পাকিস্তানে বিমান হামলা : এবার নতুন কথা ভারতীয় বিমান বাহিনীর
কাশ্মিরের
পুলামাওয়ায় ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর বহরের ওপর আত্মঘাতী হামলার জের ধরে
ভারতীয় বিমান বাহিনী পাকিস্তানের বালাকোটে হামলা চালায়। ওই সময় ভারতীয় পক্ষ
দাবি করেছিল, তাদের হামলায় 'জঙ্গিদের' আস্তানা ধবংস হয়েছে, অনেক লোক
কিন্তু পাকিস্তান ওই দাবি নাকচ করে দেয়। পাকিস্তান বলেছিল, ভারতীয় বিমান
বাহিনী আকাশসীমা লঙ্ঘন করলেও কোনো লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করতে পারেনি। তারা
নির্জন বন এলাকায় বোমা ফেলেছে। আর পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর ভয়ে পালিয়ে
গেছে ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিমানগুলো। এর জবাবে পাকিস্তান বিমানবাহিনী
অভিযান চালায়। এসময় আকাশযুদ্ধে অন্তত একটি ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করা হয়।
পাকিস্তানের ভেতরে ভারতীয় একটি মিগ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এর পাইলটও ধরা পড়ে
পাকিস্তানের হাতে। পরে পাকিস্তান ওই পাইলটকে ফেরত দেয়।
ভারতীয় পক্ষ ওই সময় যে দাবি করেছিল, তার পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি। এখন তারা তাদের দাবি পরিবর্তন করেছে। শুক্রবার ভারতীয় মিডিয়ায় বলা হয়, পরিকল্পনা বদলে যাওয়ায় তারা ওই হামলার ভিডিও করতে পারেনি।
কলকাতাভিত্তিক আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, সবটা পরিকল্পনামাফিক হয়নি। শেষ মুহূর্তে বদল করতে হয়েছিল ছক। আর তাই বালাকোটের 'জঙ্গি' ডেরায় হামলার ভিডিও নেই ভারতীয় বিমানবাহিনীর হাতে। বিমানবাহিনীর রিপোর্টে এমনটাই জানানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে এক সংবাদ সংস্থায়।
ভারতীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বালাকোটে জৈশ-ই-মোহাম্মদের ডেরায় আকাশপথে হামলা চালায় বিমানবাহিনী। পুলওয়ামায় 'জঙ্গি' হামলার জবাব দিতেই ওই ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’ চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। কিন্তু তার পর থেকে বালাকোট নিয়ে বিতর্ক চলছেই। ‘হামলার প্রমাণ কই’ বলে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলগুলো। সংবাদ সংস্থাটির দাবি, সম্প্রতি ভারতীয় বিমান বাহিনীর রিপোর্টে তার জবাব দেয়া হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, সে দিন বালাকোটের 'জঙ্গি' শিবির ধ্বংস করতে ‘ক্রিস্টাল মেজ়’ নামে একটি ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র (আকাশ থেকে ভূমি) ছোড়ার কথাও ছিল। হামলার পাশাপাশি গোটা ঘটনা ভিডিও করার বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্রটির। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি আর ছোড়া সম্ভব হয়নি। আর তাই সেনার হাতে ভিডিও নেই। কেবল উপগ্রহ চিত্র রয়েছে। কিন্তু গোপনীয়তা রক্ষার জন্য এই মুহূর্তে সেগুলোও প্রকাশ্যে আনা নিষেধ। ভবিষ্যতে আনা হবে কি না, তা-ও স্পষ্ট জানানো হয়নি।
