প্রস্তাবিত শিক্ষানীতি -আমলাতন্ত্রের গাঁট by দ্বিজেন শর্মা
জাতীয় শিক্ষানীতিতে সরকারি বিদ্যালয় ও কলেজ ব্যবস্থাপনা পরিবর্তনের সুনির্দিষ্ট কোনো সুপারিশ নেই। শুধু এরকম কথা লেখা আছে ‘ব্যবস্থাপনা কমিটিকে প্রয়োজনে অধিকতর ক্ষমতা দিয়ে আরও জোরদার করা হবে। অভিভাবক, শিক্ষানুরাগী...সমন্বয়ে জন-তত্ত্বাবধানের ব্যবস্থা করা হবে।’ অর্থাত্ বাকিটা সরকারি সিদ্ধান্তের জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে।
কয়েক দিন আগে একটি বিভাগীয় সরকারি কলেজে কিছু ছাত্রের আমন্ত্রণে এক সান্ধ্য কবিতাপাঠের আসরে গিয়েছিলাম। কবিসংখ্যা ১০-১২, শ্রোতা একা আমি। পাঠ শুরু হতেই বিদ্যুত্ চলে গেল। অদম্য তরুণেরা মোবাইল ফোনসেটের আলোয় কবিতা পড়তে লাগল। কিন্তু ভ্যাপসা গরম আর মশার জন্য তিষ্টানো গেল না। আমরা বাইরে এসে হাঁটতে ও কথা বলতে লাগলাম। বিশাল চত্বর, বড় বড় পুকুর, গাছগাছালির বন, দুটি ফুটবল মাঠ। একসময় এখানে শিক্ষকতা করেছি, দেখলাম, আমার লাগানো গাছেরও কয়েকটি আছে। কিন্তু দুঃখ হলো, আমাদের টেনিস কোর্টগুলো আর নেই, সেখানে সবজিক্ষেত। বোটানিক গার্ডেন আগাছাভরা, ফুটবল মাঠে হাঁটুসমান ঘাস।
‘তোমরা খেলাধুলা করো না?’ জানতে চাই।
মিহি সুরে উত্তর আসে, ‘না’।
‘বার্ষিকী বের হয়? সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটক হয়?’
একই উত্তর—না।
মনে পড়ে, পঞ্চাশের দশকের শেষের দিকের কথা। শীতে টেনিসের সমারোহ আয়োজন, নিয়মিত ক্রিকেট ম্যাচ, গোটা বর্ষাজুড়ে ফুটবল। কলেজ বার্ষিকী ছাড়াও ছিল একটি বিজ্ঞানবার্ষিকী। ১৯৫৯ সালে আমরাই প্রথম উদ্ভিদবিদ্যার স্নাতক কোর্স খুলি। অধ্যক্ষ ও বিজ্ঞান শিক্ষকদের ঐকান্তিক এবং অনুক্ষণ সহায়তায় দুই বছরের মধ্যেই গড়ে ওঠে চমত্কার ল্যাবরেটরি, হার্বোরিয়াম, মিউজিয়াম, বিভাগীয় গ্রন্থসংগ্রহ, বোটানিক গার্ডেন, কোনোটা ন্যূনতম খরচায়, কোনোটা নিখরচায়। ১৯৬২ সালে সরকারিকরণের পর যত দিন পুরোনো শিক্ষকেরা ছিলেন, তত দিন এ রেওয়াজ তেমন বদলায়নি।
হাঁটতে হাঁটতে ছাত্রদের এসব কথা শোনাই এবং জিজ্ঞেস করি, ‘তোমাদের আজ এ হাল কেন?’ জবাব আসে, ‘মোবাইল ফোন স্যার, ওটিই খেলাধুলা, সংস্কৃতি সব গিলে ফেলেছে।’ ভেবেছিলাম, দলীয় ছাত্ররাজনীতির কথা শুনব, কিন্তু খবরটি সম্পূর্ণ নতুন।
সত্যিই মোবাইল ফোন কি? আংশিক সত্য হলেও সিংহভাগ সমাধা করেছে সরকারি আমলাতন্ত্র। শিক্ষকেরা আজ কলেজের সঙ্গে একাত্মবোধ হারিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটি তাঁদের কাছে পরকীয় হয়ে গেছে। অন্যান্য আমলাতন্ত্রের মতো শিক্ষা-আমলাতন্ত্র একটি নির্মুখ সত্তা। এই শহরে এলে অন্তত একবার কলেজে যাই, চত্বরে হাঁটি, উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগেও গিয়ে বসি। আমার কাছে পড়েছে, এমন শিক্ষকও আগে পেতাম, এখন সবাই অচেনা। একবার দেখলাম ফুটবল মাঠের পাশে একসার গগনশিরীষ কে যেন লাগিয়েছেন, পরেরবার দেখি কয়েকটি অযত্নে এলোমেলো। জিজ্ঞেস করে জানলাম, যিনি লাগিয়েছিলেন, তিনি বদলি হয়ে গেছেন। এখন আছে মাত্র তিনটি, বড় হয়েছে, কিন্তু গোটা সারিটা ছেঁড়াখোঁড়া, সৌন্দর্যহারা।
