আইনি জটিলতায় ডিসিসির বিভক্তি by তারেক শামসুর রেহমান
শেষ পর্যন্ত যা আশঙ্কা করা হয়েছিল, তাই হয়েছে। আইনি জটিলতায় জড়িয়ে গেছে ঢাকা সিটি করপোরেশনের (ডিসিসি) বিভক্তি। গত ২৯ নভেম্বর জাতীয় সংসদে 'স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন সংশোধনী) বিল ২০১১ পাসের এক দিনের মাথায় বিদায়ী মেয়র সাদেক হোসেন খোকার দায়ের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত কেন সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন।
এ জন্য উচ্চ আদালত সরকারকে চার সপ্তাহ সময় দিয়েছেন। সরকারের এই সিদ্ধান্ত কেন অসাংবিধানিক নয়_এটাও জানতে চেয়েছেন আদালত। তবে প্রশাসক নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি বিভক্তি রায় পাওয়া গেছে। উচ্চ আদালতের এ রায়ের পরও সরকার দুটি সিটি করপোরেশনের জন্য দুজন প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে। বাংলাদেশের চলমান রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে ডিসিসির এ বিভক্তি নতুন একটি মাত্রা পেয়েছে। সরকারের শরিকদের কেউই এ বিভক্তি মেনে নেয়নি। এমনকি মাত্র চার মিনিটের মাথায় ঐতিহ্যমণ্ডিত ঢাকাকে দুই ভাগে ভাগ করার সিদ্ধান্ত সুধী সমাজের অনেকেই সমর্থন করেননি। বিএনপি এর প্রতিবাদে ৪ ডিসেম্বর ঢাকায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করেছে। উল্লেখ্য, ডিসিসির এ বিভক্তির ফলে প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো ঢাকাকে দুই ভাগে ভাগ করা হলো_ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ। আইন অনুযায়ী সদ্যপ্রতিষ্ঠিত দুটি সিটি করপোরেশনের জন্য সরকার দুজন প্রশাসক নিয়োগ করবে এবং ৯০ দিনের মধ্যে দুটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সম্পন্ন করা যাবে না বলে আশঙ্কা করেছেন একজন নির্বাচন কমিশনার।
সরকারের এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। করপোরেশনের সেবা নাগরিকদের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর যে কথা বলা হয়, তাতে এখন নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে। শুধু তা-ই নয়, সিটি করপোরেশন দুটি পরিচালনায়ও নানা জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। এই বিভক্তির ফলে এখন ডিসিসির দক্ষিণে পড়বে ৫৬টি ওয়ার্ড, আর উত্তরে পড়বে ৩৬টি। ফলে আয় ও ব্যয়ের দিক দিয়ে একধরনের বৈষম্য সৃষ্টি হতে বাধ্য। কেননা ডিসিসির বেশি আয় হয় দক্ষিণ অঞ্চল থেকে। এখন বিভক্তির ফলে দক্ষিণ অঞ্চল থেকে রাজস্ব আসবে ৭০ শতাংশ। আর উত্তর অঞ্চল থেকে রাজস্ব আসবে মাত্র ৩০ শতাংশ। এর ফলে একাধিক সমস্যা সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। উত্তর অঞ্চল থেকে রাজস্ব কম এলে সেখানে কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিয়মিত পরিশোধ করা সমস্যা হবে। জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনা প্রাধান্য পাবে। সে ক্ষেত্রে ওই সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ওয়ার্ডগুলোর কাউন্সিলরদের সঙ্গে বিশেষ করে বিরোধী দল থেকে নির্বাচিত কাউন্সিলরদের সঙ্গে মেয়রের একটা দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হতে পারে, যা কিনা করপোরেশনের সুষ্ঠু পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি বড় ধরনের