গল্প- বজ্র অটুঁনি অথবাঃ by খালেদ মহিউদ্দীন

নিশ্চিত করেই বলে দেওয়া যায় এখনকার চেয়ে ভালো সময় দেখেছে রেস্তোরাঁটা। তবে পরিবেশনকারীদের ধূসর উর্দি আর মলিন রুমাল সাক্ষ্য দেয় সে অনেকদিন আগের কথা। তবুও বসে থাকতে খারাপ লাগে না তৌফিকের। জ্যৈষ্ঠের এই হাঁসফাঁস গরম আর বিদু্যতের এই লুকোচুরির দিনে এখানকার শীতাতপ তবুও কাজ করে যাচ্ছে অবিরাম।
আর জানালায় ব্যস্ত বাংলা মটর দেখে প্রায় করুণার মতোই মহৎরস ডুবসাঁতার দেয় তার মনে। একটা কিছু ফলের রস? আম? আচ্ছা আমই দেন। চিনি বা লবণ বা অন্য কিচ্ছু দেবেন না। শুধু আম। আর খাবারের অর্ডারটা কিছুক্ষণ পরে দেবো আমি। একজনের জন্য অপেক্ষা করছি। শেষ কথাটা অকারণেই বলে তৌফিক। যন্ত্রের মতো কোনো-অসুবিধা-নাই-স্যার গৎ ভাজতে ভাজতে আড়ালে চলে যায় কঠিন মুখের একজন।
ঢাকার এক্কেবারে মধ্যিখানে এই পাঁচ হাজার বর্গফুটের ভাড়াই অমূল্য হওয়ার কথা, দামের কথা ভাবতে পিলে চমকে যায় তৌফিকের। ইস্কাটনের এই সোনার খনি এভাবে ফেলে রাখার মানে কী? এই পতনের কারণ অনুমান করতে চেষ্টা করে তৌফিক। হাত বাড়ালেই এখানে মিডিয়া আর সওদাগরি অফিসের যুগল সাম্রাজ্য। এদের অনেকেই বাধ্য হয়ে বাইরে খায়, বাধ্য হয়েই বাইরের লোককে গাদাগুচ্ছ খাওয়ায়। খাওয়া বেচাকেনায় তো ভালোই লাভ থাকার কথা। তবে কী মালিকের এই ব্যবসায় আর আগ্রহ নেই? মালিক ঝুঁকেছে সুপার মার্কেট ব্যবসায়? ঠা ঠা দিনকে কাঁচের আরেক পাশে রেখে এসে ঠাণ্ডা হিমে বাতাসি মাছ প্যাকেটে ভরে তরুণীদের সঙ্গে সহাস্য কুশল বিনিময়ে পস্নাস্টিকের টাকা দিতে এখন পছন্দ করছে ঢাকাবাসী। নাকি মালিক মারা গেছে? হঠাৎ হূদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ কিংবা জুমার নামায পড়ে বেরিয়ে এসে এক নদী রক্তে হাবুডুবু আর পত্রিকায় আবারও ব্যবসায়ী খুন শিরোনাম। তারপর ভাইয়ের হাতে ব্যবসা। তিন প্যাকেজ নাটকে নায়িকার বান্ধবীকে খুশি করতে প্রতিদিন হাজার তিনেক টাকা আর চার পাঁচ ঘণ্টা সময় কাটিয়ে ভালো জিনিস বাঙালির মুখে রোচে না সংলাপ দিচ্ছে কাউন্টারে বসে থাকা চলিস্নশ পেরনো ভাই?
আবারও ব্যস্ত বাংলা মটরের দিকে চোখ রাখে তৌফিক। ব্যস্ত মানে ব্যস্ততার ভান্ করা বাংলা মটর। দুপুর দুইটার সময় এত লোক শহরের এমাথা ওমাথা কেন করে? আর ভাইয়া নদীর দুই কূলই এক; কষ্ট করে এপাড়ে আসার মানে কী? যেখানে আছো সেখানেই থেকে যাও বাওয়া। থেমে যাও ভাইরা সব থেমে যাও। আসা যাওয়া করে কোনোই ফায়দা নাই। এক্কেবারে ফুলস্টপ দিয়ে দাও। আমের রসে বরফকুচি এক ধরনের শান্তি দেয় তৌফিকের মনে। আটাশ কী খুব বেশি বয়স? নিজেকে খুব বুড়োটে লাগে তৌফিকের। মনে হয় এক ইনিং শেষ; দ্বিতীয়টাতে দুটো লেগবিফোর এর আবেদন থেকে বেঁচে ৩০ বলে পাঁচ রান করে মধ্যাহ্ন ভোজনের বিরতিতে শুকনো স্যান্ডউইচ এর সঙ্গে দলের অন্তত তিনজনের ব্যাটিং টিপস গিলতে হচ্ছে। যেদিন নাজ বললো, সেদিন থেকেই কি?
