চীন ব্রহ্মপুত্রে বাঁধ নির্মাণ করছে কি না যাচাই করবে ভারত
ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর কোনো ধরনের বাঁধ তৈরির পরিকল্পনা চীনের রয়েছে কি না, তা যাচাই করে দেখবে ভারত। গত বৃহস্পতিবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ কথা জানানো হয়েছে। চীন সরকার এ ধরনের কোনো পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করে এলেও এ ব্যাপারে প্রশ্ন তুলছে ভারত। ভারতের আশঙ্কা, ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর কোনো বাঁধ নির্মাণ করা হলে তা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, ২০০৬ সালের নভেম্বরে ভারত ও চীন সরকার আন্তদেশীয় নদীগুলোর প্রবাহ নিয়ে আলোচনার জন্য একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরির ব্যাপারে রাজি হয়। এসব বিষয় নিয়ে এ পর্যন্ত তিনটি বৈঠক হয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে। ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর কোনো ধরনের বড় আকারের বাঁধ তৈরির পরিকল্পনার কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে চীন। তবে ভারত সরকার নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করবে সম্প্রতি তাদের ওই অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি না।
কর্মকর্তারা জানান, চীনের এই বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনার বিষয়টি প্রথম ভারত সরকারের গোচরে আসে সংবাদপত্রের প্রতিবেদন থেকে। ২০০৯ সালের এপ্রিলে চীনের অন্যতম বড় অবকাঠামো নির্মাণ প্রতিষ্ঠান গেজহুবা করপোরেশনের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, চীনের জাংমু এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের মাঝামাঝি অঞ্চলে একটি বড় জলবিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণের জন্য ১১৪ কোটি ইউয়ানের (চীনা মুদ্রা) সরকারি কাজ পেয়েছে তারা। এ জন্য ২০১৫ সালের ডিসেম্বর নাগাদ ওই এলাকায় তাদের একটি বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। এ ছাড়া জিয়াচা, জোংডা, লেংডা, জিয়েসু ও ল্যাংঝেন অঞ্চলেও বাঁধ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে চীনের।
এ ছাড়া তিব্বতেও একটি বড় জলবিদ্যুেকন্দ্র স্থাপনের জন্য বাঁধ নির্মাণ করছে বেইজিং। ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর ওই বাঁধ নির্মাণের বিরুদ্ধে কয়েক হাজার তিব্বতি বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভ দমনে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গুলি চালান। এতে ছয়জন নিহত হয়। চীন এরই মধ্যে মেকং নদীতে বড় আকারের একটি বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। এতে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মতো ভাটির দেশগুলো পরিবেশগত সমস্যার মধ্যে রয়েছে।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, ২০০৬ সালের নভেম্বরে ভারত ও চীন সরকার আন্তদেশীয় নদীগুলোর প্রবাহ নিয়ে আলোচনার জন্য একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরির ব্যাপারে রাজি হয়। এসব বিষয় নিয়ে এ পর্যন্ত তিনটি বৈঠক হয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে। ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর কোনো ধরনের বড় আকারের বাঁধ তৈরির পরিকল্পনার কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে চীন। তবে ভারত সরকার নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করবে সম্প্রতি তাদের ওই অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি না।
কর্মকর্তারা জানান, চীনের এই বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনার বিষয়টি প্রথম ভারত সরকারের গোচরে আসে সংবাদপত্রের প্রতিবেদন থেকে। ২০০৯ সালের এপ্রিলে চীনের অন্যতম বড় অবকাঠামো নির্মাণ প্রতিষ্ঠান গেজহুবা করপোরেশনের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, চীনের জাংমু এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের মাঝামাঝি অঞ্চলে একটি বড় জলবিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণের জন্য ১১৪ কোটি ইউয়ানের (চীনা মুদ্রা) সরকারি কাজ পেয়েছে তারা। এ জন্য ২০১৫ সালের ডিসেম্বর নাগাদ ওই এলাকায় তাদের একটি বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। এ ছাড়া জিয়াচা, জোংডা, লেংডা, জিয়েসু ও ল্যাংঝেন অঞ্চলেও বাঁধ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে চীনের।
এ ছাড়া তিব্বতেও একটি বড় জলবিদ্যুেকন্দ্র স্থাপনের জন্য বাঁধ নির্মাণ করছে বেইজিং। ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর ওই বাঁধ নির্মাণের বিরুদ্ধে কয়েক হাজার তিব্বতি বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভ দমনে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গুলি চালান। এতে ছয়জন নিহত হয়। চীন এরই মধ্যে মেকং নদীতে বড় আকারের একটি বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। এতে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মতো ভাটির দেশগুলো পরিবেশগত সমস্যার মধ্যে রয়েছে।
No comments