বিচার না পেয়ে কেঁদেছি, আর কেউ যেন না কাঁদেন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা চাই প্রতিটি মানুষ ন্যায়বিচার পাক এবং সেই
ব্যবস্থাটা যেন চালু হয়। আমরা যেমন বিচার না পেয়ে কেঁদেছি, আর কাউকে যেন
এভাবে কাঁদতে না হয়। সকলে যেন ন্যায়বিচার পেতে পারে, সেটাই আমরা চাই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রোববার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে
‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০১৯’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে
এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অপরাধীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার মাধ্যমে খুন, অগ্নিসন্ত্রাস, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা এবং ধর্ষণের মতো মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘খুন, অগ্নিসন্ত্রাস, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা, ধর্ষণ ও নানা ধরনের সামাজিক অনাচার চলছে। এগুলোর বিচার যেন খুব দ্রুত হয়, এদের কঠোর শাস্তি হয়। যাতে এর কবল থেকে দেশ ও জাতি রক্ষা পেতে পারে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সর্বস্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করে এমন একটি উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই, এমন একটি সমাজ বিনির্মাণ করতে চাই, যেখানে ধনী-দরিদ্রের কোনো বৈষম্য থাকবে না। জনগণ মৌলিক অধিকারসমূহ ভোগ করে নিজেরা নিজেদের ভাগ্যোন্নয়ন করতে পারবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই প্রতিটি মানুষ ন্যায়বিচার পাক এবং সেই ব্যবস্থাটা যেন চালু হয়। কারণ, আমরা চাই না ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সের কারণে আমরা যেমন বিচার না পেয়ে কেঁদেছি, আর কাউকে যেন এভাবে কাঁদতে না হয়। সকলে যেন ন্যায়বিচার পেতে পেতে পারে, সেটাই আমরা চাই।’ তিনি বলেন, ‘অনেক মামলার দীর্ঘসূত্রতা রয়েছে। অনেকে বছরের পর বছর কারাগারে আটকে রয়েছে, কেন যে আটকে রয়েছে, তারা নিজেরাও জানে না। তাদের দোষটা যেমন কেউ কেউ জানে না, তেমনি কীভাবে আইনগত সহায়তা নিতে পারে, তা-ও জানা নেই। সেই বিষয়টা দেখার জন্য আমরা ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছি এবং আমার মনে হয়, আইন মন্ত্রণালয় এই ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।’
সম্পত্তি আইন অনুযায়ী দাদার সম্পত্তির বিষয়ে বাবা গত হলে তাঁর কন্যা ওয়ারিশরা যেন পুত্রসন্তানের ন্যায় অংশ ভাগ পায়, সেটা নিশ্চিত করার জন্যও প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি দেওয়ার পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিচারপতি এবং বিচারকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই ক্ষেত্রে আমাদের সামনে বিচারপতি বা অন্য সকলে রয়েছেন। তাঁদের আমি অনুরোধ করব। হ্যাঁ, আমাদের ইসলাম ধর্ম বা মুসলিম আইন (শরিয়াহ আইন) মানতে হবে, এটা ঠিক। কিন্তু কেবল শরিয়াহ আইনের দোহাই দিয়ে মা-মেয়েকে বঞ্চিত করে বাবার সম্পদ যে তাঁদের কাছ কেড়ে নেওয়া হয়, তার কোনো সুরাহা করা যায় কি না, আপনারা দয়া করে একটু দেখবেন। এটা করা দরকার।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেখানে মেয়ে-ছেলে না লিখে যদি সন্তান লিখে দেওয়া যায়, তাহলে সন্তান ছেলেই হোক আর মেয়েই হোক, তার ভাগটা তো অন্তত সে পাবে। এর জন্য একটা উদ্যোগ নেওয়া দরকার।’ তিনি আশঙ্কা ব্যক্ত করে বলেন, এটা বলতে গেলে অনেক ইসলামি চিন্তাবিদ এবং মাওলানা এর বিরোধিতাও করতে পারেন। তবে তিনি এ বিষয়ে অনেক ধর্মীয় নেতার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন; যাঁরা এই মেয়েদের অধিকার সংরক্ষণের বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন। দেখা গেছে, তাঁদের অনেকেরই ওয়ারিশ কেবল কন্যাসন্তান বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত আইনমন্ত্রীসহ সবাইকেই এ বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যাঁদের ওয়ারিশ হিসেবে কন্যাসন্তান রয়েছে, তাঁরা আমৃত্যু যেন সম্পত্তি ভোগ করতে পারেন এবং তাঁদের মৃত্যুর পর তাঁদের কন্যারা যেন পৈতৃক সম্পত্তির ওপর নিজের অধিকার পায়।’ তিনি বলেন, ‘যদিও ইসলাম একমাত্র ধর্ম, যেখানে মা-বাবা মারা গেলে কন্যাসন্তানকে তাদের সম্পত্তির অধিকার দেওয়া হয়ে থাকে। তারপরও তারা অনেক ক্ষেত্রে বঞ্চিত হয়। কারণ, ভাইয়েরা দিতে চায় না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার একজন বিচারক। যিনি আইনসিদ্ধভাবে কীভাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষদের সহযোগিতা করেন। এর ফলে বিচারপ্রার্থী জনগণ মামলাজটের কবল থেকে কিছুটা হলেও পরিত্রাণ পাবে।’
‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (সংশোধনী) আইন ২০০৯’ পাসের মাধ্যমে বিচার বিভাগ পৃথক্করণের কাজটিকে স্থায়ী রূপ প্রদান করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিচারের জন্য সাধারণ মানুষের চাপ সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা মামলার বিচার সাধারণ আদালতে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি, সাধারণ আদালতে হবে এবং আদালত যে রায় দেবেন, আমরা মেনে নেব। আমরা আদালতের রায় মেনে নিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২০ সালে আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা দারিদ্র্যমুক্ত, বৈষম্যমুক্ত আলোকিত সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করব, ইনশা আল্লাহ।’
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এ এস এস এম জহুরুল হক এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদানকারী সংস্থার পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম ও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। মানিকগঞ্জ ও কুমিল্লার দুজন উপকারভোগীও অনুষ্ঠানে নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে বেসরকারি সংস্থা, প্যানেল আইনজীবী এবং লিগ্যাল এইড—এই তিন ক্যাটাগরিতে বিশেষ সম্মাননাপ্রাপ্তদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অপরাধীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার মাধ্যমে খুন, অগ্নিসন্ত্রাস, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা এবং ধর্ষণের মতো মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘খুন, অগ্নিসন্ত্রাস, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা, ধর্ষণ ও নানা ধরনের সামাজিক অনাচার চলছে। এগুলোর বিচার যেন খুব দ্রুত হয়, এদের কঠোর শাস্তি হয়। যাতে এর কবল থেকে দেশ ও জাতি রক্ষা পেতে পারে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সর্বস্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করে এমন একটি উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই, এমন একটি সমাজ বিনির্মাণ করতে চাই, যেখানে ধনী-দরিদ্রের কোনো বৈষম্য থাকবে না। জনগণ মৌলিক অধিকারসমূহ ভোগ করে নিজেরা নিজেদের ভাগ্যোন্নয়ন করতে পারবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই প্রতিটি মানুষ ন্যায়বিচার পাক এবং সেই ব্যবস্থাটা যেন চালু হয়। কারণ, আমরা চাই না ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সের কারণে আমরা যেমন বিচার না পেয়ে কেঁদেছি, আর কাউকে যেন এভাবে কাঁদতে না হয়। সকলে যেন ন্যায়বিচার পেতে পেতে পারে, সেটাই আমরা চাই।’ তিনি বলেন, ‘অনেক মামলার দীর্ঘসূত্রতা রয়েছে। অনেকে বছরের পর বছর কারাগারে আটকে রয়েছে, কেন যে আটকে রয়েছে, তারা নিজেরাও জানে না। তাদের দোষটা যেমন কেউ কেউ জানে না, তেমনি কীভাবে আইনগত সহায়তা নিতে পারে, তা-ও জানা নেই। সেই বিষয়টা দেখার জন্য আমরা ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছি এবং আমার মনে হয়, আইন মন্ত্রণালয় এই ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।’
