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন ওমর গুল এবং শহিদ আফ্রিদি। চার উইকেট করে নিয়ে চতুর্থ ও পঞ্চম হয়েছেন শোয়েব মালিক ও সাঈদ আজমল। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ব্যাট কিংবা বল হাতে সেরা পাঁচে জায়গা করে নিতে পারেননি।
No comments