খাশোগি হত্যার বিচারে সৌদি রাজকীয় উপদেষ্টাদের একজন অভিযুক্ত অনুপস্থিত কেন!
বহুল
আলোচিত সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডে জড়িত সৌদি রাজপরিবার সংশ্লিষ্ট
দু’জন উপদেষ্টা। তাদের একজনকে বলা হয় ‘মূলহোতা’। ওই হত্যায় ১১ সন্দেহভাজনের
বিরুদ্ধে রুদ্ধদ্বার বিচার চলছে। কিন্তু সেখানে এই দু’জন উপদেষ্টার একজনকে
অনুপস্থিত দেখা যাচ্ছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে বিষয়টি নিয়ে। প্রশ্ন উঠেছে তাকে
কি রাজপরিবার সুরক্ষা দিচ্ছে নাকি আলাদা কোন আদালতে তার বিচার হচ্ছে। এ খবর
দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। সংস্থাটি বহু সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে রিপোর্ট
প্রকাশ করেছে।
এতে বলা হয়েছে, গত বছর অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কনসুলেটের ভিতরে ওয়াশিংটন পোস্টের কলামনিস্ট জামাল খাসোগিকে হত্যা করা হয়। এ নিয়ে নানা রকম বক্তব্য দেয়ার পর সৌদি আরবের প্রসিকিউটররা বলেছেন, ওই হত্যা মিশন তদারকি করেছেন উপ গোয়েন্দা প্রধান আহমেদ আল আসিরি। তাকে পরামর্শ দিয়েছেন রাজকীয় আদালতের মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সাউদ আল কাহতানি। এ দু’জনই ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের একেবারে ঘনিষ্ঠ। খাসোগি হত্যাকে কেন্দ্র করে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়েছে। জানুয়ারি থেকে এ মামলায় পাঁচটি শুনানিতে শুধু আসিরিকে দেখা গেছে আদালতে। এ তথ্য দিয়েছেন পশ্চিমা চার জন কর্মকর্তা।
এর মধ্যে একজন কর্মকর্তা বলেছেন, বিচার চলছে যে ১১ জনের বিরুদ্ধে তার মধ্যে কাহতানি নেই। তার এই অনুপস্থিতির অর্থ কি? সৌদি আরব কি তাকে সুরক্ষা দিতে উদগ্রিব নাকি তার বিষয়টি আলাদাভাবে দেখা হচ্ছে? কেউ জানে না।
১১ অজ্ঞাত সন্দেহভাজনের নামে গত নভেম্বরে অভিযোগ আনে সৌদি আরবের পাবলিক প্রসিকিউটর। এর মধ্যে এমন ৫ জন রয়েছেন, এই হত্যাকাণ্ডে তাদের মৃত্যুদন্ড পর্যন্ত শাস্তি হতে পারে। এই বিচার প্রক্রিয়া চলছে। পুরোটাই শুনানি হয় আরবিতে। বিচার প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ৫ সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, ফ্রান্স, চীন ও রাশিয়ার কূটনীতিকদের ও তুরস্কের কূটনীতিকদের আদালতে উপস্থিত থাকতে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তবে তাদেরকে দোভাষী ব্যবহার করতে অনুমোদন দেয়া হয় নি। তা ছাড়া তাদেরকে স্বল্প সময়ের নোটিশে উপস্থিত থাকতে বলা হয়।
খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে তার পরিবার সৌদি আরব সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় গিয়েছে বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে তার পরিবার। বিচারকাজ পর্যবেক্ষণের জন্য ওই পরিবারের একজন প্রতিনিধি একটি শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।
কর্মকর্তারা বলেছেন, যে ১১ জনের বিরুদ্ধে বিচার চলছে তার মধ্যে রয়েছেন গোয়েন্দা বিষয়ক অপারেটিভ মাহের মুতরেব। তিনি ঘন ঘন ক্রাউন প্রিন্সের বিদেশে সফরসঙ্গী হতেন। আছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ সালাহ আল তুবাইগি, সৌদি রয়েল গার্ডের সদস্য ফাহাদ আল বালাবি। এরা মৃত্যুদ-ের মুখোমুখি হতে পারেন। বিচারে বিবাদীদেরকে আইনজীবী নিয়োগের অনুমোতি দেয়া হয়েছে।