সম্পত্তি আইন অনুযায়ী দাদার সম্পত্তির বিষয়ে বাবা গত হলে তাঁর কন্যা ওয়ারিশরা যেন পুত্রসন্তানের ন্যায় অংশ ভাগ পায়, সেটা নিশ্চিত করার জন্যও প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি দেওয়ার পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিচারপতি এবং বিচারকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই ক্ষেত্রে আমাদের সামনে বিচারপতি বা অন্য সকলে রয়েছেন। তাঁদের আমি অনুরোধ করব। হ্যাঁ, আমাদের ইসলাম ধর্ম বা মুসলিম আইন (শরিয়াহ আইন) মানতে হবে, এটা ঠিক। কিন্তু কেবল শরিয়াহ আইনের দোহাই দিয়ে মা-মেয়েকে বঞ্চিত করে বাবার সম্পদ যে তাঁদের কাছ কেড়ে নেওয়া হয়, তার কোনো সুরাহা করা যায় কি না, আপনারা দয়া করে একটু দেখবেন। এটা করা দরকার।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেখানে মেয়ে-ছেলে না লিখে যদি সন্তান লিখে দেওয়া যায়, তাহলে সন্তান ছেলেই হোক আর মেয়েই হোক, তার ভাগটা তো অন্তত সে পাবে। এর জন্য একটা উদ্যোগ নেওয়া দরকার।’ তিনি আশঙ্কা ব্যক্ত করে বলেন, এটা বলতে গেলে অনেক ইসলামি চিন্তাবিদ এবং মাওলানা এর বিরোধিতাও করতে পারেন। তবে তিনি এ বিষয়ে অনেক ধর্মীয় নেতার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন; যাঁরা এই মেয়েদের অধিকার সংরক্ষণের বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন। দেখা গেছে, তাঁদের অনেকেরই ওয়ারিশ কেবল কন্যাসন্তান বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত আইনমন্ত্রীসহ সবাইকেই এ বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যাঁদের ওয়ারিশ হিসেবে কন্যাসন্তান রয়েছে, তাঁরা আমৃত্যু যেন সম্পত্তি ভোগ করতে পারেন এবং তাঁদের মৃত্যুর পর তাঁদের কন্যারা যেন পৈতৃক সম্পত্তির ওপর নিজের অধিকার পায়।’ তিনি বলেন, ‘যদিও ইসলাম একমাত্র ধর্ম, যেখানে মা-বাবা মারা গেলে কন্যাসন্তানকে তাদের সম্পত্তির অধিকার দেওয়া হয়ে থাকে। তারপরও তারা অনেক ক্ষেত্রে বঞ্চিত হয়। কারণ, ভাইয়েরা দিতে চায় না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার একজন বিচারক। যিনি আইনসিদ্ধভাবে কীভাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষদের সহযোগিতা করেন। এর ফলে বিচারপ্রার্থী জনগণ মামলাজটের কবল থেকে কিছুটা হলেও পরিত্রাণ পাবে।’
‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (সংশোধনী) আইন ২০০৯’ পাসের মাধ্যমে বিচার বিভাগ পৃথক্করণের কাজটিকে স্থায়ী রূপ প্রদান করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিচারের জন্য সাধারণ মানুষের চাপ সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা মামলার বিচার সাধারণ আদালতে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি, সাধারণ আদালতে হবে এবং আদালত যে রায় দেবেন, আমরা মেনে নেব। আমরা আদালতের রায় মেনে নিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২০ সালে আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা দারিদ্র্যমুক্ত, বৈষম্যমুক্ত আলোকিত সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করব, ইনশা আল্লাহ।’
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এ এস এস এম জহুরুল হক এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদানকারী সংস্থার পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম ও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। মানিকগঞ্জ ও কুমিল্লার দুজন উপকারভোগীও অনুষ্ঠানে নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে বেসরকারি সংস্থা, প্যানেল আইনজীবী এবং লিগ্যাল এইড—এই তিন ক্যাটাগরিতে বিশেষ সম্মাননাপ্রাপ্তদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
No comments