ঘটনাটি খুব ছোট, কিন্তু তাত্পর্যবহ। সরকারিকরণ বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনার চিরায়ত কাঠামোটি অবিন্যস্ত করে দিয়েছে, ব্যক্তি উদ্যোগের বিনাশ ঘটিয়েছে, শিক্ষকদের অদৃশ্য এক শক্তির ক্রীড়নকে পরিণত করতে চাইছে। অথচ শিক্ষা কমিশন বিষয়টি এড়িয়ে গেছে, বিদ্যালয়কে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখা আমলাতন্ত্রের এই গাঁট খুলতে চায়নি।
এ দায় অবশ্য পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক ব্যবস্থার। তারা অসত্ উদ্দেশ্যেই উল্টোমুখী শিক্ষা সংস্কার শুরু করেছিল এবং সে জন্য শিক্ষা-এলিট সৃষ্টির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকেই প্রথম নজর দিয়েছিল। অথচ প্রয়োজন ছিল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাস্তর পেরিয়ে শেষ পর্যায়ে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছান। এই উল্টোরথে ক্ষতি হয়েছে বিরাট, গোটা শিক্ষাব্যবস্থাই অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে, শিক্ষায় শ্রেণীভেদ ও নানা অমোচ্য জটিলতা দেখা দিয়েছে। এটাই ছিল তাদের কাম্য, যা থেকে আজও আমরা মুক্ত হতে পারিনি, বরং তাদের ফাঁদে পা দিয়ে জটিলতার পরিধি ক্রমাগত বাড়িয়েছি।
আমাদের শিক্ষক আন্দোলনের দুর্বলতা সুবিদিত। কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশনে কাজ করার সময় একটি নীতিগত সমস্যা নিয়ে জনৈক শিক্ষক নেতার সঙ্গে দেখা করলে তিনি অকপটে জানান, শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে তাঁদের ধারণা যতটা স্বচ্ছ, শিক্ষানীতি সম্পর্কে ততটাই অস্বচ্ছ। হতাশ হয়েছিলাম। তাঁরা স্বাধীনতার পর শিক্ষা সরকারিকরণের (সরকারি আমলাতন্ত্রের সরাসরি নিয়ন্ত্রণাধীন, যেমন সরকারি স্কুল-কলেজ) বিরুদ্ধে জাতীয়করণের (মালিকানা রাষ্ট্রের কিন্তু ব্যবস্থাপনা স্বায়ত্তশাসিত, যেমন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়) দাবি তুলেছিলেন। অথচ শেষ পর্যন্ত জয় হলো প্রথমোক্তেরই।
তা ছাড়া, আজ গোটা ছাত্রসমাজ কিছু সংখ্যক শিক্ষকের কোচিং ব্যবস্থায় জিম্মি। তারা শিক্ষকের ভাগ্যোন্নয়নের সঙ্গে শিক্ষানীতি নিয়েও ভাবলে এত দিনে শিক্ষা-ব্যবস্থা পরিচালনার একটি গণতান্ত্রিক কার্যকর কাঠামো হয়তো উদ্ভাবিত হতো। শিক্ষানীতির একটি গোটা অধ্যায়ে আছে ‘শিক্ষকদের মর্যাদা, অধিকার ও দায়িত্ব’ বিষয়ে অনেক ভালো ভালো সুপারিশ। কিন্তু শিক্ষা-ব্যবস্থার একটি যৌক্তিক কাঠামো ব্যতীত তা অর্জনীয় নয়। প্রসঙ্গত স্মর্তব্য, শিক্ষা এমন একটি ক্ষেত্র, যেখানে অজস্র প্রতিকূলতা সত্ত্বেও শিক্ষকের পক্ষে নিজ চেষ্টায় অনেক অর্জন সম্ভব এবং অত্যল্প হলেও তা থেমে নেই। শিক্ষাক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য শিক্ষকদের বৈষয়িক দৈন্যমুক্তির সঙ্গে সঙ্গে আত্মিক মুক্তির স্বতন্ত্র উজ্জীবন আবশ্যক। শিক্ষানীতি এ ক্ষেত্রে কতটা কার্যকর হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