অন্তরায় সৃষ্টি করতে পারে। এমনকি এ খাতে যে বিপুল অর্থ ব্যয় করা হবে, অর্থনীতির এ মন্দার যুগে তা গ্রহণযোগ্য নয়। যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী বিলুপ্ত ঘোষিত ডিসিসিতে ছিলেন, তাঁদের কেউ কেউ নতুন সৃষ্ট কোনো একটি সিটি করপোরেশনে যোগ দিতে চাইবেন না। তাঁদের ট্রান্সফার করা হলে তাঁরা উচ্চ আদালতে ওই আদেশের বিরুদ্ধে রিট করতে পারেন। ফলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ট্রান্সফারের বিষয়টি একটি বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাঁদের পেনশনের ব্যাপারটিও এর সঙ্গে জড়িত। সরকার যেভাবে সীমানা চিহ্নিত করে 'সিটি করপোরেশন উত্তর' ও 'সিটি করপোরেশন দক্ষিণ' করেছেন তা-ও আইনগত জটিলতায় জড়িয়ে যেতে পারে। ভুক্তভোগী যেকোনো নাগরিক ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের প্রতিকার চাইতে পারেন। উচ্চ আদালতের যেকোনো সিদ্ধান্ত নানা জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে। সিটি করপোরেশনের বিভক্তি-সংক্রান্ত বিলটি এখন সংসদে পাস হওয়ার ফলে সরকার দুটি সিটি করপোরেশনে দুজন প্রশাসক নিয়োগ করবে। সরকার ৯০ দিনের মধ্যে সিটি করপোরেশনের নির্বাচন দেবে। এখানে নানা জটিলতায় (মামলা-মোকদ্দমা, প্রার্থী বাছাই ইত্যাদি) নিয়োগপ্রাপ্ত প্রশাসকরা (আমলা) নির্ধারিত সময়ের বাইরেও ক্ষমতা ভোগ করতে পারেন। সরকার এমনিতেই ডিসিসির নির্বাচন দিতে পারেনি। অধুনালুপ্ত ডিসিসির মেয়র ২০০২ সালের ২৫ এপ্রিল দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর টার্ম শেষ হয়ে যাওয়ার পরও বর্তমান সরকার নির্বাচন দিতে পারেনি।
ডিসিসির বিভক্তি নাগরিকদের সেবা নিশ্চিত করতে আদৌ কোনো সাহায্য করবে না। সরকার তার ক্ষমতাবলে এ কাজটি করল। কিন্তু এর ফলাফল ভোগ করবে এই ঢাকা শহরে বসবাসরত নাগরিকরা। ডিসিসি বিভক্তি কোনো সমাধান নয়। পৃথিবীর অনেক বড় বড় শহর, বিশেষ করে লন্ডন, নিউ ইয়র্ক কিংবা কলকাতার মতো শহরে একজনই মেয়র আছেন। লন্ডন কিংবা নিউ ইয়র্কের মেয়রের কর্মকাণ্ড অনেক ব্যাপক।
সিটি করপোরেশনকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য 'মেট্রোপলিটন গভর্নমেন্টের' বিকল্প কিছু নেই। অনেক বড় বড় সিটি করপোরেশন 'মেট্রোপলিটন গভর্নমেন্ট' হিসেবে পরিচালিত হয়। নাগরিক সুবিধার সঙ্গে সম্পর্কিত সব বিষয় (পুলিশ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জ্বালানি, রাস্তাঘাট ইত্যাদি) এই 'মেট্রোপলিটন গভর্নমেন্ট'-এর আওতাধীন থাকে। ফলে একদিকে যেমন এক ধরনের দায়বদ্ধতা সৃষ্টি হয়, অন্যদিকে তেমন নাগরিকের নূ্যনতম সুবিধাও নিশ্চিত হয়। বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে এসব বিষয়ে নগর প্রশাসনের করার কিছুই নেই। শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলেও পুলিশ বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নগর প্রশাসনের ভূমিকা এখানে শূন্য। তাই ডিসিসির বিভক্তি কোনো সমাধান নয়। ডিসিসিকে ঠিক রেখে এটাকে 'মেট্রোপলিটন গভর্নমেন্ট' হিসেবে উন্নীত করা উচিত ছিল। আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা ও ঢাকার সাবেক মেয়র মরহুম মোহাম্মদ হানিফ এই 'মেট্রোপলিটন গভর্নমেন্ট' ধারণার পক্ষে ছিলেন। অব্যাহতিপ্রাপ্ত মেয়র সাদেক হোসেন খোকাও এমনটি চেয়েছিলেন।