নাজ কী বললো জানানোর আগে তার একটু বর্ণনা দেওয়া যাক। নাজ কি সুন্দর? হঁ্যা সুন্দর, অন্তত তৌফিকের চোখে তো দারুণ। তৌফিকের বিস্ময় ছিমছাম আর সাধারণ একটা মেয়ে এতো সুন্দর হয় কী করে? বড় বড় চোখ? হঁ্যা এটা একটা কারণ হতে পারে। একটা আলো ঝলমলে বাজারে প্রথম দেখা হয়েছিলো তাদের। আয়োজনের দেখা। তৌফিকের সঙ্গে ভাবী, নাজের সঙ্গে ফুপু। ভাবী এসে মাকে বললো আমার কাছে তো মেয়েটাকে কালো লাগলো, সুইট তবে কালো। হঠাৎ করেই মুখচোরা তৌফিক বলে উঠে কালো কোথায় দেখলে ভাবী? মা আর বাবা মুখ টিপে হাসেন। সাত দিনের মধ্যে সব কিছু ঠিকঠাক হয়ে যায়, এক মাসের মধ্যে বিয়ে।
ব্যক্তিত্ব ছিল বটে নাজের। ছিল যে সেটা প্রথম থেকেই টের পায় তৌফিক। আত্মীয়স্বজন এসে ধরাধরি করে পাশাপাশি বসিয়ে দিতেই তৌফিক বুঝতে পারে এই মেয়েটা তাকে পছন্দ করছে না। কী করে টের পায় কে জানে? কিন্তু পায়। নাজ এর অপছন্দ তাকে কাবু বলা যায় প্রায় বিপর্যস্ত করে ফেলে। পাগড়ি আর শেরওয়ানিতে দম বন্ধ হয়ে আসতে চায় তার। অথচ নাজ হাসছিলো। হাসছিলো মিষ্টি করে, ক্যামেরার দিকে সোজা তাকিয়ে। তবুও তৌফিক টের পাচ্ছিল মেয়েটি তৌফিককে পছন্দ করছে না। আর গোপন কোনো তরঙ্গে এই অপছন্দ পাঠিয়ে দিতে পারছে তৌফিকের অন্দরমহল পর্যন্ত। মেয়েটার গুণ আছে তো! তৌফিক ভাবে।
বিয়ের পরের কয়েকটি দিন অবশ্য ভালোই কাটে দুজনের। বয়সের দুটি ছেলেমেয়ে পাশাপাশি থাকলে এক ধরনের আকর্ষণ স্বাভাবিক নিয়মেই তৈরি হয়। তাদের দুজনের রসায়নটাও খারাপ ছিল না। তবুও বিয়ের মাস দুয়েক পরের একদিন সকালে। একদিন সকালে নাজ তৌফিকের কাছে ক্ষমা চায়। নাজের গলায় একটু হলেও দুঃখ খোঁজে তৌফিক। অনেকদিনের বন্ধু রবীনকে ভুলতে পারছে না নাজ। রবীনের সঙ্গে রাগারাগি করে ঝোঁকের মাথাতেই তৌফিককে বিয়ে করে ফেলে এখন অপরাধী লাগছে নাজের। এখন দুনিয়া অনেক বদলেছে। দুই মাস এমন কিছু সময় নয়। জীবনটাকে আবার নতুন করে শুরু করতে পারে তারা। তৌফিক কেন সারাজীবন ঠকে যাবে? তার তো কোনো দোষ নেই। নাজের গলায় একটু দুঃখের সন্ধান করে তৌফিক। একটুখানি দুঃখ একটুখানি করুণা তো সে পেতেই পারে। পারে না? কাল রাতেও তো!