রিপোর্টে বিমানবাহিনীর দাবি, ২৬ ফেব্রুয়ারি বালাকোটে বিমানবাহিনীর ‘মিরাজ ২০০০’ যুদ্ধবিমান বেশ কিছুটা নিচে নামে। তার পর সুযোগ বুঝে পাঁচটি ‘স্পাইস ২০০০’ পেনিট্রেটর গ্লাইড বোমা ফেলে। চারটি নিশানা ছিল ‘স্পাইস ২০০০’-এর। তিনটিতে গিয়ে আঘাত করে তা। একটিতে ফেলা হয়েছিল তিনটি বোমা। অন্য দু’টিতে একটি করে বোমা ফেলা হয়। কিন্তু ‘ক্রিস্টাল মেজ়’-এর মতো লাইভ ভিডিও করার ক্ষমতা নেই ‘স্পাইস ২০০০’-এর। তাই আকাশপথে' জঙ্গি' ডেরায় হামলা চালানোর ভিডিও নেই বিমানবাহিনীর কাছে।
বিমানবাহিনীর ওই সূত্রটি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছে, সে দিন মেঘ অনেকটা নিচে ছিল। তার জন্যেই পূর্ব নির্ধারিতভাবে ‘স্পাইস ২০০০’-এর সঙ্গে ছ’টি ‘ক্রিস্টাল মেজ়’ উৎক্ষেপণ করা যায়নি। ঠিক ছিল একসঙ্গে হামলা করবে ‘ক্রিস্টাল মেজ়’ ও ‘স্পাইস ২০০০’। শিবিরের উপরের তলায় হামলা চালানোর কথা ছিল ‘ক্রিস্টাল মেজ়’-এর। নিচের তলায় আঘাত হানত অন্যটি। 'জঙ্গি' নিধনের পাশাপাশি শিবিরটিকে সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দেয়া যেত তা হলে। জোড়া হামলা না হওয়ায় মিশন সম্পূর্ণ সফল হয়নি।
ও দিকে হামলার পরের দিনই ‘ইউরোপিয়ান স্পেস ইমেজিং’-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যাড্রিয়ান জেভেনবার্গেন জৈশ শিবিরের কিছু ছবি প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তাতে হামলার কোনো চিহ্ন মেলেনি। বিতর্ক আরো ঘনীভূত হয়েছিল তাতে। প্রায় ‘অক্ষত’ শিবিরের জন্যও যে ‘ক্রিস্টাল মেজ়’ উৎক্ষেপণ করতে না পারাই দায়ী, রিপোর্টে সেই ইঙ্গিত।
আরো একটি বিষয় স্বীকার করে নিয়েছে ভারতীয় ভারতীয় বিমানবাহিনীর। রিপোর্টে বলা হয়েছে, কার্গিল যুদ্ধের পর থেকে পাকিস্তানের বিমানবাহিনী অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে। তুলনায় ভারত কিছুটা পিছিয়ে। নিজেদের ঘাটতি দ্রুত সংশোধন করার প্রয়োজন রয়েছে। তারা জানিয়েছে, উপযুক্ত প্রযুক্তি হাতে থাকলে বালাকোটের পরে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর হামলার সময়ে তাদের আরো শিক্ষা দেয়া যেত।
ভারতীয় পক্ষ ওই সময় যে দাবি করেছিল, তার পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি। এখন তারা তাদের দাবি পরিবর্তন করেছে। শুক্রবার ভারতীয় মিডিয়ায় বলা হয়, পরিকল্পনা বদলে যাওয়ায় তারা ওই হামলার ভিডিও করতে পারেনি।
কলকাতাভিত্তিক আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, সবটা পরিকল্পনামাফিক হয়নি। শেষ মুহূর্তে বদল করতে হয়েছিল ছক। আর তাই বালাকোটের 'জঙ্গি' ডেরায় হামলার ভিডিও নেই ভারতীয় বিমানবাহিনীর হাতে। বিমানবাহিনীর রিপোর্টে এমনটাই জানানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে এক সংবাদ সংস্থায়।
ভারতীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বালাকোটে জৈশ-ই-মোহাম্মদের ডেরায় আকাশপথে হামলা চালায় বিমানবাহিনী। পুলওয়ামায় 'জঙ্গি' হামলার জবাব দিতেই ওই ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’ চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। কিন্তু তার পর থেকে বালাকোট নিয়ে বিতর্ক চলছেই। ‘হামলার প্রমাণ কই’ বলে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলগুলো। সংবাদ সংস্থাটির দাবি, সম্প্রতি ভারতীয় বিমান বাহিনীর রিপোর্টে তার জবাব দেয়া হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, সে দিন বালাকোটের 'জঙ্গি' শিবির ধ্বংস করতে ‘ক্রিস্টাল মেজ়’ নামে একটি ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র (আকাশ থেকে ভূমি) ছোড়ার কথাও ছিল। হামলার পাশাপাশি গোটা ঘটনা ভিডিও করার বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্রটির। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি আর ছোড়া সম্ভব হয়নি। আর তাই সেনার হাতে ভিডিও নেই। কেবল উপগ্রহ চিত্র রয়েছে। কিন্তু গোপনীয়তা রক্ষার জন্য এই মুহূর্তে সেগুলোও প্রকাশ্যে আনা নিষেধ। ভবিষ্যতে আনা হবে কি না, তা-ও স্পষ্ট জানানো হয়নি।
রিপোর্টে বিমানবাহিনীর দাবি, ২৬ ফেব্রুয়ারি বালাকোটে বিমানবাহিনীর ‘মিরাজ ২০০০’ যুদ্ধবিমান বেশ কিছুটা নিচে নামে। তার পর সুযোগ বুঝে পাঁচটি ‘স্পাইস ২০০০’ পেনিট্রেটর গ্লাইড বোমা ফেলে। চারটি নিশানা ছিল ‘স্পাইস ২০০০’-এর। তিনটিতে গিয়ে আঘাত করে তা। একটিতে ফেলা হয়েছিল তিনটি বোমা। অন্য দু’টিতে একটি করে বোমা ফেলা হয়। কিন্তু ‘ক্রিস্টাল মেজ়’-এর মতো লাইভ ভিডিও করার ক্ষমতা নেই ‘স্পাইস ২০০০’-এর। তাই আকাশপথে' জঙ্গি' ডেরায় হামলা চালানোর ভিডিও নেই বিমানবাহিনীর কাছে।
বিমানবাহিনীর ওই সূত্রটি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছে, সে দিন মেঘ অনেকটা নিচে ছিল। তার জন্যেই পূর্ব নির্ধারিতভাবে ‘স্পাইস ২০০০’-এর সঙ্গে ছ’টি ‘ক্রিস্টাল মেজ়’ উৎক্ষেপণ করা যায়নি। ঠিক ছিল একসঙ্গে হামলা করবে ‘ক্রিস্টাল মেজ়’ ও ‘স্পাইস ২০০০’। শিবিরের উপরের তলায় হামলা চালানোর কথা ছিল ‘ক্রিস্টাল মেজ়’-এর। নিচের তলায় আঘাত হানত অন্যটি। 'জঙ্গি' নিধনের পাশাপাশি শিবিরটিকে সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দেয়া যেত তা হলে। জোড়া হামলা না হওয়ায় মিশন সম্পূর্ণ সফল হয়নি।
ও দিকে হামলার পরের দিনই ‘ইউরোপিয়ান স্পেস ইমেজিং’-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যাড্রিয়ান জেভেনবার্গেন জৈশ শিবিরের কিছু ছবি প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তাতে হামলার কোনো চিহ্ন মেলেনি। বিতর্ক আরো ঘনীভূত হয়েছিল তাতে। প্রায় ‘অক্ষত’ শিবিরের জন্যও যে ‘ক্রিস্টাল মেজ়’ উৎক্ষেপণ করতে না পারাই দায়ী, রিপোর্টে সেই ইঙ্গিত।
আরো একটি বিষয় স্বীকার করে নিয়েছে ভারতীয় ভারতীয় বিমানবাহিনীর। রিপোর্টে বলা হয়েছে, কার্গিল যুদ্ধের পর থেকে পাকিস্তানের বিমানবাহিনী অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে। তুলনায় ভারত কিছুটা পিছিয়ে। নিজেদের ঘাটতি দ্রুত সংশোধন করার প্রয়োজন রয়েছে। তারা জানিয়েছে, উপযুক্ত প্রযুক্তি হাতে থাকলে বালাকোটের পরে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর হামলার সময়ে তাদের আরো শিক্ষা দেয়া যেত।
No comments