রিট আবেদনের সময় ড. কামাল হোসেন এ প্রশ্নটিই তুলেছেন। তিনি সংবিধান লঙ্ঘনের যে প্রশ্নটি তুলেছেন, আদালত তা বিবেচনায়ও নিয়েছেন। সংবিধানের ৫(১) ধারায় বলা আছে প্রজাতন্ত্রের রাজধানী হবে ঢাকা। এখন রাজধানী হবে কোনটি_ঢাকা উত্তর, না ঢাকা দক্ষিণ। আমরা জানি না চূড়ান্ত বিচারে আদালত কী রায় দেবেন, তবে বাস্তবতা হচ্ছে ডিসিসির বিভক্তি নিয়ে জটিলতা আরো বাড়ল। জানুয়ারিতে সরকার তিন বছর পার করবে। সরকারের হাতে সময় আছে মাত্র দুই বছর। কিছু কাজ এখনো বাকি। ইতিমধ্যেই সরকারের অনেক সিদ্ধান্ত বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। বিরোধী দল সাতটি বিভাগীয় শহরে রোডমার্চ সম্পন্ন করার পথে। এরই মাঝে ডিসিসির বিভক্তির পরিপ্রেক্ষিতে হরতালও হয়ে গেল। ২০১২ সাল আমাদের জন্য যে কোনো সুখবর বয়ে আনবে না, তা দিব্যি দিয়ে বলা যায়।
লেখক : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
tsrahmanbd@yahoo.com
সরকারের এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। করপোরেশনের সেবা নাগরিকদের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর যে কথা বলা হয়, তাতে এখন নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে। শুধু তা-ই নয়, সিটি করপোরেশন দুটি পরিচালনায়ও নানা জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। এই বিভক্তির ফলে এখন ডিসিসির দক্ষিণে পড়বে ৫৬টি ওয়ার্ড, আর উত্তরে পড়বে ৩৬টি। ফলে আয় ও ব্যয়ের দিক দিয়ে একধরনের বৈষম্য সৃষ্টি হতে বাধ্য। কেননা ডিসিসির বেশি আয় হয় দক্ষিণ অঞ্চল থেকে। এখন বিভক্তির ফলে দক্ষিণ অঞ্চল থেকে রাজস্ব আসবে ৭০ শতাংশ। আর উত্তর অঞ্চল থেকে রাজস্ব আসবে মাত্র ৩০ শতাংশ। এর ফলে একাধিক সমস্যা সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। উত্তর অঞ্চল থেকে রাজস্ব কম এলে সেখানে কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিয়মিত পরিশোধ করা সমস্যা হবে। জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনা প্রাধান্য পাবে। সে ক্ষেত্রে ওই সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ওয়ার্ডগুলোর কাউন্সিলরদের সঙ্গে বিশেষ করে বিরোধী দল থেকে নির্বাচিত কাউন্সিলরদের সঙ্গে মেয়রের একটা দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হতে পারে, যা কিনা করপোরেশনের সুষ্ঠু পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি বড় ধরনের অন্তরায় সৃষ্টি করতে পারে। এমনকি এ খাতে যে বিপুল অর্থ ব্যয় করা হবে, অর্থনীতির এ মন্দার যুগে তা গ্রহণযোগ্য নয়। যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী বিলুপ্ত ঘোষিত ডিসিসিতে ছিলেন, তাঁদের কেউ কেউ নতুন সৃষ্ট কোনো একটি সিটি করপোরেশনে যোগ দিতে চাইবেন না। তাঁদের ট্রান্সফার করা হলে তাঁরা উচ্চ আদালতে ওই আদেশের বিরুদ্ধে রিট করতে পারেন। ফলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ট্রান্সফারের বিষয়টি একটি বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাঁদের পেনশনের ব্যাপারটিও এর সঙ্গে জড়িত। সরকার যেভাবে সীমানা চিহ্নিত করে 'সিটি করপোরেশন উত্তর' ও 'সিটি করপোরেশন দক্ষিণ' করেছেন তা-ও আইনগত জটিলতায় জড়িয়ে যেতে পারে। ভুক্তভোগী যেকোনো নাগরিক ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের প্রতিকার চাইতে পারেন। উচ্চ আদালতের যেকোনো