ম্যারাডোনাকে সংবাদমাধ্যমের পাল্টা আঘাত
পাল্টা তোপ দাগলেন সাংবাদিকেরা। উরুগুয়ের বিপক্ষে জেতার পর সংবাদমাধ্যমের ওপর পুষে রাখা ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। কিন্তু স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে সমালোচনা করতে গিয়ে সীমা ছাড়িয়ে অশ্লীল গালিগালাজ করেছিলেন। ম্যারাডোনার কথাবার্তার বেশ কিছু প্রকাশেরও অযোগ্য! সে সবেরই পাল্টা উত্তর দিল আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম।
সেদিন ম্যারাডোনার তির্যক বাক্যবাণকে ‘ঘৃণার উত্সব’ শিরোনাম দিয়ে লা ন্যাসিওন লিখেছে, ‘ম্যারাডোনা আদ্যন্ত ক্রুদ্ধ ছিলেন, এর সঙ্গে ছিল বাড়তি উত্তেজনা। সব মিলে যেটি সাংবাদিকদের প্রতি বিদ্বেষের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।’ ম্যারাডোনার এই ক্ষোভ শেষ পর্যন্ত নেতিবাচক ফল দেবে বলে মনে করছে পত্রিকাটি, ‘তাঁর আচরণ ছিল উসকানিমূলক, ঔদ্ধত্যপূর্ণ। এই অশ্লীল আচরণ বিশ্বজুড়ে প্রচারিত হবে, যেটি লজ্জার মাত্রা আরও বাড়িয়ে তুলবে। দল আরও ধ্বংসের দিকে এগোবে।’
শুরুতে ম্যারাডোনাকে কোচ বানানোর সিদ্ধান্তটিকে স্বাগতই জানিয়েছিল আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে জয় দিয়ে দারুণ অভিষেকও হয়েছিল তাঁর। কিন্তু দ্রুতই এই মধুচন্দ্রিমা শেষ হয়ে যায়। বিশেষ করে বলিভিয়ার কাছে ১-৬ গোলে হারের লজ্জার পর সম্পর্কের চূড়ান্ত অবনতি হয়। এরপর ইকুয়েডর, ব্রাজিল আর প্যারাগুয়ের কাছে টানা তিনটি পরাজয়ের পর আর্জেন্টিনা পৌঁছে গিয়েছিল খাদের কিনারে। ১৯৭০ বিশ্বকাপের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে বাদ পড়ার শঙ্কা জেগেছিল আর্জেন্টিনার। পেরুর বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে জয়ের পর উরুগুয়েকে তাদের মাটিতে হারিয়ে এসে মৃতপ্রায় স্বপ্নটা বাঁচিয়ে তুলেছে আর্জেন্টিনা।
উরুগুয়ের বিপক্ষে জয় সংবাদমাধ্যমকে হয়তো শান্তই রাখত। কিন্তু ম্যারাডোনাই উসকে দিয়েছেন তাদের। সেদিন বলেছিলেন, ‘এই জয় সাংবাদিক বাদে সব আর্জেন্টাইনের জন্য। ওরা আমাকে ধুলো-ময়লার মতো বিবেচনা করেছে। কিন্তু আমরা সসম্মানে বিশ্বকাপে উঠে গেছি। আমি এটা আর্জেন্টিনার প্রতিটি মানুষ আর আমার পরিবারকে উত্সর্গ করছি। কিন্তু একটা অংশ এর যোগ্য নয়। কারণ তারা আমাকে আবর্জনার মতো মূল্যায়ন করেছে।’
ম্যারাডোনার এমন আচরণকে অযৌক্তিক মনে করছে ক্লারিনও। আর্জেন্টিনার সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিকটি লিখেছে, ‘যে রাতে তিনি তাঁর লক্ষ্য অর্জন করলেন, সে রাতে নিজেকে শান্ত আর মুহূর্তটা উপভোগ করার বদলে তিনি তাঁর আগ্রাসন উগরে দিলেন।’
এদিকে লা ন্যাসিওন বৃহস্পতিবার তাদের অনলাইন জরিপে দেখিয়েছে, এখনো ৭৯ শতাংশ পাঠক মনে করে, ম্যারাডোনাকে ছাঁটাই করাই হবে দলের জন্য মঙ্গলজনক। আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) ওপর সংবাদমাধ্যম চাপও তৈরি করেছে। কিন্তু এএফএ সভাপতি হুলিও গ্রন্ডোনার এখন পর্যন্ত কোনো কোচকে ছাঁটাইয়ের রেকর্ড নেই। এবারও তা হচ্ছে না বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
ওই মুহূর্তে ম্যারাডোনার এমন আচরণের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন গ্রন্ডোনা, ‘উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে মানুষ রাগের মাথায় এমন অনেক কিছু করে বসে যার জন্য পরে সে অনুতপ্ত হয়। এমনটা সবারই হয়। সবার জীবনেই তা ঘটে। এমনটা অনেক সময় হয় যখন আপনি গাড়ি চালান। এটাই জীবন।’
ম্যারাডোনাকে ছাঁটাই করা নয়, বরং দলের উন্নতিতে কাজ করার জন্য সবাইকে মনোযোগ দিতে বলেছেন গ্রন্ডোনা, ‘আমি কোনো পরিবর্তনের কথা ভাবছি না। আমাদের মতো ডিয়েগোরও উন্নতি করার ক্ষমতা আছে।’