এরই মধ্যে অভিযুক্তদের অনেকেই আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তারা বলেছেন, অপারেশনের মূলহোতা আসিরির নির্দেশ অনুসরণ করেছেন মাত্র। এ বিষয়ে সৌদি আরবের তথ্য মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করে নি।
এতে বলা হয়েছে, গত বছর অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কনসুলেটের ভিতরে ওয়াশিংটন পোস্টের কলামনিস্ট জামাল খাসোগিকে হত্যা করা হয়। এ নিয়ে নানা রকম বক্তব্য দেয়ার পর সৌদি আরবের প্রসিকিউটররা বলেছেন, ওই হত্যা মিশন তদারকি করেছেন উপ গোয়েন্দা প্রধান আহমেদ আল আসিরি। তাকে পরামর্শ দিয়েছেন রাজকীয় আদালতের মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সাউদ আল কাহতানি। এ দু’জনই ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের একেবারে ঘনিষ্ঠ। খাসোগি হত্যাকে কেন্দ্র করে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়েছে। জানুয়ারি থেকে এ মামলায় পাঁচটি শুনানিতে শুধু আসিরিকে দেখা গেছে আদালতে। এ তথ্য দিয়েছেন পশ্চিমা চার জন কর্মকর্তা।
এর মধ্যে একজন কর্মকর্তা বলেছেন, বিচার চলছে যে ১১ জনের বিরুদ্ধে তার মধ্যে কাহতানি নেই। তার এই অনুপস্থিতির অর্থ কি? সৌদি আরব কি তাকে সুরক্ষা দিতে উদগ্রিব নাকি তার বিষয়টি আলাদাভাবে দেখা হচ্ছে? কেউ জানে না।
১১ অজ্ঞাত সন্দেহভাজনের নামে গত নভেম্বরে অভিযোগ আনে সৌদি আরবের পাবলিক প্রসিকিউটর। এর মধ্যে এমন ৫ জন রয়েছেন, এই হত্যাকাণ্ডে তাদের মৃত্যুদন্ড পর্যন্ত শাস্তি হতে পারে। এই বিচার প্রক্রিয়া চলছে। পুরোটাই শুনানি হয় আরবিতে। বিচার প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ৫ সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, ফ্রান্স, চীন ও রাশিয়ার কূটনীতিকদের ও তুরস্কের কূটনীতিকদের আদালতে উপস্থিত থাকতে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তবে তাদেরকে দোভাষী ব্যবহার করতে অনুমোদন দেয়া হয় নি। তা ছাড়া তাদেরকে স্বল্প সময়ের নোটিশে উপস্থিত থাকতে বলা হয়।
খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে তার পরিবার সৌদি আরব সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় গিয়েছে বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে তার পরিবার। বিচারকাজ পর্যবেক্ষণের জন্য ওই পরিবারের একজন প্রতিনিধি একটি শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।
কর্মকর্তারা বলেছেন, যে ১১ জনের বিরুদ্ধে বিচার চলছে তার মধ্যে রয়েছেন গোয়েন্দা বিষয়ক অপারেটিভ মাহের মুতরেব। তিনি ঘন ঘন ক্রাউন প্রিন্সের বিদেশে সফরসঙ্গী হতেন। আছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ সালাহ আল তুবাইগি, সৌদি রয়েল গার্ডের সদস্য ফাহাদ আল বালাবি। এরা মৃত্যুদ-ের মুখোমুখি হতে পারেন। বিচারে বিবাদীদেরকে আইনজীবী নিয়োগের অনুমোতি দেয়া হয়েছে।
এরই মধ্যে অভিযুক্তদের অনেকেই আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তারা বলেছেন, অপারেশনের মূলহোতা আসিরির নির্দেশ অনুসরণ করেছেন মাত্র। এ বিষয়ে সৌদি আরবের তথ্য মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করে নি।
No comments