বাসার মধ্যে 'বিআরটিএ' দুই প্রতারক গ্রেপ্তার
তার কোনো অফিস নেই। প্রথম স্ত্রীর ঘরকেই সে বানিয়ে নিয়েছে অফিস। আর সেখানেই সে গড়ে তোলে বিআরটিএর বিকল্প অফিস। সেখান থেকে সে সরবরাহ করত রাস্তায় মোটরগাড়ি চালানোর সব কাগজপত্র। ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে শুরু করে গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট, ইনস্যুরেন্স ফরম, রেজিস্ট্রেশনের কাগজপত্র, ট্যাঙ্ টোকেনসহ গাড়ি চালানোর জন্য এমন কোনো কাগজপত্র নেই, যা সে বানাতে পারত না।
'করিৎকর্মা' এই ব্যক্তির নাম মো. সম্রাট রহমান। র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারের পর সে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তার সঙ্গে প্রতারক চক্রের আরেক হোতা মো. রফিক মিয়াকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা দুজন মিলে তৈরি করেছিল এমনই এক 'বিআরটিএ'!
র্যাবের সদস্যরা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁরা জানতে পারেন, প্রতারকরা গাড়ির ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ সব কাগজপত্র তৈরি করে দিচ্ছে। তখন র্যাব-৪-এর সদস্যরা ছদ্মবেশে প্রতারক চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারের জন্য ফাঁদ পাতেন। গত মঙ্গলবার রাত ৭টার দিকে মিরপুর-১১ নম্বরের ২০ নম্বর বাসার নিচতলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সম্রাট রহমানকে। এরপর তাঁর স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে গভীর রাতে মিরপুর-৬ নম্বরের একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রফিককে।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারের পর তারা জানতে পারে, রফিক একসময় কনস্টেবল হিসেবে পুলিশ বিভাগে চাকরি করত। প্রতারণার দায়ে ২০০৮ সালে তাকে বরখাস্ত করা হয়। এর পর থেকে রফিক ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ অন্যান্য কাগজপত্র তৈরি করতে মাঠে নামে। তার সঙ্গে যোগ দেয় কম্পিউটারে দক্ষ সম্রাট।
অভিযানে অংশ নেওয়া র্যাব-৪-এর স্কোয়াড্রন লিডার মো. মিরান হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, সম্রাটকে তার প্রথম স্ত্রীর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মাইলখানেক দূরে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর বাসা থেকে ভুয়া কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, গ্রেপ্তার এড়াতে কোনো অফিস না নিয়ে বাসার ভেতরেই কাজ করত সম্রাট। ভুয়া কাগজপত্র বিক্রি করে মাসে ৩০-৪০ হাজার টাকা আয় হতো বলে স্বীকার করে সে। শুধু ঢাকায় নয়, চাহিদা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন স্থানে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে এসব কাগজপত্র পাঠিয়ে দিত তারা।
র্যাব জানায়, বাংলাদেশে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় অসংখ্য মানুষের প্রাণহানি, পঙ্গুত্বসহ আর্থিকভাবে ক্ষতি হয়ে থাকে। এসব দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে অনেকাংশেই চালকের অদক্ষতা, ফিটনেসবিহীন এবং যান্ত্রিক ত্রুটিযুক্ত যানবাহনই দায়ী। একটি অসাধু চক্র দীর্ঘদিন ধরে বিআরটিএর সিলসহ অন্যান্য কাগজপত্র নকল করে ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স, ফিটনেস সার্টিফিকেট, রেজিস্ট্রেশন তৈরি করে আসছিল। র্যাব এসব অসাধু চক্রের সদস্যদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে অনেক আগে থেকে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ওই দুই প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছে, নকল ট্যাঙ্ টোকেন, ফিটনেস সার্টিফিকেট ও রেজিস্ট্রেশনের কাগজপত্র সরবরাহ করে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছিল। বিশেষ করে চোরাই গাড়ির কাগজপত্র নির্বিঘ্নে মালিকানা বদল করে রাস্তায় চলাচলের সুযোগ করে দিয়ে আসছিল তারা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা আরো জানায়, প্রায় দুই বছর ধরে এই চক্রটি এ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। এ পর্যন্ত তারা দুই হাজারের বেশি গাড়ি ও চালকদের ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স, ফিটনেস সার্টিফিকেট, ট্যাঙ্ টোকেনসহ অন্যান্য কাগজপত্র সরবরাহ করেছে। একই অপরাধে সম্রাট রহমান আগেও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে এবং প্রায় আট মাস কারাভোগও করে।