সিদ্ধান্ত নানা জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে। সিটি করপোরেশনের বিভক্তি-সংক্রান্ত বিলটি এখন সংসদে পাস হওয়ার ফলে সরকার দুটি সিটি করপোরেশনে দুজন প্রশাসক নিয়োগ করবে। সরকার ৯০ দিনের মধ্যে সিটি করপোরেশনের নির্বাচন দেবে। এখানে নানা জটিলতায় (মামলা-মোকদ্দমা, প্রার্থী বাছাই ইত্যাদি) নিয়োগপ্রাপ্ত প্রশাসকরা (আমলা) নির্ধারিত সময়ের বাইরেও ক্ষমতা ভোগ করতে পারেন। সরকার এমনিতেই ডিসিসির নির্বাচন দিতে পারেনি। অধুনালুপ্ত ডিসিসির মেয়র ২০০২ সালের ২৫ এপ্রিল দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর টার্ম শেষ হয়ে যাওয়ার পরও বর্তমান সরকার নির্বাচন দিতে পারেনি।
ডিসিসির বিভক্তি নাগরিকদের সেবা নিশ্চিত করতে আদৌ কোনো সাহায্য করবে না। সরকার তার ক্ষমতাবলে এ কাজটি করল। কিন্তু এর ফলাফল ভোগ করবে এই ঢাকা শহরে বসবাসরত নাগরিকরা। ডিসিসি বিভক্তি কোনো সমাধান নয়। পৃথিবীর অনেক বড় বড় শহর, বিশেষ করে লন্ডন, নিউ ইয়র্ক কিংবা কলকাতার মতো শহরে একজনই মেয়র আছেন। লন্ডন কিংবা নিউ ইয়র্কের মেয়রের কর্মকাণ্ড অনেক ব্যাপক।
সিটি করপোরেশনকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য 'মেট্রোপলিটন গভর্নমেন্টের' বিকল্প কিছু নেই। অনেক বড় বড় সিটি করপোরেশন 'মেট্রোপলিটন গভর্নমেন্ট' হিসেবে পরিচালিত হয়। নাগরিক সুবিধার সঙ্গে সম্পর্কিত সব বিষয় (পুলিশ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জ্বালানি, রাস্তাঘাট ইত্যাদি) এই 'মেট্রোপলিটন গভর্নমেন্ট'-এর আওতাধীন থাকে। ফলে একদিকে যেমন এক ধরনের দায়বদ্ধতা সৃষ্টি হয়, অন্যদিকে তেমন নাগরিকের নূ্যনতম সুবিধাও নিশ্চিত হয়। বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে এসব বিষয়ে নগর প্রশাসনের করার কিছুই নেই। শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলেও পুলিশ বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নগর প্রশাসনের ভূমিকা এখানে শূন্য। তাই ডিসিসির বিভক্তি কোনো সমাধান নয়। ডিসিসিকে ঠিক রেখে এটাকে 'মেট্রোপলিটন গভর্নমেন্ট' হিসেবে উন্নীত করা উচিত ছিল। আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা ও ঢাকার সাবেক মেয়র মরহুম মোহাম্মদ হানিফ এই 'মেট্রোপলিটন গভর্নমেন্ট' ধারণার পক্ষে ছিলেন। অব্যাহতিপ্রাপ্ত মেয়র সাদেক হোসেন খোকাও এমনটি চেয়েছিলেন।
রিট আবেদনের সময় ড. কামাল হোসেন এ প্রশ্নটিই তুলেছেন। তিনি সংবিধান লঙ্ঘনের যে প্রশ্নটি তুলেছেন, আদালত তা বিবেচনায়ও নিয়েছেন। সংবিধানের ৫(১) ধারায় বলা আছে প্রজাতন্ত্রের রাজধানী হবে ঢাকা। এখন রাজধানী হবে কোনটি_ঢাকা উত্তর, না ঢাকা দক্ষিণ। আমরা জানি না চূড়ান্ত বিচারে আদালত কী রায় দেবেন, তবে বাস্তবতা হচ্ছে ডিসিসির বিভক্তি নিয়ে জটিলতা আরো বাড়ল। জানুয়ারিতে সরকার তিন বছর পার করবে। সরকারের হাতে সময় আছে মাত্র দুই বছর। কিছু কাজ এখনো বাকি। ইতিমধ্যেই সরকারের অনেক সিদ্ধান্ত বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। বিরোধী দল সাতটি বিভাগীয় শহরে রোডমার্চ সম্পন্ন করার পথে। এরই মাঝে ডিসিসির বিভক্তির পরিপ্রেক্ষিতে হরতালও হয়ে গেল। ২০১২ সাল আমাদের জন্য যে কোনো সুখবর বয়ে আনবে না, তা দিব্যি দিয়ে বলা যায়।
লেখক : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
tsrahmanbd@yahoo.com
No comments