নাজকে ভালোবেসেছিল তৌফিক? ভালোবাসা কারে কয়? সবাইকে না জানিয়ে বড় আপা বিয়ে করে ফেলার পর তারা দুই ভাই ঠিক করেছিল যে বাবা-মায়ের পছন্দেই বিয়ে করবে। ভাবী দারুণ মেয়ে। এমনকি মা-ও ভাবীকে খুব পছন্দ করেন। সবাই ভেবেছিল নাজ এর সঙ্গেও তৌফিকের জমে যাবে। জমে তো গেছিলও, তবুও ওইদিনের সকালটা। সকালটা না এলেই বোধহয় ভালো হতো। ভালো হতো কী?
নাজের চলে যাওয়ার তিন মাস পার হয়ে গেল। এখনও মাঝে মধ্যে ফোন করে নাজ। কালও করেছিল। কিছু মনে করো না। ডিভোর্স দিতে সময় তোমার নামে কিছু মিথ্যা কথা বলতে হবে। এই যেমন তুমি বদরাগী, মাঝে মধ্যে গায়ে হাত তুলতে, বাড়ি ফিরতে মদ খেয়ে। অবশ্য তোমার নামে এইসব কথা কেউ বিশ্বাস করবে না। বরং বলি যে তুমি একটাঃতুমি কিছু পারো নাঃএটাই লোকে বিশ্বাস করবে সহজে। একটু যেন হাসে নাজ। কিন্তু তুমি যে ডাকাত। তোমার বউ তোমাকে অনেক ভালোবাসবে দেখো। তৌফিক চুপ করে থাকে। আচ্ছা তুমি কী আমাকে একটা বাজে মেয়ে মনে করো? আমি কী করবো বলো? রবীনকে ভুলতে পারছিলাম না যে? তুমি এতো ভালো না হলে বরং তোমার সঙ্গে থাকা যেতো। কিন্তু তোমার সঙ্গে জীবনভর প্রতারণা করে যাবো ভাবতেই দম বন হয়ে আসতে লাগলো আমার। ওইদিন সকালবেলা মনে হলো তোমার সঙ্গে দিব্যি সুখে আছি আমি। অথচ আমার সুখী হওয়ার কথা ছিলো না। রবীনকে ছাড়া সুখী হয়ে যাচ্ছি ভাবতেই বড্ড স্বার্থপর লাগছিলো নিজেকে। তুমি যদি একটু খারাপ মানুষ হতে আর আমাকে একটু অসুখী করে রাখতে তাহলে বোধহয় সংসারটা টিকে যেতো আমাদের। একবার ফাঁস নেওয়ার কথাও ভেবেছিলাম। আমি মরে গেলে সবাই মিলে তোমার জীবনটা অস্থির করে তুলতো না বলো? এর চেয়ে এই ভালো হলো না? সবাই জানলো নাজের একজন পূর্ব প্রেমিক ছিলো আর পচা মেয়েটা তার কাছেই ফিরে যাবে।
তোমরা বিয়ে করছো কবে? এতক্ষণে একটা প্রশ্ন করতে পারে তৌফিক। গলায় বেশ খানিকটা বাষ্প নিয়েই। নাজের ওপর কেন তার অভিমান হবে সেটাও বুঝতে পারে না সে। কয়েকদিন আগেও তো নাজ বলে কেউ ছিলো না তার জীবনে। এখনও নেই। এরকম তো হতেই পারে। আর এরকম হওয়ার পেছনে তারও তো কোনো হাত নেই। তবুও অভিমান হয়। চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে এরকম কেন করলে নাজ? নাহ আত্মাভিমান বা পৌরুষ নয়, নাজের জন্য অন্য কষ্ট লাগে তার। ভালোবাসা? কে জানে? হবে হয়তো।
মোবাইল টেলিফোন হওয়ায় এই এক সুবিধা হয়েছে। প্রাইভেসি। শুধু ল্যান্ডফোন থাকলে নাজের সঙ্গে কথাই বলা হতো না তৌফিকের। কী করে সম্ভব? ভালো একটি ছেলের জীবন এলোমেলো করে দেওয়ার জন্য ভাই বা ভাবী হয়তো দু-দশ কথা শুনিয়ে দিতেন নাজকে। মা হয়তো কেঁদেই ফেলতেন। সিনক্রিয়েট। দৃশ্যের অবতারণা। বেঁচে গেছে তৌফিক, বড় বেশি বেঁচে গেছে নাজ।
কাল রবীন বাসায় এসেছিলো। ডিভোর্স-বিয়ে সব কিছু জানতে চায়। বারবার বলে দুইটা মন্ত্র পড়ে আমি নাকি বদলে গেছি। আজকাল এগুলো কোনো ব্যাপার না। আমিও ভাবছি তাই তো এগুলো কোনো ব্যাপার না। শুধু তোমার কাছে অনুরোধ, তুমিও আমার নামে কিছু অপবাদ দাও। পিস্নজ দাও।
আচ্ছা দেবো। তৌফিক জানতে চায় কী অপবাদ?