দ্বিজেন শর্মা: লেখক, নিসর্গী। সাবেক শিক্ষক।
কয়েক দিন আগে একটি বিভাগীয় সরকারি কলেজে কিছু ছাত্রের আমন্ত্রণে এক সান্ধ্য কবিতাপাঠের আসরে গিয়েছিলাম। কবিসংখ্যা ১০-১২, শ্রোতা একা আমি। পাঠ শুরু হতেই বিদ্যুত্ চলে গেল। অদম্য তরুণেরা মোবাইল ফোনসেটের আলোয় কবিতা পড়তে লাগল। কিন্তু ভ্যাপসা গরম আর মশার জন্য তিষ্টানো গেল না। আমরা বাইরে এসে হাঁটতে ও কথা বলতে লাগলাম। বিশাল চত্বর, বড় বড় পুকুর, গাছগাছালির বন, দুটি ফুটবল মাঠ। একসময় এখানে শিক্ষকতা করেছি, দেখলাম, আমার লাগানো গাছেরও কয়েকটি আছে। কিন্তু দুঃখ হলো, আমাদের টেনিস কোর্টগুলো আর নেই, সেখানে সবজিক্ষেত। বোটানিক গার্ডেন আগাছাভরা, ফুটবল মাঠে হাঁটুসমান ঘাস।
‘তোমরা খেলাধুলা করো না?’ জানতে চাই।
মিহি সুরে উত্তর আসে, ‘না’।
‘বার্ষিকী বের হয়? সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটক হয়?’
একই উত্তর—না।
মনে পড়ে, পঞ্চাশের দশকের শেষের দিকের কথা। শীতে টেনিসের সমারোহ আয়োজন, নিয়মিত ক্রিকেট ম্যাচ, গোটা বর্ষাজুড়ে ফুটবল। কলেজ বার্ষিকী ছাড়াও ছিল একটি বিজ্ঞানবার্ষিকী। ১৯৫৯ সালে আমরাই প্রথম উদ্ভিদবিদ্যার স্নাতক কোর্স খুলি। অধ্যক্ষ ও বিজ্ঞান শিক্ষকদের ঐকান্তিক এবং অনুক্ষণ সহায়তায় দুই বছরের মধ্যেই গড়ে ওঠে চমত্কার ল্যাবরেটরি, হার্বোরিয়াম, মিউজিয়াম, বিভাগীয় গ্রন্থসংগ্রহ, বোটানিক গার্ডেন, কোনোটা ন্যূনতম খরচায়, কোনোটা নিখরচায়। ১৯৬২ সালে সরকারিকরণের পর যত দিন পুরোনো শিক্ষকেরা ছিলেন, তত দিন এ রেওয়াজ তেমন বদলায়নি।
হাঁটতে হাঁটতে ছাত্রদের এসব কথা শোনাই এবং জিজ্ঞেস করি, ‘তোমাদের আজ এ হাল কেন?’ জবাব আসে, ‘মোবাইল ফোন স্যার, ওটিই খেলাধুলা, সংস্কৃতি সব গিলে ফেলেছে।’ ভেবেছিলাম, দলীয় ছাত্ররাজনীতির কথা শুনব, কিন্তু খবরটি সম্পূর্ণ নতুন।
সত্যিই মোবাইল ফোন কি? আংশিক সত্য হলেও সিংহভাগ সমাধা করেছে সরকারি আমলাতন্ত্র। শিক্ষকেরা আজ কলেজের সঙ্গে একাত্মবোধ হারিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটি তাঁদের কাছে পরকীয় হয়ে গেছে। অন্যান্য আমলাতন্ত্রের মতো শিক্ষা-আমলাতন্ত্র একটি নির্মুখ সত্তা। এই শহরে এলে অন্তত একবার কলেজে যাই, চত্বরে হাঁটি, উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগেও গিয়ে বসি। আমার কাছে পড়েছে, এমন শিক্ষকও আগে পেতাম, এখন সবাই অচেনা। একবার দেখলাম ফুটবল মাঠের পাশে একসার গগনশিরীষ কে যেন লাগিয়েছেন, পরেরবার দেখি কয়েকটি অযত্নে এলোমেলো। জিজ্ঞেস করে জানলাম, যিনি লাগিয়েছিলেন, তিনি বদলি হয়ে গেছেন। এখন আছে মাত্র তিনটি, বড় হয়েছে, কিন্তু গোটা সারিটা ছেঁড়াখোঁড়া, সৌন্দর্যহারা।