র্যাবের এক কর্মকর্তা জানান, এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
র্যাবের সদস্যরা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁরা জানতে পারেন, প্রতারকরা গাড়ির ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ সব কাগজপত্র তৈরি করে দিচ্ছে। তখন র্যাব-৪-এর সদস্যরা ছদ্মবেশে প্রতারক চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারের জন্য ফাঁদ পাতেন। গত মঙ্গলবার রাত ৭টার দিকে মিরপুর-১১ নম্বরের ২০ নম্বর বাসার নিচতলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সম্রাট রহমানকে। এরপর তাঁর স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে গভীর রাতে মিরপুর-৬ নম্বরের একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রফিককে।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারের পর তারা জানতে পারে, রফিক একসময় কনস্টেবল হিসেবে পুলিশ বিভাগে চাকরি করত। প্রতারণার দায়ে ২০০৮ সালে তাকে বরখাস্ত করা হয়। এর পর থেকে রফিক ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ অন্যান্য কাগজপত্র তৈরি করতে মাঠে নামে। তার সঙ্গে যোগ দেয় কম্পিউটারে দক্ষ সম্রাট।
অভিযানে অংশ নেওয়া র্যাব-৪-এর স্কোয়াড্রন লিডার মো. মিরান হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, সম্রাটকে তার প্রথম স্ত্রীর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মাইলখানেক দূরে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর বাসা থেকে ভুয়া কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, গ্রেপ্তার এড়াতে কোনো অফিস না নিয়ে বাসার ভেতরেই কাজ করত সম্রাট। ভুয়া কাগজপত্র বিক্রি করে মাসে ৩০-৪০ হাজার টাকা আয় হতো বলে স্বীকার করে সে। শুধু ঢাকায় নয়, চাহিদা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন স্থানে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে এসব কাগজপত্র পাঠিয়ে দিত তারা।
র্যাব জানায়, বাংলাদেশে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় অসংখ্য মানুষের প্রাণহানি, পঙ্গুত্বসহ আর্থিকভাবে ক্ষতি হয়ে থাকে। এসব দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে অনেকাংশেই চালকের অদক্ষতা, ফিটনেসবিহীন এবং যান্ত্রিক ত্রুটিযুক্ত যানবাহনই দায়ী। একটি অসাধু চক্র দীর্ঘদিন ধরে বিআরটিএর সিলসহ অন্যান্য কাগজপত্র নকল করে ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স, ফিটনেস সার্টিফিকেট, রেজিস্ট্রেশন তৈরি করে আসছিল। র্যাব এসব অসাধু চক্রের সদস্যদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে অনেক আগে থেকে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ওই দুই প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছে, নকল ট্যাঙ্ টোকেন, ফিটনেস সার্টিফিকেট ও রেজিস্ট্রেশনের কাগজপত্র সরবরাহ করে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছিল। বিশেষ করে চোরাই গাড়ির কাগজপত্র নির্বিঘ্নে মালিকানা বদল করে রাস্তায় চলাচলের সুযোগ করে দিয়ে আসছিল তারা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা আরো জানায়, প্রায় দুই বছর ধরে এই চক্রটি এ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। এ পর্যন্ত তারা দুই হাজারের বেশি গাড়ি ও চালকদের ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স, ফিটনেস সার্টিফিকেট, ট্যাঙ্ টোকেনসহ অন্যান্য কাগজপত্র সরবরাহ করেছে। একই অপরাধে সম্রাট রহমান আগেও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে এবং প্রায় আট মাস কারাভোগও করে।
র্যাবের এক কর্মকর্তা জানান, এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
No comments