পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দাবি, প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেন জাতিসংঘ কর্মকর্তা
রোহিঙ্গাদের
ভাসানচরে স্থানান্তরে ‘বিদেশীরা’ বাধা দিচ্ছেন মর্মে অভিযোগ তুলে
পররাষ্ট্র মন্ত্রী তাদের ‘একহাত’ নিলেও প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি
বললেন ভিন্ন কথা! তার দাবি জাতিসংঘের কোন সংস্থা বা ব্যক্তির এতে আপত্তি
নেই। রোববার কূটনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন ডিকাব আয়োজিত সেমিনারে তিনি
জাতিসংঘের ইতিবাচক মনোভাবের কথা জানান। ‘রোহিঙ্গা সংকট: সমাধানে
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃশ্যমান ভূমিকা’ শীর্ষক ডিকাব সেমিনারে প্রধান
অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি। সেখানে এক প্রশ্নের
জবাবে তিনি বলেন, ভাসানচর সম্পর্কে না জেনেই অনেক বিদেশি গণমাধ্যম
নেতিবাচক খবর দিয়েছে। এ সময় তিনি রয়টার্স এবং আলজাজিরার আগাম রিপোর্টের
প্রসঙ্গ টানেন।
বলেন, কালই আমরা তাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের কথা বলিনি। কিন্তু ওই সংবাদ মাধ্যমগুলো আচমকা খবর দিয়ে দিল ভাসানচর না-কী এখনও প্রস্তুত নয়। আমাদের চিন্তা ছিল কাজ শেষ হওয়ার পর সবাইকে দেখাবো, আলোচনা করবো। এর পর ১ লাখ রোহিঙ্গাকে সেখানে স্থানান্তর করবো।
কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার আগেই রিপোর্ট হয়ে গেল। বলা হল ওই চর না-কী ঝুকিপূর্ণ! প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি না জাতিসংঘের কেউ ভাসানচরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারে। কারণ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের যে রিপোর্ট জমা পড়েছে তাতে ভাসানচর নিয়ে নেতিবাচক কিছু নেই। জাতিসংঘ প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠকে আশ্রয়দানের অব্যাহতভাবে প্রশংসা করেন। তারা বলেন, এই মুহূর্তে পৃথিবীতে অন্য কোনও দেশকে তারা কল্পনাও করতে পারেন না, যারা ১ মিলিয়ন বাস্তুচ্যুতকে আশ্রয় দিতে পারে। প্রতিমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে সরকার সঠিক পথেই আছে। নিরাপত্তা পরিষদে চীন মিয়ানমারের পক্ষে অবস্থান নিলেও দেশটি সংকট সমাধানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে যে এক ধরণের মধ্যস্থতা করছে সেটিও প্রতিমন্ত্রীর কথায় স্পষ্ট হয়।
তিনি জানান, সদ্য বিদায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলরের দপ্তরের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে নিয়ে বেইজিংয়ে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আয়োজনে একটি বৈঠকও হয়েছিল। অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক হিসাবে অংশ নেয়া জাতিসংঘের শরনার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ স্টিভেন করলিস বলেন, ‘আমরাও মনে করি রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়াই সংকটের একমাত্র সমাধান।’ তবে ভাসানচর প্রশ্নে জাতিসংঘের ওই প্রতিনিধি নিজেদের অবস্থান খোলাসা করেননি। তিনি ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ কোনটাই বলেননি। অনেকটা প্রসঙ্গ এড়িয়ে বলেন, ভাসানচর নিয়ে সরকারের সঙ্গে তাদের আলোচনা চলছে, আরও আলোচনা হবে।
রাজধানীর ইস্কাটনস্থ বিস অডিটরিয়ামে ডিকাবের ওই সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক প্রফেডর ড. ইমতিয়াজ আহমেদ। তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুটির আন্তর্জাতিকিকরণের পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হকসহ মন্ত্রণালয়ের ৩ সচিব এতে উপস্থিত ছিলেন। ডিকাব প্রেসিডেন্ট রাহীদ এজাজ সেমিনারে সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন। এ সময় সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
বলেন, কালই আমরা তাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের কথা বলিনি। কিন্তু ওই সংবাদ মাধ্যমগুলো আচমকা খবর দিয়ে দিল ভাসানচর না-কী এখনও প্রস্তুত নয়। আমাদের চিন্তা ছিল কাজ শেষ হওয়ার পর সবাইকে দেখাবো, আলোচনা করবো। এর পর ১ লাখ রোহিঙ্গাকে সেখানে স্থানান্তর করবো।
কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার আগেই রিপোর্ট হয়ে গেল। বলা হল ওই চর না-কী ঝুকিপূর্ণ! প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি না জাতিসংঘের কেউ ভাসানচরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারে। কারণ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের যে রিপোর্ট জমা পড়েছে তাতে ভাসানচর নিয়ে নেতিবাচক কিছু নেই। জাতিসংঘ প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠকে আশ্রয়দানের অব্যাহতভাবে প্রশংসা করেন। তারা বলেন, এই মুহূর্তে পৃথিবীতে অন্য কোনও দেশকে তারা কল্পনাও করতে পারেন না, যারা ১ মিলিয়ন বাস্তুচ্যুতকে আশ্রয় দিতে পারে। প্রতিমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে সরকার সঠিক পথেই আছে। নিরাপত্তা পরিষদে চীন মিয়ানমারের পক্ষে অবস্থান নিলেও দেশটি সংকট সমাধানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে যে এক ধরণের মধ্যস্থতা করছে সেটিও প্রতিমন্ত্রীর কথায় স্পষ্ট হয়।
তিনি জানান, সদ্য বিদায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলরের দপ্তরের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে নিয়ে বেইজিংয়ে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আয়োজনে একটি বৈঠকও হয়েছিল। অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক হিসাবে অংশ নেয়া জাতিসংঘের শরনার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ স্টিভেন করলিস বলেন, ‘আমরাও মনে করি রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়াই সংকটের একমাত্র সমাধান।’ তবে ভাসানচর প্রশ্নে জাতিসংঘের ওই প্রতিনিধি নিজেদের অবস্থান খোলাসা করেননি। তিনি ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ কোনটাই বলেননি। অনেকটা প্রসঙ্গ এড়িয়ে বলেন, ভাসানচর নিয়ে সরকারের সঙ্গে তাদের আলোচনা চলছে, আরও আলোচনা হবে।
রাজধানীর ইস্কাটনস্থ বিস অডিটরিয়ামে ডিকাবের ওই সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক প্রফেডর ড. ইমতিয়াজ আহমেদ। তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুটির আন্তর্জাতিকিকরণের পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হকসহ মন্ত্রণালয়ের ৩ সচিব এতে উপস্থিত ছিলেন। ডিকাব প্রেসিডেন্ট রাহীদ এজাজ সেমিনারে সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন। এ সময় সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
No comments