ঘটনাটি খুব ছোট, কিন্তু তাত্পর্যবহ। সরকারিকরণ বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনার চিরায়ত কাঠামোটি অবিন্যস্ত করে দিয়েছে, ব্যক্তি উদ্যোগের বিনাশ ঘটিয়েছে, শিক্ষকদের অদৃশ্য এক শক্তির ক্রীড়নকে পরিণত করতে চাইছে। অথচ শিক্ষা কমিশন বিষয়টি এড়িয়ে গেছে, বিদ্যালয়কে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখা আমলাতন্ত্রের এই গাঁট খুলতে চায়নি।
এ দায় অবশ্য পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক ব্যবস্থার। তারা অসত্ উদ্দেশ্যেই উল্টোমুখী শিক্ষা সংস্কার শুরু করেছিল এবং সে জন্য শিক্ষা-এলিট সৃষ্টির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকেই প্রথম নজর দিয়েছিল। অথচ প্রয়োজন ছিল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাস্তর পেরিয়ে শেষ পর্যায়ে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছান। এই উল্টোরথে ক্ষতি হয়েছে বিরাট, গোটা শিক্ষাব্যবস্থাই অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে, শিক্ষায় শ্রেণীভেদ ও নানা অমোচ্য জটিলতা দেখা দিয়েছে। এটাই ছিল তাদের কাম্য, যা থেকে আজও আমরা মুক্ত হতে পারিনি, বরং তাদের ফাঁদে পা দিয়ে জটিলতার পরিধি ক্রমাগত বাড়িয়েছি।
আমাদের শিক্ষক আন্দোলনের দুর্বলতা সুবিদিত। কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশনে কাজ করার সময় একটি নীতিগত সমস্যা নিয়ে জনৈক শিক্ষক নেতার সঙ্গে দেখা করলে তিনি অকপটে জানান, শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে তাঁদের ধারণা যতটা স্বচ্ছ, শিক্ষানীতি সম্পর্কে ততটাই অস্বচ্ছ। হতাশ হয়েছিলাম। তাঁরা স্বাধীনতার পর শিক্ষা সরকারিকরণের (সরকারি আমলাতন্ত্রের সরাসরি নিয়ন্ত্রণাধীন, যেমন সরকারি স্কুল-কলেজ) বিরুদ্ধে জাতীয়করণের (মালিকানা রাষ্ট্রের কিন্তু ব্যবস্থাপনা স্বায়ত্তশাসিত, যেমন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়) দাবি তুলেছিলেন। অথচ শেষ পর্যন্ত জয় হলো প্রথমোক্তেরই।
তা ছাড়া, আজ গোটা ছাত্রসমাজ কিছু সংখ্যক শিক্ষকের কোচিং ব্যবস্থায় জিম্মি। তারা শিক্ষকের ভাগ্যোন্নয়নের সঙ্গে শিক্ষানীতি নিয়েও ভাবলে এত দিনে শিক্ষা-ব্যবস্থা পরিচালনার একটি গণতান্ত্রিক কার্যকর কাঠামো হয়তো উদ্ভাবিত হতো। শিক্ষানীতির একটি গোটা অধ্যায়ে আছে ‘শিক্ষকদের মর্যাদা, অধিকার ও দায়িত্ব’ বিষয়ে অনেক ভালো ভালো সুপারিশ। কিন্তু শিক্ষা-ব্যবস্থার একটি যৌক্তিক কাঠামো ব্যতীত তা অর্জনীয় নয়। প্রসঙ্গত স্মর্তব্য, শিক্ষা এমন একটি ক্ষেত্র, যেখানে অজস্র প্রতিকূলতা সত্ত্বেও শিক্ষকের পক্ষে নিজ চেষ্টায় অনেক অর্জন সম্ভব এবং অত্যল্প হলেও তা থেমে নেই। শিক্ষাক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য শিক্ষকদের বৈষয়িক দৈন্যমুক্তির সঙ্গে সঙ্গে আত্মিক মুক্তির স্বতন্ত্র উজ্জীবন আবশ্যক। শিক্ষানীতি এ ক্ষেত্রে কতটা কার্যকর হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
দ্বিজেন শর্মা: লেখক, নিসর্গী। সাবেক শিক্ষক।
No comments