সব ভেদাভেদ ভুলে দলের উন্নতির জন্য সবাইকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন হুয়ান সেবাস্তিয়ান ভেরনও। আর্জেন্টিনার সবচেয়ে অভিজ্ঞ এই সেনানি বলছেন, ‘শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছু বাজেভাবে হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক একটা আর্জেন্টিনা দলকে দেখতে চাইলে অবশ্যই আমাদের কিছু পরিবর্তন আনতে হবে, যে দলটা খেলা উপভোগ করবে, যন্ত্রণা নয়।’
সেদিন ম্যারাডোনার তির্যক বাক্যবাণকে ‘ঘৃণার উত্সব’ শিরোনাম দিয়ে লা ন্যাসিওন লিখেছে, ‘ম্যারাডোনা আদ্যন্ত ক্রুদ্ধ ছিলেন, এর সঙ্গে ছিল বাড়তি উত্তেজনা। সব মিলে যেটি সাংবাদিকদের প্রতি বিদ্বেষের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।’ ম্যারাডোনার এই ক্ষোভ শেষ পর্যন্ত নেতিবাচক ফল দেবে বলে মনে করছে পত্রিকাটি, ‘তাঁর আচরণ ছিল উসকানিমূলক, ঔদ্ধত্যপূর্ণ। এই অশ্লীল আচরণ বিশ্বজুড়ে প্রচারিত হবে, যেটি লজ্জার মাত্রা আরও বাড়িয়ে তুলবে। দল আরও ধ্বংসের দিকে এগোবে।’
শুরুতে ম্যারাডোনাকে কোচ বানানোর সিদ্ধান্তটিকে স্বাগতই জানিয়েছিল আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে জয় দিয়ে দারুণ অভিষেকও হয়েছিল তাঁর। কিন্তু দ্রুতই এই মধুচন্দ্রিমা শেষ হয়ে যায়। বিশেষ করে বলিভিয়ার কাছে ১-৬ গোলে হারের লজ্জার পর সম্পর্কের চূড়ান্ত অবনতি হয়। এরপর ইকুয়েডর, ব্রাজিল আর প্যারাগুয়ের কাছে টানা তিনটি পরাজয়ের পর আর্জেন্টিনা পৌঁছে গিয়েছিল খাদের কিনারে। ১৯৭০ বিশ্বকাপের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে বাদ পড়ার শঙ্কা জেগেছিল আর্জেন্টিনার। পেরুর বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে জয়ের পর উরুগুয়েকে তাদের মাটিতে হারিয়ে এসে মৃতপ্রায় স্বপ্নটা বাঁচিয়ে তুলেছে আর্জেন্টিনা।
উরুগুয়ের বিপক্ষে জয় সংবাদমাধ্যমকে হয়তো শান্তই রাখত। কিন্তু ম্যারাডোনাই উসকে দিয়েছেন তাদের। সেদিন বলেছিলেন, ‘এই জয় সাংবাদিক বাদে সব আর্জেন্টাইনের জন্য। ওরা আমাকে ধুলো-ময়লার মতো বিবেচনা করেছে। কিন্তু আমরা সসম্মানে বিশ্বকাপে উঠে গেছি। আমি এটা আর্জেন্টিনার প্রতিটি মানুষ আর আমার পরিবারকে উত্সর্গ করছি। কিন্তু একটা অংশ এর যোগ্য নয়। কারণ তারা আমাকে আবর্জনার মতো মূল্যায়ন করেছে।’
ম্যারাডোনার এমন আচরণকে অযৌক্তিক মনে করছে ক্লারিনও। আর্জেন্টিনার সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিকটি লিখেছে, ‘যে রাতে তিনি তাঁর লক্ষ্য অর্জন করলেন, সে রাতে নিজেকে শান্ত আর মুহূর্তটা উপভোগ করার বদলে তিনি তাঁর আগ্রাসন উগরে দিলেন।’
এদিকে লা ন্যাসিওন বৃহস্পতিবার তাদের অনলাইন জরিপে দেখিয়েছে, এখনো ৭৯ শতাংশ পাঠক মনে করে, ম্যারাডোনাকে ছাঁটাই করাই হবে দলের জন্য মঙ্গলজনক। আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) ওপর সংবাদমাধ্যম চাপও তৈরি করেছে। কিন্তু এএফএ সভাপতি হুলিও গ্রন্ডোনার এখন পর্যন্ত কোনো কোচকে ছাঁটাইয়ের রেকর্ড নেই। এবারও তা হচ্ছে না বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
ওই মুহূর্তে ম্যারাডোনার এমন আচরণের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন গ্রন্ডোনা, ‘উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে মানুষ রাগের মাথায় এমন অনেক কিছু করে বসে যার জন্য পরে সে অনুতপ্ত হয়। এমনটা সবারই হয়। সবার জীবনেই তা ঘটে। এমনটা অনেক সময় হয় যখন আপনি গাড়ি চালান। এটাই জীবন।’
ম্যারাডোনাকে ছাঁটাই করা নয়, বরং দলের উন্নতিতে কাজ করার জন্য সবাইকে মনোযোগ দিতে বলেছেন গ্রন্ডোনা, ‘আমি কোনো পরিবর্তনের কথা ভাবছি না। আমাদের মতো ডিয়েগোরও উন্নতি করার ক্ষমতা আছে।’
সব ভেদাভেদ ভুলে দলের উন্নতির জন্য সবাইকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন হুয়ান সেবাস্তিয়ান ভেরনও। আর্জেন্টিনার সবচেয়ে অভিজ্ঞ এই সেনানি বলছেন, ‘শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছু বাজেভাবে হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক একটা আর্জেন্টিনা দলকে দেখতে চাইলে অবশ্যই আমাদের কিছু পরিবর্তন আনতে হবে, যে দলটা খেলা উপভোগ করবে, যন্ত্রণা নয়।’
No comments