দেশের প্রথম সৌরবিদ্যুত্চালিত সেচপাম্প- সাভারে প্রদর্শনীমূলক কার্যক্রম শুরু
দেশে প্রথমবারের মতো সৌরবিদ্যুত্চালিত সেচপাম্পের প্রদর্শনীমূলক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কৃষিকাজকে সহজ, আধুনিকায়ন ও পরিবেশবান্ধব করে তোলার লক্ষ্যে ঢাকার সাভারে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের কাইশারচর গ্রামের শাহীন আহমেদের বোরো প্রকল্পে সৌরবিদ্যুত্চালিত সেচপাম্পটি স্থাপন করা হয়েছে।
রহিমআফরোজ রিনিউএবেল এনার্জির চেয়ারম্যান নিয়াজ রহিম এবং চ্যানেল আইয়ের পরিচালক শাইখ সিরাজ গতকাল শনিবার এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
রহিমআফরোজের কর্মকর্তারা জানান, ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে সৌরবিদ্যুত্চালিত সেচপাম্পটি স্থাপন করা হয়েছে। এই পাম্প থেকে ১২ কিলোওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদন হবে, যা দিয়ে ১০ ঘোড়ার একটি মোটরের সাহায্যে ২০ একর জমিতে সেচসুবিধা নেওয়া যাবে। এর ফলে অন্তত ৫০ জন কৃষক উপকৃত হবেন। এই সেচপাম্পগুলো ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে চলবে। এ জন্য অতিরিক্ত কোনো ব্যাটারি বা জ্বালানির প্রয়োজন হবে না। সূর্যের আলোই পাম্পটিকে সারা দিন সচল রাখবে। এটি চালু বা বন্ধ করারও কোনো প্রয়োজন নেই। সূর্যের আলো যতক্ষণ থাকবে, ততক্ষণ এটি চলবে। আর সুর্যের আলো না থাকলে বন্ধ হয়ে যাবে।
রহিমআফরোজের কর্মকর্তারা আরও জানান, বোরো মৌসুমে দেশে এক কোটি ২০ লাখ একর চাষযোগ্য জমিতে ১৩ লাখ ৩০ হাজার সেচপাম্প ব্যবহূত হয়। এর মধ্যে ১৬ লাখ একর জমি চাষে ব্যবহূত হয় ১০ লাখ ৮০ হাজার বিদ্যুত্চালিত সেচপাম্প। বাকি এক কোটি চার লাখ একর জমি চাষে ব্যবহূত হয় ১১ লাখ ৫৮ হাজার ডিজেলচালিত সেচপাম্প। সারা দেশের বিদ্যুত্ ও ডিজেলচালিত সেচপাম্পগুলোকে সৌরবিদ্যুতের আওতায় আনা সম্ভব হলে বছরে ৭৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ সাশ্রয় হবে। পাশাপাশি ৮০ কোটি লিটার ডিজেলের সাশ্রয় হবে। এতে ডিজেল ও বিদ্যুতের জন্য সরকারের ৮৫৩ কোটি টাকার ভর্তুকি দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।
শাহীন আহমেদ জানান, তিনি ২০০৩ সাল থেকে ডিজেলচালিত পাম্পের মাধ্যমে ১২ একর জমিতে বোরোসহ অন্যান্য ধানের আবাদ করে আসছিলেন। এতে মাত্র ২০ জন কৃষক উপকৃত হতেন। পাম্প ভাড়াসহ ডিজেল কিনে কৃষকদের বছরে দুই লাখ টাকা খরচ হতো। আর এবার সৌরবিদ্যুত্ স্থাপন করার ফলে কৃষকদের সেচ খরচ কমে আসবে। পাশাপাশি আগের তুলনায় আরও বেশি কৃষক উপকৃত হবেন।
রহিমআফরোজ রিনিউএবেল এনার্জির চেয়ারম্যান নিয়াজ রহিম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের কোম্পানিটি সৌরবিদ্যুত্চালিত সেচপাম্প নিয়ে কাজ করছে ২০০৪ সাল থেকে। তবে এবারই প্রথম প্রদর্শনীমূলকভাবে বড় আকারের সেচপাম্প প্রকল্পটি চালু করা হলো।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল হোসেন প্রদর্শনীমূলক প্রকল্পটি পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের বলেন, এই প্রকল্পের লাভ-ক্ষতির হিসাব-নিকাশ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জার্মান টেকনিক্যাল কো-অপারেশনের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর এরিখ অটো গম ও উপদেষ্টা খুরশীদ উল ইসলাম।