এই ধরো বিয়ের পরও অন্য ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক। দাম্পত্য অধিকার পূরণ না করা। অবশ্য এগুলো অপবাদ কেন হবে। এর প্রায় সবই সত্যি। কিন্তু তুমি যে অন্যদের কিছু বলো না। এ বিষয়টা কিন্তু ঠিক হচ্ছে না। তোমার কী রাগ হয় না আমার ওপর।
খুব হয়। এটা অবশ্য তৌফিক মনে মনে বলে। এই কয়দিনে এরকম সাংঘাতিক একটা মেয়েকে কী করে ভালোবাসল কেনইবা বাসলো আঁতিপাঁতি করে তার কারণ খোঁজে তৌফিক।
কথা বলছো না কেন? শোনো, রবীন ফোন করেছে। আমি আবার পরে ফোন করবো তোমাকে। ঘুমিয়ে পড়বে না তো?
ফোন কোরো। যখন খুশি। বলে লজ্জা পায় তৌফিক। নাজ হাসে। ফোন কাটার ক্লিক শব্দ হয়।
রাজশেখর বসুর কচি সংসদ এর বেশ খানিকটা পড়ার কথা মনে পড়ে তৌফিকের। মোবাইল ফোনের বোবা ঝিম ধরা শব্দে ঘুম ভাঙলে দেয়ালঘড়ি রাত দুইটার কথা জানায়। ফোনের কাঁপুনি থেমে গেছে। নাজ। কলব্যাক করে তৌফিক।
সরি, ঘুমিয়ে পড়েছিলে? নাহ মানে এইতো, কচি সংসদ পড়ছিলাম, কখন ঘুমুলাম বলতে পারি না।
কচি সংসদে কী পড়ছিলে? এই গল্প তো তোমার মুখস্থ।
তা ঠিক। তবুও পড়তে ভালো লাগে।
তাহলে ঘুমাও, কাল কথা হবে।
আরে নাহ, ঘুম কেটে গেছে। বলো, রবীনের সঙ্গে কী কথা হলো?
রবীন তারিখ জানতে চায়। ডিভোর্সের, বিয়ের। ও নাকি লন্ডন চলে যাবে। এদেশ ভালো লাগছে না।
বেশ তো। থেকে আসো কিছুদিন লন্ডন। এ সময় কিছুদিন দেশের বাইরে থাকলে ভালো থাকবে তুমি।
তাড়িয়ে দিতে চাও? তাড়াবেই তো।
চুপ করে থাকে তৌফিক।
অনেকক্ষণ পরে ক্ষীণতম গলায় জানতে চায়, তুমি কী চাও নাজ?
কী চাই তা বলতে পারবো না। কাল তোমার সঙ্গে একটু দেখা হতে পারে? তোমার অফিসের কাছাকাছি কোথাও?
ঠিক আছে গাছ-পাথর বলে একটা রেস্টুরেন্ট আছে। মটর পার্টসের দোকানগুলো খানিকটা পেরোলেই।
আমি আসছি। ফোন রাখে নাজ।
ঘামে চকচক করছে নাজের মুখ। একটু যেন হাঁপাচ্ছেও।
হেঁটে এসেছো নাকি?
