বিসিসিআইকে কপিলদের তোপ

পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়ায় আগুন জ্বলছে পাকিস্তানের ক্রিকেটে। গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েও এত দিন শান্তই ছিল ভারতের ক্রিকেটাঙ্গন। তবে রাহুল দ্রাবিড়ের বাদ পড়া এবং বোলিং কোচ ভেঙ্কটেশ প্রসাদ ও ফিল্ডিং কোচ রবিন সিংকে বরখাস্ত করার পর ভারতীয় ক্রিকেটেও এখন বিতর্কের ঝড়। তিনটি সিদ্ধান্তের একটির সঙ্গেও একমত হতে পারছেন না ভারতের সাবেকেরা।
শুধু সহকারী দুই কোচই কেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ব্যর্থতার বলি হলেন—এই প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক অধিনায়ক ও কোচ কপিল দেব, ‘খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য যদি প্রসাদ ও রবিনকে বরখাস্ত করা হয়, তাহলে তো একই কারণে কারস্টেনকেও বাদ দেওয়া উচিত। তাকেও বাদ দেওয়া হোক! আমরা খেলোয়াড়েরা শ্রমিকের মতো। বড় কর্তারা অফিসে বসে আদেশ করেন আর মাঠে খেলোয়াড় ও কোচদের ঘাম ছুটে যায়। এটাই আমাদের সিস্টেম। দয়া করে আপনারা বসদের কাছে এটা জিজ্ঞাসা করতে পারবেন?’
দুই কোচ বরখাস্ত হওয়ার খবর শুনে সাবেক কোচ মদন লালের প্রথম প্রতিক্রিয়াটি ছিল, ‘এ আর নতুন কী? আমার সঙ্গেও ওরা (বোর্ড) এমন করেছিল। ওরা আসলে এমনই।’ ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) সিদ্ধান্তে একটুও অবাক হননি দুই মেয়াদে ভারতের কোচ থাকা অংশুমান গায়কোয়াড়, “আমি জানি না কেন ভেঙ্কি ও রবিনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কিন্তু অবাক হইনি। ১৯৯৯ বিশ্বকাপ থেকে যখন আমরা দেশে ফিরলাম, বিসিসিআইয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা আমাকে ডেকে বলল, ‘কপিল দেবের হাতে দায়িত্ব ছেড়ে দাও।’ আমি বললাম, ‘ঠিক আছে স্যার, আপনার যেমন মর্জি।”
এদিকে রাহুল দ্রাবিড়কে যেভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে সেটা ভালো ঠেকেনি সাবেক দুই অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী ও অনিল কুম্বলের। দ্রাবিড়কে বাদ দেওয়ায় রীতিমতো বিস্মিত সৌরভ, ‘আমি জানি না, এটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা না অন্য কিছু...কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে নির্বাচকেরা পরীক্ষা করতে চাইবেন বলে মনে হয় না। যেটাই হোক, এই সিদ্ধান্তে আমি খুবই অবাক হয়েছি।’ কুম্বলের মতে, আরেকটু সম্মান দ্রাবিড়ের প্রাপ্য ছিল, ‘তার মতো এমন ভাবমূর্তি এবং এত দীর্ঘ সময় ধরে খেলা কারও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভালো করার পর এভাবে বাদ পড়া উচিত নয়। আমি হলে তাকে দলে রাখতাম।’
এদিকে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ এগিয়ে আসছে আর শুরু হয়ে গেছে কথার লড়াই। ব্রেট লি ইতিমধ্যেই ভারতকে ৭-০-তে হোয়াইটওয়াশ করার ঘোষণা দিয়েছেন। আর ভারতের হয়ে জবাব দিয়েছেন কাঁধের ইনজুরিতে দীর্ঘদিন বাইরে থাকা জহির খান, ‘অস্ট্রেলিয়ানরা এমনই। প্রতিপক্ষ নিয়ে ওরা বড় বেশি কথা বলে। ওদের উচিত অন্যদের নিয়ে মন্তব্য না করে নিজেদের দিকে তাকানো।’ ইনজুরি পুরোপুরি না সারায় প্রথম দুই ওয়ানডের দলে নেই জহির। তবে এই বাঁহাতি পেসার আশা করছেন, তাঁর অনুপস্থিতিতে জ্বলে উঠবেন দলের অন্য পেসাররা।

No comments

Powered by Blogger.