রহিমআফরোজ রিনিউএবেল এনার্জির চেয়ারম্যান নিয়াজ রহিম এবং চ্যানেল আইয়ের পরিচালক শাইখ সিরাজ গতকাল শনিবার এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
রহিমআফরোজের কর্মকর্তারা জানান, ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে সৌরবিদ্যুত্চালিত সেচপাম্পটি স্থাপন করা হয়েছে। এই পাম্প থেকে ১২ কিলোওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদন হবে, যা দিয়ে ১০ ঘোড়ার একটি মোটরের সাহায্যে ২০ একর জমিতে সেচসুবিধা নেওয়া যাবে। এর ফলে অন্তত ৫০ জন কৃষক উপকৃত হবেন। এই সেচপাম্পগুলো ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে চলবে। এ জন্য অতিরিক্ত কোনো ব্যাটারি বা জ্বালানির প্রয়োজন হবে না। সূর্যের আলোই পাম্পটিকে সারা দিন সচল রাখবে। এটি চালু বা বন্ধ করারও কোনো প্রয়োজন নেই। সূর্যের আলো যতক্ষণ থাকবে, ততক্ষণ এটি চলবে। আর সুর্যের আলো না থাকলে বন্ধ হয়ে যাবে।
রহিমআফরোজের কর্মকর্তারা আরও জানান, বোরো মৌসুমে দেশে এক কোটি ২০ লাখ একর চাষযোগ্য জমিতে ১৩ লাখ ৩০ হাজার সেচপাম্প ব্যবহূত হয়। এর মধ্যে ১৬ লাখ একর জমি চাষে ব্যবহূত হয় ১০ লাখ ৮০ হাজার বিদ্যুত্চালিত সেচপাম্প। বাকি এক কোটি চার লাখ একর জমি চাষে ব্যবহূত হয় ১১ লাখ ৫৮ হাজার ডিজেলচালিত সেচপাম্প। সারা দেশের বিদ্যুত্ ও ডিজেলচালিত সেচপাম্পগুলোকে সৌরবিদ্যুতের আওতায় আনা সম্ভব হলে বছরে ৭৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ সাশ্রয় হবে। পাশাপাশি ৮০ কোটি লিটার ডিজেলের সাশ্রয় হবে। এতে ডিজেল ও বিদ্যুতের জন্য সরকারের ৮৫৩ কোটি টাকার ভর্তুকি দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।
শাহীন আহমেদ জানান, তিনি ২০০৩ সাল থেকে ডিজেলচালিত পাম্পের মাধ্যমে ১২ একর জমিতে বোরোসহ অন্যান্য ধানের আবাদ করে আসছিলেন। এতে মাত্র ২০ জন কৃষক উপকৃত হতেন। পাম্প ভাড়াসহ ডিজেল কিনে কৃষকদের বছরে দুই লাখ টাকা খরচ হতো। আর এবার সৌরবিদ্যুত্ স্থাপন করার ফলে কৃষকদের সেচ খরচ কমে আসবে। পাশাপাশি আগের তুলনায় আরও বেশি কৃষক উপকৃত হবেন।
রহিমআফরোজ রিনিউএবেল এনার্জির চেয়ারম্যান নিয়াজ রহিম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের কোম্পানিটি সৌরবিদ্যুত্চালিত সেচপাম্প নিয়ে কাজ করছে ২০০৪ সাল থেকে। তবে এবারই প্রথম প্রদর্শনীমূলকভাবে বড় আকারের সেচপাম্প প্রকল্পটি চালু করা হলো।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল হোসেন প্রদর্শনীমূলক প্রকল্পটি পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের বলেন, এই প্রকল্পের লাভ-ক্ষতির হিসাব-নিকাশ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জার্মান টেকনিক্যাল কো-অপারেশনের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর এরিখ অটো গম ও উপদেষ্টা খুরশীদ উল ইসলাম।
No comments