হুম। ভেবেছিলাম রিক্সায় আসবো। কিন্তু এখন নাকি এখানে আর রিক্সা আসে না।
গাড়ি আনোনি কেন? প্রশ্নটা মনেই রাখে তৌফিক।
নাজ কিন্তু উত্তর দেয়। গাড়ি নিয়ে বেরোলে কোথায় যাস শুনতে হতো অনেকবার। বেইলি রোডেই পুষ্পিতাদের বাসায় যাবো বলে বেরিয়েছি।
অভিসার! মনে মনে ভাবে তৌফিক। কিছু খাবে?
লাস্যি দিতে বলো। লবণ দিয়ে।
লাস্যিতে চুমুক দিয়ে কপালের ঘামটুকু মুছে নেয় নাজ। তোমার বাসায় আমার কিছু জিনিস রয়ে গেছে।
কী জিনিস বলো। আমি দিয়ে আসবো।
নাহ নানান জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আমাকেই যেতে হবে।
আজ যাবে?
হুম। কিন্তু আমি যে আজ কোনো ব্যাগ ট্যাগ আনিনি। গাড়িও না।
তবে উপায়? তৌফিক জানতে চায়। মনে মনে একটা উপায় খুঁজেও সে।
তবে আর কী? আর কিছুদিন জিনিসগুলোর সঙ্গেই থাকতে চাই আমি।
=============================
উদ্ভট উটের পিঠে আইভরি কোস্ট  আনল বয়ে কোন বারতা!  ফেলানীর মৃত্যুতে পশ্চিমবঙ্গ- নিজ ভূমেই প্রশ্নবিদ্ধ ভারতের মানবিক চেহারা  বাজার চলে কার নিয়ন্ত্রণে  উঠতি বয়সের সংকট : অভিভাবকের দায়িত্ব  বিকল্প ভাবনা বিকল্প সংস্কৃতি  অন্ধত্ব ও আরোগ্য পরম্পরা  খুলে যাক সম্ভাবনার দুয়ার  কক্সবাজার সাফারি পার্কঃ প্রাণীর প্রাচুর্য আছে, নেই অর্থ, দক্ষতা  জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের গুপ্ত জীবন  ছাব্বিশটি মৃতদেহ ও একটি গ্রেপ্তার  ৩৯ বছর পরও আমরা স্বাধীনতাটাকে খুঁজছি  সাইবারযুদ্ধের দামামা  সরলতার খোঁজে  সেই আমি এই আমি  আমেরিকান অর্থনীতি ডলারের চ্যালেঞ্জ  বাংলাদেশ-ভারত যৌথ ইশতেহার- আশানুরূপ সুফল নেই এক বছরেও  ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ও রাজনীতি  মাস্টারদা সূর্যসেন ও যুব বিদ্রোহ সাতাত্তর  রসভা নির্বাচন ২০১১: একটি পর্যালোচনা  ড. ইউনূস অর্থ আত্মসাৎ করেননি  প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির ৩৯ বছর  স্বাধীনতাযুদ্ধের 'বিস্মৃত' কূটনৈতিক মুক্তিযোদ্ধারা  আতঙ্কে শেয়ারবাজার বন্ধঃ বিক্ষোভ  আতঙ্কের রাজত্ব কায়েম হয়েছে  মানবকল্যাণ আমাদের মন্ত্র  ট্রানজিট নিয়ে সবে গবেষণা শুরু  ভারতের একতরফা সেচ প্রকল্পঃ বাংলাদেশের আপত্তিতে বিশ্বব্যাংকের সাড়া  আমলাদের যাচ্ছেতাই বিদেশ সফর  সরকারের ব্যর্থতায় হতাশাঃ বিরোধী দলের ব্যর্থতায় বিকল্পের অনুপস্থিতি  ক্ষমতা ও গণতন্ত্র  পানি সংকট পানি বাণিজ্য  ২০১০ সালের অর্থনীতি কেমন গেল  গণতান্ত্রিক বিকাশের পথে বাধা অনেক  কপাটে তালা দিয়ে কেন এই মৃতু্যর আয়োজন  বিজয়ের অর্থনীতি ও সম্ভাবনা  মুক্তিযুদ্ধের বিজয়লক্ষ্মীর মুখোমুখি  একেই কি বলে আমলাতন্ত্র?  আত্মসমর্পণের সেই বিকেল  আমরা তাঁদের ভুলতে পারি না


দৈনিক ইত্তেফাক এর সৌজন্যে
লেখকঃ খালেদ মহিউদ্দীন


এই গল্প'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.