কাতারকে সাহায্য করতেই নিষেধাজ্ঞা!
সৌদি আরবের ভাষায়- কাতার সমস্যার সমাধান এবং দেশটিকে সাহায্য করতেই আরব দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা বা অবরোধ আরোপ করেছে। তাদের শর্ত মেনে না নেয়ায় তা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে আরব জোট। সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আদেল বিন আহমেদ আল জুবায়ের বলেছেন, কাতারকে চ্যালেঞ্জ করা ছাড়া এই অঞ্চলের দেশগুলোর আর করার কিছুই নেই। তার ভাষ্য, কাতার সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ডের প্রতি দৃষ্টিপাত করছে না। আমরা যেটা করছি সেটা কাতারকে আঘাত করার জন্য নয় বরং দেশটিকে সাহায্য করায় আমাদের উদ্দেশ্য। 'কাতার সংকট সমাধানে' আরব দেশগুলো ১৩টি দাবি দিয়েছিল ও সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছিল। সময়ের মধ্যে কাতার সেসব শর্ত মেনে নেয়নি। শর্তগুলোর মধ্যে ছিল আল জাজিরা টেলিভিশন বন্ধ, তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি তুলে দেয়া ও ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক হ্রাস করাসহ ১৩টি দাবি দিয়েছিল সৌদিন নেতৃত্বাধীন আরব জোট। সৌদি আরব বলছে, শর্ত না মানায় কাতারের ওপর আরোপ করা অবরোধ বহাল থাকবে। শর্ত মেনে না নেয়ায় নিন্দাও জানিয়েছে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশর। মিসরের রাজধানী কায়রোতে মধ্যপ্রাচ্যের চার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে তাদের দাবিগুলোর তালিকার প্রতি কাতারের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ায় দুঃখ প্রকাশ করা হয়। দেশগুলো বলছে, তাদের শর্তের ব্যাপারে কাতারের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ায় আরব দেশগুলো হতাশ। কাতারকে একঘরে করা দেশগুলোর কূটনীতিকরা বলছেন, বিদ্যমান পরিস্থিতির তাৎপর্য অনুধাবনে কাতার ব্যর্থ হয়েছে। এদিকে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরাহমান আল থানি বিবিসিকে বলেছেন, তার দেশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো আনা হয়েছে সেটা সমাধানের জন্য একটা সঠিক কাঠামোর দরকার। তিনি বলেন, আমাদের দরকার এখন একটা প্রক্রিয়া ঠিক করা। কাতার একটি সিরিয়াস আলোচনায় আগ্রহী। যেটা একটা টেকসই এবং দীর্ঘস্থায়ী সমাধান এনে দেবে। সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে এসব শর্তের ব্যাপারে নিজ দেশের অবস্থানও তুলে ধরে কাতার। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ১৩ দফা শর্ত পূরণ নয় বরং সংলাপের মাধ্যমে সংকটের নিরসন করতে চাইছে কাতার। অন্যদিকে উপসাগরীয় দেশের কর্মকর্তারা জানিয়ে দিয়েছেন, শর্তগুলো নিয়ে আলোচনার সুযোগ নেই
No comments